
শুক্রবার কামদুনি গণধর্ষণের রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দোষীদের ফাঁসির সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। ওই রায় শুনে একেবারে হতবাক মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন দোষীদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল।
হাইকোর্টের রায় শুনতে শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান টুম্পা ও মৌসুমী কয়াল। সঙ্গে ছিলেন অনেক গ্রামবাসী। তাঁরা জানিয়েদেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
২০১৩ সালে ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামদুনির ওই ছাত্রী। রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
৭০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Mousumi Chakraborty)। বাংলা সিনেমা জগতের পাশাপাশি হিন্দি সিনেমা জগতও সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর অভিনয় দক্ষতায়। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে টিকে থাকা তাঁর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে মৌসুমীকে। এমনকি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালকের থেকে। মা হওয়া কেরিয়ারের জন্য বাধা, একথা শুনে কী উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়, অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে দেশ প্রেমী সিনেমা নাকচ করে দেওয়া কী পরবর্তীতে তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে? এর উত্তরে মৌসুমী বলেন, 'একেবারেই না। আমি অমিতাভকে এ-গ্রেড অভিনেতা হওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে দেখেছি। কিন্তু আমি অভিনেত্রী হিসেবে একেবারেই নিজের ১০০ শতাংশ দিইনি।'
এই প্রসঙ্গে পরিচালক মহেশ ভাটের করা একটি মন্তব্যের কথা বলেছেন মৌসুমী। তিনি বলেছেন, 'মহেশ ভাট একবার আমাকে বলেছিলেন, য্খনই আমার কেরিয়ার উপরের দিকে যায় আমি তখনই অন্তঃসত্বা হয়ে যায়। আমার এই সিদ্ধান্ত কেরিয়ারের জন্য নাকি বাধা। আমি তাঁকে শুধরে দিয়ে বলেছিলাম, সন্তানেরা আমার জীবনে রং।'
বৃহস্পতিবার কুন্তল (Kuntal) ঘোষকেও আদালতে তোলা হয়, আদালত (court) থেকে বেড়িয়ে বিস্ফোরক কুন্তল। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা যে ইমেজটা আমার এনেছেন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইডি (Ed) চার্জশিটে আমার কোনও সম্পত্তির হদিশ নেই, আমার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের কোনও সম্পর্ক ছিল না।'
একই সঙ্গে কুন্তল বলেন, 'আমার গ্রেফতারির কারণ একটাই, আমি রাজনৈতিক বিদ্বেষের শিকার। আমি কেমন মানুষ সেটা সামাজিক মাধ্যম থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সামনে গীতায় হাত রেখে বলতে পারি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না।' এছাড়া কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুন্তল। মৌসুমীকে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট বলে দাবি করেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তল বলেন, 'মৌসুমী তাপসের এজেন্ট ছিল বলে জানতাম। প্রচুর টাকা তুলেছে, অনেক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।' যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মৌসুমীর দাবি, 'সব মিথ্যে কথা বলছে, কুন্তল যা খুশি তাই বলছে, আমি কুন্তলকে চিনতামও না, তৃণমূলের সবাই চোর হতে পারে, কিন্তু মৌসুমী কয়াল না।'
বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি আরও জানান, 'আমার বিএড কলেজ বিক্রি করে ৭ কোটি টাকা নগদ দিয়েছি গোপাল দলপতিকে। গোপাল ৫ কোটি নগদ নিয়ে গিয়েছিল তাপসের কাছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মন্তব্য করেন তিনি যে, 'আমার ফ্যামিলি থেকে বিভিন্ন রকম প্রবলেম এসেছে। আমি আমার ছেলের স্কুলের ফিস পর্যন্ত দিতে পারছি না।'