বীরভূম (Birbhum) লাভপুরের দরবারপুরে পুলিসকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি (Bombing)। একটি মেলাকে ঘিরে এই উত্তেজনা, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। দরবারপুর থানার আধিকারিক পার্থসারথী সাহার নেতৃত্বে পুলিসের (Police) একটি দল মেলায় অভিযানে যায়। তাঁদের কাছে খবর ছিল মেলায় অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। তাই পুলিসের উপস্থিতি দেখে মেলায় জমায়েত করা দুষ্কৃতীরা পুলিসের উদ্দেশে বোমা ছোড়ে। এই বোমাবাজিতে আহত এক পুলিসকর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন, এভাবে পুলিসকে উদ্দেশ্য করে বোমাবাজি করলে নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়? স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে পুলিসি ভূমিকা নিয়েও। অতীতেও বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে এই দরবারপুরে বোমাবাজির ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় মেলায় স্টল দেওয়া স্থানীয় এক দোকানদার জানান, 'বোমাবাজির শব্দ শুনে ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালাই। তারপর কী হয়েছে জানি না।'
তবে এই ঘটনায় পুলিসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) একবার। এই আপ্তবাক্যকে স্মরণ করেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে বাবুঘাট (Babughat Kolkata) থেকে পুন্যার্থীদের ঢল। গত কয়েকদিন ধরেই বাবুঘাটে গঙ্গা সাগর ট্রানজিটের জন্য তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্পে (Transit camp) দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু-সন্ত, পুন্যার্থী এবং পর্যটকরা। মূলত শুক্রবার থেকে তাঁরা একে একে গঙ্গা সাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। চূড়ান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁদের জন্য বরাদ্দ থাকা বাসে তুলে দেওয়া হয়। থাকছে নদী পারাপারের জন্য ভেসেলের ব্যবস্থা। সেখানেও রয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে সাগর সঙ্গমে স্নানের আগে দলে দলে পুন্যার্থীদের শুক্রবার বাবুঘাটে গঙ্গাস্নান করতে দেখা গিয়েছে। এই স্নান সেরেই গঙ্গা সাগরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের তীর্থযাত্রীরা। কিছু পুন্যার্থী গঙ্গা সাগর না গিয়ে মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে গঙ্গা স্নান সারতেও বাবুঘাটে দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন। কেউ আবার সারছেন গঙ্গা পুজো। সংক্রান্তির দিন দুয়েক আগে কলকাতায় গঙ্গা সাগরের ট্রানজিট পয়েন্ট বাবুঘাটে এই মুহূর্তে সাজো সাজো রব।
বাবুঘাটে অস্থায়ী ক্যাম্পে খাবার পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া এক সংস্থা জানিয়েছে, দিনে দু'বার ফ্রি তে তাঁরা সাধু-সন্ত, পুন্যার্থীদের খাবার পরিবেশন করছে। তাদের শিবিরে চা-জল খাবার ছাড়াও রয়েছে মেডিসিনের ব্যবস্থা।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি হেলিপ্যাড আসেন এবং গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাগরে পৌঁছে তিনি মেলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উপস্থিত জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পুজো দেন কপিল মুনির আশ্রমে। ৮-১৭ জানুয়ারি চলবে এই মেলা।
এদিন তিনি গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে বলেন: ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে, বিদেশিরা এসে থাকতে পারবে
গঙ্গাসাগর মেলার তীর্থ কর মুকুব করে দিয়েছি, প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জীবন বীমা করা হয়েছে।
কুম্ভ মেলার সঙ্গে রেলপথ, আকাশপথ কানেক্টেড। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় জল পেরিয়ে যেতে-আসতে হয়, কঠিন কাজ
১০ হাজার কোটি টাকা খরচে মুড়িগঙ্গা ব্রিজ করার চেষ্টা হচ্ছে
পাশাপাশি এদিন তিনি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি কেন্দ্রকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, জাতীয় মেলা ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। তাঁর অভিযোগ, 'কুম্ভ মেলায কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় একটা বাতাসা দিয়েও সাহায্য করে না কেন্দ্র।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,'পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেল। এবারে এখান থেকে হেলিকপ্টার চলবে। বেসরকারি সংস্থাও হেলিকপ্টারও চালাতে পারে।'
জানা গিয়েছে, এবার মেলায় প্রায় এক কোটি পুন্যার্থীর সমাগমের সম্ভাবনা।
ঝুলেই রইলো পৌষ মেলার (Poush Mela) ভবিষ্যৎ। বিশ্বভারতীর (VisvaBharati University) মাঠে পৌষ মেলা আয়োজনের জট কেটেও কাটলো না কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে মেলা করার অনুমতি দিক কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পৌষমেলার অনুমতি নিয়ে বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি। ৩ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পাশাপাশি শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদকে বিকল্প জায়গার খোঁজ রাখতে বলেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁরা এবছর অনুমতি দিতে পারছেন না। গত ৭ বছর ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হয়ে এসেছে পৌষমেলা। কিন্তু এবছর তারা অনুমতি দেয়নি। কারণ পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানা হয় না।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৩ শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে আসন্ন পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বিশ্বভারতী। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বোলপুরের বাসিন্দা গুরুমুখ জেঠওয়ানি। কলকাতা হাইকোর্টে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে, গত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু মেলায় হওয়া জমায়েত পরিবেশ রক্ষার শর্ত মেনে চলেন না। সেই কারণে বারবার পরিবেশ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
অপর দিকে, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ জানিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাজি না হলে ওই মাঠে মেলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু পৌষ মেলা পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত মেলা। বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকেও বহু পর্যটক এই মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। ফলে, বীরভূম জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করাটাও প্রয়োজন। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই ঐতিহ্যশালী মেলা হয়ে আসছে। তাই আদালতের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা।
চলতি বছর পৌষ মেলা ঘিরে বড়সড় জটিলতা। মেলার মাঠ আর পৌষ মেলার জন্য দিতে নারাজ বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বক্তব্য হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে বিশ্বভারতীকে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, 'বিশ্বভারতী ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে লিখিত আকারে এই বক্তব্য জানাবে, তারপর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে।'
বিশ্বভারতী জানিয়েছে, মেলার জন্য দূষণ ছড়ানোয় বারেবারে পরিবেশ আদালত সতর্ক করেছে। মেলা করলে বেশ কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেলা চলাকালীন ব্যবসায়ী থেকে অন্য সকলে সেই শর্ত মানার উৎসাহ দেখায় না। ফলে সেই ঘটনায় বিশ্বভারতীকে সতর্ক করেতছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তাই মেলা আয়োজনে আপত্তি না থাকলেও, ওই মাঠে মেলা করতে দেওয়ায় আপত্তি আছে বিশ্বভারতীর।
শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন ডেভলপমেন্ট অথরিটি সূত্রে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি থাকলে মেলা হবে ন। কিন্তু জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করা হয়। দরকার হলে আদালত সবপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পথ বাতলে দিক।
শেষ পৌষ মেলা (poush mela) হয়েছিল তখন সালটা ২০১৯। এরপর থেকেই পৌষ মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) টালবাহানা দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati Authority)। প্রথমে করোনা (covid—19) মহামারির জন্য এবং পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গা ছাড়া ভাব। এই দুয়ের ফাঁসে আর দেখা যায়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এবার পৌষ মেলা বাঁচানোর জন্য বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, হস্তশিল্প সমিতি এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটি।
করোনাকালের পর এবছর যখন সমস্ত কিছু স্বাভাবিক, সে সময়ও পৌষ মেলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর জেরে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে বুধবার বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কমিটির সদস্যদের দাবি, উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তিনিকেতন থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা তুলে দিতে চাইছে। কিন্তু তাঁরা তা হতে দেবেন না। পৌষ মেলা বাঁচানোর দাবিতে যেমন এদিন বিক্ষোভ সামিল হন এই মঞ্চের সদস্যরা, ঠিক সেইরকমই তাঁরা ২০১৯ সালে যে ডিপোজিট মানি দিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য সেই টাকা ফেরতের দাবিও তোলেন। কারণ, সেই টাকার বিপুল অংশ এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও সেই টাকা পৌষ মেলার পরেই ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয় পৌষ মেলা করার জন্য যারাই এগিয়ে আসবেন তাঁদেরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
পাশাপাশি, মেলার আয়োজনকে ঘিরে বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা মেলার আয়োজন করতে আগ্রহী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য পুরসভার তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এখন সেই চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বোলপুর পুরসভা।
সৌমেন সুর: পৃথিবীর মধ্যে যদি কয়েকজন বরণীয় কবিদের (poets) নাম করতে হয়, তাহলে তাঁদের মধ্যে অন্যতম কীটস (John Keats)। কীটসের রোম্যান্টিক কবিতার তুলনা হয় না। আজ কবি কীটসকে নিয়ে আলোচনা। তাঁর কবিতার কতকগুলি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট আছে, যার ফলে তাঁর কবিতার ঘ্রান হয়ে ওঠে বাণীস্বরূপ। কীটস তাঁর ব্যক্তিগত চিঠিতে লিখেছেন, 'I have loved the principle of beauty in all things' কীটসের কবিতাগুলি যেন সৌন্দর্য চেতনার প্রামাণ্য দলিল। প্রকৃতিতে, প্রেমে, শিল্পে, স্থাপত্যে, সর্বত্রই তিনি উপলব্ধি করেছেন সৌন্দর্য চেতনাকে। তিনি অনুভব করেছেন যে, অন্যান্য প্রাণীদের মতো মানুষও মরণশীল, কিন্তু সৌন্দর্যের মৃত্যু নেই, 'beauty is truth, truth is beauty' কীটসের কবিতায় প্রকৃতি প্রীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রকৃতির গন্ধস্পর্শময় রূপ কবি প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁর সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে। প্রকৃতির অনুষঙ্গে তিনি আত্মদর্শন উপলব্ধি করেছেন। 'ওড অন মেলানকলি' (Ode on Melancholy) কবিতায় ঘন মেঘের সঙ্গে বিষন্নতা তুলনীয় হয়ে ওঠে। কবি উল্লেখ করেন সেই সমস্ত ফুলের কথা যাদের ভাবনায় মন খারোপের ঘ্রান জড়িয়ে আছে। অপূর্ব বর্ণনা।
কীটসের কবিতায় অনুভূতি গ্রাহ্যতা গভীরভাবে পরিলক্ষিত হয়। কবির মতে সৌন্দর্য উপভোগ ও প্রকাশের জন্য পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সমান অংশগ্রহণ জরুরি। তাঁর ভাবনা প্রকাশ পায় 'ওড টু এ নাইট অ্যাঞ্জেল' কবিতার এই লাইনগুলোতে, 'but when the melancholy fit shall fall/ sudden from heaven like a weeping cloud/ that foster the droop-headed flowers all/and hides the green hill in an April Shroud.' কবি কীটস চিরন্তন। যতদিন পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকবে ততদিন তাঁর কবিতা মানুষের হৃদয়ে লীন হয়ে থাকবে।
প্রসূন গুপ্ত: বৃহস্পতিবার একই দিনে এবং একই সময়ে আলাদা ভাবে বিজয়া সম্মেলন আয়োজন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর অর্থাৎ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মেলন ডেকেছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে বিজয়া সম্মিলনী করবেন। দুই অনুষ্ঠানের সময়ও এক অর্থাৎ বিকাল ৩টে। মমতা ভবানীপুরের উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন। সম্প্রতি এমনটাই জানান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে ভবানীপুরের সাধারণ মানুষ এবং বিধানসভার শাসক দলের সদস্যরা। থাকবেন কিছু বিশিষ্ট অতিথি।
অন্যদিকে বিধানসভায় শুভেন্দুর ডাকা বিজয়া সম্মেলনে দলের সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপির এই মুহূর্তে বেসরকারি ভাবে ৬৯ জন বিধায়ক, এঁরা প্রত্যেকেই উপস্থিত থাকবেন বলে। দূর-দূরান্তের অনেক বিজেপি বিধায়ক বুধবারই কলকাতায় চলে এসেছেন। বাঙালি প্রথা মেনে বিজয়া সম্মেলন মানেই মিষ্টিমুখ এবং শুভেচ্ছা বিনিময়। এর বেশি আর কী হতে পারে? কিন্তু বৃহস্পতিবার দু'টি অনুষ্ঠানেই প্রবল ভাবে রাজনৈতিক আলোচনা থাকবে বলেই সংবাদ। এখন দেখার বিষয় কী আলোচনা হতে পারে ভবানীপুর উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চ এবং বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে। যা জানা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী দলের অবস্থান পরিষ্কার করবেন। রাজ্যের সাম্প্রতিক নানা ঘটনা নিয়ে সরকারের চরম সমালোচনা করবেন। অবশ্য সরকারের সমালোচনাতে নতুন ঘটনা কিছু নেই। কিন্তু এমন কিছু বার্তা আসতে পারে, যা বিরোধী দলের বিধায়কদের উৎসাহ দিতে পারে। তাই কি এই কারণেই সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলেছে বিজেপি?
পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনী খাতায় কলমে ভবানীপুরের মানুষদের মিলনমঞ্চ। কিন্তু এই মঞ্চ থেকে মমতা কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হতে পারেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আদৌ কোনও চমক থাকবে কি? না পুরোটাই জল্পনা, তা বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ আসতে পারেন। তবে বড় জল্পনা মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিদায়ী সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভবানীপুরের অনুষ্ঠানে দেখা যেতে পারে। যদিও তৃণমূলের তরফে এবিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
মেলায় দোলনা ভেঙে আহত তিন শিশু ও দুই মহিলা-সহ পাঁচজন। দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটেছে শুক্রবার গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) রামলীলা মেলা (Ramleela fair) গ্রাউন্ডে।
ব্রেক ড্যান্স ( break dance) নামে পরিচিত দোলনার একটি হ্যামক মাঝপথে ভেঙে উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা। এই ঘটনার সময় দোলনা চড়ছিলেন প্রায় ১০ জন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দোলনাটি যখন ভেঙে যায়, তখন যথেষ্ট গতিতে ঘুরছিল। এরপরই উলটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে মেলায় পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে সব দোলনা বন্ধ করে দেয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। সিটি ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বিনোদন ও দমকল বিভাগ-সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ তদন্ত শেষে মেলায় দোলনা চালানোর অনুমতি দেয়।