'আবরণ' নামটা শুনলেই মাথায় কি আসছে আপনার? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন 'আবরণ' অর্থাৎ আচ্ছাদন বা পরনের কাপড়। আজ আমরা গল্প শোনাব সেই 'আবরণের', যারা শূণ্য থেকে শুরু করে রাজ্যের অন্যতম বস্ত্র বিপণী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
এখানে গেলে ভুলে যাবেন আপনি কোনও প্রতিষ্ঠানে আছেন। বরং আপনার মনে হতে বাধ্য আপনি একটি পরিবারেই আছেন।
'আবরণ' একটি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র বিপণী সংস্থান, যা বিরাটিতে অবস্থিত। বিরাটির প্রাণ কেন্দ্র জুড়ে রয়েছে এই বিপণী, যারা এই এলাকায় সর্বপ্রথম শাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে ওই ব্যবসা শক্ত হাতে ধরেন একেডি গ্রুপের কর্ণধার শুভাশিস দাস ও প্রয়াত মানসী দাস। কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার জোরে 'আবরণ' এখন গোটা রাজ্য জুড়ে অন্যতম একটি বস্ত্র বিপণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
প্রথমে শাড়ি দিয়ে শুরু হলেও ৮ থেকে ৮০ সবার জন্যই এখন সমস্ত ধরনের পোশাক আবরণে পাবেন আপনি। এমনকি শিশুদের জন্য একটি নতুন প্রতিষ্ঠান 'অরেঞ্জেস' শুরু করেছেন তাঁরা। গোটা রাজ্যজুড়ে ভীষণ সুখ্যাতি এবং তাদের বিপুল সম্ভার কলকাতার বুকেও আকর্ষনীয় জায়গা দিয়েছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, আবরণ গোটা বাংলায় বুটিক শিল্প ও চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। এবং রাজ্য জুড়ে বুটিক শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে 'আবরণ' বুটিক শিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া ইতিমধ্যেই 'আবরণ' গাঁটছড়া নামে একটি সেগমেন্ট চালু করেছে, যেখানে হস্তশিল্প সংক্রান্ত যে সব সংস্থান রয়েছে তাদেরকে উৎসাহিত করে, তাদের পাশে থেকে হস্তশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করেছে।
আপনারাও এগিয়ে আসুন 'একেডি' গ্রুপের এই বস্ত্র বিপণী বিভাগ 'আবরণ'কে বেছে নিয়ে এই মহৎ উদ্দেশ্যের সঙ্গী হোন।
অবশেষে প্রশাসনের তৎপরতায় ধরা পড়ল সারের কালোবাজারি। শুক্রবার পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর জাতীয় সড়কে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে লরি ভর্তি সার। বেশ কয়েকদিন ধরে আলু চাষে কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সারের কালোবাজারি রুখতে জোরদার নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল পুলিসের তরফে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর মালদহ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে দিকে যাওয়ার সময় নারায়ণপুরে একটি লরি আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার, জেলা কৃষি দফতরের অ্যাসিস্ট্যন্ট প্লান প্রটেকশন অফিসার অলক কুমার দাস ও পুরাতন মালদহ ব্লক কৃষি আধিকারিক সৌমজিৎ মজুমদার। তারপর তল্লাশি চালিয়ে লরি থেকে ২৫ টন সার উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
এরপর খবর দেওয়া হয় মালদহ থানায়। খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিস এসে লরিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বেআইনিভাবেই কালোবাজির জন্য় নিয়ে লরিভর্তি সার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে কৃষি দফতরের আধিকারিক জানান। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ডিলারদের ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। আগামী দিনে কেউ যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসূন গুপ্তঃ বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তা হলেও দুর্গাপুজো মানেই শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরে এই সময়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে বা কখনও কার্তিক মাসেও বাঙালি হিন্দুরা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে থাকে। বলতে দ্বিধা নেই এমন অসাম্প্রদিক উৎসব বোধহয় আর কোথাও দেখা যায় না। পুজো তার নিজের মণ্ডপে কিন্তু বাকি সময়ে হৈচৈ, খাওয়া দাওয়া। বাংলার এমার্জেন্সি কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল কলেজে ছুটি। একই সাথে কলকারখানাতেও থাকে ছুটির মেজাজ। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলিতে পুজোর ৪ দিন অবশ্যই ছুটির মেজাজ। অনেকেই হয়তো মণ্ডপে মণ্ডপে না ঘুরে পরিবারকে সময় দেয় এই চারটি দিন। বাড়িতে রোজগার মতো খাবার তৈরি হয়। আজকাল অনেকেই চার দিনই হয়তো বাইরে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখে অবশ্যই ফের বলতেই হয় পকেটের হাল বুঝেই। অনেকেই পূজোর বোনাস পায়। অবিশ্যি তার অনেকটাই বাড়ির জামাকাপড় ইত্যাদি কেনাকাটাতে খরচ হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী অবাঙালিরাও এই উৎসবে ওই একই মেজাজে হাজির হয়।
আজকাল জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে করে যা ইচ্ছা কেনা হয়তো সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু কেনাকাটাতো করতেই হয়। বাড়ির গিন্নীবান্নিরা কিন্তু অনেকেই সারা বছরের খরচের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখে পূজোতে কেনাকাটার জন্য এবং এটাও বাস্তব আজকের দুর্মূল্যের বাজারে সস্তায় এই শহরগুলিতে নিশ্চিত কেনাকাটা করা যায়।
এক সময়ে পূজোর আগে খবরের কাগজগুলিতে কাপড়ের দোকান থেকে জুতোর দোকানের বিজ্ঞাপন থাকতো প্রায় রোজই কিন্তু আজকে অনেকটাই কমেছে। রেডিও থেকে টিভিতেও বিজ্ঞাপন যা আগে থাকতো তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দর যে অনেক। কলকাতার বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিজ্ঞাপন আজকে খুব একটা দেখা না। তবুও বাঙালির দুর্গা পূজো কিছু না থাকলেও কিছু তো থাকবেই। (চলবে)
বেশ কিছু দিন ধরেই বেড়ে চলেছে সবজির দাম (Vagetable Price)। বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনলেই চোখ যেন কপালে উঠছে ক্রেতাদের। কেউ কেউ তো আবার খুব দরকার না হলে বাজার থেকেই খালি থলি নিয়েই বাড়ি ফিরে আসছে। তবে এই দুর্মূল্যের বাজারেও বেশ কিছু বিক্রেতা আছে যাঁরা এই দাম বাড়ার সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলেছে। যেখানে কোনও সবজির দাম ১০০ টাকা কেজি, সেখানে ওই সুবিধাবাদী বিক্রেতারা ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। তাই এই দুর্নীতি এড়াতে বাজার পরিদর্শনে নেমেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) অফিসারেরা। মানিকতলা বাজার, গড়িয়াহাট বাজার, শোভাবাজারে গিয়ে সবজির দামও জিজ্ঞাসা করছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় বাজারের অনেক খুচরো সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সবজির আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির ফলে বেশি ক্ষতি হচ্ছে তাঁদেরই। কারণ, অত্যধিক দামের কারণে বহু ক্রেতা প্রয়োজনের চেয়েও কম পরিমাণে আনাজ কিনছেন। আবার কেউ কেউ তো দাম শুনেই হাঁটা দিচ্ছেন। ফলে ভুগছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, ভোটের জন্য গ্রাম থেকে সবজির গাড়ি শহরে পৌঁছতে পারছে না। যার ফলে অল্প জিনিসের জন্য দামও বাড়ছে প্রচুর।
তবে এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের মতে,‘‘গরমে ফসল শুকিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বর্ষায় সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। তবে সেইসব সবজি বাজারে আসতে আরও দিনপাঁচেক সময় লাগবে।’’
পুরাণ কাহিনীতে লঙ্কাকাণ্ডের কথা আমরা সকলেই শুনেছি। আর সেই লঙ্কাকাণ্ডের ছবি যেন এখন বাস্তব জীবনে ফুটে উঠছে। লঙ্কার ঝালে নয়, দামে (price) চোখে জল আনছে এখন মধ্যবিত্তের। কাঁচা লঙ্কার দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রাজ্যে দীর্ঘ চার মাস ধরেই বৃষ্টি (rain) ছিল না বললেই চলে। এর ফলে সব চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়াতে আবার ফসল ফলতে শুরু করেছে।
বর্ষার শুরু থেকেই সবজির দাম যেন আকাশছোঁয়া। সোমবার, কলেজস্ট্রিট মার্কেট পরিদর্শন করলেন কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক প্রতিনিধি দল। সমস্ত বাজার ঘুরে ঘুরে সবজির দাম নিয়ে আলোচনা করলেন তাঁরা। এ দিন বাজারে কাঁচালঙ্কা আড়াইশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি টমেটো কিনতে গিয়েও পকেটে ছেঁকা মধ্যবিত্তের। মূলত বেগুন, টমেটো, আদা, কাঁচালঙ্কা, পটল এই সবজি গুলো নিয়েও নালিশ ছিল। সমগ্র বাজার পরিদর্শন করার পর স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এর তরফে রবীন্দ্রনাথ কোলে জানালেন বাজারের দরদাম।
সোমবার কলেজ স্ট্রিট মার্কেটে বাজার দর:
বেগুন- ৮০-১২০ টাকা/কেজি
টমেটো- ১০০-১২০ টাকা/কেজি
আদা- ১৫০-১৮০ টাকা/কেজি
লঙ্কা- ২০০-২৫০ টাকা/কেজি
পটল- ৫০-৮০ টাকা/কেজি
ঢেঁড়শ- ৬০ -৮০ টাকা/কেজি
ডিম- ৬ টাকা পিস, ৭২ টাকা/ডজন
কুমড়ো- ৩০ টাকা/কেজি
ক্যাপসিকাম- ১৫০-১৬০ টাকা/কেজি
আলু- ২০ টাকা/কেজি
চন্দ্রমুখী আলু- ২৪ টাকা/কেজি
পেঁয়াজ- ২০-২৫ টাকা/কেজি
রসুন- ১৫০টাকা/কেজি
ইদে (EID Festival) তেমন কিছু দিতেই না পারায়, রিকশা চালক শামীম তাঁর মেয়ের জন্য পুতুল কিনতে বেরিয়েছিলেন। পথে এক বন্ধুর মুখে বস্তিতে (Fire in Slum) আগুন লাগার কথা শুনে ছুটে আসেন। ততক্ষণে সব শেষ। পুড়ে ছাই শামীমের মত শরীফ, কুনাল, সমীরদের ঘরও। বহু চেষ্টা করে কেউই তাঁদের শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করত পারলেন না। রবিবার সল্টলেকের (Saltlake Market) ফাল্গুনী বাজারের একটি বস্তির ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ওই ঝুপড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা বস্তিতে। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির ১০০টি ঘর।
ফলে কম বেশি ১০০টির উপরে পরিবার বর্তমানে গৃহহীন। যদিও এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় প্রায় ১০০টি গৃহহীন পরিবারকে স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বস্তির কিছু ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, সোমবারের বৃষ্টির পর চিন্তায় পড়েছেন তাঁরাও।
ওই কমিউনিটি হলে ঠাঁই নিয়েছে শামীমের প্রতিবেশী আরও অনেক পরিবার। শামীমের মেয়ে রুকসানা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। সোমবার সিএন-ডিজিটালকে শামীম বলেন, 'মেয়ের সামান্য শখটুকুও পূরণ করতে পারলাম না।' এই আগুনে পুড়ে গিয়েছে রুকসানার বই ও পড়াশুনার যাবতীয় সামগ্রীও। একেই আর্থিক অনটন ছিল, এখন মাথার উপরে ছাদও হারিয়েছে শামীমরা। সিন-ডিজিটালকে শামীম আরও বলেন, 'এ অবস্থায় মেয়েকে পড়াশুনা করাবো কীভাবে?'
রবিবারে ওই বিধ্বংসী আগুনের খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ওই বস্তির ঝুপড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ওই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তাঁরা।
কথায় বলে মাছে (Fish) ভাতে বাঙালি। সেই মাছ নিয়ে বিবাদ শুরু হয় আড়ৎদারদের সঙ্গে পাইকারদের। বুধবার সেই মাছ থেকেই বঞ্চিত রইল জলপাইগুড়ির মানুষ। মাছের আড়তদার ও পাইকারি মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে পাওনা-গন্ডা নিয়ে বিবাদের জেরে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বুধবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাছ নিলাম। ফলে দীনবাজারের মাছবাজার এদিন আর খোলা হয়নি।
জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে রয়েছে মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত। ২৬ জন আড়তদার রয়েছেন সেখানে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে মাছ এনে তা নিলামে বিক্রি করেন তারা। এই আড়তদারদের থেকে মাছ কিনে জলপাইগুড়ি শহর এবং শহর সংলগ্ন বাজারগুলোতে সেই মাছ বিক্রি করেন পাইকারেরা। অভিযোগ, পয়লা বৈশাখের পর থেকেও কোনওরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সেই ছাড়ের শতাংশ নিয়ে আড়তদারদের সঙ্গে পাইকারদের বিবাদ শুরু হয়েছে। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ানোয় এদিন সকাল থেকে মাছ নিলাম বন্ধ রেখেছেন আড়তদারেরা।
যার জেরে বিভিন্ন বাজারে মাছের যোগান না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারন ক্রেতারা। এমনকি দুপক্ষের ঝামেলা গড়ায় কোতোয়ালি থানা পর্যন্ত। তবে এদিন মাছ-বিক্রেতারা কথা দিয়েছেন, এরপর থেকে মাছবাজার খোলা থাকবে, যেখান থেকেই হোক মাছ তারা জোগার করবেন।
নতুন বছরের শুরুতেই কপালে হাত, পুড়ে ছাই বাংলাদেশের (Bangladesh) অভিজাত নিউ সুপার মার্কেট (Super Market)। আগুন (Fire) নেভাতে গিয়ে এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার ভোর পাঁচটা চল্লিশ নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। আগুন নেভাতে ৩০টির বেশি দমকল ঘটনাস্থলে যায়। আগুন লাগার সময় সুপার মার্কেটের ভিতরে বেশ কয়েকজন কর্মী ছিলেন বলেই দমকল সূত্রে জানা যায়। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই ঘটনায় আহতদের ঢাকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইদের আগে এই ঘটনায় হতাশ সুপার মার্কেটের কর্মচারীরা। তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, আগুন তাঁদের সব কিছু কেড়ে নিল। ইদের বোনাসও এখন হবে কিনা, তা বলতে পারছেন না হতাশ কর্মচারীরা।
এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। কেন বার বার আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপদস্থ কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
সাঁকরাইলে রানীহাটিতে জাতীয় সড়ক লাগোয়া অস্থায়ী বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (Fire)। ভস্মীভূত প্রায় ৮০ টি দোকান। বৃহস্পতিবার বিকেল তখন প্রায় সাড়ে চারটে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া সাঁকরাইল থানা এলাকার রানীহাটিতে (Ranihati) নাবঘরা বাজারে হঠাৎই ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই মুহূর্তের মধ্যে বাজারে একের পর এক অস্থায়ী দোকানগুলি আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হতে থাকে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলকে খবর দেন। পাশাপাশি নিজেরাও জল দিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু জাতীয় সড়ক সংলগ্ন হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাজারে। এরপর একে একে পাঁচটি দমকলের ইঞ্জিন সেই বিধ্বংসী আগুনকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। দমকল কর্মীদের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিস ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিসের পদস্থ কর্তারা। আসেন স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পাল। বিধ্বংসী আগুনের জেরে জাতীয় সড়কের এক পাশের লেনে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
তাপস ঘোষাল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, 'বাজারের একটি তেলেভাজার দোকান থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে তেলে ভাজার দোকানে আগুন লাগে। তারপর পাশাপাশি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।'
খাস কলকাতায় প্রায় দু'কেজির উপরে হেরোইন উদ্ধার। এসটিএফ এবং মুচিপাড়া থানার যৌথ অভিযানে আটক এক ব্যক্তি। আটকের পর ব্যক্তিকে কোলে মার্কেট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে এত হেরোইনের উৎস কী জানতে চান তদন্তকারীরা। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতর ব্যাগ থেকে দু'কেজির উপরে হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ধৃত ব্যক্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এর বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবরত পেয়ে এই অভিযান বলে পুলিস সূত্রে খবর।
হেরোইন উদ্ধার ঘিরে কোলে মার্কেটের মতো জনবহুল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস খতিয়ে দেখছে এতগুলো হেরোইন কীভাবে আসল ওই ব্যক্তির কাছে। পাশাপাশি এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এসটিএফ এবং কলকাতা পুলিস। এত পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারে তাজ্জব কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
আন্তঃরাজ্য (Inter State) ড্রাগ মার্কেটের (Drug Market) ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট (Yaba Tablet) (সাইকোট্রপিক পদার্থ) উদ্ধার হয়। ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই মাদক তা খতিয়ে দেখছেন এসটিএফ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোচিহার থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন এসটিএফ-র (STF) আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় ড্রাগ মার্কেটের ৪ ব্যক্তিকে। ধৃতদের থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট (সাইকোট্রপিক পদার্থ)-সহ একটি ওয়াগন ও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত চার ব্যক্তির নাম-জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, মুকসেদুল ইসলাম, মুন্নু লামা (মহিলা)। ধৃত ওই চার ব্যক্তির মধ্যে ৩ জন অসমের বাসিন্দা। তার মধ্যে আব্দুল মান্নান অভ্যাসগতভাবে এই অবৈধ ব্যবসায় বহুদিন ধরে লিপ্ত। তবে ইতিমধ্যেই কোচবিহার কোতোয়ালি পিএস-এ একটি নির্দিষ্ট মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি কীভাবে এদের কাছে এত পরিমাণ মাদক এলো তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ-র আধিকারিকরা।
এই মুহূর্তে ভারতের ধনকুবেরের (Billionaire) তালিকার সবথেকে উপরে নাম তুললেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। পিছিয়ে গেলেন গৌতম আদানি। বিশ্ব ক্রম তালিকায় এখন ৯ নম্বর ধনপতি রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার। ফোর্বস রিয়েল টাইম (Forbes Real-Time) বিলিওনিয়র লিস্ট অনুযায়ী গৌতম আদানিকে ছাপিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন রিলায়েন্স (Reliance) গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৩.৭ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি ৭৫.১ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১৫তম স্থানে গৌতম আদানি।
ধনপতির ক্রম তালিকায় আদানির পতনের নেপথ্যে শেয়ারবাজারে গৌতম আদানির সংস্থার পতন। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট এক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে বলে দাবি তাঁদের। যদিও সাময়িক পতনের পরে এখন ধীরে ধীরে বাজার ধরতে শুরু করেছে আদানি গ্রুপ। এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী আদানি উইলমার এবং আদানি পোর্টের সূচক।
Mukesh Ambani overtakes Gautam Adani as the richest Indian in the world according to the Forbes Real-time Billionaires list. pic.twitter.com/fczk8MXtSq
— ANI (@ANI) February 1, 2023
তবে আদানির সংস্থার এবং ব্যক্তিগত সম্পদের সামগ্রিক এই পতনের জেরে নাকি এগিয়ে যেতে পেরেছেন মুকেশ আম্বানি। এমনটাই ফোর্বস ম্যাগাজিন সূত্রে খবর।
এনডিটিভি বা নিউ দিল্লি টেলিভিশনের (NDTV) পরিচালন সংস্থার ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা প্রণয় রায় (Pronoy Ray) এবং রাধিকা রায়ের। নিউ দিল্লি টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রণয় এবং রাধিকা রায়। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। মূলত স্টক মার্কেটকে (Stock Market) অবগত করতেই এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে সংস্থা। জানা গিয়েছে, বোর্ড ডিরেক্টরেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিন নতুন অধিকর্তা সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় পুগালিয়া এবং সেন্থিল চেঙ্গালভারায়ণ।
এনডিটিভির ওই পরিচালন গোষ্ঠীর নাম RRPRH। চলতি সপ্তাহে নিজেদের ৯৯.৫% শেয়ার আদানি গ্রুপ অধীনস্ত একটি সংস্থার নামে করা হয়েছে। এনডিটিভির চেয়ারপার্সন প্রণয় রায় এবং তাঁর স্ত্রী কার্যনির্বাহী পরিচালক রাধিকা ছিলেন ওই পরিচালন সংস্থার অন্যতম দুই অধিকর্তা। আরআরপিআরএইচ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই পদ ছাড়েন দু’জনে।
হোটেলের রুম থেকে মৃতদেহ(Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ব্যবসার কাজে কলকাতা (Kolkata) এসে হোটেলে ছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে তা ইতিমধ্যে তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানার পুলিস (New Market Police Station)। নিশারউদ্দিন খান, বয়স ৫১। বাড়ি ওড়িশায়, তিনি পেশায় একজন চামড়া ব্যবসায়ী। মাঝেমধ্যেই ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসতেন এবং থাকতেন হোটেলে। এবারেও তাই করেছিলেন। গত ২৪ তারিখ তিনি হোটেলে চেকিং করেন। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ওয়েটারকে বলেন চা আনতে। তারপর চা খেয়ে তিনি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। এরপর শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ সুইপার আসে ঘর পরিষ্কার করতে। দরজায় নক করেও ভিতর থেকে সাড়া না পেয়ে চলে যান তিনি।
এরপর দুপুরে সুইপারদের সিফট চেঞ্জ হয়। নতুন সুইপার এসেও তাঁকে ডাকেন। কিন্তু তিনি দরজা খোলেননি। কলকাতায় থাকা তাঁর আত্মীয়রা জানান, সকাল দশটা পর্যন্ত নিশারউদ্দিনের সঙ্গে তাঁদের ফোনে কথা হয়েছে। তারপর থেকে ফোনে কোনওরকম যোগাযোগ করেও পাননি তাঁরা। বারবার ফোন করলেও ফোন বেজে গিয়েছে। নিশারউদ্দিনের পরিজনরা হোটেলে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর হোটেলের কর্মীরা পিছনের জানলা এবং সিমেন্টের জাল দিয়ে ভিতরে দেখেন, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন।
তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু তিনি কোনও সাড়া না দেওয়ায় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় নিউমার্কেট থানায়। নিউমার্কেট থানার পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখেন নিসারউদ্দিন খান মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর হোটেলের ওই রুম লক করে দিয়েছে নিউমার্কের থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই হোটেলে।
সল্টলেক (Saltlake) বৈশাখী মাছ বাজারে দোকানের অ্যাসবেস্টর ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আহত ছয় জন, আহতদের বিধান নগর হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও মাঝেমধ্যেই হালকা মাঝারি হাওয়া। যার ফলে বৈশাখী মাছ বাজারের (Fish Market) একটি দোকানে অ্যাসবেস্টর ভেঙে পড়ে সকাল ৮.৩০ নাগাদ। সেই সময় বাজারে ক্রেতাদের ভির ছিল ভালোই।
এই প্রসঙ্গে বাজার দোকানদারদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারের দোকানগুলি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই দোকানের পরিবর্তে বৈশাখী মলে দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও মলে দোকানে তাদের সিট করা হয়নি। দোকান রেডি রয়েছে এমনটাও দাবি। যে মলের দোকানে সিফট করার জন্য মেয়রকে দীর্ঘদিন ধরে বলার পরেও মলের দোকানের তাদেরকে শিফট করা হচ্ছে না। যে কারণে এই দুর্ঘটনা।
এদিকে আবহাওয় দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। ইতিমধ্যে দুই ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকা এবং দিঘা-মন্দারমণিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।