প্রবল বর্ষণ (Heavy Rainfall) ও ভূমিধসে (Landslide) লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাধিক জেলা। এই মরসুমেই হিমাচলে মৃত্যু হয় ২৪২ জনের। এর পর বৃহস্পতিবার নতুন করে হিমাচলের কুলুতে ভেঙে পড়ে সাত তলার এক বিল্ডিং। মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় সেটি। মৌসম ভবন থেকে আগেই পুরো রাজ্যজুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর সেই সতর্ক বার্তার পরই প্রবল বর্ষণে নতুন করে ধস নামে কুলু শহরে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয়, এখনও সেই রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ফলে রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানে এমনই টানা বৃষ্টি, হড়পা বান, বন্যা দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভূমিধসের ফলে হিমাচলের প্রায় ৭২৯ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রায় ২হাজার ৮৯৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবার বন্যা ও ধসের ফলে শতাধিক মানুষ মান্ডির রাস্তায় আটকে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার খোলনালা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় ৫১ জন আটকে পড়ায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে এনডিআরআফের বিশেষ দল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আটকে থাকা মানুষদের কুলু-মান্ডি হাইওয়ে থেকে রিলিফ ক্যাম্পে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অগাস্টে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন। ১৪ অগাস্ট থেকেই এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। ২৪ জুনে বর্ষার আগমণের পর থেকেই এই রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের।
মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। চারিদিক লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে এই দুই রাজ্য। এই মরসুমেই হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৩৮ জনের। এরপর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে ধস নামে হিমাচলে। হিমাচল প্রদেশের কুলুতে ভয়াবহ ধসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় একের পর এক বিল্ডিং। এরই দৃশ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে গা শিউরে উঠছে।
This is what, a man made disaster...
— The Environment (@theEcoglobal) August 24, 2023
We don't have the right to blame nature for this...
Mindless construction!
Several houses collapse during a massive landslide in Himachal Pradesh's #Kullu, many feared trapped.#HimachalDisaster#HimachalFloods#ClimateCrisis pic.twitter.com/SQVhZf3xkR
সূত্রের খবর, ২১ অগাস্ট মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছিল, ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি সারা রাজ্যজুড়ে কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। আর এরই মধ্যে নেমে এল ভয়াবহ ধস। এছাড়াও একদিনেই হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তার মধ্যে হিমাচলেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এর পর হিমাচলের কুলুতে এক বাস স্ট্যান্ডের কাছে এই ধস নামে। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল যে, প্রবল বৃষ্টির কারণে কুলুর একাধিক বিল্ডিং-এ ফাটল দেখা গিয়েছে। আর সেই ফাটলের কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে পড়ল সাত তলার বিল্ডিং। প্রশাসন সূত্রে খবর, ফাটল দেখার পরই সেই জায়গা খালি করা হয়েছিল। ফলে কোনও মৃত্যুর খবর শোনা যায়নি।
এছাড়াও ধসের ফলে আটকে রয়েছে একাধিক রাস্তা। ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১ নম্বর (মান্ডি-কুলু) এবং ১৫৪ নম্বর (মান্ডি-পঠানকোট) জাতীয় সড়ক। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর ধসে হিমাচলে ৭০৯টি সড়ক বন্ধ। বহু সড়কে ফাটল ধরেছে। কোনও কোনও সড়ক আবার হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে।
মৌসম ভবন থেকে ফের হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সিমলা, সিরমৌর, কাংরা, চাম্বা, মান্ডি, হামিরপুর, সোলান, বিলাসপুর ও কুলুতে হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মান্ডি, সিমলা, সোলানের স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে ভূমিধস (Landslide), হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। এতদিন হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা চলেছে, আর এবারে উত্তরাখণ্ডেও নেমে চলেছে একের পর এক ধস। উত্তরাখণ্ডে তুলনামূলকভাবে কম ছিল মৃতের সংখ্যা। এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে, সোমবার রাতেই ফের উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধস নেমেছে। যার ফলে এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার চাম্বা জেলায় ধস নামে। ফলে ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যায় এক চার মাসের শিশু, দুই মহিলা সহ মোট ৪ জন। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে গিয়েছে কিনা, তার জন্য এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। কিছু গাড়িও এই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও নতুন করে ধস নামার ফলে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেহরি-চাম্বা মোটর রোড। সেখানে এই দুর্ঘটনার পরই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও সোমবারই মৌসম ভবন থেকে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, নৈনিতাল, চাম্পাওয়াত, বাগেশ্বর, পাওরিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ যেন প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না! মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধস (LandSlide), হড়পা বানে (Flash Flood) একদিকে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttrakhand)। অন্যদিকে বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছে না উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলা ও পুরো হিমাচল প্রদেশ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২১ অগাস্টও এই রাজ্যগুলোতে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে সোমবারের জন্য রাজ্যগুলোতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বর্ষার আগমণ হতেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলে নদ-নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছ। ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একাধিক মানুষ। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একাধিক মানুষ। এভাবে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে মোট প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৮ জন। এখনও উদ্ধাকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত চাম্বা ও মান্ডি জেলায় হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। তাই তাই পুরো রাজ্য জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে আগামী দু'দিন এই রাজ্যের এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭১। কিন্তু ফের প্রকাশ্যে এল যে সেই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪-এ। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশের। বিধ্বংসী বৃষ্টিপাতে (Heavy rainfall) গত সোমবার সিমলার (Shimla) সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়েছিল। সেখানকার ধ্বংস্তূপ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে আরও একটি দেহ। আবার চাম্বা জেলাতেও বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের, সূত্রের খবর। আবার একদিকে যেমন মৃতের সংখ্যা এই রাজ্যে বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের ফলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার।
সূত্রের খবর, সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে যাওয়ার পর মন্দিরের তলায় চাপা পড়েছিলেন একটি গোটা পরিবার। ওই পরিবারের মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে তিন-তিনটি প্রজন্ম। সেই পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, 'আমার ভাই, তিন সন্তান, ভগ্নিপতি, আমাদের পরিবারের আরেক মেয়ে – সকলের মৃত্যু হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমি অন্তত তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চাই, আমার ভাইয়েরও শেষকৃত্য করতে চাই।' এই ব্যক্তির মতো আরও বহুজন স্বজনহারা হয়েছেন। ফলে এখন পুরো হিমাচল জুড়ে শুধু কান্নার রোল, চারিদিকে শুধুই হাহাকার ও মৃত্যু যন্ত্রনা।
গত রবিবার থেকে হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। টানা তিন দিন ধরে অনবরত বর্ষণের পর, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনও বৃষ্টি থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। আবার এই অবস্থায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য জুড়ে আনুমানিক ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুষলধারে বৃষ্টি (Heavy Rainfall), সঙ্গে ভূমিধসে (Landslide) বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhnd)। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১ জনে। এককথায় ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আহত শতাধিক। জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও।
সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান চলছে। বুধবার রাত পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। গত রবিবার থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ করছে সেনাবাহিনী।
উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি। সেই রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। উত্তরাখণ্ডের লছমন ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভেঙে পড়ে রিসর্টটি। এই চারটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা।
অন্যদিকে পঞ্জাবেও হড়পা বান নেমেছে। জানা গিয়েছে, পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে পঞ্জাব নতুন করে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত হিমালয়ের দুই রাজ্যের জনজীবন। দিনের পর দিন হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh), উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, ১৩ অগাস্ট থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে। প্রায় ৬০ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট থেকে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। প্রবল বর্ষণের ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কিছুজনের। আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিধসে চাপা পড়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিমাচলপ্রদেশের সিমলার কৃষ্ণনগর এলাকায় ধসের কারণে ভেঙে পড়ে চারটি বাড়ি। ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে মারা যান দু’জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও অন্তত পাঁচ থেকে দশ জন আটকে রয়েছেন। অন্যদিকে সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে পড়ার পর সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকেও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডেও একই অবস্থা। তবে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা হিমাচলপ্রদেশের তুলনায় কম। গত সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি পড়ায় নদ-নদীর জল বিপদসীমার বাইরে অতিক্রম করেছে। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ৪জন। এরপর খবরে এসেছে, পরে আরও দু'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজন এখনও নিখোঁজ। ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়াগায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh)। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে সেই রাজ্যে। ফলে গত দু'দিনে ভূমিধসে (Landslide), জলের তোড়ে ভেসে মৃত্যু হয়েছে মোট ২১ জনের। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে হিমাচলপ্রদেশের সোলানে মেঘভাঙা বৃষ্টির শুরু হয়। এরপরই জলের তোড়ে ভেসে যায় একই পরিবারের ৭ জন সদস্য। ভেঙে গিয়েছে গ্রামের একাংশ। ঘটনাটি রবিবার রাতে সোলানের জাদোন গ্রামে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই ঘটনা শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে, ফলে ভূমিধসের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। আবার টানা বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে বিপাশা নদীর জলও। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলের জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সাতজন। এছাড়াও ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোলানের ডিভিশনাল কমিশনার। এরপর রাত পেরোতে না পেরোতেই সোমবার সকালে সিমলার এক শিবমন্দিরে ধস নামে ও মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের।
হিমাচলপ্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও টানা বৃষ্টি। ফলে নদীর জলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছ। একাধিক জায়গায় নামছে ধস। ফলে দু'রাজ্যের প্রায় ৬২১ টি রাস্তা বন্ধ, মান্ডির ২৩৬টি, সিমলার ৫৯টি, বিলাসপুরের ৪০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও সিমলা ও চন্ডীগড় সংযোগকারী রাস্তা সিমলা-কালকা জাকীয় মহাসড়কও ধসের ফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
উত্তর ও পশ্চিম-ভারতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে বৃষ্টির দাপট। একই ছবি পশ্চিম ভারতেও। নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল দিল্লি (Delhi), পঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দারা। রাজধানীতে বেড়েছে যমুনার জলস্তর। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বন্য়া পরিস্থিতি। বৃষ্টিতে ভাসছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থানও। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। হিমাচলে দুর্যোগের বলি ৭ জন। গত ২৪ জুন থেকেই দুর্যোগ চলছে হিমাচলে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৪। ক্ষতি হয়েছে ৫,০৭৭ কোটি টাকার।
এদিকে শনিবার ৮ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে গুজরাতে। হড়পা বান এবং বর্ষার জলে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ছবি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সৌরাষ্ট্র এলাকায় একটানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। নিচু এলাকাগুলি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্লাবিত শহরাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও। প্লাবিত জুনাগড় শহরের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বন্যা ও দুর্যোগের জেরে বিধস্ত পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। হিমাচলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন থামছেই না। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে কুল্লু জেলায় ১৭ জুলাই অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে, তিনজন গুরুতর আহত। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বন্যা কবলিত হিমাচলে প্লাস্টিকের আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়। এই বন্যায় এখনও অবধি বহু মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি, হিমাচলে ভোর চারটে নাগাদ জলের স্রোত কায়াস গ্রামকে প্রায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সব রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
স্টেট এমারজেন্সি রেসপন্স সেন্টারের দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি এবং পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। এছাড়াও মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪,৪১৫ কোটি টাকা।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (North India)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। জলের স্রোতের তীব্রতা এতটাই প্রবল, সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শান্ত যমুনার এমন ভয়াবহ রূপ খুব সম্প্রতি দেখা যায়নি। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। বন্যা (Flood) বিধ্বস্ত জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিস।
সূত্রের খবর, রেকর্ড উচ্চতায় বইছে যমুনা। ২০৮.০৮ মিটার উচ্চতা দিয়ে বইছে যমুনা। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই যমুনা সংলগ্ন ৭৫০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২৫০ গবাদি পশুকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সতর্কতা জারি করেছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। দিল্লির সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে একাধিক জায়গায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
হিমাচলে জলের তোড়ে বাড়ি-গাড়ি-হোটেল ভেসে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে আগেই। এবার আরও ভয়াবহ এক ছবি দেখল দেশবাসী। জলের স্রোতে রাশি রাশি আবর্জনার স্তূপাকারে এসে জমা হয়েছে এক সেতুর ওপর।
যত্রতত্র ফেলা হয়েছিল আবর্জনা, প্লাস্টিক। সেসবই ফিরিয়ে দিয়েছে নদি, পাহাড়ের মতো সেই জঞ্জালের পাহাড় এসে জমেছে এক সেতুতে। মাটির সঙ্গে মিশে যায় না, এমন আবর্জনায় ভরে উঠেছে সেই জঞ্জালের স্তূপ।
আইএফএস প্রবীণ কাসওয়ান সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। অনেকেই মনে করছেন এ যেন মানুষের পরিবেশকে ভাল না বাসারই অভিশাপ, সব ফিরিয়ে দিয়েছে নদি। কেরালার বন্যাতেও গতবছর ঠিক এরকমটাই হয়েছিল।
গত কয়েকদিন ধরেই বন্যা পরিস্থিতির শিকার হিমাচল প্রদেশ। সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছে সমান ভাবে এ বিষয়ের মোকাবিলা করার। এই বন্যায় আপাতত বহু গবাদি পশুর প্রাণ গিয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ গৃহহীন। এ পরিস্থিতিতে প্রকৃতি শিখিয়ে দিল তাঁর সঙ্গে অন্যায় বেশিদিন চলে না, সেটা প্রকৃতি মানুষকেই ফিরিয়ে দেবে। এ ছাড়া এঘটনায় মানুষকে প্রকৃতি শিক্ষা দিল প্রকৃতি সর্বোচ্চ শক্তিশালী।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (North India)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে এক সপ্তাহের মধ্য বৃষ্টিতে (Heavy Rain) মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। আট জন এখনও নিখোঁজ। আহত ৯২ জন। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি ধস, হড়পা বান, জাতীয় সড়ক, সেতু ভেসে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে হিমাচল প্রদেশে।
অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণের কারণে মঙ্গলবার দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। যমুনা নদীর উপরে সেতুতে যানচলাচল এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ের তরফ থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্জাবের চণ্ডীগড়, রাজধানী দিল্লি গামী একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের রুটও পরিবর্তন করা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে মান্ডি, কিন্নর এবং লাহুল-স্পিতিতে ইতিমধ্যেই বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে মঙ্গলবার হিমাচলের প্রায় সব অংশেই ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই হিমাচলের। হিমাচলের সোলান জেলার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র পরওয়ানুতে জলের তোড়ে রাস্তা থেকে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গাড়ি। খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া আগামী কয়েক দিন রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
ভারী বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ (Himachal Pradesh) সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। বন্যা, হড়পা বানে, ধসের ফলে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে হিমাচলপ্রদেশ। গত ৭২ ঘণ্টায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu) রাজ্যবাসীদের ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভারী বর্ষণের ফলে পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতই ভাসছে। তবে তার মধ্যে হিমাচল প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যত বৃষ্টি বাড়ছে, ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন বন্যা, হড়পা বানে রাস্তাঘাট জলে ডুবে রয়েছে, ভেসে যাচ্ছে গাড়ি-বাস, অন্যদিকে ধসের ফলে ভেঙে চলেছে একের পর এক বাড়ি, রাস্তা। ফলে এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকার জন্যই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, 'এই ভয়বাহ পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছি।' তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন টুইটারে। তিনি ভিডিওতে আরও জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও তিনি তিনটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে ১১০০, ১০৭০, ১০৭৭ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
তীব্র গরমে কয়েকদিন আগেও নাজেহাল অবস্থা ছিল পুরো দেশের। সেই প্রচন্ড গরম থেকে বৃষ্টিতে (Rain) স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। বর্ষার আগমনে দেশ জুড়ে বর্ষার বৃষ্টিতে আবহাওয়ার (Weather) পুরো ছবিটাই পাল্টে গিয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টিপাত চলবে উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মধ্যপ্রদেশের এবং মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্য়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে বিপদে মুখে পড়ছে সাধারণ জনজীবন। উত্তরাখণ্ডের মোট আটটি জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কবার্তা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে এভাবেই বৃষ্টি চলবে।
পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। ১ জুলাই পর্যন্ত সেখানে অবিরাম বৃষ্টি চলতে পারে। এই বৃষ্টির কারণে হিমাচলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্য়ে মোকাবিলার দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলিতে। প্রবল বর্ষায় মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিও যথেষ্ট প্রতিকূল। ভান্ডারা জেলায় গত দু’দিন ধরে অবিরাম অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।