ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কামারহাটির (Kamarhati) মিত্র বাগান এলাকা। গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত (injured) ১ জন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বেলঘড়িয়া থানার পুলিস (police)। জানা গিয়েছে, বুধবার কামারহাটির মিত্র বাগান এলাকায় বিধায়ক মদন মিত্রের একটি সভা চলছিল। সেই সভা শেষ হওয়ার পর তৃণমূলকর্মী শানু খান বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ৯ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায় এবং তাঁর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। তারপর তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আহত তৃণমূল কর্মী জানান, বিধায়ক মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী আনিসুর রহমানের লোকজন তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। আহত অবস্থায় ওই তৃণমূলকর্মীকে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিস আসে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহত তৃণমূল কর্মী শানু খান। পাশাপাশি, আহত তৃণমূল কর্মীর দাদা ইমরান খান বিধায়ক মদন মিত্রর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, তিনি তাঁর ছায়াসঙ্গী আনিসুর রহমানকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে কামারহাটির মানুষ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাঁরা সেটা জানেন। পরপর কামারহাটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছে বিজেপিও।
‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।
বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা। মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।
নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন। তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”
মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।
"মদন মিত্র (Madan Mitra) ছাড়া ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে কাউকে মানি না, মানতে পারি না। ও মন্ত্রিসভাতে নেই ভাবলেও অবাক লাগে৷" এবার বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee)৷ সম্প্রতি শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ৷ তাঁর এমন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে মদন মিত্রের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কেউ যদি ক্রীড়ামন্ত্রী হয়ে থাকেন, সেটা একমাত্র মদন মিত্রই। এছাড়া অন্য কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী বলে মানি না, সে তিনি যেই হোন না কেন৷" তাঁর কথায়, "দিদির পাশে দু-একজন থাকত, তাঁর মধ্যে মদন মিত্র অন্যতম। এখন অনেকেই দিদির পাশে ঘুরছে। মদন মিত্রকে সম্মান দিতে হবে এটা আমি চাই। ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন খেলা সংক্রান্ত বহু সমস্যার তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে সমাধান করেছেন। তাঁর সময়ে ক্রীড়া দফতরে বহু পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে যথেষ্ট স্বচ্ছতার সঙ্গেই। গভীর রাত পর্যন্ত কোনও সমস্যা হলেও মদন মিত্র তাঁর সময় দিতেন। ময়দানের অনেক ছোট ছোট খেলোয়ারদের তিনি অর্থ সাহায্য করেছেন। তাঁর মতো কাজের মানুষ রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান না-পাওয়ায় আমি অবাক।"
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও নিউ টাউনে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেলযাত্রা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বুধবার তৃণমূল নেতাকে কোর্টে তোলার আগে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন। সে প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, 'জানি না ভেতরে কী হয়েছে। উনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন এবার বেল হয়ে যাবে। কিংবা কেউ কেউ বলেছেন চিন্তা করবেন না আমরা আছি। আমার মনে হচ্ছে যে ধরনের সম্পত্তি উনার পাওয়া যাচ্ছে এত সহজে উনি ছাড়া পাবেন না। সাজা উনাকে পেতেই হবে। উকিলরা হয়তো বলেছেন হেসে কথা বলুন তাই হয়তো উনি করেছেন।'
অনুব্রত মণ্ডলের জামিন খারিজ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জানান, উনি (পড়ুন অনুব্রত) না থেকেই কোর্টের জজকে পর্যন্ত হুমকি দিচ্ছেন। ওখানে সমস্ত কিছু উনার পরিচালনায়। যে ভাবে ব্যবসায়ীরা এখন কথা বলছেন, অন্য লোকেরা যারা মুখ খুলেছেন, উনি যদি ছাড়া পান সমস্ত কিছু চাপা পড়ে যাবে। কেউই আর মুখ খুলবে না। কোনওরকম তদন্তই এগোবে না। কেউ কোনও তথ্য দেবে না। সেজন্য যতক্ষণ না তদন্তে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য আসছে, তাকে নিশ্চয়ই আটকে জেলে রাখা উচিত।
এদিকে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বিজেপি সাংসদকে অর্ধ উন্মাদ কটাক্ষ করে বলেছেন, 'বিজেপি দিলীপ ঘোষকে ব্যবহার করে ফেলে দিয়েছে।' পাশাপাশি কামারহাটির বিধায়কের দাবি, জেলে আমিও গিয়েছিলাম। অনুব্রত মণ্ডলকে কোর্টের রায়ে জেলে যেতে হয়েছে। আমাদের পার্টি কখনই বলেনি কোর্ট, আদালত মানব না।
কী বলছেন দিলীপ ঘোষ এবং মদন মিত্র?