ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত প্রলয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ওমান এবং বেহরিনে। বড় রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সর্বত্র জলে ডুবে গিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতেই এই অবস্থা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও বহু জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলিতে। একেবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে।
গত কয়েক দশকে এমন বর্ষণের সাক্ষী থাকেননি দুবাই বাসী। রাস্তা দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের মতো জল। শপিং মলের ছাদ বেয়ে নামছে জলের ধারা। উঁচু উঁচু হাইরাইজ বিল্ডিং ঝড়ের দাপটে অস্থির। সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো থরহরি কম্প অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে দুবাইয়ে। এতটাই বর্ষণ হয়েছে সেখানে। এর আগে কখনও এমন বৃষ্টির কথা ভাবতেই পারেনি দুবাই। রুক্ষ-শুষ্ক মরু অঞ্চল দুবাই। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে অসংখ্য ভারতীয় থাকেন। প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া বহু বিমান উড়তে পারছে না। অনেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভারতে আসার জন্য যাঁরা বিমানবন্দরে আটকে রয়ছেন তাঁদের সুবিধার্থেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ভারতীয় পর্যটকরা আটকে রয়েছেন সেখানে তাঁদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কে রামনবমী উদযাপন করা নিয়ে। রামনবমীর অনুষ্ঠান প্রত্যাহার করতে বলা হল রেজিস্ট্রার-এর তরফে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। প্রথমে অনুষ্ঠান পালনের জন্য় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অনুমতি প্রত্যাহার করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু নোটিশ দিয়ে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করল। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট করা অনুমতি বাতিল করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করলেও রেজিস্ট্রার ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ।
যদিও রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলছেন রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাম নবমীতে। তাহলে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করা যাবেনা, যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আজ রামনবমী। প্রতি বছরের তুলনায় এবছরের রামনবমী যেন একটু অন্য়রকম। কারণ চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে অযোধ্য়ায় রামমন্দিরের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর প্রথম রামনবমী উৎসব। সেই উপলক্ষ্য়ে সাজসজ্জায় সেজে উঠেছে রামমন্দির। হলুদ পোশাকে সাজানো হয়েছে রামলালাকে। বুধবার সকাল থেকেই নেমেছে ভক্তদের ঢল। ইতিমধ্যেই রীতিনীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে রামলালার দিব্য় অভিষেক।
বুধবার দুপুর ১২টার একটু আগে মন্দিরের উপরের তলায় ইনস্টল করা একটি আয়নায় সূর্যের আলো পড়লে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে এসে রামলালার কপালে এসে পড়বে। নলের অন্য প্রান্তে থাকা দ্বিতীয় আয়না ব্যবহার করে সূর্যের রশ্মিকে আবার প্রতিফলিত করানো হয়। এরপরে এটি পিতলের নলের সাহায্যে আবার ৯০ ডিগ্রিতে প্রতিফলিত করানো হয়। শ্রী রামচন্দ্র সূর্যবংশে জন্ম নেন। পরবর্তীকালে রাজা রঘুর নামানুসারে রঘুবংশ নামেও পরিচিত ছিলেন দশরথের বংশধরেররা। আর সেই কারণেই রামনবমীতে রামলালার কপালে বিশেষ সূর্য তিলক।
রামনবমী উপলক্ষ্য়ে বুধবার ভোররাত ৩ টের সময় ভক্তদের জন্য় রামমন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন রাত ১২ টা পর্যন্ত রামলালা দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। রাম নবমীর বিশেষ পুজোর জন্য ৫৬ ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়েছে। রামলালাকে এই বিশেষ নৈবেদ্য দেওয়া হবে। পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর এই নৈবেদ্যও ভক্তদের দেওয়া হবে।
ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নালিশ বিজেপির। মূলত পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ পূর্ব মেদিনীপুর, মহকুমা পুলিস অফিসার কন্টাই এবং ভূপতিনগরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিস। কিন্ত পুলিসের এই পক্ষপাতিত্ব কাম্য নয়। তাই পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর শাসকদলের দুষ্কৃতিদের ধেয়ে আসার ঘটনা। কিন্তু বঙ্গে সত্য উদঘাটন করতে গেলে কেন বার বার আক্রান্ত হতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই? স্থানীয় পুলিস প্রশাসন কেন নিরুত্তাপ এই ঘটনায়। তবে কি সত্যিই প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই চলে পুলিস? কমিশনের হস্তক্ষেপেই মিলবে সব প্রশ্নের জবাব তা বলাই বাহুল্য।
ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।
এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 4, 2024
টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভিনরাজ্যে নাবালিকা পাচারের অভিযোগ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার ছয় অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘোলা মুসলমানপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, টাকার লোভ দেখিয়ে দুই নাবালিকাকে ভিনরাজ্য়ে পাচার করা হচ্ছিল। এলাকাবাসীরা জানতে পেরে ঘোলা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পাচার হওয়া ওই দুজন নাবালিকা লুকিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ির লোকেদের ফোন করে। এরপর স্থানীয়রা পাটনা থেকে ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এরপর নাবালিকারা জানায় যে, তাঁদের এলাকারই কিছু মানুষ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সন্দেহবশত ছয়জন পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। খবর দেওয়া হয় ঘোলা থানার বিশাল পুলিসকে। পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন হল দাদা ও বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের অন্তর্গত ক্ষেত্র বাড়ি বালিয়াদিঘী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুইজন হলেন দীনবন্ধু পোদ্দার ও কাজল পোদ্দার। মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই দীনবন্ধু পোদ্দার ও জগবন্ধু পোদ্দারের মধ্যে বচসা চলছিল। রবিবার সেই বিবাদ বিশাল আকার ধারণ করে। এরপর ছোট ভাই জগবন্ধু তাঁর দাদা দীনবন্ধুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
অভিযোগ, দীনবন্ধু পোদ্দারের স্ত্রী কাজল পোদ্দার তিনি ঝামেলায় মীমাংসা করতে গেলে তাঁকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর কাজল দেবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় করনদিঘী থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কাজ নেই গ্রামে। এদিকে, জর্জরিত দেনায়। দু'পয়সা বেশি রোজগার, ঘর-গেরস্থালি মেরামতের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বনগাঁর পরিযায়ী শ্রমিক কৃষ্ণপদ হালদার। মালয়েশিয়া থেকে রবিবার কৃষ্ণপদ-র নিথর দেহ ফিরল ট্যাংরার গ্রামের বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কান্নায় ভাঙল গোটা গ্রাম।
পরিবার সূত্রে খবর, পাম বাগানে কাজ নিয়ে মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাঁর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছয় বাড়িতে। জানতে পারেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
বাড়িতে স্ত্রী ও ২ ছেলে রয়েছে। একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অন্যজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্বামীকে হারিয়ে আকুল পাথারে স্ত্রী। ভেবে পাচ্ছেন না এরপর কীভাবে কী হবে? কেঁদেই চলেছেন ক্রমাগত।
এই অবস্থায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত। বিদেশে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
এমন ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যে কবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে? রোজগারের আশায় আর কতজনকে এই ভাবে বাইরে গিয়ে অকাল মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে, উঠছে প্রশ্ন।
পরিত্যক্ত খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার সময় ধস। মৃত্যু যুবকের। নাম কার্তিক বাউরি। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। শনিবার বাগুলি এলাকার পরিত্যক্ত নর্থ ব্লক খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটতে নামেন বছর ৩৬-র যুবক কার্তিক বাউরি। সেই সময় আচমকাই ধস নামে।
সূত্রের খবর, এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক বাসিন্দা বিকল্প উপার্জনের জন্য বেছে নেন পরিত্যক্ত খনিকে। বেআইনি ভাবে কয়লা তোলেন। নিয়ম , খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পর সেটি ঘিরে দিতে হয়। প্রবেশ রুখতে পরিত্যক্ত খনির মুখে বসাতে হয় গাছ। রাখতে হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। এর মধ্যে কোনওটাই কি ছিল বড়জোড়ার কয়লা খনিতে?
একটা মৃত্যু অসংখ্য প্রশ্ন তোলে। সেই সব প্রশ্ন নিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কিন্তু যে প্রাণ ঝরে যায়, তা কি আর ফিরবে কোনওদিন? কোনওদিন কি হবে সমস্যার সমাধান।
বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিস্ফোরক বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ইউসুফ পাঠান ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল এবার রেকর্ড গড়ার আশায় বহরমপুরে প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ইউসুফ পাঠান থাকেন গুজরাতে। একটা শব্দ বোঝেন না, বাংলায় তাঁকে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের টিকিটে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। প্রার্থী পাচ্ছে না শাসক দল।
দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, পুরনোরা রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে তাও কিছু লোককে পাল্টাতে পারেনি, রেখেছে। তাঁদের হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর প্রার্থী খুঁজতে খুঁজতে বিহার পার হয়ে গুজরাত চলে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে, যার টিকিট কেউ দাঁড়াতে চায় না, তারা জিতবে টা কী করে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে হাই প্রোফাইল দলীয় বৈঠক করেছেন। সেখানে একলক্ষের বেশি ভোটে জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওখানে সবার সব সময় হাই প্রোফাইল থাকে, লো প্রোফাইল হয় না। ওখানে একটা আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চলে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গর্ভমেন্টের থেকে আলাদা।
নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রকে উনিও আলাদা দেখাতে চান। তিনি বলেন, সরকারের টাকা নেই, ওখানে বিলিয়ে দেয় কী করে? এত খরচা করেছেন। একটাই লোকসভা আছে নাকি? বাকি ৪১ টার কী হয়েছে, কেন সরকার দেখে না। এদিক ওদিক লুটপাট করে সব লোককে দেখাচ্ছেন! দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয়েছে, সামাজিক কি পরিবর্তন হয়েছে, বড় বড় কথা বলেন।
শান্তনু ঠাকুর, রেখা পাত্রকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাধা দেওয়া ছাড়া কী করবে তারা? রেখা পাত্রকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছিল, সন্দেশখালি তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। রেখা পাত্রকে বুকে টেনে নিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি এবার বাংলা থেকে বিদায় নেবে, বলেছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। সেকারণেই বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তবে মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, যদি তাঁকে সশরীরে ডাকা হয় ইডির তরফে তাহলে তিনি অবশ্যই হাজিরা দেবেন। আপাতত নিজের বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরের খবর তো সবারই জানা। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে একের পর এক নেতা- কর্মীর নাম দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে তাতে আখেরে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।
তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।
এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজেছে। লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিও। রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের তাই বাকসংযম, ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা, ভাষণে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন না করা, ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার না করা, নারীর সম্মান-মর্যাদা বজায় রাখার মতো নানাবিধ নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। আর এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তাপপ্রবাহকে ঘিরে একাধিক সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মিলিয়ে গ্রীষ্মকাল। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ৭ দফার ভোট নির্ঘন্ট অনুযায়ী, আগামী ১৯ শে এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট, চলবে ১ লা জুন পর্যন্ত। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে যাতে ভোটারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত না হয় তার জন্য নেওয়া হল একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কী আছে সেই নির্দেশিকায়?
১) ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের মাথার উপরে ত্রিপল অথবা শেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২) দুপুর ১২ টা- দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে।
৩) বেশি করে জলপান।
৪) জামা-কাপড় থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এমনকি ছাতা বা টুপি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। প্রার্থীদের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ উপদেশ।
অতীতে দীর্ঘক্ষণ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো একাধিক উদাহরণ রয়েছে এ রাজ্যে। এবার তাই আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই ব্যবস্থাপনা পালনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত পুর নির্বাচনেও কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের লাইনে অসুস্থ হয়ে লক্ষ্মী সাহা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিলো। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই আগাম সতর্কতা নির্বাচন কমিশনের।
আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
অসুস্থ বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। খবর অনুযায়ী, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে বিগ বি-র। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
বলিউড সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই কোকিলাবেন হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর অমিতাভ নিজেই টুইট করেছেন। বিগ বি লিখেছেন, 'আমি চিরকৃতজ্ঞ'। অমিতাভের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পর সুস্থই রয়েছেন তিনি।