এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব (Indecent to Woman) দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড হরিদেবপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর (Police SI) আইনুল হক। সেই মহিলার ১০০ ডায়ালে (100 Dial) অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার (Lalbazar)। জানা গিয়েছে, সম্পত্তিগত বিবাদের অভিযোগ জানাতে হরিদেবপুর থানায় (haridevpur PS) যান ওই মহিলা। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযুক্ত এসআই ওই মহিলার বাড়িতে যান। সেখানেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে এসআইয়ের বিরুদ্ধে।
সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলা ১০০ ডায়ালে ফোন করে এসআই-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই আইনুল হককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। এদিকে, রক্ষকের এভাবে ভক্ষক হয়ে ওঠার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নাগরিক সমাজে চাঞ্চল্য। এখন দেখার সাসপেনশন ছাড়াও বিভাগীয় তদন্ত শেষে আর কতটা শাস্তি অপেক্ষা করছে ওই এসআই-য়ের।
বুধবার চাকরি (SSC Case) চেয়ে এক্সাইড মোড়ে জমায়েত হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants) গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিস (Kolkata Police)। পুলিসের কামড় (Police Bite) খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ মোট ৩০ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। এই ৩০ জনকেই এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলেও জামিন পান (Bail Plea) প্রত্যেকেই। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পুলিস এঁদের 'অপরাধী' দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এঁদের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করে পুলিস। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। ধৃত ৩০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের উকিল এদিন আদালতে সওয়াল করেন, 'কাদের আসামি বলে সম্মোধন করা হচ্ছে, চাকরিপ্রার্থীদের? আসামি তো তাঁরা, যারা চাকরি দিয়েছেন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে যারা টাকা নিয়েছেন সেই মন্ত্রী, আসামিরাই আমাদেরই বিচারকক্ষে আসেন।' চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল, 'যাদের কোর্টে আনা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষক। প্রত্যেকেই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। হাইকোর্টের নির্দেশ হলেও এঁদের চাকরি দিতেই পারছে না। উলটে একজন পুলিস কামড়েছে, এই কাজ মানুষের না। এঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিল, পুলিস বলপূর্বক এঁদের অত্যাচার করছে।'
চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিস যে যে অভিযোগ এনেছে, তার প্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত নথি পুলিস দেখাতে পারেনি। কৃষক আন্দোলনের সময় সুপ্রিম কোর্ট কৃষকদের সরায়নি। কিন্তু আমাদের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে মাথা ফেটেছে, কারও হাড় সরেছে। এঁরা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ, নিজেদের যোগ্যতায় শিক্ষক হয়েছে। যদিও পুলিস বলছে এঁদের সংগঠন খুঁজে বের করতে হবে। এঁরা কি মাওবাদী? এই প্রশ্নই আদালতে তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী।
তাঁদের সওয়াল, 'যে কামড়ালো সে পিজিতে ভর্তি আর যে কামড় খেলো সে হাজতে। পুলিস শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। ধৃত চাকরিপ্রার্থীদের নিঃশর্ত জামিন দেওয়া হোক। নয়তো সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাবে।'
যদিও পুলিসের তরফে আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, 'চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমরাও সমব্যথী। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় যে ওরা আইন হাতে তুলে নেবেন। উন্মত্ত জনতাকে প্রতিহত করতে পুলিসকে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে হবে। এঁরা শিক্ষক, শিক্ষক সুলভ আচরণ এঁদের থেকে কাম্য।' দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাবের পরেই কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। অবশেষে সন্ধ্যার পর ধৃত ৩০ চাকরিপ্রার্থীকেই জামিন দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
আদালতের এই রায়ে স্পষ্টতই নৈতিক জয় দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ নিশ্চিত না হলে আগামি দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে, এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিন জামিন নিশ্চিত হতেই কোর্ট ক্যাম্পাসে উদযাপন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্য চাকরিপ্রার্থীরা পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়।
শহর কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সকাল থেকেই ইডির তল্লাসি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফের শহরে অস্ত্র উদ্ধার। ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র (firearms), ১০০ রাউন্ড গুলি (bullet)-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬ হাজার নগদ টাকাও। ধৃতকে শুক্রবারই আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম জয় চৌধুরী। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পাশাপাশি জানা যায়, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ৩টি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও একটি দেশি পিস্তল। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্তে শুরু করেছে এসটিএফ।
দিন কয়েক আগে শাসনের তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল এই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সই। সেই অস্ত্রভাণ্ডারে ছিল পিস্তল, লং রাইফেল গোলাবারুদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই জেলায় জেলায় এভাবে মজুত হচ্ছে অস্ত্র।
ফের পুলিসের (Police) বিরুদ্ধে তল্লাশির নামে টাকা হাতানোর (Money Extortion) অভিযোগ, গ্রেফতার এক কনস্টেবল-সহ চার। ধৃতদের মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৫ লক্ষ টাকা নগদ-সহ একবালপুরের (Ekbalpur PS) দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। এত টাকা তাঁদের কাছে কীভাবে এলো, পুলিসকে সদুত্তর দিতে পারেনি দু'জন। এমনকি এত টাকার কোনও যথাযথ নথি পুলিসকে দিতে পারেনি তাঁরা। শুধু এটুকু জানায় তাঁদের কাছে মোট ৩৩ লক্ষ টাকা ছিল। বাকি ১৮ লক্ষ টাকা কোথায়, পুলিস জানতে চাইলে ধৃতরা জানায় একজন কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার তল্লাশির নামে সেই টাকা হাতিয়েছে।
গুরুতর এই অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তাঁরা অপরাধ স্বীকার করে নিলে গ্রেফতার করা হয় ওই দু'জনকে। প্রত্যেককেই বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি এবং সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে আয়কর দফতরকেও।
এবার ডেঙ্গি (Dengue Death) প্রাণ কাড়ল কলকাতা পুলিসের (Kolkata police) এক অ্যাসিসটেন্ট সাব ইনস্পেক্টরের (ASI)। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু এএসআই উৎপল কুমার নস্করের। ২৭ তারিখ ডেঙ্গি আক্রান্ত অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছিল। শনিবার ভোরে উৎপলবাবুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত এএসআই চম্পাহাটির বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বাঁশদ্রোণীতে থাকতেন। পরিবার বলতে স্ত্রী এবং মেয়ে।
জানা গিয়েছে, ২৩ অক্টোবর জ্বরে ভুগতে শুরু করেন তিনি। ২৪ অক্টোবর রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। সেই সময় প্লেটলেট ছিল সাড়ে ৪ লক্ষ, কিন্তু চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বারণ করেছিলেন। বুধবার প্লেটলেট নেমে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৮০। কিন্তু ওই পুলিসকর্মীর জ্বর কমে যায় কিন্তু মাথাব্যথা এবং শরীরে একটি অস্বস্তি থেকে যায়। বৃহস্পতিবার উৎপলবাবুকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়। ফলে স্থানীয়স্তরে চিকিৎসায় গাফিলতির একটি অভিযোগ তুলছে পরিবার।
মৃত এএসআই কলকাতা পুলিসের ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্য ছিলেন। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিসের এখনও অনেক কর্মী ডেঙ্গু আক্রান্ত। কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি, কেউ আবার বাড়িতে চিকিৎসাধীন।
পরিবেশ দূষণ (Pollution) ও লেকের জল দূষণের কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarabar Lake) ছট পুজো নিষিদ্ধ করেছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল কোর্ট (Green Tribunal Court)। গত কয়েক বছর ধরে রবীন্দ্র সরোবরে বন্ধ রয়েছে ছট (Chhat) পুজো। যদিও ২০১৮ সালে নির্দেশ অমান্য করে কয়েকজন পাঁচিল টপকে রবীন্দ্র সরোবর প্রবেশ করেন এবং ছট পুজো করেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এবছরেও সরোবরের ১২টি গেট বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কেএমডিএ (KMDA)। রবিবার ও সোমবার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সরোবর। সেই কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্র সরোবরের পরিবর্তে শহরের কোন কোন ঘাটে ছট পুজো করা যাবে, তার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে গেটে।
গ্রিন ট্রাইব্যুনাল কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ছট পুজোর জন্য একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল এই রবীন্দ্র সরোবরের লেক। সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিল ভক্তরা। সেই সময় ২০১৮ সালে রাতের বেলায় সরোবরের গেট ভেঙে লেকে ঢুকে যায় প্রচুর পুণ্যার্থী। তার পরের বছর থেকেই এভাবে বাঁশ দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয় কেএমডিএ। সেই সঙ্গে গেটের সামনে রাখা থাকে গাড়ি। প্রশাসনের তরফে সেই গাড়ির ব্যবস্থা থাকে। কেউ ভুল করে সরোবরে চলে এলে, সেই গাড়ি করে শহরের অন্যান্য ঘাটে নিয়ে যায় প্রশাসন।
একই সঙ্গে শহরের কোন কোন ঘাটে করা যাবে ছট পুজো, তার তালিকা তুলে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সরোবরের গেটে। এমন ৪৮টি ঘাটের কথা বলা হয়েছে সরকারের তরফে, যেখানে ছট পুজো করার অনুমতি রয়েছে।
মৌলালি এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে পুলিস পরিচয় দিয়ে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল দেবাশিস দাস। ধৃত দেবাশিষ দাস কলকাতা পুলিসের ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। গত জুনে অপহরণ করে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে আগে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মরত এক কনস্টেবল-সহ ৬ জন গ্রেফতার হয়েছিল।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই দেবাশিসের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। কাল রাতে অভিযান চালিয়ে সল্টলেকে থেকে কনস্টেবল দেবাশিষ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের থেকে এক লক্ষ টাকার বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজত হয়েছে।
হাওড়ার (Howrah Money) মন্দিরতলার পর এবার শিবপুর। ফের সেই পাণ্ডে ভাইদের বাড়িতেই বিপুল নগদ উদ্ধার। শনি এবং রবিবার মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার পাণ্ডে ভাইদের দুই ফ্ল্যাট থেকে। রবিবার রাতে শিবপুরের (Shibpur) ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বৈভব অ্যাপার্টমেন্টের এক ফ্ল্যাটে হানা দেয় অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড টিম, হেয়ারস্ট্রিট থানা (Kolkata Police) ও শিবপুর থানার পুলিস। যৌথ অভিযান চালিয়ে শৈলেশ পান্ডের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই নগদ রাখা ছিল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার বান্ডিলে। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।
উল্লেখ্য, শনিবার হাওড়ার কাউসঘাট রোডে একটি অভিজাত আবাসনে শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাটেই হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই আবাসনের গ্যারেজে থাকা একটি গাড়ি থেকে (WBC 7751) প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা-সহ সোনা, হিরের গহনা উদ্ধার করে পুলিস। পরে রবিবার বিকেলে ওই ফ্ল্যাটে পুনরায় হানা দেয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে সেখান থেকে টাকা উদ্ধার না হলেও বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করে সিল করে দিয়ে যান গোয়েন্দারা।
এরপরেই খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার রাতেই শিবপুরে অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে শৈলেশের আরও একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে আধিকারিকরা। এদিকে টাকা উদ্ধারের আগে থেকেই 'পলাতক' দুই ভাই। তাঁদের খোঁজে লুকআউট নোটিস জারি করেছে পুলিস। এই বিপুল নগদ নিয়ে পালানোর ছকে ছিলেন শৈলেশ এবং অরবিন্দ পাণ্ডে।
এদিকে এই বিপুল টাকা উদ্ধারের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত জনতাকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। নগদ টাকা উদ্ধারের পর পুলিস ক্ষিপ্ত জনতাকে কোনওরকমে সামলে সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাগ ও সুটকেস গাড়িতে তুলে এলাকা ছাড়েন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রায় ৯০০ স্কোয়ার ফিটের শিবপুরের এই ফ্ল্যাট কেনেন পাণ্ডে ভাই। বড়ভাই শৈলেশ, ছোটভাই রোহিত ওরফে অরবিন্দ ও তাঁদের মা থাকতেন সেখানে। ২০১৬-র মাঝামাঝি তারা ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যায় কাউসঘাট রোডের আবাসনের প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের টাওয়ার ৩-র ২-ডি ফ্ল্যাটে।
অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বৈভব আবাসনের ৩সি ফ্ল্যাটে তারপর থেকে স্থায়ীভাবে পাণ্ডে পরিবারের কেউ থাকতেন না। মাঝেমধ্যে শৈলেশকে দেখা গেলেও একটু বেশি যাতায়াত ছিল ছোট ভাই অরবিন্দের। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এবছরই দুর্গাপুজোর সময় একদিন রাতে মা'কে সঙ্গে নিয়ে রোহিত একটি গাড়িতে চেপে আসে এই ফ্ল্যাটে। অল্পসময়ের মধ্যে গাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ও সুটকেস নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা সেই ফ্ল্যাট থেকে আবার বেড়িয়ে যান। যে গাড়িটি কাউসঘাট রোডের আবাসনের গ্যারেজে রাখা ছিল এবং সেই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা এবং গয়না।
এক দুই নয়, কর্মরত সংস্থার ৪২ লক্ষ টাকা (Money Launder) হাতিয়ে চম্পটের চেষ্টা! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভিনরাজ্যে থেকে গ্রেফতার হাওড়ার এক ব্যক্তি (Howrah Man)। কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১১ অক্টোবর হেয়ার স্ট্রিট (kolkata Police) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও অনিল আপাট। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই অভিযুক্ত কর্মী বছর ৫২-র মহম্মদ আইনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই বেসরকারি সংস্থাতেই কর্মরত ছিলেন আইনুল। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ৪২ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে ভাঙিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ভাঙিয়ে কোম্পানিতে না দিয়ে, তা নিজেই হাতিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
কিন্তু অভিযুক্ত রাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিস। এরপরেই তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে নজর রাখতে শুরু করে পুলিস। একইসঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় রেল পুলিসের সঙ্গে। জিআরপি-র সাহায্যে আইনুলকে পড়শি রাজ্য ওড়িশার সমস্তিপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। সেখান থেকে ধৃতকে নিয়ে আসা হয় রাজ্যে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়াতে আইনুল হকের এক আত্মীয়র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিন অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পাশাপাশি বাকি টাকার সন্ধানে তল্লাশি করছে পুলিস।
বাগুইহাটি-কাণ্ডের (Baguiati Case) ছায়া হরিদেবপুরে। এখানেও পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার মগরাহাটে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় যুবকের বান্ধবী এবং পরিবার। জানা গিয়েছে দশমীর দিন বান্ধবীর বাড়িতে দেখা করতে বেড়িয়ে নিখোঁজ যুবক অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার শুক্রবার। ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের (Haridevpur Incident) কেওড়াপুকুর। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার নিখোঁজ থাকার পর সেই যুবকের (Youth Body) দেহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার অন্তর্গত মাগুরপুকুর পুলিস ক্যাম্পের পাশ থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় থানার পুলিস তাঁর দেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। শুক্রবার এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। কলকাতা পুলিস নিখোঁজ যুবকের পরিবারকে মগরাহাটের ওই ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। মৃতের পরিবার অয়নের দেহ শনাক্ত করেন। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত বান্ধবী এবং তাঁর বাবা মাকে হরিদেবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধেই খুনের (murder) অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছিল অয়ন। তিনি সারারাত বাড়ি ফেরেনি। বান্ধবী বাড়ি চলে গেলেও এই যুবকের কোনও পাত্তা নেই এমনটাই বলছেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর থানায় ডায়রি করা হলেও কোনওরকম স্টেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। পুলিসের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক গাফিলতির প্রশ্ন।
তাঁর বন্ধুদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন তাঁর বান্ধবী বাড়িতে একা ছিল। সেই সময়ে অয়ন তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎই তাঁর বাবা-মা চলে আসে, ভয়েতে তখন অয়ন ছাদের উপর চলে যায়। শেষ বন্ধুকে কল করেছিল রাত ৩টের দিকে। তিনি ফোনে তাঁর বন্ধুকে জানান, মেয়েটির মা অয়নকে বুকে ঘুসি এবং বেধড়ক মারধর করেছে। বন্ধুরা তখন অয়নকে বলে, "আমরা গিয়ে তোকে নিয়ে আসছি।" কিন্তু অয়ন বলে, "না। আমি একাই চলে আসবো তোদের আসতে হবে না।" পরিবার এবং স্থানীয় লোকের বক্তব্য, স্থানীয় থানা হরিদেবপুর কোনও এফআইআর নেয়নি প্রথমে। শুধুমাত্র মিসিং ডায়েরি নিয়েছিল আর সেই জন্য অয়নের বাবা লালবাজারের দ্বারস্থ হন। এরপর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ। এমনকি পরিবারকে থানা থেকে বলা হয়েছিল, নিজেরা ছেলেকে খুঁজে নিন। এমনকি একদিন সকাল ১১টা-রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের পরিবারকে। এই অভিযোগও সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছে অয়নের পরিবার।
তবে অভিযুক্ত সেই বান্ধবী এবং তাঁর বাবা-মাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। কিন্তু পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে হরিদেবপুর থানা ঘেরাও স্থানীয়দের। গোটা ঘটনার দায় নিয়ে পুলিসকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
ফাঁকা অফিসে (Saltlake Office) শুধু রয়েছে আস্ত সার্ভার রুম (Server Room), তাও সক্রিয় অবস্থায়।! স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলছে কম্প্যুটার এবং সার্ভার। অনলাইন গেমিং (Online Gaming)-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রীতিমতো তাজ্জব কলকাতা পুলিস (kolkata Police)। এই প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী আমির খান। গার্ডেনরিচে (Gardenreach) তাঁর বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। যদিও সেই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়ে থাকা আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। তারপরে বেড়েছে এই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের ঝাঁজ।
এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। রয়েছেন সল্টলেকের ওই ফাঁকা অফিসের ম্যানেজারও। তাঁর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই অনুমান পুলিসের। আমির-সহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৬। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের দাবি, অনলাইন গেমিং প্রতারণা চক্রে অর্থ লেনদেনে যে অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার হতো, সেগুলোর সূত্র ধরে এই গ্রেফতারি। টাকার বিনিময়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিতেন অভিযুক্তরা।
পাশাপাশি এই প্রতারণা চক্রে দুবাই যোগের সূত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিস। সল্টলেকের যে অফিসে শুধু সার্ভার রুমের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেটা দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। এই প্রতারণা-কাণ্ডে পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের পাশাপাশি আরও এক ব্যক্তির নাম উঠেছে। তিনি দুবাইবাসী শুভজিৎ শ্রীমানি। সল্টলেকের অফিস সম্ভবত তাঁর। সেখান থেকে ১৯৫২টি সিম কার্ড, তিন হাজার এটিএম কার্ড এবং ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিট উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, এই প্রতারণা চক্রের পৃথক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারা বুধবার কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায়। উত্তর কলকাতার বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণ শহরতলির বেহালা-সহ পাঁচ জায়গায় অভিযান চালায় ইডি।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের (Arson Case) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১। বুধবার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং বিভিন্ন সূত্রের খবরে জোড়াসাঁকো মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীপ সরকার নামে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশন। এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ জীবনযাপনে আতঙ্ক বা অশান্তি তৈরি মতো ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে।
বুধবারই পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নবান্ন অভিযানের নামে যারা অসামাজিক কাজ করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিস। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে গুণ্ডামি-দাদাগিরি বিশেষণে দুষেছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বেলেঘাটা-নারকেলডাঙা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সেই গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরে এখনও পর্যন্ত আহত ২৭ জন পুলিসকর্মী। যাঁদের মধ্যে জোড়াবাগান থানার অ্যাডিশনাল ওসি-সহ কলকাতা পুলিসের (Kolkata police) অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার (AC) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ লালবাজার সূত্রের। জানা গিয়েছে, এসি পদমর্যাদার এই পুলিসকর্মীর ডান হাত ভেঙেছে। তিনি এসএসকেএম (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার রাতেই এক্স-রে'র পাশাপাশি তাঁর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। চার সদস্যের চিকিৎসক দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জোড়া বাগান থানার অতিরিক্ত ওসিকে সিএমআরআইতে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, মেছুয়া বাজার এলাকায় পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং এসি পদমর্যাদার ওই পুলিসকে মারধরের অভিযোগে দুটি মামলা রুজু হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে আইপিসির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারায় জামিন অযোগ্য মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীর কাজে বাধাদানের মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জন গ্রেফতার হয়েছেন। বেলেঘাটা-নারকেলডাঙা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে এঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
যদিও মঙ্গলবার বিজেপির মিছিল শান্তিপূর্ণ এবং আইন মেনেই ছিল। এই দাবি সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উলটে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কিংবা পুলিস গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। পাল্টা মঙ্গলবার রাতে বিজেপির নবান্ন অভিযানের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'আজ গোটা দেশ দেখল বিজেপির গুণ্ডারা কতটা তাণ্ডব করতে পারে। ভেবেই শঙ্কিত এরা ক্ষমতায় থাকলে কী করতে পারতো। বিজেপিকে প্রত্যাখাত করার জন্য ধন্যবাদ বাংলার জনগণকে।'
দুঃসাহসিক কাণ্ড শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে। সোমবার নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) প্রোমোটিং বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Pal), স্থানীয় এক কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলাকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল। মঙ্গলবার ফের অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস। পরিষ্কার বলা হয়েছে, বাড়িতে এখন ঢোকা যাবে না।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, হাসপাতালে দীপক দাসের পরিবারকে বলা হয়, তাঁর স্ত্রীর জন্য জামা কাপড় লাগবে। এই কথা শুনে দীপক বাড়িতে গেলে দেখেন, কিছু লোকজন বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি সেই পরিবারের দাবি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যাবে না। যদি করা হয় তবে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে আক্রমণ করা হবে দীপকের পরিবারের উপর। এমনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীদের দাবি, দীপক এবং তাঁর পরিবার এই বাড়িতে থাকতেন না। তাঁরা জোর করে এই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। অন্যদিকে দীপকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে এখনও কোমরে ব্যাথা রয়েছে।
বিহার পুলিসের (Bihar Police) নজর এড়িয়ে ডাকাতিতে অভিযুক্ত (Dacoity) এক বন্দি হাসপাতাল থেকে চম্পট দিল। মতিহারি সদর হাসপাতালের এই ঘটনায় সাসপেন্ড দুই হোমগার্ড। পলাতক বন্দির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জেলা পুলিস। জানা গিয়েছে, বাংলা এবং বিহার দুই রাজ্যেই ডাকাতির জন্য অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। বেলেঘাটার এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির পর কলকাতা পুলিস (Kolkata police) তাকে গ্রেফতার করেছিল। সেবারও কোর্টে তোলার আগে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কলকাতার পুলিসের হাত ফসকে পালায় এই অভিযুক্ত। দীর্ঘ তল্লাশির পর বিহারে খোঁজ মেলে তার।
কলকাতা পুলিসের একটি দল বিহারে গিয়ে সেই অভিযুক্তর হেফাজত চাইলে, তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হয়। সেই সময় বিহার পুলিস, কলকাতা পুলিসকে জানায় এই রাজ্যের ডাকাতিতে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সেই থেকে মতিহারি জেলা পুলিসের হেফাজতে এই অভিযুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছিল। পাশাপাশি হাসপাতালে বেডের সঙ্গে তাকে বেঁধে রেখে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছিল দুই হোমগার্ডকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে তারা দেখেন বিছানার দড়ি কাটা, পলাতক সেই বন্দি। এরপরেই চকিয়া থানায় খবর যায়। ঊর্ধ্বতন অফিসাররা এসে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিশ মেলে না ওই অভিযুক্তর।
এরপর আলাদা করে এফআইআর দায়ের করে মতিহারি জেলা এবং রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই দুই হোমগার্ডকে ক্লোজ করে একবছর ডিউটি না করার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।