ফের বিমানবন্দরে হুলস্থুল কাণ্ড! 'হাইজ্য়াকিং' নিয়ে কথা বলতে গিয়েই গ্রেফতার হতে হল দিল্লিগামী এক যাত্রীকে। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনাটি মুম্বই বিমানবন্দরের।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে এক বিমানযাত্রীকে ফোনে কারোর সঙ্গে 'হাইজ্যাকিং' নিয়ে কথা বলতে শুনতে পান এক বিমান কর্মী। সূত্রের খবর, ভিস্তারা সংস্থার বিমানে মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার টিকিট ছিল সেই যাত্রীর। কিন্তু তার আগেই এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি যে, তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। আর এই কথা এক বিমান কর্মীর কানে যেতেই তিনি তড়িঘড়ি এই বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। এরপর অবিলম্বে পুলিস এসে গ্রেফতার করে তাঁকে।
পুলিস সূত্রে খবর, একাধিক এফআইআর দায়ের করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত যাত্রীর মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। ২০২১ সাল থেকে তাঁর মানসিক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরেই বিমানে নয়তো বিমানবন্দরে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিব আগেই খবরে এসেছিল যে, এক মহিলার ব্যাগের ভিতরে বোমা রয়েছে। এরপর তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ব্যাগে কোনও বোমাই পাওয়া যায়নি। আর এবারে হাইজ্যাকিং নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুম্বই বিমানবন্দরে।
'ব্যাগে বোমা আছে', এই বলে মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport) চিৎকার এক মহিলার (Woman)। আর এই শুনেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত সকলের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। সূত্রের খবর, মুম্বই (Mumbai) থেকে কলকাতাগামী (Kolkata) এক বিমানে চড়ার আগেই এমনটা ঘটিয়েছেন এক মহিলা। যদিও তাঁর ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বুধবার মুম্বইের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে মুম্বই থেকে কলকাতাগামী বিমানে ওঠার আগে তাঁর ব্যাগ চেক ইন করা হয়। কিন্তু একটির বদলে দুটি ব্যাগ থাকায় তাঁকে অতিরিক্ত টাকা দিতে বলা হয়। সাধারণত বিমানে একটি ব্যাগ যা ১৫ কেজি ওজনের মধ্যে, সেটিই চেক ইন করার নিয়ম রয়েছে। এর বেশি হলে টাকা দিতে হয়। কিন্তু সেই মহিলা সেই টাকা দিতে না চাইলে তিনি হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন যে, তাঁর ব্যাগে বোমা আছে। এরপরই তাঁর ব্যাগ ভালোভাবে দেখা গেলে সন্দেহজনক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এরপর সেই মহিলার বিরুদ্ধে সাহার পুলিস স্টেশন ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৩৬ ও ৫০২ (২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে তাঁকে আদালতে পেশ করার পর জামিন দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে একে অপরের টিকিট (Ticket) বদলে ভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে গেলেন দুই বিদেশি। যাঁর যাওয়ার কথা ছিল কাঠমান্ডুতে, তিনি চলে গেলেন লন্ডনে (London)।আবার যিনি লন্ডনে যাবেন তিনি পৌঁছে গেলেন নেপালের (Nepal) রাজধানীতে। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্য়ে এক জন শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা এবং অন্য জন জার্মানির বাসিন্দা। মুম্বই বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। সেখানেই গন্তব্য অদলবদলের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সোমবার, যাত্রার দিন তাঁরা যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। সেখানকার শৌচালয়ে গিয়ে দু’জন একে অপরের সঙ্গে বিমানের টিকিট বদলে নেন। তার পর ব্রিটেনের বিমানে উঠে পড়েন শ্রীলঙ্কান নাগরিক এবং কাঠমান্ডুর বিমানে নেপালের উদ্দেশ্য়ে পাড়ি দেন জার্মান যাত্রী।
বিমানে টিকিট পরীক্ষার করা সময় ধরা পড়ে যান শ্রীলঙ্কার যুবক। বিমানকর্মীরা দেখেন, তাঁর পাসপোর্টে যাত্রার সময়টি সঠিক সময়ের সঙ্গে মিলছে না। সন্দেহের বশে টিকিটের সঙ্গে পাসপোর্টের পরীক্ষা করে দেখা যায় যাত্রা সময়ের কোনও মিল নেই। এমনকি, তাঁর পাসপোর্টটিও ভুয়ো বলে অভিযোগ। ধরা পড়েন জার্মান নাগরিকও। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিস। পুলিসের জেরার শ্রীলঙ্কার যুবক স্বীকার করেছেন, কেরিয়ারের ভাল সুযোগের জন্য লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন। তাই জার্মান যুবকের সঙ্গে এই পরিকল্পনা করেছিলেন।
বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ থেকে গায়েব প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। এই বিষয়ে ওই যাত্রী সহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যাগ স্ক্যান করার সময়ই ব্যাগের ভিতরে টাকা দেখতে পান দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিমান অবতরণের পর নেমে ব্যাগ (Bag) খুলতেই টাকা উধাও। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ওরলির বাসিন্দা অমরদীপ কপূর সিং(৫৮)। ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫ মিনিটে বিমানে উঠে ছেলেকে নিয়ে দুবাই (Dubai) যাচ্ছিলেন তিনি। লাগেজ হিসেবে ছিল একটি ব্যাগ, যাতে রাখা ছিল ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সেই টাকায় উধাও হয়ে যায়। দুবাই থেকে ফিরে বিমানবন্দর ও থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তবে বিমানে যাত্রার সময় যাত্রীদের হাতে একটি ছোট ব্যাগ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনকি অন্যান্য মালপত্রের স্ক্যান হওয়ার পর তা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিমানের মালপত্র রাখার জায়গায়। এই পুরোটার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মীদের হাতে। সেই সময় ব্যাগ খুলে নগদ বার করে নেওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই টাকা রাখা ব্যাগকে বিমানবন্দর কর্মীরাই বিমানে তোলেন। এই গোটা পথের মধ্যেই কোথাও ব্যাগ খুলে টাকা বার করে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশই এতে যুক্ত বলে অনুমান পুলিসের। তবে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের জঙ্গি হুমকির নিশানায় বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai)। এবার সন্ত্রাসী হামলার হুমকি ফোন। সোমবার সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামে হুমকি কল (Threatening Call) পাওয়ার পর ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Chhatrapati Shivaji Maharaj International Airport) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হুমকি কলের পর মুম্বই পুলিস এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শহরের প্রধান বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বই পুলিস অজ্ঞাত পরিচয় কলারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।
মুম্বই পুলিসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি হুমকি ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ইরফান আহমেদ শেখ বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করে, তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য। কোড ওয়ার্ডে সে শহরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি দেয়। এরপরেই সন্দেহজনক কার্যকলাপে কড়া নজর রাখতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে সতর্ক করা হয়েছে। বিমানবন্দরে নিয়োজিত সংস্থাগুলো প্রতিটি যাত্রীর উপর কড়া নজর রাখছে।
এদিকে, মুম্বই পুলিস এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৫০৫(১)-এর অধীনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) অফিস ই-মেইলে হুমকি আসে। বিস্ফোরণে মুম্বই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মুম্বই পুলিস জানিয়েছিল, মেইল প্রেরককারী নিজেকে একজন তালিবান সদস্য বলে দাবি করেছিল। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এই ই-মেইল পাওয়ার পরই মহারাষ্ট্রের বহু শহরে সতর্কতা জারি করেছে সরকার।
২৮ কোটি টাকার কোকেন-সহ (Drug Smuggling) এক ব্যক্তি গ্রেফতার মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এক ব্যাগের নীচে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই মাদক। সেই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৩ কেজি মাদক উদ্ধার করেছে আবগারি দফতর। পুলিস সূত্রে খবর, যে ব্যাগে করে কোকেন (Cocaine) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই ব্যাগে বেশ কয়েকটি স্তর ছিল। তার নীচে এমন ভাবে লুকিয়ে ওই কোকেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যে, সন্দেহজনক লাগেনি। কিন্তু আবগারি দফতরের কাছে খবর ছিল, কোকেন পাচার হচ্ছে। তারপরই ওই যাত্রীকে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে গ্রেফতার হওয় ওই যাত্রীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এক ব্যক্তির সঙ্গে নেটমাধ্যমে তাঁর আলাপ হয়। তিনিই তাঁকে ব্যাগটি দিয়েছিলেন। যাত্রীর দাবি মতো পুলিস ওই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেও মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ৪৭ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুই যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিস। দুই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি মতো হেরোইন এবং ২ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছিল।