Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Mirabai

Mirabai: মহা সাধিকা মীরা (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: রাস্তা দিয়ে বিয়ের শোভাযাত্রা দেখে রাজকুমারী চোখের পলক পড়ে না। সোজা মায়ের কাছে আবদার করে, 'মা আমার বর কই।' মা পড়লেন মহাফ্যাসাদে। কী করে মেয়েকে শান্ত করাবেন। অবশেষে মেয়েকে ধরে সোজা ঠাকুরঘরে এসে গিরিধারীলালকে দেখিয়ে বলেন,'এই যে তোমার বর মেঘে তারিখে দেখে আপ্লুত হয়ে যায়।' প্রথম পর্বের পর...

মীরা যখন আপন মনে ধ্যান করতে করতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, সেই সময় বিজয়বর্গীয় নামে একজন এসে, ক্ষুধার্ত মীরাকে দুধ এনে দেয়। মীরা দুধের বাটি এনে নিবেদন করেন গিরিধারীলালকে। এরপর চরণামৃত জ্ঞানে সবটুকু খেয়ে ফেলেন। এদিকে বিজয়বর্গীয় ভয়ে কাঁপতে থাকেন। কারণ দুধে রানা মিশিয়ে দিয়েছেন বিষ। কিন্তু কৃষ্ণভক্তির জেরে বিষ অমৃত হয়ে যায়। মীরা কৌটো খুলে সাপটাকে মালা ভেবে গলায় ধারণ করে। মীরার প্রতি এরকম অনেক রকম অত্যাচার শুরু হয়। কিন্তু প্রতিবারই কৃষ্ণ মীরাকে বাঁচিয়ে দেয়।

মীরা সেই শৈশব থেকে শ্যামকে ভালবেসেছে। গিরিধারীলালের পুজোয় দেহমন সব সমর্পণ করেছে। ওই কালো রূপে মন মজেছে। কালো রূপে মগ্ন মীরা ব্যাকুল, চর্মচক্ষুতে কৃষ্ণের দর্শনে। সিংহাসনে শ্যমকে বসিয়ে কখনও হাসছেন, কখনও কাঁদছেন। দু'জনে শুধু মন দেওয়া-নেওয়া। ভক্ত আর ভগবানের মাঝে সেতুবন্ধন হলো মীরার ভজন। এরপর অনেক ধরনের অত্যাচার করেও রানা পরিশ্রান্ত, তখন মীরাকে চিতোর ত্যাগ করার আদেশ দিলেন।  

কৃষ্ণকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না বলে মীরা দ্বারকার পথে পা বাড়ালেন। আসলে ভক্তিতেই মুক্তির সন্ধান। মীরা আজ সিদ্ধা। মীরার শরীরে কৃষ্ণপ্রেমের পূর্ণ প্রকাশ। মীরা আজ গিরিধারীলালের প্রেমিকা। কলঙ্কের ভাগী হয়ে ঘর ছেড়ে পথে নেমেছিলেন মীরা। শুধু নিজের প্রেমকে বিসর্জন দেবেন না বলে।

কৃষ্ণলীলার স্বরূপ সন্ধানে শুধু রাধা নয়, মীরার আত্মনিবেদনের নির্যাসকে আত্মস্থ করতে হয়। আর এখানেই অমরত্ব পেয়েছেন মানবী মীরাবাঈ।

one year ago
Mirabai: মহা সাধিকা মীরা (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: রাস্তা দিয়ে বিয়ের শোভাযাত্রা দেখে রাজকুমারী চোখের পলক পড়ে না। সোজা মায়ের কাছে আবদার করে, 'মা আমার বর কই।' মা পড়লেন মহাফ্যাসাদে। কী করে মেয়েকে শান্ত করাবেন। অবশেষে মেয়েকে ধরে সোজা ঠাকুরঘরে এসে গিরিধারী লাল কে দেখিয়ে বলেন,' এই যে তোমার বর মেঘে তারিখে দেখে আপ্লুত হয়ে যায়।'

এরপর স্বয়নে স্বপনে কৃষ্ণ ছাড়া অন্য কিছু ভাবনা নেই মীরার। মীরাবাঈ কৃষ্ণের প্রিয়তমা মহাসাধিকা। চির জনমের মতো কৃষ্ণকে স্বামীরূপে বরণ করে নেয় মীরা। তার জগৎজুড়ে শুধু শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যার সৃষ্টি সেই গিরিধারী লাল তার স্বামী, মীরার একমাত্র ইষ্ট হয়ে উঠল কানাহাইয়া।

১৫১৬ সালে ১৩ বছর বয়সে মীরার বিয়ে হয় মেবারের রাজা রানা শঙ্খের ছেলে ভোজরাজের সঙ্গে। কিন্তু মীরার বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। তিনি হৃদয়ে শ্রী কৃষ্ণের আসনে কাউকে বসাতে পারেননি। চললো মানসিক অত্যাচার। নির্দেশ এলো রাজ পরিবারের ঐতিহ্য মেনে চলতে।

কিন্তু মীরা তার সিদ্ধান্তে অটল। কৃষ্ণের ভজন, পূজন ছাড়া তার অন্যকিছু ভালো লাগে না। এর মধ্যে মীরার জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তার স্বামী মোঘলদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়। এতে মীরার জীবনে যা কিছু ছিল অনিত্য সব শেষ। একমাত্র চিরনিত্য রইলেন গিরিধারীলাল। সব বাঁধা ছিন্ন করে মীরা কৃষ্ণ প্রেমে নিজেকে সঁপে দিলেন।

রাজ অন্তপুরে মীরা যখন সাধন ভজনে বাধাপ্রাপ্ত হলেন, তিনি তখন নিকটবর্তী এক দেবালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানেই সাধনায় মগ্ন হলেন। মীরার মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। এ রাজ্যে কেউ তাকে চায় না। একমাত্র আশ্রয় তার গিরিধারীলাল। তার জন্য অন্য কোনো আশ্রয়ের প্রয়োজন নেই। আপন মনে ধ্যান করতে করতে কখন যেন একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। (চলবে)

one year ago