রাজ্যে লগ্নি আনতে দুবাই ও স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। বার্সালোনায় গিয়ে বাণিজ্য সম্মেলনেও যোগ দিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে সুখবর। এবার রাজ্যের ভান্ডারে আসতে চলেছে অতিরিক্ত অর্থ। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য সরকারকে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার বেশিরভাগটাই রাস্তার উন্নতিতে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও পঞ্চায়েত স্তরেও একাধিক উন্নতি করা হবে। এবিষয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে টাকা আসার খবর থাকলেও সেই টাকা কীভাবে খরচ হবে সেবিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন টাকার অভাবে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ থমকে রয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ঋণ হিসেবে টাকা পাওয়া গেলে একাধিক অসমাপ্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যে রাস্তাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কাজের নিরিখে এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে নদিয়া জেলা।
অভিযুক্ত সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার দাবি করেছিলেন নুসরত জাহান। এবার, সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিং। রাকেশ জানিয়েছেন, নুসরত তাঁদের সংস্থা থেকে কোনও লোন নেয়নি। অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নুসরত ফ্ল্যাট কিনেছেন। অভিনেত্রীর দাবি শুনে তিনি রীতিমত স্তম্ভিত।
রাকেশের আরও দাবি, নুসরত তাঁদের সংস্থায় যুক্ত হওয়ার আগেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়ে একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সংস্থার চুক্তিও হয়। পরে নুসরত তাঁদের সংস্থার ডিরেক্টর হন। এবং পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনে নেন।
রাকেশের দাবি, পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটির দাম ছিল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। তাঁদের সংস্থার তরফে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়। নুসরত ওই সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর বাকি ৫৮ লক্ষ দিয়ে নিজের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তারপর রাকেশের সংস্থাকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ করার জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে লোন নিয়ে নুসরত বাকি টাকা দিয়ে দেন।
নুসরত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘‘যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি। ২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ব্যাঙ্কের নথিও আমার কাছে আছে।" দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু এই দাবি কার্যত অস্বীকার করায় এবার পাল্টা চাপে পড়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
ঋণ (Loan) দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিসকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তবুও ফের পুলিসের দারস্থ হন প্রতারিতরা (Deceived)। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগীন এলাকায় এসবিআই (SBI) ব্যাঙ্ক শাখার গ্রাহকরা প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। বুধবার রাতে ইসলামপুর থানার পুলিসের দারস্থ হন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস আগে এক প্রতারককের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য গ্রাহকদের উপর চাপ দিচ্ছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, এলাকার মহম্মদ মুজাম্মিল নামে এক ব্যক্তি গ্রামবাসীদেরকে সরকারি প্রকল্পের টোপ দেখিয়ে লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে ঘটনাটি গ্রামবাসীদের নজর আসে। এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।
মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী (Suicide) এক আলু ব্যবসায়ী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি। গোঘাট থানার অন্তর্গত লালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোঘাট থানার(Police) পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত(Death) আলু ব্যবসায়ীর নাম শ্যামল ঘোষ। তিনি গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই আলু ব্যবসায়ী নিজের দোকানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শ্যামল ঘোষ দোকানে যাওয়ার আগে এক ব্যাক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দোকানে গিয়েছিলেন শ্যামল। তারপরই এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আলু ব্যবসায় লাভ হয়নি শ্যমলের, যার জেরে বাজারের দেনাও শোধ করতে পারছিলেন তিনি। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। গত বছর কৃষকদের থেকে আলু নিয়েছিলেন শ্যামল। তবে টাকা দিতে পারেননি তিনি। সেই কারণে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। এই বছর আর কৃষকরা আলু দিতে চায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, মহাজনদের থেকে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে শ্যামলকে যার জেরেই এমন ঘটনা।
বিশ্বের আর্থিক অবস্থা একেবারে শোচনীয়। আগামী দিনগুলিতে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। এই আর্থিক মন্দা (Financial Crisis) যে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে তার প্রমাণ মিলল আবার। বন্ধ হয়ে(Shut Down) গেল আমেরিকার (America) সিলিকন ভ্য়ালি ব্য়াঙ্ক (Silicon Valley Bank)। বিশ্বের অন্য়তম বড় বড় প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্টার্টআপ সংস্থাকে ঋণ দিয়েছে এই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। শুক্রবার চরম আর্থিক সঙ্কটের জেরে আনুষ্ঠানিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে ব্যাঙ্কটি। ওই ব্যাঙ্কের গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করেছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার।
আচমকা আমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারী-আমানতকারীরা। বিশ্ব শেয়ার বাজারেও ব্যাপক ধস নেমেছে এই ব্যঙ্কের বন্ধের কথা প্রকাশ্যে আসতেই। ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যাঙ্কিং রেগুলেটর এফডিআইসি-র তরফে জানানো হয়েছে, আমানতকারীদের জন্য সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্ত অফিস ও ব্রাঞ্চ আগামী ১৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে। আগামী সোমবারের মধ্যেই তাঁরা ব্যাঙ্কের ইন্সুরেন্স করা ডিপোজিট বা গচ্ছিত টাকা সম্পূর্ণ তুলে নেওয়ার সুবিধা পাবেন।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসেব ধরা হলে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের মোট সম্পদ ছিল প্রায় ২০৯ বিলিয়ন ডলার। এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৭৫.৪ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, স্টার্টআপ-কেন্দ্রিক-সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের ক্যালিফোর্নিয়া এবং ম্যাসাচুসেটসে ১৭টি শাখা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার এই ব্যাঙ্ক বন্ধের খবরের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বেই। ভারতও এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নয়। এ খবর আসার পর ব্যাঙ্কিং খাতের বেঞ্চমার্ক স্টক ইনডেক্স হঠাৎ করে ৮.১% কমে যায়। এই পতন গত তিন বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বড় পতন। এছাড়া শেয়ার বাজারেও পড়েছে বড়সড় প্রভাব।
লোন অ্যাপ প্রতারণা (Loan App Fraud) চক্রের মাস্টারমাইন্ড এক মহিলাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। গত ৬ মাস দুবাইতে ছিলেন সোনিয়া খারতমল নামে ওই অভিযুক্ত, আদতে তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিসের (kolkata Police) সাইবার শাখার (Cyber Crime) অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল মুম্বই পুলিস। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বই নামতেই ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। আন্ধেরির এক আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিওয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের জুনে এক প্রতারিতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখা। জানা গিয়েছে, লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের শিকার ওই ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লোন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারীর ফোনের একাধিক তথ্য প্রতারণা চক্রের হাতে পৌঁছে যায়। অর্থ না দিলে সেই তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই হুমকি চলতে থাকে। তারপরেই কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি।
অভিযোগের তদন্ত নেমে এক বড় প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় কলকাতা পুলিস। বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। তারপরেই উঠে আসে সোনিয়ার নাম।
ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগ খাস কলকাতায়। ঘটনায় দিল্লি (Delhi) এবং কলকাতা (Kolkata) থেকে ২জনকে গ্রেফতার (arrest) করল লেকটাউন থানার পুলিস (police)। পুলিস সূত্রে খবর, ২৩শে জুলাই লেকটাউনের (Laketown) বাসিন্দা এক ব্যক্তি লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, এক ব্যক্তি তাঁকে নন ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকে কোটি টাকার উপর ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে তাঁকে ঋণের জন্য বেশকিছু প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করতে বলা হয়। সেই মোতাবেক বিভিন্নভাবে ওই অভিযোগকারীর থেকে কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন অভিযুক্তরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লেকটাউন থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, একটি চক্র নন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন। সেই সূত্র ধরে দিল্লিতে হানা দিয়ে এই চক্রের মূল পান্ডা গোবিন্দ ঝা-কে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিনারপার্ক এলাকায় হানা দিয়ে আনন্দ কুমার সিং নামে আও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। সোমবার তাদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে সেই তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানার পুলিস।
কিছুদিন ধরেই কাটোয়ার (Katwa) বিভিন্ন এলাকায় চড়া সুদে (High interest) টাকা ধার দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই একই অভিযোগ করেন কাটোয়ায় এক শিক্ষক (teacher)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কাটোয়া থানার পুলিস (police) গ্রেফতার করে চার সুদ কারবারীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চড়া সুদের টাকা ধার দিয়ে কখনও বাড়ি গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি, কখনও মারধর, আবার কখনও খুনের হুমকি (Threat)। ভয়ে শিক্ষক থানায় দ্বারস্থ হলে তদন্তে নামে কাটোয়া থানার পুলিস। ধৃতদের সোমবারই তোলা হবে কাটোয়া মহকুমা আদালতে।
জানা যায়, কাটোয়ার এক শিক্ষক তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য বছর দেড়েক আগে চড়া সুদে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এরপর থেকেই সেই ঋণের অঙ্ক ক্রমশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। প্রতি সপ্তাহে তাঁকে সুদ মেটাতে হত। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ৫ লক্ষ টাকার অধিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সুদ মেটালেও এখনও আসল টাকা না মেটানোয় সুদে-আসলে সেটা হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
এরপরই ওই শিক্ষকের বাড়িতে গত শনিবার রাতে চড়াও হয় সেই সুদের কারবারীরা। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং খুনেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর রবিবার দুপুরে ওই শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে চারজনকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
প্রসঙ্গত, কেতুগ্রামে গত কয়েকদিন আগে চড়া সুদের ধার নিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা (suicide) করতে যান। রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ওঠে, রেললাইনে সুদ কারবারিরা বেঁধে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তিকে। কোনওরকমে বাঁচতে গিয়ে তাঁর একটি পা বাদ হয়ে যায়। যদিও কাটোয়া এসডিপিও কৌশিক বসাক জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এভাবে যদি কেউ সুদ নিয়ে থাকেন, তাহলে থানার দ্বারস্থ হন। থানা সাহায্য করবে।
মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ বাড়িয়ে রেপো রেটের (Repo Rate) হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। শীর্ষ ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াল রেপো রেট। নতুন এই হার বেড়ে দাঁড়াল ৫.৯০%, ফলে প্রভাবিত হতে পারে বাড়ি-গাড়ি সংক্রান্ত ঋণের ইএমআই (Loan EMI)। অর্থনীতিবিদদের মত, পাইকারি এবং খুচরো বাজারে গত কয়েক মাস ধরে নিরবচ্ছিন্ন বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। সেই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে রেপোরেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে উৎসবের মরশুমে মধ্যবিত্তের উপর বাড়তি চাপ দিল না তো?
রেপো রেট আদতে যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত চার মাসে এই নিয়ে চতুর্থ বার রেপো রেট বাড়াল আরবিআই। এদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্তের নেতৃত্বে গঠিত মনিটারি পলিসি কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লকডাউনের সময় ২০২০ সালের মার্চে শেষবার রেপো রেটের হার কমেছিল। তারপর দীর্ঘ সময় স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে আরবিআই। ২০২২-র মে মাসে প্রথম রেপো রেট বৃদ্ধি করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে গত চার মাসে ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ল আরবিআইয়ের রেপো রেট।
ডাকাতি (Robbery) করতে আসা দুষ্কৃতীদের (robber) সঙ্গে পুলিসের (police) সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিসের গুলিতে মৃত (dead) ১ ডাকাত। গ্রেফতার (injured) করা হয় আরও একজনকে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের (Asansol) ধানবাদের মট কুড়িয়া রোডে এক বেসরকারি গোল্ড লোনের অফিসে এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতি করতে এসে পুলিসের এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সেইরকমই এক ডাকাত দল একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করতে আসে। ঠিক সেই সময় প্ৰস্তুত ছিল ব্যাঙ্ক মোড় থানা ওসি পি কে সিং। স্থানীয় মারফৎ খবর পেয়ে বাহিনী পায়ে হেঁটে এসেই ঘটনাস্থল ঘিরে ধরে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে, শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মৃত এক ডাকাত।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের (Minority) স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ (Loan Schemes) প্রকল্পের সুযোগ প্রাপকদের কাছে পৌঁছচ্ছে? এই প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার (Mamata Government) সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংখ্যালঘু প্রভাবিত মোট ছ'টি জেলার বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হবে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ এবং ২০-২১ আর্থিক বছরে যে বা যারা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন এবং বিত্তনিগমের কাছ থেকে স্বনিযুক্তি প্রকল্পের জন্য ঋণ পেয়েছেন তাদের মধ্যেই এই সমীক্ষা চালানো হবে। ঋণ পাওয়ার পর তাঁদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কী পরিবর্তন ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষক দল পাঠানো হবে।
ছ'টি জেলায় অন্তত একহাজার জন সুবিধা প্রাপকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ছবি ও নথিপত্র-সহ সেই সংক্রান্ত তথ্য সমীক্ষকরা দফতরের কাছে জমা দেবেন। তার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত রূপরেখা স্থির করা হবে।
এদিকে, চলতি খারিফ মরশুমে এপর্যন্ত রাজ্যের ৫৩ লক্ষের বেশি কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ৮ লক্ষেরও বেশি। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন ধানের জন্য শস্যবিমার আবেদন করার সময়সীমা আজ শেষ হচ্ছে। ভুট্টার বিমা করার সময়সীমা শেষ হয়ছে ৩১ জুলাই। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে মোট বিমাকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা এই দু’টি ফসলের জন্য রাজ্য সরকারের শস্যবিমা প্রকল্পের সুযোগ মেলে। এই প্রকল্পের প্রিমিয়ামের সম্পূর্ন খরচ রাজ্য সরকার বহন করে।
দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) বড় সাফল্য। চিনা (China) নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত ৫০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক ঋণ-কাম-চাঁদাবাজির চক্রে জড়িত ২২ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। সারাদেশে গত দু'মাস ধরে তল্লাশি চালিয়ে চক্রটির হদিশ পায় দিল্লি পুলিস। চিনে বসে এই চক্র চালাচ্ছিল কয়েকজন নাগরিক। টাকা তোলার জন্য ১০০টি লোন অ্যাপ (Loan App) ব্যবহার করেছে অভিযুক্তরা। ব্যবহারকারীদের বিবরণ পাঠানো হয়েছে চিনে বলে জানান এক পুলিস আধিকারিক।
এই নেটওয়ার্কটি দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। জানা গিয়েছে, যত টাকার ঋণ চাইত তত দেওয়া হত ঋণগ্রহীতাদের। আর ঋণ দেওয়ার বদলে হাতিয়ে নেওয়া হত গোপন তথ্য। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করা হত গ্রাহকদের। এবং আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (IFSO) কেপিএস মালহোত্রা বলেছেন, এই দলটি ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন নম্বর থেকে গ্রাহদের কল করত। এবং দাবি মানতে না চাইলে ব্যবহারকারীদের মর্ফ করা নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের মেসেজ, চ্যাটেরও অ্যাকসেস নেওয়া হত। সে সব তথ্য চিন এবং হংকংয়ের সার্ভারে আপলোড করা হত।
সামাজিক ভয় এবং কলঙ্কের কারণে, ব্যবহারকারীরা অর্থ প্রদান করতেন। যা পরে হাওয়ালার মাধ্যমে বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার পরে চিনে পাঠানো হয়েছিল। গ্যাংটি টাকা লেনদের জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এবং প্রতিটি অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন ১ কোটি টাকারও বেশি ঢুকত।
যে অ্যাপগুলো সাধারণ ব্যবহার করা হত, সেগুলি হল, ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোট্রি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন, রেড ম্যাজিক। তল্লাশি চালিয়ে ৫১টি মোবাইল ফোন, ২৫ টি হার্ডডিস্ক, নয়টি ল্যাপটপ, ১৯ টি ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড এবং তিনটি গাড়ি এবং ৪ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিস।
গ্রেফতারকৃত সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে যে চিনা নাগরিকদের নির্দেশে এই চক্রটি পরিচালিত হয়েছিল। পুলিস কয়েকজন চিনা নাগরিককে শনাক্ত করেছে এবং তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধৃত ২২ জনের মধ্যে ২ জন মহিলাও যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (death) ঘিরে চাঞ্চল্য কাঁথিতে (Kanthi)। পরিবারের অভিযোগ খুন (murder) করা হয়েছে তাঁকে। জানা যায়, মৃত ব্যবসায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর (Bhagabanpur) থানার কুরালবাড় গ্রামের চুল ব্যবসায়ী সেখ রফিউল। ১৬ তারিখ সকালে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে হলদিয়াতে (Haldia) একটি বেসরকারি লোন সংস্থার অফিসে টাকা জমা দিতে বেরোন। পরিবারকে অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন রফিউল।
নিজের বাইকে করেই তিনি বেরিয়ে ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। এরপর নরঘাটে বাইক রাখার গ্যারাজে বাইক রাখেন। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখ ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবরও নেওয়া শুরু হয়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন ১৭ তারিখ ভগবানপুর থানায় মিসিং ডায়রি করেন।
এরপর ওই চুল ব্যবসায়ীর দেহ আজকে অর্থাৎ ১৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ কাঁথি হাসপাতালে পাওয়া যায়। মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেই পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, ওই চুল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই বেসরকারি লোন সংস্থার লোকজন নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে, পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে।
পরিবারের সদস্যদের আরও দাবি, মৃত শেখ রফিউল চুল ব্যবসার জন্য সেই কোম্পানি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। ব্যবসা চুল সময়মতো বিক্রি না হওয়ায় লোনের কয়েকটা কিস্তি বাকিও পড়ে গিয়েছিল। সেইজন্য লোন কোম্পানি থেকে বেশ কয়েকবার হুমকিও দিয়েছিল তাঁকে। তাইয শেখ রফিউল পরিচিত কয়েকজনের থেকে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা জোগাড় করে হলদিয়া লোন অফিসে গিয়ে কিস্তি পরিশোধ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তারপর আর ওই চুল ব্যবসায়ী বাড়ি ফেরেননি। তিন দিন পর উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে পরিবার।