প্রসূন গুপ্ত: রবিবাসরীয় ভারত ইংল্যান্ডের খেলার দিকে ক্রীড়াপ্রেমীদের নজর থাকলেও কারুরই সাহেবদের দলকে পাত্তা দেয়নি। গতবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবারে ভারতে বাঘ থেকে বেড়ালে পরিণত হওয়া একটি দল। ইংলিশ সংস্কৃতিতে কোনও খেলাতেই দলগত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর কোনও দিনও থাকেনি। এরা ভীষণ রকম জাতীয়তাবাদী এবং মনে করে ব্রিটিশ মর্যাদার কাছে আজকেও কোনও দেশ নেই। সে অবিশ্যি অন্য প্রসঙ্গ কিন্তু যথার্থই এ বছর পুরো দলটাই ফর্মে নেই।
লখনউ-এর মাঠ বা তার উইকেট বা পিচ নিয়ে সংশয়ে ছিল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা, আমরা শনিবারের প্রতিবেদনে পিচের একটা আভাস দিয়েছিলাম। উইকেটে নিয়মিত জল দিয়ে রোল করা হয়নি এবং ঘাস সমস্ত ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এই উইকেটে সাধারণত বোলাররা সুবিধা পায়। বলের গতি কমে যায়। কখনও থেমে থেমে বল আসে আবার কখনও বাউন্স করে আচমকাই।তার লক্ষণ কিন্তু সারা খেলায় দেখা গিয়েছে। এই উইকেটে যত বল গড়াবে তত ভয়ঙ্কর হবে বোলাররা। জানিনা টস জিতে ইংল্যান্ড কেন বোলিং নিলো রবিবার।
এই উইকেটে ২৫০ রান যথেষ্ট। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তোলে ২২৯ রান , যা কিনা লড়াইয়ের পক্ষে ভালো বলা যায়। সাধারণত রোহিত শর্মা শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন।চার ছয়ের টক্কর থাকে। শুরুও করেছিলেন রোহিত দুটি ছক্কা এবং একটি চার দিয়ে। কিন্তু পরপর তিন উইকেট পরে যাওয়ার পরে, বিশেষ করে কোহলি আউট হতেই খেলার ধরণ পাল্টিয়ে দেখে খেলতে শুরু করেন তিনি। অবিশ্যি রাহুল এবং সূর্যকুমারও সহযোগিতা করেন। ইংল্যান্ডের স্পিনারদের তখন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা যায়। ২২৯ এ শেষ হওয়ার পরে ইংল্যান্ড খেলতে নেমে বলের দিশাই খুঁজে পান না।
নিঃসন্দেহে বুমরা এবং শামি সেরা ফর্মে বল করেন সাথে স্পিনাররাও বিশেষ করে কুলদীপ। ১০০ রানের ফারাকে ইংল্যান্ডের এ বারের মতো বিশ্বকাপ থেকে তাদের ছিটকে দিলো। রোহিতকে ম্যান অফ দা ম্যাচ বেছে ঠিকই হয়েছে কারণ এই পিচে ৮৭ রান অসম্ভব ভালো। এবারে সেমিফাইনালে ভারত কি করে দেখার।
সাধারণত বিজ্ঞাপন (Advertisement) দেওয়ার জন্য রাস্তা-ঘাটে একাধিক বড় বড় বিলবোর্ড (Billboard) দেখা যায়। সেগুলো সাধারণত কোনও লোহার কাঠামোর উপরেই লাগানো হয়ে থাকে। এবারে এই হোর্ডিং ভেঙেই এক দুর্ঘটনা ঘটল লখনউ-এ। আর এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মা ও মেয়ে। সূত্রের খবর, সোমবার একটি এসইউভি গাড়ি করে শপিংমলে যাচ্ছিলেন মা ও মেয়ে। হঠাৎ করেই হোর্ডিং সমেত পুরো কাঠামোটি ভেঙে পড়ে তাঁদের গাড়ির পরে। আর নিমেষের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বিলাসবহুল গাড়িটি। গুরুতর আহত হন ওই গাড়ির চালক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের (Lucknow) একানা স্টেডিয়ামের সামনে। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতদের নাম প্রীতি জাগ্গি (৩৮) ও অ্যাঞ্জেল (১৫)। গাজিপুর থানা এলাকার ইন্দিরা নগরের বাসিন্দা প্রীতি ও তাঁর কিশোরী মেয়ে অ্যাঞ্জেল। তাঁরা সোমবার সন্ধ্যায় বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের ড্রাইভার সরতাজের সঙ্গে গাড়ি করে শপিংমল যাচ্ছিলেন। আর তখনই একানা স্টেডিয়ামের কাছে গাড়িটি দাঁড়াতেই বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন গোসাইগঞ্জ পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অমিত কুমাওয়াত। মা ও মেয়েকে লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আর গাড়ির চালককে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সুশান্ত গল্ফ থানার পুলিস বাহিনী। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ না করার ফলেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার লোহার কাঠামোটি ভেঙে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ড্রাইভার সরতাজের ভাই মুবীন ইতিমধ্যেই একানা স্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হল একই পরিবারের চার সদস্যের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের (Lucknow) আলিগঞ্জে একটি মন্দিরের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। এমনকি ওই ঘাতক গাড়িটির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, পরিবারের চারজন একসঙ্গে স্কুটিতে করে রাস্তায় যাওয়ার সময়ই এই ঘটনাটি ঘটে। তখনই বেপরোয়া গতিতে থাকা একটি দ্রুতগামী এসইউভি ওই স্কুটিতে ধাক্কা মেরে প্রায় ১০০ মিটার স্কুটিটিকে টেনে নিয়ে যায় ওই গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘাতক গাড়িটি স্কুটিটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির তলায় আটকে যায় ওই চারজন। গাড়িটি যখন থামে তখন ওই চারজনই রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে থাকে। তারপরেই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি সরকারের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
চুরি করতে এসে ঘরেই মদ পান করে ঘুমিয়ে পড়ল চোর। এমনটাও আবার হয় নাকি! এই ঘটনা শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। সূত্রের খবর, লখনউয়ে এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে সেখানে দামি ওয়াইন দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারল না চোর। ফলে ওয়াইন খেয়ে নেশা হয়ে যেতেই সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে সেই চোর। এরপর বাড়ির সদস্য বাড়িতে ফিরে এলে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
সূত্রের খবর, যে বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল সেই বাড়ির মালিকের নাম স্বরানন্দ। তিনি প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তিনি লখনউয়ের নির্মলার কাটারি পার্টে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন চোর বাড়িতে আসে, তখন তাঁরা এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে ফিরতেই দেখেন তাঁর বাড়ির গেট ভাঙা ও ঘরে সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে। আবার বিছানায় আরাম করে শুয়ে রয়েছে এক অজানা ব্যক্তি, তার পাশে রয়েছে ওয়াইনের ফাঁকা বোতলও। তবে সেই চোরকে তখনই ডাকেননি তাঁরা, পুলিসে খবর দিলে তখনই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিস সেই চোরকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে জানায়, তার নাম সালিম। সে চুরি করতে এসে চোখের সামনে দামি ওয়াইন দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি ও তার সঙ্গীও তাকে জোর করতেই সেবন করেছিল। বাড়ি থেকে চুরি করার পরই সে ওয়াইন খায়। কখন যে সে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে, তা নিজেও জানে না। অন্যদিকে তার সেই সঙ্গী নিখোঁজ ও তাকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস। আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়িতে ১০০ গ্রাম সোনা, ৫০ হাজার টাকার ৪০ টি শাড়ি, দেড় লাখ টাকার রূপো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অভিযোগ উঠছে, তার সেই সঙ্গীই সেগুলো নিয়ে পালিয়েছে। তাই তাকে খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিস।
আগামী ২০ মে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস আইপিএলের (IPL) সম্মুখ সমরে নামতে চলেছে। সেই দিন মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকদের জন্য রয়েছে বিশেষ চমক। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টসদের (lucknow Super Giants) নীল রঙের জার্সি বদলে যাবে সবুজ মেরুনের ছোঁয়ায়। কলকাতার মোহনবাগানের সমর্থক এবং ভক্তদের মন জিততে এই রণকৌশল নিয়েছেন, খোদ লখনউ দলের কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (যিনি আবার মোহনবাগানের চেয়ারম্যান)। সবুজ মেরুন সমর্থকদের আবেগ নিয়ে যে তিনি সচেতন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। ভক্তদের অনুরোধে মোহনবাগান নামের সামনে থেকে 'এটিকে' শব্দটি সরিয়েছিলেন তিনিই। এবার আইপিএল এবং মোহনবাগানকে এক সূত্রে বাঁধতে নয়া মাস্টারস্ট্রোক গোয়েঙ্কার।
লখনউ সুপার জায়ান্টসদের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। এই গৌতম গম্ভীরই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দু'বার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ট্রফি জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর কেকেআর, গম্ভীরকে একপ্রকার ছুড়ে ফেলে দিয়েছে বললে খুব একটা ভুল হবে না বোধহয়। কেকেআর কর্তারা গম্ভীরকে দলে নেননি, নিদেন পক্ষে মেন্টর হিসেবেও গুরুত্ব দেননি। এই গৌতম একসময় কলকাতার প্রেমে নিমজ্জিত হয়ে এই শহরেই একটি ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন। ২০ মে কলকাতায় আইপিএলের সিজনের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচেই চেক মেট করতে চাইছেন গম্ভীর।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইডেনের বুকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে লখনউ সুপার জায়ান্টসদের এই ম্যাচ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কলকাতার বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়ে নামবেন গৌতম গম্ভীরের সৈনিকরা। স্ট্রাটেজিতেও কলকাতার থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে লখনউ। কিন্তু দল ময়দানে নামার আগেই মোক্ষম চাল চললেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ইডেনের ময়দানে আইপিএল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের এক করতে পারলে লখনউয়ের যুদ্ধ যে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০ মে শেষ চালে কে বাজিমাত করে এখন সেইটাই দেখার।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মাঝে এবারে এই ছবির টিমের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen), প্রযোজক ভিপুল শাহ ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে যখন একাধিক রাজ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন অন্যদিকে এই সমালোচনা-বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে এই ছবি। একদিকে যেমন পশ্চিবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে কিছু রাজ্যে যেমন- মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এই ছবি করমুক্ত করা হয়েছে। এবারে ছবির টিমের সঙ্গে দেখা করে আরও প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই ছবির সমর্থনে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
বুধবার লখনউতে ছবির প্রচারে গিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ সুদীপ্ত সেন, আদাহ শর্মা ও ভিপুল শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার তাঁদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। ভিপুল শাহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'যোগী আদিত্যনাথের এই পদক্ষেপ আমাদের চিন্তাধারা ও মনোবলকে আরও শক্তিশালী করল। তাঁর এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছ দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে তাই কৃতজ্ঞ।' আবার সুদীপ্ত সেন বলেছেন, 'আমাদের ছবিকে উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত করার জন্য ও সেখানকার জনগণদের ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাতেই লখনউতে এসেছি আমারা।'
ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিলের দাপটে ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৫৬ রানে হারালেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। ঋদ্ধি ও শুভমন দু’জনে মিলে ১৭৫ রান করেছেন। গোটা লখনউ দল করেছে ১৭১ রান। টসে জিতে প্রথমে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠান ক্রুণাল। ব্যাটে ঝড় তোলেন শিলিগুড়ির ঋদ্ধি। পেসার, স্পিনার কাউকে রেয়াত করলেন না ঋদ্ধি। পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগান তিনি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে যশ ঠাকুরকে লং রানের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করেন ঋদ্ধি। আবেশ খানকে স্কোয়্যার লেগ অঞ্চলে ছক্কা মারতে গিয়ে ৪৩ বলে ৮১ করে আউট হন ঋদ্ধি। তিনি মারেন ১০টি চার ও চারটি ছক্কা। অর্থাৎ, ৮১ রানের মধ্যে ৬৪ রান এসেছে বাউন্ডারিতে।
ঋদ্ধি যতক্ষণ মারছিলেন ততক্ষণ ধরে খেলছিলেন শুভমন। কিন্তু ঋদ্ধি ফেরার পরে আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করলেন তিনি। বাকি সময়টা শুভমন শো। হার্দিক, মিলাররা তাঁকে সাহায্য করলেন। এ বারের আইপিএলে ভাল ছন্দে রয়েছেন শুভমন। সেটাই আরও এক বার দেখা গেল। ২৯ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। ঋদ্ধির মতো শুভমনেরও শতরান করার সুযোগ ছিল। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলের পরে সেই আশা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দুই বলে স্ট্রাইক পাননি শুভমন। তার ফলে ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন তিনি। দল করল ২২৭ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন লখনউয়ের দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও কুইন্টন ডি’কক। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তাঁরা। মেয়ার্স এ বারের আইপিএলে ছন্দেই ছিলেন। ডি’ককও প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে হাত খোলা শুরু করেন। মাত্র ৪ ওভারে দলের রান ৫০ পেরিয়ে যায়। পাওয়ার প্লে-তে ৭৮ রান করেন তাঁরা। দেখে মনে হচ্ছিল, টান টান খেলা হতে চলেছে। কিন্তু ৩২ বলে ৪৮ রান করে রশিদ খানের দুরন্ত ক্যাচে আউট হন মেয়ার্স। সেখানেই খেলার ছবি বদলে যায়। ডি’কক নিজের অর্ধশতরান করলেও বাকিরা কেউ রান পাননি। দীপক হুডা, মার্কাস স্টোইনিস, নিকোলাস পুরানরা অল্প রানে আউট হয়ে যান। ৪১ বলে ৭০ রান করে ডি’কক আউট হয়ে গেলে লখনউয়ের জয়ের সব আশা শেষ হয়ে যায়। বল হাতে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন গুজরাতের মোহিত শর্মা।
ফেসবুকে (Face book) বন্ধুত্ব করে প্রতারিত হলেন এক যুবক। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত বান্ধবীর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, তাঁকে বেহুঁশ করে যুবকের সোনার হার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি লুঠ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের। শুক্রবার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল প্রতারিত যুবকের। ধীরে ধীরে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। দু’জনে মিলে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। সিনেমার টিকিট যুবকের বান্ধবীই কেটেছিলেন। সেই সঙ্গে পপকর্ন এবং ঠান্ডা পানীয় জল কেনেন যুবকের বান্ধবী। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই পানীয় জলে কিছু মিশিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই জল খেয়েই বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন যুবক। সিনেমা শেষের হওয়ার পর যখন যুবকের জ্ঞান ফেরে, তিনি দেখেন, তাঁর সব সামগ্রী লুট করা হয়েছে। পাশে তাঁর বান্ধবীকেও দেখতে পাননি। বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যুবকের সোনার হার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বুধবার, ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীও এই প্রতারণার কারবারে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সোনার গয়না, ২টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) এক রেস্তোরাঁয় (Restaurant) উদ্বোধনের প্রধান অতিথি গরু (Cow)। সাধারনত কোনও নতুন দোকান কিংবা রেস্তোরাঁ খোলা হলে সেখানে উদ্বোধনের জন্য বা ফিতে কাটানোর জন্য প্রধান অতিথি হিসাবে খ্যাতনামী কাউকে নিয়ে আসা হয়। তবে এসবের কোনও কিছুর ধার ধারেনি উত্তরপ্রদেশের এক রেস্তোরাঁ। কোনও খ্যাতনামী ব্যক্তি বা কোনও তারকাকে নিয়ে এসে উদ্বোধন করানো হয়নি। প্রধান অতিথি হিসাবে নিয়ে আসা হল একটি গরুকে। পুজো দেওয়া হল, তারপর দোকান উদ্বোধনও হল। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গরুকে সাজিয়ে রেস্তোরাঁয় নিয়ে আসা হয়েছে। শঙ্খ বাজিয়ে ‘প্রধান অতিথি’ হিসেবে বরণ করা হয়। তারপর তাকে নিজে হাতে খাওয়ান রেস্তরাঁর মালিক। ‘প্রধান অতিথি’কে আলিঙ্গনও করতে দেখা যায় কয়েক জনকে। রেস্তোরাঁটি লখউয়ের প্রাক্তন ডেপুটি পুলিস সুপার শৈলেন্দ্র সিংহের। সংবাদ সংস্থাকে রেস্তোরাঁর মালিক শৈলেন্দ্র বলেন, 'আমাদের কৃষি এবং অর্থনীতি গরুদের উপরই নির্ভরশীল। তাই গোমাতাকে দিয়েই আমাদের রেস্তরাঁ উদ্বোধন করালাম।'
এবারের আইপিএল মরশুমে ১৫ তম ম্যাচে সোমবার বিরাটের সামনে রাহুলরা। বেঙ্গালুরু অর্থাৎ বিরাটদের ঘরের ম্যাচে এই ম্যাচ জিততে মরিয়া হবে বিরাটরা। শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর কাছে হেরে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন বিরাটরা। এই অবস্থায় বিরাটদের দলে আজ, সোমবার যোগদান করবে ওয়াইন পার্নেল। যদিও ওয়াইন পার্নেল প্রথম একাদশে সুযোগ পাবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি লখনউয়ের হয়ে খেলতে পারেন মার্ক উড, ফিটনেস সংক্রান্ত কারণে গত ম্যাচ খেলেননি তিনি।
ব্যাঙ্গালোর এবং লখনউ দুটি দলেই সমান ভারসাম্য রয়েছে। সোমবারের ম্যাচের আগে লখনউ লীগ টেবিলে তিন নম্বর জায়গা এবং ব্যাঙ্গালোর সাত নম্বর জায়গায় রয়েছে। লখনউ তিনটি ম্যাচ খেলে দুটি জিতেছে এবং একটি ম্যাচ হেরেছে। শেষ ম্যাচে কলকাতার কাছে হেরে অবশ্যই এই ম্যাচ জিততে চাইবে বিরাটরা। এবং চেন্নাইয়ের কাছে শেষ ম্যাচে হেরেছে লখনউও। ফলে রাহুলরাও এই ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে রয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের তরফে প্লেসিস এবং বিরাট ফর্মে থাকলেও চিন্তায় রয়েছে ব্যাঙ্গালোরের বোলিং নিয়ে। কারণ স্পিনার করণ শর্মা ছাড়া কাউকেই তেমন ফর্মে পায়নি ব্যাঙ্গালোর।
ব্যাঙ্গালোররের বিরুদ্ধে বারোটি ইনিংসে খেলে কে এল রাহুল সংগ্রহ তিনটে অর্ধশত রান এবং একটি শত রান। বিশেষত এবারের মরশুমে ব্যাঙ্গালোরের প্রথম পাওয়ার প্লের ইকোনমি রেট ৬.৩৩, যা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় থাকবে রাহুলরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে(Yogi Adiyanath) খুনের হুমকি (Murder Threat) দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক কিশোর। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া এবং বিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস শুক্রবার লখনউ থেকে দ্বাদশের ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মোদী-যোগীকে খুনের হুমকি দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে ই-মেল পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই ই-মেলের গুরুত্ব বিচার করে পুলিসের দ্বারস্থ হয় ওই সংবাদ মাধ্যম। তারপরেই এই ঘটনায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে পুলিস।
যদিও আগেও প্রধানমন্ত্রীকে এমন খুনের হুমকির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদীকে খুনের হুমকির মেল পাঠানো হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কমিশনারকে। হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছিল যোগীকেও। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে যোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিস। তারপর সেই একইরকম হুমকি এল মোদী ও যোগীকে লক্ষ্য় করে।
কেন কিংবা কী কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের দফতরে ইমেল পাঠাল ওই পড়ুয়া, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
১৬তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) শনিবারের ম্যাচে মুখোমুখি হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালস (LSG versus Delhi Capitals)। লখনউয়ের শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রসঙ্গত এই প্রথম সুপার জায়ান্টরা লখনউতে খেলবেন, তাই এই ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক বললেও ভুল হবে না। সুপার জায়ান্টদের নেতৃত্ব দেবেন কেএল রাহুল। অন্যদিকের দিল্লি ক্যাপিটালসের নেতৃত্বে ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)।
২০২২ ভালোই কেটেছে জায়ান্টদের। আইপিএল বোর্ডে ৩ নম্বরে স্থান ছিল তাদের। যদিও সে বছর কেএল রাহুলের দল রয়ালদের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ায় শেষ হাসি হাসতে পারেনি। সুপার জায়ান্টদের প্রথম একাদশে নামতে পারেন কেএল রাহুল, কাইল মায়ার্স, দীপক হুডা, নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টইনিস, আয়ুষ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডেয়া, মার্ক উড, জয়দেব উনাদকাট, আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোই।
দিল্লি ক্যাপিটালস গত বছর একাধিক ম্যাচে খারাপ ফল করে পঞ্চম স্থানে ছিল। এই বছর তারা জায়ান্টদের হারানোর চেষ্টা করবে। তবে ঋষভ পন্থকে এই সিজনে পাবে না দল। ডেভিড ওয়ার্নারই আশা-ভরসা। আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার, পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, মনীশ পান্ডে, ফিলিপ সল্ট, রোভম্যান পাওয়েল, অক্ষর পাটেল, কুলদীপ যাদব, খালিল আহমেদ, কমলেশ নাগরকোটি, মুকেশ কুমার।
এদিকে বিকেলে সামান্য বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে তার প্রভাব পড়তে পারে ম্যাচে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, আজ লখনউ সুপার জায়ান্টদের পাল্লা ভারী।
যোগী সরকারের আমলে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) একাধিক জায়গার নাম বদল হয়েছে। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ, মোঘলসরাই জংশন হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন। এবার লখনউয়ের (Lucknow) নাম পরিবর্তনের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ সঙ্গমলাল গুপ্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) এই মর্মে চিঠি দেন বিজেপি সাংসদ। এবার এই নামবদলের বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনার কথা জানান উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকও।
বুধবার একটি প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে ভদোহিতে যান ব্রজেশ। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর একটি মূর্তিও উন্মোচন করেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সকলেই জানেন, লখনউ লক্ষ্মণের শহর ছিল। নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।' ঘটনাচক্রে, দীর্ঘদিন ধরেই লখনউয়ের নাম বদলে ‘লক্ষ্মণনগরী’ করার দাবি উঠছে উত্তরপ্রদেশে।
গত মঙ্গলবারই এ বিষয়ে নিয়ে শাহকে চিঠি দেন প্রতাপগড়়ের সাংসদ সঙ্গমলাল। নাম বদলের পক্ষে তাঁর যুক্তি, ত্রেতা যুগে শহরের নাম লক্ষ্মণপুরই ছিল। ভগবান রাম এই শহরটি ভাই লক্ষ্মণকে উপহার দেন। পরবর্তীকালে নবাব আসাফ-উদ-দৌলা সেই নাম বদলে লখনউ রাখেন।
১৫ বছর ধরে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিলেন। অবশেষে আগুন নেভানোর সুযোগ পেয়ে গেলেন শামশের। এক ব্যক্তিকে শনিবার প্রকাশ্যে গুলি করে 'বদলা' নিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখনউয়ে (Lucknow)। ঠিক ১৫ বছর আগে কি এমন ঘটেছিল, যার জেরে এই খুনোখুনি?
জানা গিয়েছে, শিব যাদব ওরফে শামশের ঠিকাদারের কাজ করতেন। আর অভিযুক্ত রামজীবন লোধি ছিলেন একজন ব্লক উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য। তাঁদের মধ্যে কর্মসূত্রে শত্রুতা তৈরি হয়। ২০০৭-এ সেই শত্রুতা চরমে পৌঁছয়। চোখের সামনে মা এবং স্ত্রীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই 'অপমানের' বদলা নিতে ১৫ বছর পর খুন করার অভিযোগ উঠল শামশেরের বিরুদ্ধে।
লখনউয়ের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিস কমিশনার চিরঞ্জীব নাথ এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০০৭-এ একটি জমিকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত। শামশেরকে 'কড়া জবাব' দিতে তাঁর চোখের সামনে তাঁর মা এবং স্ত্রীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ ওঠে লোধির বিরুদ্ধে। ২৬ বছরের শামশেরের তখন নিরুপায় হয়ে দেখা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। সেই অপমানের বদলা নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন শামশের এবং পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যান তিনি।
শামশের ছেলের বয়স ১৫ হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। ১৫ নভেম্বর শামশেরের ছেলে পনেরোতে পা দেয়। ফলে ১৫ বছরের বদলার অপেক্ষার অবসান হয়। লোধির যাবতীয় গতিবিধির উপর বেশ কয়েকমাস ধরেই নজর রেখেছিলেন তিনি। অবশেষে শনিবার সেই সুযোগ এসেই গেল। এলাকার চৌধরি মহল্লার কাছে লোধিকে একা পেয়ে যান শামশের। তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন শামশের। গুলি করার আগে লোধিকে ১৫ বছর আগের সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন। লোধিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: আজ থেকে ১১৭ বছর আগে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় সুদূর উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে আহমেদ হুসেন নামের এক যুবক ভাগ্য অন্বেষণে কলকাতায় আসেন। চিৎপুরে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে মোগলাই খাবারের দোকান শুরু করেন। দোকান খোলার কিছুদিনের মধ্যেই আহমেদের তৈরি মটন চাপের স্বাদ কলকাতার খাদ্যরসিকদের মুখে লেগে গেল। পাতলা ফিনফিনে রুমালি রুটি সহযোগে সুস্বাদু মটন চাপের স্বাদ কলকাতার খাদ্যরসিকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে লাগলো।
পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়, পণ্ডিত রবিশঙ্কর থেকে উত্তমকুমার, রাজ কাপুর, দিলীপ কুমার, রাজেশ খান্না, আমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, আমজাদ খান, সুচিত্রা সেন, রাখি, শর্মিলা, শাবানা আজমি, ওয়াহিদা রহমান, পতৌদিরা এসেছেন এই হোটেলে। বাদ যাননি সুনীল গাভাসকর, কপিল দেব, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রাও। প্রত্যেকেই এখানকার মাটন চাপের স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দল কলকাতায় এলে দল বেঁধে রয়্যালের মটন চাপ ও রুমালি রুটি খেতে আসেন। আহমেদের তৈরি মাটন চাপ এখন ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। আহমেদের মৃত্যুর পরে তাঁর ছেলে ও নাতিরা পুরানো রেসিপি মেনে আজও মটন চাপ তৈরি করেছেন। তাই আজও এখানকার মাটন চাপের স্বর্গীয় স্বাদে কোনও ভাটা পড়েনি। বর্তমান অন্যতম কর্ণধার মহম্মদ ইরফান জানালেন যে আজও খাবারের গুণগত মানের সঙ্গে কোনওরকম আপোস করে না এই হোটেল। এমন কোনও বাঙালি খাদ্যরসিক খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা রয়্যালের মাটন চাপ চেখে দেখেননি।
বাঙালি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে চলেছে রয়্যাল ইন্ডিয়ান হোটেলের মটন চাপের স্বাদ।