আবাসনের ৫ তলা থেকে মরণ ঝাঁপ! গুরুতর জখম (injured) অবস্থায় হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয় কিশোরীকে। ঘটনাটি সোদপুর (Sodepur) পিয়ারলেস নগর আবাসনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ওই আবাসন চত্বরে। কেন এমন সিদ্ধান্ত ওই কিশোরীর তদন্তে খড়দহ থানার পুলিস (police)।
জানা গিয়েছে, সোদপুর পিয়ারলেস নগরে এ-৮(A8) নম্বর আবাসনের ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন আহত কিশোরীকে প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, আহত কিশোরী একজন ইউটিউবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবাসন চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। কী কারণে কিশোরী ৫ তলা আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কতটা নৃশংস হলে এমনটা করা যায়? হিংস্র মানসিকতার মানুষের থেকে রেহাই পেল না ন’বছরের নাবালিকাও (Girl Murder)। প্রথমে খাবারের লোভ দেখিয়ে অপহরণ, তারপর যৌন নিগ্রহ (sexual harassment)। শেষে শ্বাসরোধ করে খুন। এখানেই থামেনি অভিযুক্ত ব্যক্তি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দিল নাবালিকার শরীর। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) শ্রী গঙ্গানগর জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। মৃতার বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন এবং পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল ওই নাবালিকা। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিস। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
বুধবার পুলিস সুপার আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘ স্থানীয়দের অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে মঙ্গলবার ওই নাবালিকাকে এক ব্যক্তির সঙ্গে শেষ দেখা গিয়েছিল। এমনকি অনেকে দেখেছিলেন ওই মেয়েটিকে খাবার কিনে দিচ্ছিলেন দোকান থেকে। মৃতাকে লোভ দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে।’’
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে কাপড়ের টুকরো দিয়ে ওই নাবালিকার শ্বাসরোধ করা হয়। পরে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় শরীর। তবে অনুমান, খুনের আগের যৌন নির্যাতনও করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরই তা নিশ্চিত হয় যাবে বলে জানা যায়। নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকার দেহ।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তকে খুঁজতে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিসের তদন্তকারী দল।
তোর্সা নদীতে (Torsa River) স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই কিশোরী। ঘটনাটি সোমবার সকালে কোচবিহার (Cooch Behar) পুন্ডিবাড়ি থানা অন্তর্গত টাকাগাছ কারিশাল এলাকার। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস (police), সিভিল ডিফেন্স ও বিপর্যয়ের মোকাবিলার দল। তাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাসি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার চারজন তোর্সা নদীতে জল ভরতে ও স্নান করতে আসে। সেই সময় সোনালী দাস (১২) ও ঋত্বিকা রায় (১৩) দুজন আচমকা বেশি জলে চলে যায়। আর সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। নদীতে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। এরপর প্রথমে স্থানীয়রাই নদীতে নেমে তাদের খোঁজাখুঁজি করেন। তবে খোঁজ না পাওয়া তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিস ও সিভিল ডিফেন্সকে। ইতিমধ্যে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা নদীতে নেমে তল্লাসি চালাচ্ছে। ঘটনায় চাপা চাঞ্চল্য এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ওই দু'জন জল ভরতে আসে। এদিনও একইভাবে জল ভরে স্নান করতে নামে তারা, তখনই এই দুর্ঘটনা। দুপুর পেরিয়ে বিকেল ৫টা হলেও সেই দু'জনের খোঁজ না পাওয়ায় স্পষ্টতই এলাকায় শোকের ছায়া। এই প্রসঙ্গে নিখোঁজ এক কিশোরীর বাবা জানান, পৌনে ১২টা নাগাদ ফোন পেয়ে কাজ থেকে তড়িঘড়ি চলে আসি। নদীপাড়ে এসে দেখি ভিড় জমে।
এলাকার উপপ্রধান জানান, খুব দুঃখজনক। প্রতি বছর তোর্সা নদীতে তলিয়ে যায়। এবার দুটো ছোট বাচ্চা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব দুঃখজনক। ঘটনার খবর পেয়ে আমি এবং স্থানীয় থানার পুলিস তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসি।
এবার এক কিশোরীর বিয়ে (marriage) আটকালো চাইন্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসন। তাঁদের এমন উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের রাতেই নবম শ্রেনীর কিশোরীর বিয়ে আটকে দিয়ে স্থানীয়দের বাহবা কুড়িয়েছে চাইন্ড লাইন (child line) ও ব্লক প্রশাসন।
জানা যায়, মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বেউরঝাড়ি এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সেই সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চাইল্ড লাইন ও পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িয়ে হাজির হয় চাইন্ড লাইনের সদস্যরা। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেন নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছেন?
নাবালিকার বিয়ে দিলে কী ধরণের ক্ষতি হতে পারে, তা পরিবারের লোকদের বোঝানো হয়। কন্যা সন্তানদের সুবিধায় রাজ্য সরকারের রুপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয় কিশোরীর পরিবারকে। এরপর তাঁরা মুচলেকা দেন মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিবেন না। এরপরেই ব্লক প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করে পরিবার।
ফের নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape)। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrested) পড়শি এক বৃদ্ধ। ধৃতের নাম নবকুমার বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শাসকদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ওই নাবালিকার পরিবারের আরও অভিযোগ, টাকার টোপ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন শাসকদলের কর্মীরা।
ঘটনাটি ৭ অক্টোবর রাতের। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ির কেউ একজন অভিযুক্তর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় নাবালিকা তাঁকে ডাকতে যায়। নবকুমার অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকাকে বাড়ির পিছনে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এমনকি কাউকে এ কথা জানালে গলা টিপে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দেন। সে ভয়ে এতদিন চুপ ছিল নাবালিকা। কিন্তু নাবালিকার শারীরিক ব্যথা অনুভব হতেই জানাজানি হয় বিষয়টি।
এরপরই পাড়ার অন্যরা ও নাবালিকার মা, গোটা পরিবার থানার দ্বারস্থ হন। নাবালিকার পরিবারের তরফে প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাঁসখালি থানার পুলিস নবকুমারকে গ্রেফতার করে। এদিকে এই ঘটনায় ফের একবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়িতে যান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিজেপির নাদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দলও এদিন নাবালিকার বাড়িতে যায়।
কিশোরীর পরিবার অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড়। অর্থের প্রলোভনের কাছে মাথা নত করেননি। সূত্রের খবর, কিশোরীর পরিবার বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত।
জাঙ্গিপাড়ায় (Jangipara) নিখোঁজ নাবালিকার দেহ (body) উদ্ধারের পর সোমবার আশেপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। নাবালিকার সঙ্গে থাকা সাইকেলের সন্ধান পেতেই এই তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্য এলাকার বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালায় পুলিস (police)। পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার পূর্ব পরিচিত ছিল অভিযুক্তরা। যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করত সেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন সঙ্গে একই জায়গায় ছিল অভিযুক্তদের ফোন। তার থেকে সন্দেহ হয় হুগলি জেলা পুলিসের। এরপরই গভীর রাতে টাওয়ার লোকেশন দেখে বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান (search operation) শুরু করে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লাল্টু হালদার। এরপরই ৪ অভিযুক্তকে খেজুরিয়া থেকে আটক করা হয়। জেরার পর রবিবার সকালে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক।
এই খুনের ঘটনায় হতবাক নাবালিকার পরিবার থেকে শুরু করে গোটা এলাকাবাসী। এদিকে, গ্রামবাসীদের দাবী মেনে শনিবার সন্ধ্যার পর স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়, পুকুরে জালও ফেলা হয়। পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা যেদিন নিখোঁজ হয় তার সঙ্গে একটি সাইকেলও ছিল। সেই সাইকেলটি খুঁজে বার করার জন্যই পুলিসের পক্ষ থেকে তল্লাশি চলে। পাশাপাশি তদন্তে সূত্র খুঁজতেও চেষ্টা চালানো হয়। তবে নাবালিকার সাইকেলটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিসের অনুমান, অভিযুক্তরা নাবালিকার পূর্ব পরিচিত।
অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল পুনমের মৃতদেহ (deadbody)। এনডিআরএফ (NDRF), রাজ্য পুলিস (police) এবং ইসিএল (ECL)-র তৎপরতায় উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। জানা যায়, চানোকের জলের নিচে গাছের ভাঁজে আটকে ছিল পুনমের দেহ। তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল সকলেই। অবশেষে মৃতার মায়ের আর্তনাদ সার্থক হল। উদ্ধার হল মেয়ের দেহ।
প্রসঙ্গত, আসানসোলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাল্লা বজরঙ্গিতলা এলাকার ইসিএল-এর চানোকে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ঝাঁপ দিয়েছিল নাবালিকা পুনম। প্রথম অবস্থায় রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দড়ি ও কাঁটা দিয়ে পুনমকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সময় নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এরপর ইসিএল-এর পক্ষ থেকে রবিবার ১১টা নাগাদ আনা হয় হাইড্রা এবং ডুলি। আসে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, মাইনিং রেসকিউ টিম। চেষ্টা চালানো হয়, কিন্তু খোঁজ মেলে না পুনমের। রবিবার সন্ধ্যায় আসে এনডিআরএফ-র ১২ জনের দল। সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় চেষ্টা। এনডিআরএফ-এর ৩ সদস্য অক্সিজেন নিয়ে বারবার নামে। কিন্তু তাঁরাও ব্যর্থ হন।
এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চানোকে জলের নিচে কিছু দূর যাওয়ার পর রয়েছে সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র গতিতে জল প্রবাহিত হচ্ছে। জলের বেগ পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এই চানোকে রয়েছে কম করে দু'টি সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র বেগে জল বইছে। ফলে পুনমের দেহ সেই জলে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছিলেন তাঁরা। সম্পুর্ণ চানোক খুঁজে পাওয়া যায়নি পুনমের দেহ। এছাড়াও, ব্রিটিশ আমলে এই চানোকের মাটির নিচে রাস্তা কোথায় তার কোনও ম্যাপ নেই বলেও জানান তাঁরা। এরপর বিফল হয়ে এলাকা থেকে বিদায় নেয় এনডিআরএফ।
সোমবার সকাল থেকে শুধুই মায়ের চিৎকার আর বাবার আর্তনাদ ছাড়া কিছুই যেন শোনা যাচ্ছে না এলাকায়।
ভিন রাজ্য থেকে কাজের সূত্রে ভোপালে (Bhopal) গিয়েছিলেন কিশোরী। সেখানে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার (Event management company) কাজের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। আর ওই সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয় বছর ২২-এর অভিষেক কুরলির সঙ্গে। তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। তবে পুরোটাই যে একটা ফাঁদ ছিল তা বুঝতে পারেন তিনি। অভিষেক তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ করেন ওই কিশোরী। কেবল তা নয়, এর সঙ্গে প্রেমিকের মা-ও জড়িত রয়েছে বলে পুলিসকে জানান কিশোরী।
ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রেমিকের মা রজনী বাধ্য করেছেন অন্য পুরুষের সঙ্গে তাঁকে সহবাস করতে। অভিষেক তাঁকে সম্পর্কে নিয়ে এসে তাঁর উপর যৌন নিপীড়ন করতেন। এমনকি তাঁর ফোন চুরি করে আপত্তিকর অবস্থার বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলেন অভিষেক। এরপর সেগুলি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের জারিপাটকার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা কিশোরী। গত রবিবার স্থানীয় থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মা ও ছেলে। পুলিস দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
ফের অ্যাসিড হামলা (Acid attack)। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাতরা জেলার (Chatra district) ১৭ বছরের একটি মেয়ে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিল। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) রেফার করা হয়। আকাশপথে ওই আক্রান্ত কিশোরীকে রাঁচি থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
নাবালিকার উপর ৫-ই অগাস্ট অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। এরপর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। রাজ্য সরকার-চালিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এইমস হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মেয়ে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি পোস্ট ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটিকে নয়াদিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারের বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসেন।"
হামলায় আহত মেয়েটির মা বলেন, তাঁদের গ্রাম ঢেবো থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। গত দুই-তিন মাস ধরে সে তাঁর মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চতরা জেলা প্রশাসক আবু ইমরান।
নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহে (Sexual Abuse) কাঠগড়ায় এক শিক্ষক (School Teacher)। হুগলির (Hooghly) জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। তাঁকে জেরা করে সত্যি জানতে চাইছে হুগলি গ্রামীণ পুলিস। জানা গিয়েছে, জিরাটের আশুতোষ নগর এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুণ কুমার দত্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল নাবালিকা ছাত্রীদের।
নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক টিফিনের পর ছোট ছোট মেয়েগুলোকে ভয় দেখিয়ে নিগ্রহ করতেন। কাউকে বলে দিলে ফল খারাপ হবে, সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হবে, নিল ডাউন করে রাখা হবে এমন হুমকিও তাদের দেওয়া হত। আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে একাধিক ছাত্রী হঠাৎ করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাড়ি থেকে কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে, প্রথমে চুপ থাকলেও, পরে মায়েদের সব খুলে বলে তারা।
এরপরেই নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার এবং আত্মীয়রা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। খবর যায় বলাগড় থানায়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ওই শিক্ষককে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, এই ধরনের কুকর্মের সঙ্গে যে যুক্ত তাঁর চরম শাস্তি হোক। সমাজ গঠনের কারিগররাই যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাহলে কী ভরসায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। এই ঘটনা জানাজানি হতে স্কুলের মিডে ডে মিলের কর্মীরাও হতবাক। তাঁদের বক্তব্য, এই স্কুলে দীর্ঘদিন কাজ করলেও এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম।