সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভয়াস অনুযায়ী, আজ, শনিবার সাধারণত আকাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। তবে বিকেলের দিকে কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বজ্রবিদুত্ সহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, যে নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছিল সেটি এখন বাংলাদেশে সরে গেছে। ফলে শনিবার থেকে রাজ্য়ে বদলাবে আবহাওয়া। তাছাড়াও শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাতের মাত্রা। বৃষ্টি কমলেও তাপমাত্রা কিন্তু বিশেষ হেরফের হবে না। বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও, বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝরি বৃষ্টিপাত চলবে। রবিবার পর্যন্ত কালিম্পঙ, আলিপুদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার এই পাঁচ জেলাতে চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। যদিও সোমবারের পর ফের থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান, জোড়া বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত সিকিম। তিস্তার জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। আর এই তিস্তা নদীর বিপুল জলস্তরের জন্য় আশেপাশের এলাকাগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি একটি গভীর নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গের অভিমুখে বাঁক নিয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় বৃহস্পতিবার মাত্রাতিরিক্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার, এই তিন জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গও। কারণ বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপটি ছত্তিশগড়ের সংলগ্ন এলাকা থেকে দিক বদল করে ঝাড়খন্ড হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে ফিরছে। যার কারণে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে আকাশ মেঘলা থাকবে। এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবারের পর থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
কখনও ঝিরঝির কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকেই শহরজুড়ে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কলকাতার এই টানা বৃষ্টির নেই কোনও বিরাম। আবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টি বন্ধ হলেও ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হচ্ছে কলকাতাবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার সারাদিন কলাকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে দফায় দফায় চলবে বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার কিছুটা কমলেও আপতত কিন্তু বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। সেটি বঙ্গোপসাগর থেকে ঝাড়খন্ডের দিকে সরে গিয়েছে। এর আবহাওয়া পশ্চিমের দিকে বইবে। এবং সেই এখনই থামবে না বৃষ্টি। আরও তিন দিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত বজায় থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে উপরের জেলাগুলিতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টি। এদিন দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা কিন্তু নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দু এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরমে বাড়তে পারে অস্বস্তি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলবর্তী এই দুই জেলাতে অপেক্ষিতভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকছে। অন্য়দিকে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপটি ওড়িশা ও সংলগ্ন এলাকা অবস্থান করলেও এর অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে। আগামী দু-দিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে উত্তর ছত্তিশগড়ে অতিক্রম করবে। যার ফলে রবিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টিপাত।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিরপাতের ঘাটতি দেখা গেলেও উত্তরবঙ্গে কিন্তু চলতি মরশুমে হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। শনিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। তবে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সোমবার থেকে আবহাওয়া বদলে যাবে উত্তরবঙ্গে।
সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশ (Cloudysky)। রবিবার ছুটির দিনেও রেহাই নেই। এদিন শহরজুড়ে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা কিন্তু নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরমে অস্বস্তি বজায় থাকবে। আগামী কয়েকদিন আকাশ মেঘলা থাকবে বলে এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই হতে পারে ভারী বৃষ্টি। এদিন উত্তরবঙ্গের দার্জলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পঙ এই পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গে। তবে মঙ্গলবার, স্বাধীনতা দিবসের পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বজ্রবিদুত্ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। কলকাতা সহ বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও হেরফের হবে না।
তৃণমূল শিবিরে বড় ধাক্কা! রাজ্যসভার (Rajya Sabha) বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) থেকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে (Derek O'brien)। কিছুদিন আগেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যসভায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর মঙ্গলবারও একই ঘটনাই ঘটে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকেই অধিবেশন শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। এরপর 'উচ্ছৃঙ্খল আচরণ' ও 'চেয়ারম্যানের নির্দেশকে অবমাননা' করার কারণে ডেরেক ও'ব্রায়েনকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।
সংসদ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল রাজ্যসভাতে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার দাবি করেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁকে একাধিকবার সতর্কও করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি সাংসদ পীযুষ গোয়াল তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন। অধিবেশনের কাজে বাধা দেওয়া, উচ্ছৃঙ্খল ব্যবহার ও চেয়ারম্যানের নির্দেশের না মানার অভিযোগ এনে ডেরেককে সাসপেন্ড করার প্রস্তান দেন। এরপরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় 'অসংসদীয় আচরণ' ও 'চেয়ারম্য়ানের নির্দেশকে অবমাননা' করার কারণে ডেরেক ও'ব্রায়েনকে রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করলেন। উল্লেখ্য, ১১ অগাস্টে বাদল অধিবেশন শেষ হতে চলেছে।
সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা। মাঝেমধ্যে আবার দেখা যাচ্ছে রোদের ঝলক। তবে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা কিন্তু নেই। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৭২ ঘন্টায় ৪ ডিগ্রি প্রর্যন্ত বাড়বে তাপমাত্রা (Temperature)। পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের কারণে ফের বাড়বে অস্বস্তি। আর এই ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল হবে বঙ্গবাসী। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে ঝাড়খন্ডের দিকে সরে গিয়েছে। এর ফলে পুরুলিয়াতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাঁকুড়া,পশ্চিম বর্ধমানে, ঝাড়গ্রামে কিছুটা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ইতিমধ্যে বাঁকুড়ায় ভারি বৃষ্টির জেরে বেড়েছে বিড়াই খালের জল। আর সেই জলের তোড়ে বসে গিয়েছে খাল পারাপারের ব্রিজের মাঝের অংশ। ফলে একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লী এলাকায়। এছাড়াও মূলত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে হালাকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে বলে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই জেলাগুলিতে। তবে এরমধ্যেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে।
বর্ষা (Monsoon) আসলেই স্বস্তি পাওয়া যায় সূর্যের প্রখর তাপ থেকে। কিন্তু বর্ষা আসতেই বৃদ্ধি পায় রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই আবহাওয়াতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণও বৃদ্ধি পায়। বর্ষা আসতেই জ্বর-সর্দি-কাশির পাশাপাশি যেই সংক্রমণ আগে দেখা যায় তা হল ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ। তাই এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ (Fungal Infection) থেকে বাঁচতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
১) বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সেই জামা-কাপড় পরে থাকা যাবে না। জামা-কাপড় ফ্যান বা এসিতেও শুকনো যাবে না। কারণ এতেও জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই ব্যাগে সবসময় শুকনো জামা-কাপড় রাখা উচিত। যাতে বৃষ্টিতে ভিজে গেলেই আপনি পরে তা বদলে ফেলতে পারেন।
২) ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাস কখনওই পরা উচিত নয়। কারণ এই ভিজে কাপড় ও ত্বকের ঘর্ষণে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হতে পারে।
৩) বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়িতে গিয়েই উষ্ণ গরম জলে স্নান করে নেওয়া উচিত। চুলেও বৃষ্টির জল পড়লে চুল ধুয়ে নেওয়া উচিত। নয়তো স্ক্যাল্পেও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
৪) এছাড়াও বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্য তালিকায় বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
দুধ (Milk) শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী, তা সবারই জানা। বর্ষাকালে (Monsoon) তো প্রায়ই প্রত্যেকের জ্বর-সর্দি-কাশি লেগে থাকে। ফলে অনেকেই হালকা গরম করে দুধ খেয়ে নেন যাতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে সর্দি-কাশি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও এতে পেটের সমস্যা বা হজমজনিত সমস্যা হতে পারে। ফলে দুধ গরম করে নাকি ঠান্ডা দুধ খাওয়া উচিত, তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। ঠিক কোন উপায়ে দুধ খেলে তা শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী হবে, তাও জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
গরম নাকি ঠান্ডা দুধ খাবেন?
পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই বর্ষাকালে সবসময় দুধ ভালো করে গরম করেই খাওয়া উচিত। এতে হজমের কোনও সমস্যা হয় না। অর্থাৎ গরম দুধ খাবার হজমে সাহায্য় করে ও এর বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ভালো ভাবে শরীরে শোষিত হতে পারে।
কোন উপায়ে গরম করবেন দুধ?
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ১/৪ পরিমাণে জল ও দুধ মিশিয়ে খাওয়া উচিৎ। তাঁরা পরামর্শ দেন, চার ভাগ দুধের মধ্যে এক ভাগ জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে দুধ গরম করা উচিত।
কোন সময়ে দুধ খাওয়া উচিত?
অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার আগে দুধ খান। তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগের প্রকোপ এড়াতে গেলে দুধ সকালে জলখাবার খাওয়ার সময়ে খেতে হবে। তবে এর সঙ্গে কোনও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা। কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি। সেই সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আবহাওয়া দফতর তরফে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিন দিনভর শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও ভ্য়াপসা গরম থেকে স্বস্তি পাবে রাজ্য়বাসী।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষ দিকে অর্থাত্ শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জেলায় জেলায়। কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, নদিয়া, মৃর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনায় বজ্রবিদুত্ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। তাপমাত্রা সামান্য় কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিন্তু বজায় থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই পাঁচ জেলাতে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা।
বাঙালি হেঁশেল তাকে ছাড়া একেবারে চলেই না, সব খাবারের পদে একে চাই-ই। আর এটি হল আদা (Ginger)। তবে শুধু যে রান্নার স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, আদা ওষধি গুণেও ভরপুর। শরীরের নানা জটিল ও ভয়ানক রোগের মোকাবিলা করতে পারে এক টুকরো আদা। তবে বর্ষার (Monsoon) ডায়েটে আদা রাখা খুবই জরুরি। কারণ এই সময় জীবাণু-ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। আর এইসবের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে আদা খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্ষাকালে আদা খাওয়া বেশি উপকারী হতে পারে। জেনে নিন, কোন ক্ষেত্রে আদা উপকারী।
বর্ষায় রোগের হাত থেকে বাঁচতে আর ইমিউনিটি ক্ষমতা শক্তিশালী করতে আদা দারুণ উপযোগী। আদার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
এছাড়াও বর্ষায় সর্দি-কাশি-জ্বর তো লেগেই রয়েছে। তাই এসময় আদা খেলে এইসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময়ে আদা ভীষণ কার্যকরী। কারণ আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই বর্ষার ডায়েটে আদা রাখুন।
এছাড়াও বর্ষায় ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে আদা ডায়েট রাখলে তা বিভিন্ন হজমজনিত সমস্যা যেমন- পেট ফোলা, গ্যাস, বদহজম থেকে রেহাই দেয়।
বর্ষাকাল (Monsoon) অনেকেরই পছন্দের। তবে সারাদিনের মেঘলা আকাশ ও বাইরের অনবরত বৃষ্টিতে চুলের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। শীতকালে যেমন খুশকির সমস্যা বেশি হয়, তেমনই বর্ষায় চুলে (Hair) একটু অন্যরকম গন্ধ আসে। চুল ভালো করে না শুকোলেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেকেই জানেন না এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কী করবেন। তাই তাঁদের জন্য রইল এই টিপসগুলি।
প্রথমত, বর্ষাকালে ভালো করে চুল শুকনো করা খুবই জরুরি। প্রকৃতির ভরসায় যদি চুল না শুকোয়, তবে ড্রায়ার জাতীয় কিছু দিয়ে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন। চুলে অবশ্যই লাগান সিরাম।
দ্বিতীয়ত, আজকাল অনলাইনে চুলে ব্যবহারের মিস্ট পাওয়া যায়। এই মিস্ট-এর গন্ধ বেশ মিষ্টি হয়। ফলে চুল থেকেও সতেজ ভাব পাওয়া যায় সারাদিন।
তৃতীয়ত, বর্ষাকালে চুলে দু'দিন অন্তর শ্যাম্পু করা ভালো। কোনও ভালো সুগন্ধিযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন চুলের জন্য। ড্ৰাই শ্যাম্পু দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন চুল।
চতুর্থ টিপস, বর্ষাকালে চুলে ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল তেল। ল্যাভেন্ডার-জ্যাসমিনের সুগন্ধিযুক্ত তেলে চুলের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ দূর হয়।
টানা গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর এসেছে স্বস্তির বৃষ্টি (rain)। সারা বাংলায় চলছে টানা বৃষ্টি। এই বৃষ্টি একদিকে যেমন স্বস্তি এনেছে। ঠিক তেমনই বয়ে নিয়ে এসেছে একাধিক উদ্বেগের কারণ। বর্ষায় (Monsoon) জামাকাপড় স্বাভাবিকভাবেই শুকোয় না। আর এই ভেজা জামাকাপড় ঘরে মেলতে হয়, আর সেখান থেকেই বাড়ে বিপত্তি। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে ঘর বা জামাকাপড় রোগের আতুঁরঘর। এমন স্যাঁতস্যাঁতে জামাকাপড়েই ছত্রাক বা জীবাণু বাসা বাঁধে। আর এসব পরলেই স্কিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফল হতে পারে মারাত্মক। এছাড়াও ভিজে কাপড়ের আর্দ্রতা থেতে বাচ্চাদের হতে পারে সর্দি-কাশি-জ্বর। ফলে বর্ষাকালে জামাকাপড় সঠিকভাবে শুকনোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
ভিজে জামাকাপড়ে যাতে ছত্রাক বা জীবাণু বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য মেনে চলুন এই নিয়মগুলো-
জামাকাপড় কাচার আগে কাপড়ের কোনও অংশে কাদা লেগে থাকলে সেই অংশটি ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর সেই কাপড় পুরোটা ভালো করে ধুয়ে নিন।
ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচার পর, শেষ বার কাপড় ধোয়ার সময় জলে কোনও জীবাণুনাশক লিকুইড মেশান। এছাড়াও কাপড় কাচার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটু ভিনিগার বা বেকিং সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আলমারি, ওয়ার্ড্রোব, আলনা অর্থাৎ যেখানে জামাকাপড় রাখেন, সেখানে ন্যাপথলিন অবশ্যই রাখুন। জামা কাপড় শুকিয়ে গেলে ইস্ত্রি করে নিন। এতে জীবাণু মরবে।
বর্ষাকালে (Monsoon) ত্বকের যত্ন বিশেষভাবে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সময় সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। যার ফলে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। তবে ত্বক বলতে প্রথমে মুখের কথাই ভাবি আমরা। কিন্তু মুখ ছাড়া শরীরের আরও অঙ্গও রয়েছে, যার যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত জরুরী। যেমন- বর্ষায় পায়ের যত্ন (Foot Care) নেওয়া খুব দরকার। কারণ এই সময় প্রায়ই দেখা যায় পায়ে চুলকানি, ব়্যাশ, জ্বালাভাব। আসলে বর্ষার ঋতুতে পা অধিকাংশ সময়েই ভিজে থাকে। বদ্ধ জুতোয় পা আটকে থাকে। বাতাস চলাচল করে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। ফলে এইসব দূর করার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন।
পা সবসময় শুকনো রাখার চেষ্টা: যতটা পারবেন, পা জলে না ভিজিয়ে শুকনো রাখবেন। যদিও বর্ষায় বাইরে যেতে হলে পা তো জলে ভিজবেই। তাই পা বৃষ্টির জলে ভিজে গেলেও বাড়িতে এসে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফের শুকনো করে নেবেন। এরপর পায়ে অ্যান্টি-ফাংগাল পাউডার লাগিয়ে নেওয়া উচিত।
নুন জলে পা পরিষ্কার করা: বাইরে থেকে এসেই পা পরিষ্কার করতে নুন জলে পা চুবিয়ে রাখুন কিছু মিনিট। এতে পায়ের রোগ-জীবাণু দূর হয়।
খালি পায়ে না হাঁটার চেষ্টা করুন: বর্ষাকালে বৃষ্টিতে খালি পায়ে না হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। কারণ খালি পায়ে হাঁটলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে তা থেকে চুলকানি, ব়্যাশ হতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা: প্রতিদিন বাড়িতে ফেরার পরে নুন জলে পা পরিষ্কার করে নেওয়ার পর পায়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না।
বর্ষা (Monsoon) আসতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বর্ষা আসতেই ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা এই সময়ে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তবে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে পারেন, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো করবেই, এছাড়াও এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যেমন- কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম খেতে হবে। এতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আখরোট, আমন্ড যা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ, যা ডায়েটে রাখা উচিত। এগুলো চোখের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স বীজে চোখ হাইড্রেট করার উপাদান রয়েছে। আবার ভিটামিন এ ও অন্যান্য জরুরী উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ডায়েটে রাখা উচিত। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকরী।