ফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিস, বোলপুর ও শান্তিনিকেতনবাসীর (Santiniketan) কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পোস্ট মুহূর্তেই শেয়ার হয়ে যায়। হইচই পড়ে যায় পোস্ট ঘিরে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, রাতে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মাঝে বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশ অনুযায়ী দু'জন অধ্যাপক তাঁকে ফোন করে জানান, শুক্রবার অফিসে না যেতে। উচ্চপদস্থ কর্তারা মৌখিকবার্তাও দেন। নীলাঞ্জনবাবু এর পর লেখেন, 'তাঁরা অনুরোধ করেন, আমি যেন শুক্রবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করি। সম্পূর্ণ দূরে অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসে থাকি। আমি এই রহস্যময়, অনৈতিক, কুরুচিকর, অপেশাদার এবং সন্দেহজনক প্রস্তাবের কোনও কারণ অথবা যুক্তি খুঁজে পাইনি। ফলে তাঁদের জানাই যে, এই মর্মে আমাকে যথাযথ মাধ্যমে কোনও লিখিত নির্দেশ না দিলে আমি আমার নিজের কাজের জায়গায় শত বাধা বা বিপদ থাকলেও যাব।'
পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, 'তা সত্ত্বেও আমি আজ সকাল সাড়ে ন'টায় আমার কর্মক্ষেত্রে রোজকার মতোই ঢুকব। ওখানে আমি ওই উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিবর্গের হাতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।' নিরাপত্তা চেয়ে পুলিস প্রশাসন এবং বোলপুরবাসী ও অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
চা ছাড়া অনেকেরই দিন গুজরান হয় না। সকালে খালি পেটে চা খাওয়া দিয়ে শুরু করে, চা (Tea) খেয়েই দিন শেষ হয় অনেকের। অনেকের আবার চা খাওয়ার অভ্যাস এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যে ভাত পাতেও চা খেয়ে থাকেন। কিন্তু সব কিছুর জন্যই নির্দিষ্ট সময় থাকে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা ভালো। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে জেনে নিন, দিনের কোন সময়ে চা খাবেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, চা আপনার খেতে ভালো লাগতেই পারে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা খাওয়া একেবারেই ভালো অভ্যাস নয়। আপনি যদি খালি পেটে চা খেতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এই খারাপ অভ্যাস নিয়ে আপনার চিন্তিত হওয়া উচিৎ। চা-এর স্বভাব অ্যাসিডিক। তাই খালি পেটে খেলে অ্যাসিড ব্যালেন্স বিঘ্নিত হতে পারে। এছাড়াও চেয়ে থাকে 'থিওফাইলিন'। যা শরীর শুকনো করে দিতে পারে।
চা খাওয়ার সবথেকে ভালো সময় খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা বা ২ ঘন্টা আগে বা পরে। আপনি সকালেও চা খেতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, খালি পেটে খাবেন না। আগে কিছু একটু খেয়ে নিয়ে তারপরেই খাবেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, বিকেলে অনেকেই জলখাবারের সঙ্গে চা খেয়ে থাকেন। এই অপশনটি ভালো। তবে রাতে ঘুমোনোর আগে চা না খাওয়ায় ভালো। এই অভ্যাস ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
পুজোর আর মাত্র ১০ দিন বাকি, অনেকেরই শপিং কমপ্লিট, আবার কারোর এখনও কিছুই হয়তো কেনা হয়নি। তবে পুজোয় জামা-কাপড় কেনা হলেও যতক্ষণ ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে জুতো না কেনা হয়, ততক্ষণ যেন শপিং সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু নতুন জুতো (Shoe) মানেই তো, পায়ে ফোসকা (Shoe Bite)। ফলে পুজোর আনন্দের যেন 'পথের কাঁটা' হয়ে দাঁড়ায় এই নতুন জুতোই। কিন্তু আর চিন্তা নেই, এবারে কিছু ঘরোয়া উপায়েই মিলবে এর সুরাহা।
নতুন জুতো পরার আগেই আপনি যদি জুতোতে খানিকটা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখেন, তাহলে জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়। ফলে পায়ে ফোসকা পরার আশঙ্কা কমে যায়।
এছাড়াও নতুন জুতো পরার আগের দিন সারা রাত তার ভিতরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেই জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়।
যদি ফোসকা পড়েও যায় তবে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে পায়ের ফোসকা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
পায়ের ফোসকা জায়গায় নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। এটি জ্বালাভাব কমাতে দারুণ কার্যকর৷
এছাড়াও ফোসকা জায়গায় মধু দিতে পারেন। এতে জ্বালাভাব কমে, তাড়াতাড়ি ক্ষত সারে, দ্রুত দাগও মিলিয়ে যায়।
কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ জনকে খালাস। ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার রায়দান ছিল। এদিন কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুল ইসলাম, আমিন আলী এই চারজনকে খালাস করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া সইফুল আলী মোল্লা ও আনসার আলী মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা করল আদালত।
১০ বছর আগে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। আজ, শুক্রবার সেই কামদুনি মামলার রায়দান হল। নিম্ন আদালত ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল আগেই। পরে হাইকোর্টে যায় সেই মামলা। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা রদ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে খালাস ও ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল ডিভিশন বেঞ্চ।
ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রমাণের অভাবে দুজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালীন। কলকাতার নগরদায়রা আদালত ছ’জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সইফুল মোল্লা, আনসার মোল্লা, আমিন আলি, এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে। শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার কিছু রিপোর্ট জমা পড়া বাকি ছিল, তাই রায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সিআইডি তদন্ত করছিল ওই মামলায়।
সৌমেন সুর: এক নিষ্পাপ যুবকের জীবনটা চলে গেল। চিরদিনের মতো। কয়েকজন আলটপকা সো কলড মনুষ্যত্বহীনের জন্য সে হারিয়ে গেল। কত আশা করে বাবা-মা একবুক স্বপ্ন নিয়ে, তাঁদের একমাত্র ছেলেকে যাদবপুরে পাঠিয়েছিলেন- তাঁদের ছেলে একদিন তাঁদেরকে দেখবে। নতুন ঘর বাঁধবে। স্বপ্নের ইরামত গড়বে। সব স্বপ্ন এক নিমেষে ধুলিসাৎ হয়ে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পাশ আউট ছেলেরা কী করে হোস্টেল দখল করে থাকে বছরের পর বছর। কর্তৃপক্ষ কি কিছুই জানেনা। জানে না বললে অবিশ্বাসযোগ্য। জানলে, কেন প্রশাসনকে আগেভাগে জানানো হয়নি।
জে.ইউ-তে যে সুনাম একসময় ছিল এখন তার বিন্দুবিসর্গ নেই। এই ইউনিভারসিটির প্রতিটা ইটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অমানবিকতা, নেপোটিজম, ভায়োলেন্সের ছড়াছড়ি। উদ্ভব যখন হয়েছে, এর নিঃশেষ হলো না কেন? কোন শক্তির বলে মাথাচাড়া দিলো! আড়ালে কাদের মদত- সব প্রকাশ্যে আসুক। মানুষ বুঝুক এখানকার শিক্ষা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। কথা হচ্ছে এত সাহস পায় কোত্থেকে? কোন পেশীবলে তারা বলীয়ান- সব খুলে দেওয়া হোক। যারা দোষী তাদের চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
একটা জীবনের দাম দেওয়া যায় না। জীবনের দাম অনেক। জীবন হেলায় ফেলায় নয়। জীবন শেষ হতে এক মিনিট। কিন্তু জীবন গড়তে কয়েকশো কোটি মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এখনো কানে বাজে নিষ্পাপ যুবকের ফোনের কথা, 'মা, আমার খুব ভয় লাগছে। তোমরা আমাকে নিয়ে যাও।' তারা আর নিয়ে যেতে পারলো না, মাত্র কয়েকজন পাষণ্ড, পাশবিক , উদভ্রান্ত হত্যাকারীদের জন্য। যারা ৱ্যাগিং করে, সে ছাত্রই হোক আর শিক্ষকই হোক- তাদের ষড় রিপু ঠিক নেই। অনতি বিলম্বে তাদের সাইক্রিয়াটিসদের কাছে নিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করা দরকার। কারণ তারা অমানবিক, অমানবিক, অমানবিক।
অনেকেই মনে করেন ত্বক (Skin) ভালো রাখতে পার্লারে যাওয়া জরুরি। কিন্তু পার্লারে গেলেই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ হয়ে যায়। অনেকে খরচের কথা জেনেও পার্লারে যান। অনেকে আবার খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। কিন্তু জানেন কীসঠিক প্রোডাক্ট এবং সঠিক টেকনিক জানলেই বাড়িতেই পেতে পারেন সুন্দর ত্বক। তবে সময় আর সামান্য পরিশ্রম প্রয়োজন। সারা দিনে নিয়ম করে রুটিন মেনে চললেই সেই পরিশ্রম সফল হবে।
হাত দিয়ে শুরু করুন: অবাক হলেন তো? কেন ত্বকের প্রসঙ্গে হাত এলো! ত্বকের আগে হাত আসবে তাই-ই তো স্বাভাবিক। চেহারা পরিষ্কার আগে হাত ধোঁয়া জরুরি। এরপরেই শুরু করুন ডেইলি রুটিন।
ক্লিনজার: ত্বকের জন্য প্রথমে সঠিক ক্লিনজার খুঁজে যে বের করুন। তৈলাক্ত ত্বক হোক, কম্বিনেশন ত্বক কিংবা সেনসিটিভ স্কিন, মানানসই ক্লিনজার পাওয়া যায়। নোংরা, তেল, মেকআপ সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে এমন ক্লিনজার ব্যবহার করাই ভালো। সারা দিনের শেষে প্রথমে ক্লিনজার দিয়েই মুখ পরিষ্কার করুন।
ম্যাসাজ: ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন। আর এই রক্তসঞ্চালনের চাবিকাঠি হল ম্যাসাজ। তাই মুখে ক্লিনজার বা স্ক্রাব দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করা জরুরি।
স্ক্রাবিং: ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে ত্বকের মৃত কোষগুলি পরিষ্কার করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন স্ক্রাবিং করুন। তবে স্ক্রাবিং করেই সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। চেহারায় স্ক্রাব লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বর্ষাকাল (Monsoon) অনেকেরই পছন্দের। তবে সারাদিনের মেঘলা আকাশ ও বাইরের অনবরত বৃষ্টিতে চুলের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। শীতকালে যেমন খুশকির সমস্যা বেশি হয়, তেমনই বর্ষায় চুলে (Hair) একটু অন্যরকম গন্ধ আসে। চুল ভালো করে না শুকোলেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেকেই জানেন না এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কী করবেন। তাই তাঁদের জন্য রইল এই টিপসগুলি।
প্রথমত, বর্ষাকালে ভালো করে চুল শুকনো করা খুবই জরুরি। প্রকৃতির ভরসায় যদি চুল না শুকোয়, তবে ড্রায়ার জাতীয় কিছু দিয়ে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন। চুলে অবশ্যই লাগান সিরাম।
দ্বিতীয়ত, আজকাল অনলাইনে চুলে ব্যবহারের মিস্ট পাওয়া যায়। এই মিস্ট-এর গন্ধ বেশ মিষ্টি হয়। ফলে চুল থেকেও সতেজ ভাব পাওয়া যায় সারাদিন।
তৃতীয়ত, বর্ষাকালে চুলে দু'দিন অন্তর শ্যাম্পু করা ভালো। কোনও ভালো সুগন্ধিযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন চুলের জন্য। ড্ৰাই শ্যাম্পু দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন চুল।
চতুর্থ টিপস, বর্ষাকালে চুলে ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল তেল। ল্যাভেন্ডার-জ্যাসমিনের সুগন্ধিযুক্ত তেলে চুলের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ দূর হয়।
সৌমেন সুর:- ব্রেখট ১৮৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জার্মানীর বাভারিয়ার আউগসবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সম্পন্ন পরিবারের মানুষ ছিলেন। একটি কবিতায় তিনি লিখেছিলেন, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্রেণির প্রতি বিতৃষ্ণা বাড়তে থাকে। ব্রেখট চেয়েছিলেন বাভারিয়ায় ভালোমানুষ রূপে জীবনটা কাটাতে। একটি মেডিক্যাল স্কুলে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল। ব্রেখট নিজেকে ঠাট্টা করে বলতেন, হতভাগ্য বে বে। তাই পরে একটি কবিতায় লিখেছিলেন, বেচারা বে বে-এর জন্ম এক অন্ধকার যুগে।
ব্রেখটের বাবা ছিলেন স্থানীয় কাগজ কারখানায় অধিকর্তা। বাবার প্রভাবের জোরে ব্রেখট একটি সামরিক হাসপাতালে কাজ পান। যুদ্ধ ফেরত আহত সৈনিকদের সেবা করাই ছিল তার কাজ। মাত্র ২০ বছর বয়সে যুদ্ধোন্মত্ত কাইজারের হিংস্র চেহারা উলঙ্গ করে লিখেছিলেন ব্রেখট, মরা সৈনিকের ব্যালাড। যাতে দেখানো হয় শাসকের স্বার্থে রণক্ষেত্রে নিরীহ সৈনিককে বীর শহীদ দেশপ্রেমিক তকমা দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে ব্রেখট লিখেছিলেন লাইফ অব এডওয়ার্ড ও টু অব ইংল্যান্ড নাথক নাটক।
তাঁর চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল রুশবিপ্লবের পরবর্তী অধ্যায়ে বিপ্লবী সর্বহারা শ্রেণি সম্পর্কে। ১৯২৮ সালে ব্রেখট দ্য থ্রি পেনি অপেরা লিখে বিখ্যাত হয়। বাংলার স্বনামধন্য নাট্যগোষ্ঠী নান্দীকার-দ্য থ্রি পেনি অপেরা অবলম্বনে তিন পয়সার পালা নাটকটি প্রদর্শিত করেন দীর্ঘদিন ধরে। নাটকের নায়ক ম্যাকিজুল ব্রেখটের বিবরনে বুর্জোয়া ডাকাত। ব্রেখটের মতে পুঁজিবাদী সমাজের মহান ও ইতিবাচক নায়কের তত্ত্বটি ১টি বিরাট ধাপ্পা।
সৌমেন সুর: ছাত্র সমাজ সামাজিক মানুষেরই একটি বিশেষ অধ্যায়। আধুনিক সমাজ নানা ঘাত প্রতিঘাতে অস্থির। বিরোধ চারিদিকে লাগাতার। বিরোধ, সামাজিক প্রথাচারে, ধর্মীয় বিশ্বাসে। শোষন নির্যাতন আজ নানা ছদ্মবেশে। কত জেহাদ, কত রক্তপাত। এছাড়া জীবন জীবিকার নিরন্তর সংগ্রাম। নানা সমস্যার ছবি। সমাজ জীবন প্রতিনিয়ত আন্দোলিত। আন্দোলনের ঢেউ শিক্ষা অঙ্গনেও আছড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র সমাজ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না, তাদের রক্তে ঝড়ের মাদন। তারা চিরসবুজের অগ্রদূত। তারা তারুণ্যের প্রতীক। সমাজের নানা পালাবদলের অধ্যায়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে।
সেকাল ও একালের ছাত্রসমাজের ছবি রীতিমতো ভিন্ন। সেকালে একমাত্র অধ্যয়নই ছিল তপস্যা। গুরুগৃহেই হতো বিদ্যাশিক্ষা শুরু ও শেষ। কিন্তু সমাজ এক জায়গায় থেমে থাকলো না। সামাজিক জীবন রাজনীতি অর্থনীতিবাদ দিয়ে নয়। বির্বতনের পথে সেখানেও এলো রুপান্তর। রাজনীতি এখন সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি। বর্তমানে সমাজ জীবন রাজনীতি নির্ভর। রাজনীতিতে ছাত্রদের অংশ নিয়ে এখনও বিস্তর মতপার্থক্য। প্রাচীনপন্থীরা মনে করেন, রাজনীতিতে ছাত্রের অতিমাত্রায় উৎসাহ তাঁদের জ্ঞান অর্জনের বাধা সৃষ্টি করে। নানা উত্তেজনা ও উন্মাদনায় শিক্ষায়তনের পরিবেশ অগ্নিগর্ভ করে। আবার অন্যপক্ষ মনে করেন, সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জগতের পরিধি বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে তার প্রকৃতি। কিন্তু ছাত্রসমাজ সব যুগেই বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। তারা প্রাণশক্তিতে ভরপুর। রাজনীতিতে ঢেউ তাদের হৃদয়ে আঘাত করে। তারা অস্থির হয়। ছাত্রসমাজ রাজনীতি সর্বস্ব হয়ে উঠুক এ যেমন অনভিপ্রেত, তেমনি রাজনীতির স্পর্শ বাঁচিয়ে অনেক দূরে থাকুক, এও অবাস্তব কল্পনা।
আসলে ছাত্রসমাজ হবে ধীর স্থির, অবিচলিত বুদ্ধি এবং বিবেচনা প্রবণ। রাজনীতির প্রথমিক দীক্ষা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর না হয় তাহলে অশুভ শক্তিই তাকে গ্রাস করবে। রাজনীতির চোরাবালিতে জীবন হয় সংশয়। ভবিষ্যত জীবন ডুবে যায় অনিশ্চিয়তার অন্ধকারে। ভুল রাজনীতির কবলে পড়ে এরা হয় সমাজের আতঙ্ক। এখন একদল অন্যদলের প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ তাদের হাতেই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। দলমত নির্বিশেষে ছাত্রসমাজ হবে অন্যায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠ। হবে নতুন দিনের অঙ্গীকারে দুর্বার, প্রাণশক্তিতে উত্তাল।
এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের (Life Sentence) আদেশ কাকদ্বীপ (Kakdwip Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের। এক মহিলাকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সমর পাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক তপন কুমার মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পাতি বুনিয়ার বাসিন্দা।
কাকদ্বীপ কোর্টের সরকারি আইনজীবী এই কেসের পিপি ইনচার্জ অমিতাভ রায় জানান, 'ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকায় ১২/০৪/২০১৮-তে একটি কেস রেজিস্টার্ড হয়। অভিযুক্তর নামে কেস নম্বর ৩০/২০১৮, আইপিসি-র আন্ডার সেকশন ৩০২ ধারায় একটি মামালা রুজু হয়। নামখানা থানার দারিদ্রনগরের এক গরীব পরিবারের মেয়ে দুর্গা মাঝিকে লোভ দেখিয়ে বকখালির মৌমিতা হোটেলে নিয়ে যায় সমর পাত্র। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে আসামি।'
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় সে। প্রায় দেড় মাস পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১৮ জন সাক্ষী ও ৬৩টি ডকুমেন্টস পেশ করা হয় আদালতে।
সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তপন কুমার মণ্ডল অভিযুক্ত সমর পাত্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। তবে এই রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর পাত্রর পরিবার। সমর পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Actress Swara Vaskar)। বৃহস্পতিবার এই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ অভিনেত্রী। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে আইনি মতে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। এবার তন্নু ওয়েডস মন্নুর (Tannu weds Mannu) সহ-অভিনেত্রীকে বিয়েতে শুভেচ্ছা জানান কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। বলিউডের ক্যুইন লেখেন, 'ঈশ্বরের আশীর্বাদে তোমাদের দু’জনেই হাসিখুশি আর সুখী মনে হচ্ছে। বিয়ে তো হৃদয়ের হয়, বাকি সবই আনুষ্ঠানিকতা।'
টুইটারে বেশির ভাগ সময়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফিরেছেন কঙ্গনা। কিন্তু নতুন ভাবে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়ে সেভাবে আক্রমণাত্মক নয় অভিনেত্রী। এর আগে দু’জন একসঙ্গে কাজ করেছেন ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’ ও ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু রিটার্নস’ এই দুই ছবিতে। ছবিতে তাঁরা ছিলেন একের অপরের প্রিয় বান্ধবী।
কিন্তু একটা সময়ে স্বরার তীব্র সমালোচনা করতে শুরু করেন কঙ্গনা। এমনকি, একবার স্বরাকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির অভিনেত্রী’ বলে কটাক্ষও করেন কঙ্গনা। এবার কঙ্গনার শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আপ্লুত স্বরার জবাব, 'ধন্যবাদ কঙ্গনা, তোমার জীবন খুশিতে, আনন্দে ভরে উঠুক।'
বন্যপ্রাণ হত্যা (Wild Life) এবং চোরাশিকার সবসময়ই বন দফতরের মাথাব্যথার কারণ। আর তাই চোরাশিকার (Poacher) রুখতে লাগাতার অভিযান চালিয়েছে বন দফতর। এমনই এক যৌথ অভিযানে দারুন সাফল্য পেল বন দফতর-আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিস। চলতি সপ্তাহে অসমের ডেরা থেকে গ্রেফতার কুখ্যাত চোরাশিকারি ও গণ্ডার (Rhino Poaching) হত্যার মূল পাণ্ডা লেকেন বসুমাতারি। এরপর অসমের চিরাঙ জেলা আদালতে তাকে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে বুধবার আলিপুরদুয়ারের নিয়ে আসা হয়েছে। বন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে (National Forest) যত গণ্ডার হত্যা হয়েছে, সবগুলোর সঙ্গে জড়িত লেকেন।
২০২১-র এপ্রিল মাসে জলদাপাড়ার চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বিটে একটি পূর্ণ বয়স্ক মাদি গণ্ডার হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। তাতেও ধৃত এই ধৃত ব্যক্তির সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে বন দফতর। সেই ঘটনায় তার এক সাগরেদ ধরা পড়েছিল। তার থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রাণী হত্যায় ব্যবহৃত একটি রাইফেল ও প্রচুর কার্তুজ।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে বন দফতর খবর পায়, উত্তরের জঙ্গলে গণ্ডার হত্যার পরিকল্পনা করছে লেকেন। এরপরেই দল গড়ে যৌথ অভিযানে নামে বন দফতর ও পুলিস। অসম ও বাংলা মিলে প্রায় শতাধিক গণ্ডার-সহ অন্য বন্যপ্রাণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যার ফলে অসমের বন দফতর লেকেন বসুমাতারিকে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ জারি করেছিল। আর এই কাজের ফলে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার ফলে চোরাশিকারের পর সে প্রতিবারই জঙ্গি ডেরায় আত্মগোপন করত।
কিন্তু এবার যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়। এই প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন 'যৌথ অভিযানে ওই বড় সাফল্য মিলেছে।' জলদাপাড়া বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন 'প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ওই কুখ্যাত চোরা শিকারি আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। শেষে পুলিসের সঙ্গে যৌথ অভিযানে আমরা ওই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। আদালত ওকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।'
শিয়ালের কামড়ে (Fox Attack) আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পিটিয়ে হত্যা করল এক শিয়াল। ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার (Habra Incident) মহিষা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে দু'জন গ্রামবাসী বাইরে বেরোলো আচমকাই তাদের উপর হামলা করে এক শিয়াল। পরবর্তীকালে গ্রামবাসীরা সেই ঘাতক শিয়ালকে ধরে পিটিয়ে মারে এবং মাটির তলায় কবর দিয়ে দেয়। শিয়ালের (Wildlife) কামড়ে আহত এক গ্রামবাসীর নাম খিলাফত আলি মণ্ডল। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আচমকাই শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।
গ্রামবাসীরা বলেন, 'আগে কখনও এত শিয়ালের উপদ্রব চোখে পড়েনি। তবে শিয়াল থাকলেও তারা আগে কখনও এরকমভাবে মানুষের উপর আক্রমণ করেনি।' পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুরে স্নান করতে গেলে আচমকাই এক আক্রান্তর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শিয়াল। গ্রামবাসীরা তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে এবং লাঠি দিয়ে তাড়া করলে শিয়ালটি তখন পালিয়ে যায়। শিয়ালের কামড়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এরপর এক জখম ব্যক্তিকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বন্যপ্রাণকে আঘাত এবং হত্যা সিএন পোর্টাল সমর্থন করে না। শুধুমাত্র খবর পরিবেশনার স্বার্থে এই সংবাদ উপস্থাপন।
বিমানবন্দর মাদক চোরাচালানের ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। এছাড়াও সোনা, বিদেশী মুদ্রা পাচারের চেষ্টা বারবার হয়েছে। তবে এবার খানিকটা অন্যরকম ঘটনা প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দরে (Chennai Airport)। একটি ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বিমানবন্দরে, আর তা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ অভিবাসন দফতরের। কী ছিল ওই ব্যাগে?
ব্যাগের মধ্যে কোনও সোনা বা টাকা নয়, ছিল ৪৫টি ছোট অজগর। তিনটি মারমোসেট বাঁদর, তিনটি কচ্ছপ, আটটি কর্ন সাপ, যাদের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বিমানবন্দরে মালপত্র যেখানে চেক হয়, সেখানেই ব্যাগটি পড়ে ছিল। সন্দেহজনক লাগায় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা ব্যাগটি খোলেন। তখনই উদ্ধারে হয় অজগর, বাঁদর, কচ্ছপ।
অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এই প্রাণীগুলি ব্যাঙ্কক থেকে আনা হয়েছিল। উদ্ধার করে সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেও চেন্নাই বিমানবন্দরে বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার হয়েছে। পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল তা স্পষ্ট। কারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সৌমেন সুর: এখন প্রায় শীতের মাঝামাঝি। গাছে গাছে পাতা ঝরার আগাম ডাক। চারদিকে যেন এক উদাসী রুক্ষতা। রোজ যেমন রাত যায়, দিন আসে আজও তেমনি এসেছে। প্রকৃতির মেজাজ যেন একটু অন্যরকম। আজ ছুটির দিন। চোখে তখনও ঘুমের আবেশ। বেলা কত হয়েছে বোঝার উপায় নেই। দরজা জানলা সব বন্ধ। বিছানায় লেপের উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়তে কিছুতেই মন চায় না। আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার আলসেমি ভর করে আছে। এর মধ্যেই মা দু'বার তাড়া লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। ডাক কানে আসলেও, উঠতে মন চায় না। রাস্তায় রিক্সার হর্নের আওয়াজ ভেসে আসে। কিন্তু আলস্য কিছুতেই কাটছে না।
ঘন কুয়াশা একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করেছে। আবার উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে আকাশে সূর্য-তারা প্রভা বিস্তার করে দেয়। তবে রোদের তেমন ঝাঁঝ নেই। বুঝতে পারলাম বেলা বাড়ছে। বাড়ির বারান্দা থেকে শিশুদের পার্কে দেখা যায়। গুটি গুটি পায়ে দু-চারজন বয়স্ক লোক, তাঁদের শিশুদের নিয়ে একবারে পার্কের স্লিপে। এরই মধ্যে হইহই করে বন-ভোজনে বেড়িয়ে পড়ছে মানুষ।
কেউ আবার বাজার ফেরত ফুলকপি, টমাটো, নিয়ে বাড়ি ফিরছে। এসব ছবি দেখতে দেখতে কেমন যেন আনমনা হয়ে যাই। শীত আসে তার খুশির মেজাজ নিয়ে। দূরে বেশ কয়েকটা বাড়ির ছাদে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা ফুটে আছে। এত অপূর্ব লাগছে, মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন তার সব রং ঢেলে দিয়েছে। শীতের একহাতে একতারা, অন্যহাতে বৈরাগ্য-- এটাই তার পরিচয় নয়। শীত যেন প্রাণচঞ্চল জীবনের কথা বলে।
সব মানুষকে আনন্দমুখর করে তোলে। মনে শুধু খুশির ছোঁয়া, ছোঁয়া আর ছোঁয়া।