Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

MinakshiMukherjee

Minakshi Mukherjee: 'পুলিসের এত বড় নখ!' কালো কাপড় বেঁধে ওরা কারা? মীনাক্ষীকে আটকাতে ছদ্মবেশী বাহিনী?

সন্দেশখালির তপ্ত ভূমে পা রাখেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যাত্রাপথে বাধা দেয় পুলিস। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বকে। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরই মাঝে উঠে আসে অন্য এক ছবি। পুলিস ফোর্সের পোশাকে মুখে কালো কাপড় বাধা বেশ কয়েকজন। পুলিস পিকেটিংয়ের মাঝে এরা কারা? পুলিসের হাতে এত বড় বড় নখ কেন? প্রশ্ন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের।

বাধা পেয়ে আচমকা মীনাক্ষী বলে ওঠেন, “এই তোমার নাম কী? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়?” পরক্ষণেই বলে ওঠেন, “ছবি তোল, পুলিসের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছেন। এরা পুলিস তো? মুখ ঢাকা কেন?” পাশ থেকে বাম কর্মীরা মহিলা পুলিস কর্মীদের নখ দেখে মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, “এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিস কর্মী? এরা কেউ পুলিসের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিসের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।”

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পুলিসের পোশাকে হামলা করেছিল সিপিএম ক্যাডাররা। পাল্টা ইতিহাস ঘেঁটে কটাক্ষ শাসক নেতা শান্তনু সেনের। অন্যদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন,  কালো কাপড়ে সন্দেহভাজন কারা? তদন্ত করবে না পুলিস। মানবাধিকার কমিশনে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

পুলিসের মধ্যে মিশছে আততায়ীরা? সত্যিই কি অন্য কেউ তপ্ত করছে সন্দেশখালি? মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ কি অন্য অধ্যায়ের সূচনা করবে সন্দেশখালিতে? অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে।

3 months ago
DYFI Brigade: ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন-মরণ ঝরে’, বুদ্ধ বার্তায় সমাপ্তি ব্রিগেড সমাবেশ

তারুণ্যের হাত ধরে ব্রিগেডের মাঠে বুদ্ধের বার্তা। ব্রিগেড সমাবেশের একেবারে শেষে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পাঠ করেছেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার পাম অ্যাভেনিউতে গিয়ে ওই বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। বুদ্ধ-বার্তা দিয়েই শেষ হয় রবিবারের ব্রিগেড। DYFI-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বার্তা আদতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের পংতি। সেখানে লেখা, যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত।’ বুদ্ধদেবের বার্তায় বলা হয়, এটাই ডিওয়াইএফআই। সুতরাং ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।

সমাবেশের আগে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা নিতে শনিবার রাতে পাম অ্যাভিনিউ পৌঁছয় রাজ্য DYFI নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাসগুপ্ত সহ রাজ্য নেতৃত্ব। আর সেখানেই মনে করা হচ্ছিল রবিবার ব্রিগেডে বুদ্ধদেবের লিখিত আকারে কোনও বার্তা পাঠ করা হতে পারে।

বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। যদিও অসুস্থতার কারণে গাড়িতে থেকেই ফিরে যান তিনি। ২০২১-এর ব্রিগেডে বুদ্ধবাবুর অডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসে বাম নেতৃত্ব। এবার যৌবনের ব্রিগেডেও সুর বাঁধলেন রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তা বলাই বাহুল্য।

4 months ago
Insaaf Brigade: বিজেপি-তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব, ব্রিগেডে টেস্ট খেলার বার্তা মীনাক্ষীর

চুরি, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে এই বাংলা। এই অবস্থায় ইনসাফের দাবিতে শুরু হয়েছিল ইনসাফ যাত্রা। সেই যাত্রার পর রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে সমাবেশ ডিওয়াইএফআইয়ের। তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখেই এই সমাবেশের আয়োজন সিপিএম-এর যুব সংগঠনের। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এদিন নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর হুঙ্কার, যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে, তার দখল নিতে এসেছি।

তিনি বলেন, ইনসাফ যাত্রা শেষ হলেও লড়াই শেষ হয়নি। এদিন ব্রিগেডর মঞ্চ থেকে বেসরকারিকরণ সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ডিওয়াইএফআই নেত্রী। পাশাপাশি, চাকরি চুরি, আবাস যোজনার টাকা চুরি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকেও একহাত নেন মীনাক্ষী। বলেন, মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়নি।

রাজনীতির লড়াই। তার চেয়েও বেশি সমাজ বদলের লড়াই। এই লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়েই ক্রিকেটের তুলনা টানলেন। বললেন, "টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। অর্থাৎ আমাদের লড়াই এখানেই শেষ হবে না। গোটা সিস্টেম বদলে দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছি। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন আমাদের এই লড়াইয়ে শামিল হোন, আজ এটাই চাইছি আপনাদের থেকে।”

মীনাক্ষীর কথায়, "কে বলছে বামপন্থীরা শূন্য? আরে ওদের তো শূন্যের শক্তি সম্পর্কে ধারণা নেই। শূন্যরা যদি দখলদারির লড়াইয়ে নামে, তাহলে কী হবে, ওদের জানা নেই। আসলে ওরা বামপন্থীদের শক্তিকে ভয় পেয়েছে। আপনাদের কাছে আবেদন, বাঁচতে চাইলে লড়াইয়ে শামিল হোন, ময়দানে আসুন। লড়াইটা নীতির, লড়াইটা আদর্শের।”

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আগামি দিনের লড়াইয়ের সুর বেঁধে দেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বামেরা যে চুরি, দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলোকেই হাতিয়ার করবে, তার ইঙ্গিত এদিন দিয়ে রাখলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। তাঁদের সেই প্রচারের কোন ফল হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।

4 months ago