শনিবার সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। নজরে পড়ে ক্রন্দনরতা স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরী, সাহায্য চাইছে এর-তার কাছে। তাকে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়েটি, পরীক্ষার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা সে, একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে যেহেতু পরিবারের সকলে তার দাদুর শেষকৃত্য সারতে গেছেন। কিন্তু বড় দেরি হয়ে গিয়েছে বেরোতে, সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব, তাই কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে সাহায্যের আশায়।
ব্যাপার বুঝে আর এক মিনিটও ব্যয় না করে মেয়েটিকে তাঁর গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়, যখন সবে দরজা খুলছে স্কুলের। অভিভূত, কৃতজ্ঞ কিশোরীকে ‘বেস্ট অফ লাক’ জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন শৌভিক। এই মানবিক কাজের জন্য সিএন পোর্টাল কলকাতা পুলিস এবং ওসি ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা- কলকাতা ট্রাফিক পুলিস এবং কলকাতা পুলিস
সৌজন্য: কলকাতা পুলিস ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
সিটি অফ জয়ে 'উড়ছে' বান্ডিল বান্ডিল নোট! পরপর তিন দিন, শহর কলকাতায় উদ্ধার টাকার পাহাড় (Cash Recover)। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাটের পর এবার বড়বাজার (Burra Bazar Incident)। কলকাতা পুলিসের STF-র অভিযানে বড়বাজারের বাবুলাল লেন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স উদ্ধার করে এই টাকা। শুক্রবার দুপুর বেলা এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে ধৃত দু'জনের নাম রাম অবতার গানেরিওয়াল এবং সরোবর শর্মা।
জানা গিয়েছে, বড় বাজারে টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু বছরের পুরনো সংস্থা শ্রী নিবাস টেক্সটাইল থেকে উদ্ধার টাকা। এসটিএফ-র অভিযানের সময় দু'জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন, অনুপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার। জানা গিয়েছে, গেঞ্জির ব্যবসা এই শ্রী নিবাস টেক্সটাইলের, কর্ণধারের নাম মুন্না বাবু।
শহরে টাকা উদ্ধারের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জুলাইয়ে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গার্ডেনরিচে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১০ কোটি টাকার বেশি। এই দুই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
পাশাপাশি বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে এক কোটির বেশি এবং গড়িয়াহাটের এক গাড়ি থেকে এক কোটি টাকা সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার করে হাওড়া পুলিস। হাওড়া শহরের দুই জায়গা থেকে গত বছর উদ্ধার হয়েছে নগদ।
কলকাতা পুলিসের STF-র হাতে জাল নোট-সহ গ্রেপ্তার ২। সোমবার দুপুরে ময়দান থানা সংলগ্ন মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের ক্রশিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই ব্যক্তিকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ টাকা(fake note)। জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম আব্দুল রেজ্জাক খান ও সাহার আলি।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ময়দান থানা সংলগ্ন মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের ক্রশিং থেকে অসমের দুই কুখ্যাত জাল নোট পাচারকারীকে আটক করে কলকাতা পুলিসের STF। ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়, যার প্রত্যেকটি ৫০০ টাকার নোট। অভিযুক্ত আব্দুল রেজ্জাক খান(৪০) ও সাহার আলি(৪৩) আসামের বারপেতা জেলার বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। অভিযুক্তদের মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। সূত্রের খবর, আব্দুল রাকিব কুরেশি ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর জেল খেটে ২০১৯ সালে জেল থেকে মুক্তি পান আব্দুল। তারপরেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুল রাকিবের। এই দুই সন্দেহভাজনের পরিকল্পনা ছিল বাংলা-সহ ভিন রাজ্য এবং মধ্যপ্রদেশে তাঁদের জঙ্গি সংগঠনকে (Terrorist Organisation) আরও মজবুত করা।
তাঁদের নজরে ছিল উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে সংগঠন মজবুত করা। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম- আব্দুলের দায়িত্ব ছিল যুব সমাজকে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এবং তহবিল সংগ্রহের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রাকিব কুরেশি। এই মুহূর্তে সাদ্দাম এবং আব্দুল রাকিবকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করছে এসটিএফ।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের জেরা করে আব্দুল রাকিবের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাকে খাণ্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রিমান্ডে আনা হয়েছে কলকাতায়।
বর্ষবরণের (New Year Eve) রাতে শহরজুড়ে পুলিসি ব্যবস্থা ছিল তুঙ্গে। ট্রাফিক আইন অমান্যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছিল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। খোদ পুলিস কমিশনার পথে নেমেছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এই ব্যবস্থাপনার মধ্যেও বেপরোয়া গতি (Car hits Police) মানলো না পুলিসি বাধা। তিলজলা এলাকায় তীব্র গতির বলি এক পুলিস কনস্টেবল (Traffic Police)। শরীরে গুরুতর চোট নিয়ে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল তপন চক্রবর্তী।
এই ঘটনা তিলজলার চায়না টাউন গেটের সামনে। জানা গিয়েছে, রাতের কলকাতায় নাকা চেকিংয়ের সময় পার্ক সার্কাস থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়া এক বেপরোয়া গাড়িকে আটকতে যান কনস্টেবল তপনবাবু। কিন্তু পুলিসি বাধা না মেনে উলটে সেই পুলিসকর্মীকে ধাক্কা মেরে চলে যায় ঘাতক গাড়িটি। অভিঘাতে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান তপনবাবু। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিস। খোঁজ চলছে ঘাতক গাড়ি ও তাঁর মালিকের।
এদিকে, বর্ষ বরণের রাতে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনায় আটক ১১৫ জন। দিন কয়েক আগেই অজয়নগর মোড়ে ট্রাফিক আইন ভাঙে এক যুবক। হেলমেট না থাকায় তাঁকে কেস দেন নাকা চেকিংয়ে থাকা কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। সেই সময়েও স্থানীয়রা পুলিসকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে বচসায় জড়ান। এক পুলিসকর্মী শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গ্রেফতার চার।
করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এবছর বড়দিনে (Christmas Day) মানুষের ঢল নেমেছিল রাস্তায়। আর তা সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিসকে (Kolkata Police)। ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে বিপুল ভিড় ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বর্ষবরণের (New Year 2023) রাতে শহরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে ২৫০০ পুলিস। আর বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারিতে থাকবে ২৩০০ পুলিস।
বড়দিন হোক বা বর্ষশেষ বা বর্ষবরণ কলকাতাবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা পার্ক স্ট্রিট। সেজন্য বেশি সংখ্যক পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন অঞ্চলে। পার্ক স্ট্রিটের জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বর্ষবরণের রাতে মোট ৬টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিটকে। নজরদারিতে থাকছেন ১১ জন ডিসি। রবিবার ১লা জানুয়ারি ৪টি সেক্টর করা হয়েছে। নববর্ষের দিন দায়িত্বে থাকছেন ৭ জন ডিসি। ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ড্রোনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। শহরজুড়ে ৫৮টি পিসিআর ভ্যান রাখা হয়েছে নজরদারির জন্য। তার মধ্যে কেবল পার্ক স্ট্রিট চত্বরে থাকছে ২৩টি পিসিআর ভ্যান।
সাহায্যপ্রার্থীদের জন্য ১৫টি পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ করা হয়েছে। ৭টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৯৭ পয়েন্টে থাকছে নাকা চেকিং। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ২০টি মোটর সাইকেলে করে পুলিস টহলদারি চালাবে। বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম থাকছে ২টি।
বছরের শেষ সকালে ময়দানে (Kolkata Maidan) ক্যাসুরিনা আভেনিউতে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Road Accident)। স্টিয়ারিং লক হয়ে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে উলটে যায়। কার্যত দুমড়ে গিয়েছে গাড়ির সামনের অংশ। ভিতরে থাকা দু'জনের হাতে এবং পায়ে চোট লেগেছে। ময়দান থানার (Kolkata PS) কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরাই গাড়ির দুই আরোহীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার অভিঘাতে গাড়ির এয়ার ব্যাগ বেড়িয়ে আসায় প্রাণহানি রক্ষা করা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রের খবর, গাড়িতে যারা ছিলেন তারা মদ্যপ ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি সাতসকালে গাড়ির গতি বেশি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ময়দান থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সকালবেলা ময়দান অঞ্চলে প্রচুর মানুষ মর্নিং ওয়াকে বের হন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের জমায়েতে জনবহুল থাকে ক্যাসুরিনা অ্যাভেনিউয়ে জোড়া কামান চত্বর। তাই এদিন সকালের দুর্ঘটনা বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শহর কলকাতা।
অজয় নগর মোড়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত এবং নিগৃহীত এক পুলিস (Kolkata Police) অফিসার। নাকা চেকিং (Naka Checking) চলাকালীন ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক বাইকারকে কেস দিতেই ঝামেলার সূত্রপাত। যদিও পুলিস নিগ্রহের (Assaulted to Police) ঘটনায় গ্রেফতার ৪। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পুলিসকর্মীকে আহত হয়েছেন। অভিযুক্তদের শারীরিক নিগ্রহের তাঁর দেহে চোট লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ সার্ভে পার্ক থানা এবং পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের যৌথ নাকা চেকিং চলছিল। অজয় নগর মোড়ে সেই সময় ঘটে এই পুলিসকে হেনস্থার ঘটনা।
পুলিস সূত্রের খবর, একজন বাইকার হেলমেট না পরায় তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়ান কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। ফলে মোটর ভেহিকেল আইন মোতাবেক তাঁর নামে কেস দেওয়া হয়। এরপরেই ঘতনাস্থলে কয়কেজন স্থানীয়কে নিয়ে এসে হাজির হয়েছিলেন ওই বাইকার। আক্রান্ত পুলিসকর্মীকে নিগ্রহ শুরু করেন তাঁরা।
সূত্রের দাবি, অন্তত ১৫ জন এসে দাবি করেন তাঁরা স্থানীয়। কেন স্থানীয়দের বিরুদ্ধে এভাবে কেস দিচ্ছে পুলিস? এই প্রশ্ন করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এই বচসার মধ্যেই ৪ জন অন ডিউটি পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে ধাক্কা মারেন। এতেই পড়ে গিয়ে সামান্য চোট পান ওই ট্রাফিক অফিসার। সুমন কল্যাণ ঢাক নামে ওই পুলিসকর্মীকেই সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকেই চার জনকে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীকে শারীরিক নিগ্রহের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন বলাই দাস, পানু কুন্ডু, আদিত্য সাহা এবং পলাশ হালদার। পুলিস সূত্রের খবর, জমায়েত করা স্থানীয়দের মধ্যে অধিকাংশ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার কোর্টে তোলা হয়েছে।
লোন অ্যাপ প্রতারণা (Loan App Fraud) চক্রের মাস্টারমাইন্ড এক মহিলাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। গত ৬ মাস দুবাইতে ছিলেন সোনিয়া খারতমল নামে ওই অভিযুক্ত, আদতে তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিসের (kolkata Police) সাইবার শাখার (Cyber Crime) অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল মুম্বই পুলিস। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বই নামতেই ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। আন্ধেরির এক আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিওয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের জুনে এক প্রতারিতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখা। জানা গিয়েছে, লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের শিকার ওই ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লোন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারীর ফোনের একাধিক তথ্য প্রতারণা চক্রের হাতে পৌঁছে যায়। অর্থ না দিলে সেই তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই হুমকি চলতে থাকে। তারপরেই কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি।
অভিযোগের তদন্ত নেমে এক বড় প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় কলকাতা পুলিস। বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। তারপরেই উঠে আসে সোনিয়ার নাম।
কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে সরব পণ্ডিত রশিদ খানের স্ত্রী। প্রগতি ময়দান থানার ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ গায়কের পরিবার, এমনটাই জানা গিয়েছে। খবর, রশিদ খানের গাড়িকে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডে (Beleghata Traffick Guard) আটকানো হয়। হেনস্থা করা হয় গায়কের গাড়ির চালককে। লাইসেন্স কেড়ে চালককে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডেকে পাঠানো হয় রশিদ খানের (Rashid Khan) স্ত্রী জয়িতা বসু খানকে। থানায় চরম দুর্ব্যবহারের মুখে পড়েন জয়িতা দেবী। এখানেই শেষ নয়। এরপর নাকি পণ্ডিতজিকে ডেকে পাঠিয়ে দুর্ব্যবহার করে প্রগতি ময়দান থানা। সরাসরি এমনটাই অভিযোগ প্রগতি ময়দান থানার বিরুদ্ধে করেছেন রশিদ খানের স্ত্রী। এমনকি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে? ক্যালকাটা নিউজকে জয়িতা বসু খান বলেন, 'মঙ্গলবার খান সাহেবের এক অনুষ্ঠানের পর রাত সওয়া দুটো নাগাদ বাড়ি ফেরেন। তারপর পণ্ডিতজির কয়েকজন সহশিল্পীকে বিমানবন্দরে ছাড়তে যায় আমাদের একটি গাড়ি। সেই গাড়িকে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডে আটকানো হয়। পরপর অনেকগুলো গাড়ি, বাইক দাঁড় করানো ছিল, তাঁদের থেকে ঘুষ-টাকা নেওয়া হচ্ছিল। গাড়ির ভিতর থাকা পণ্ডিতজির সহশিল্পীকে উবের করে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হয়।'
তাঁর অভিযোগ, 'আমাদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার পর যখন উস্তাদজির নাম আসে, তখন দু'হাজারের জায়গায় ছয় হাজার টাকা দাবি করে পুলিস। আমাদের ম্যানেজার যখন বলে টাকা নেই, তখন ড্রাইভারের থেকে জোড় করে লাইসেন্স কাড়েন উপস্থিত এক পুলিসকর্মী। তাঁর সঙ্গে একজন সার্জেন্টও ছিলেন। কে সেই পুলিস, জ্যাকেট পরা থাকায় দেখা যায়নি। এরপর অপরিচিত একজন আমাদের গাড়ি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে আসেন। গাড়ির চাবি বাজেয়াপ্ত করে আমাদের চালককে লকআপে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি আমাদের ম্যানেজারকে হুমকি দেওয়া হয় আমাদের উপর কথা বললে তোমাকেও পুলিসে ধরিয়ে দেব।'
জয়িতা দেবী বলেন, 'আমাকে ম্যানেজার ফোন করলে ফোনে ডিউটি অফিসার অকথ্য ভাষায় আমাকে বলেন কিছু বলতে চাইলে থানায় আসতেই হবে। অতএব আমি আর আমার ছোট মেয়ে ভোর ৪টে ১০ নাগাদ প্রগতি ময়দান থানায় যাই। থানায় গিয়ে পুলিসের মুখে যে ভাষা শুনি তা আমার ধারণা বাইরে। কলকাতা পুলিস এমন ভাষা বলবে, শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। ওই থানার ছোট বাবুকে যখন জিজ্ঞাসা করি কোন আইনে গাড়ি বাজেয়াপ্ত? উনি খারাপ টোনে বলেন যা জানার কোর্টে গিয়ে জানবেন। কেউ মহিলাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারে জানা ছিল না।'
রশিদ খানের পরিবারের আরও অভিযোগ, 'খান সাহেবের নাম শুনে থানার ছোট বাবু বলেন আপনার ড্রাইভার গাড়ি চালাবে না, অন্য কেউ গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে যাবে। যখন বলা হয় আপনি তো এই কথাটা আগে বলেননি। তখন উনি আরও রেগে যান। থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয় খান সাহেবকে। অত ভোরে ঠাণ্ডার মধ্যে খান সাহেব থানায় এলে তাঁকে কেউ বসার জন্যও বলেনি। এমনকি উনি নমস্কার করলে, কেউ প্রতি নমস্কার করে সৌজন্য দেখায়নি। এরপর পণ্ডিতজিকে গাড়ি নিয়ে যেতে বললে, উনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন এবং বলেন সকালে আইনজীবীর সঙ্গে এসে কথা বলবেন।'
রশিদ খানের স্ত্রীয়ের দাবি, 'এই ধরনের লোকের একটা শাস্তি হোক। এঁদের জন্য কলকাতা পুলিসের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। দু'জনের বিরুদ্ধে আমি চাই কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা হোক। যে পুলিস অফিসাররা সহযোগিতা কাকে বলে জানে না, এঁরাই কলকাতা পুলিসের নাম খারাপ করছে। এঁদের একটা শাস্তি হোক।' যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
মহম্মদ সেলিমের (Md Selim) দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতা-সাংসদ পরেশ রাওয়ালকে তলব করলো কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। আগামি ১২ ডিসেম্বর তালতলা থানা তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিনেতার (Paresh Rawal) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
মূল ঘটনার সূত্রপাত গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচার। বিজেপির তারকা প্রচারকদের মধ্য অন্যতম ছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। পরেশ গত মঙ্গলবার এক প্রচার সভায় বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন। তারপরেই দেশজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে। নিন্দার ঝড় ওঠে, সমালোচনার সুরে মিমে মিমে ছেয়ে যায় সোশাল মিডিয়া। বিতর্ক বাড়ছে বুঝে ক্ষমা চেয়ে নেন বলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ পরেশ।
এদিকে, পরেশের এহেন মন্তব্যের জেরে শুক্রবার তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পরেশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঠিক কী বলেছেন অভিনেতা? গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচারে এক সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?'
টালিগঞ্জ, গার্ডেনরিচের পর ফের খাস কলকাতায় বিপুল নগদ অর্থ উদ্ধার (Cash Recovery)। এবার ঘটনাস্থল পোস্তা থানা (Posta PS) এলাকার দিগম্বর জৈন টেম্পল রোড। জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর দিগম্বর জৈন টেম্পল রোড থেকে পোস্তা থানার পুলিস (kolkata Police) দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই ব্যক্তিকে বিপুল নগদ-সহ প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘদিন তাঁরা টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন অফিস থেকে টাকা নিতেন। এমনটাই জেরায় পুলিসকে জানিয়েছেন দুই ধৃত। তাঁরা জানায়, 'কলকাতার কটন স্ট্রিটের এক অফিস থেকে ১০ টাকার নোটের একটি নাম্বার দেখিয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে পোস্তার ১০ নম্বর দিগম্বর টেম্পল রোডে আসলে পুলিস তাঁদের আটক করে।'
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দু'জনেই টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁদের কাছে এতো টাকা বহনের কোনও বৈধ নথি ছিল না। এমনকি, পুলিসি জেরায় অসংগতি পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই জন বাবা-ছেলে। চলতি বছর রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বিপুল নগদ উদ্ধারে চাঞ্চল্য বাংলাজুড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তালিগঞ্জ-বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট কিংবা হাওড়ায় ঝাড়খণ্ড বিধায়কের গাড়ি। লক্ষ-কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য জনমানসে। সম্প্রতি গার্ডেনরিচের এক বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এমনকি হাওড়া স্টেশনেও সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা।
টাকার পাহাড় উদ্ধারের এই ঘটনাগুলোর মধ্যে নয়া সংযোজন পোস্তার দিগম্বর জৈন টেম্পল রোডের ঘটনা।
চাকরি চেয়ে পুলিসের 'কামড়' খাওয়ার মাসেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) চেয়ে জুটলো পুলিসের 'ঘুসি'। বুধবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের (Government Employee) বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার রাজপথে। পুলিস-আন্দোলনকারী ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র বিধানসভার (Bengal Assembly) ২ নম্বর গেট চত্বর। যদিও আন্দোলনকারীদের আটকাতে আগেভাগেই বিধানসভা গেট বন্ধ করে দেয় পুলিস। রানী রাসমণি অ্যাভেনিউতে বসানো হয় ব্যারিকেড। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিস বাহিনী এবং প্রিজন ভ্যান। বামপন্থী কর্মী সংগঠনের এই মিছিলের একটি অংশ লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে পুলিসের দুটি ব্যারিকেড ভেঙে বিধানসভা দু'নম্বর গেটের সামনে আসতেই ধুন্ধুমার। এক আন্দোলনকারীর পেটে-ঘাড়ে ঘুসি মারার অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের রেয়াত করা হয়নি বলেও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এমনকি, মহিলাদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ। এই ধস্তাধস্তিতে একাধিক পুলিসের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। পুলিসি এই 'অতিসক্রিয়তাকে' ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে করা এই আন্দোলনে পুলিসও উপকৃত হবে। তাহলে কেন এই আটক এবং গ্রেফতারি? প্রশ্ন তোলেন সরকারি কর্মীরা। এদিন দু'নম্বর গেটের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে আন্দলনকারীদের চশমা, পেন।
যদিও পুলিসি ধরপাকড়ে দু'নম্বর গেট চত্বর ফাঁকা করে স্বাভাবিক করা হয় পরিস্থিতি। যেহেতু এই আন্দোলনের সময় বিধানসভার অধিবেশন চলছিল, তাই আরও বেশি সতর্ক ছিল পুলিস, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিন দফা ৩০টি বামপন্থী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল। বকেয়া ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ এবং সরকারি দফতরে স্থায়ীকরণের দাবিতে সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যরা পথে নামেন। এঁদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেরামতির কাজের জন্য শনিবার ১৯ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ (Satragachi Rail Bridge)। এই মেরামতির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের পণ্যবাহী যান (Goods Vehicle) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিস (Kolkata Police) একটি ট্রাফিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ:
কোনও পণ্যবাহী গাড়ি ব্রিজ মেরামতি চলাকালীন সাঁতরাগাছি রেল ওভারব্রিজে উঠবে না।
সকাল ৬টা-রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতুর কোনও র্যাম্পে উঠবে না পণ্যবাহী গাড়ি। কলকাতা পশ্চিম এবং খিদিরপুর এলাকা থেকে সাঁতরাগাছি ব্রিজগামী গাড়িগুলোর জন্য একই নিষেধাজ্ঞা।
রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ৪ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে জাতীয় সড়ক ১৬ (পূর্বতন জাতীয় সড়ক ৬, মুম্বই রোড) গামী পণ্যবাহী গাড়ি আন্দুল রোডে উঠতে পারবে।
রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে/বরধমান/দিল্লিরোডগামী পণ্যবাহী যান লকগেট ফ্লাইওভার, বিটি রোড, নিবেদিতা সেতু ঘুরে যাবে।
এই নিষেধাজ্ঞা ১৯ নভেম্বর থেকে মেরামতির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এমনটাই কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর।
নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants) বিক্ষোভে রাজপথে হুলুস্থুলু যেন এখন দৈনন্দিন হয়ে গিয়েছে। এবার বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের আঁচ এসে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের (CM Residence) ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। এবার চাকরিপ্রার্থী-পুলিস ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র কালীঘাট (Kalighat) চত্বর। বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অদূরে বিক্ষোভ শুরু করেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, '২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি তাঁরা।' দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু। সেখানেও পুলিস (Kolkata Police) গিয়ে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এদিনও যেন খানিকটা রবীন্দ্র সদন এক্সাইড মোড় এবং ক্যামাক স্ট্রিটের ঘটনার প্রতিফলন। বুধবারও টেনে-হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভ্যানে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাস্তার ধারে থাকা ফাঁকা বাসে তুলে তাদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অদূরে ওই বিক্ষোভ পরিকল্পিতই। বুধবার সকাল থেকে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের বাইরে জমায়েত শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সেখানে পুলিস থাকায় স্টেশনের অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে কালীঘাট মন্দিরের কাছে পৌঁছে যান তাঁরা। তারপর নিয়োগের দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক চাকরিপ্রার্থী। পূর্ণ সিনেমা হলের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ধর্মতলায় যেভাবে তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন, একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দাবি জানাতে চান। মাতঙ্গিনীর পাদদেশ থেকে আজ কালীঘাট পর্যন্ত এসেছি। এরপরেও চাকরির নিয়োগ না পেলে আগুন জ্বলবে। ২০১১ থেকে এখনও পর্যন্ত আপার প্রাইমারিতে কনো নিয়োগ হয়নি। এই অভিযোগ তোলেন অনেক চাকরিপ্রার্থী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, শুধু কালীঘাট নয়, মেট্রো স্টেশন থেকে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পড়েন। এক যায় হাজরা মোড়ের দিকে। অন্য একটি দল যায় ভবানীপুর থানার দিকে। কিন্তু সব জায়গা থেকেই পুলিস তাঁদের বলপূর্বক সরিয়ে দেয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সাদা খাতা জমা দিয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এত বছর আগে পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি!
বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, 'কোন অধিকারে তাঁদের আট বছর নষ্ট করা হয়েছে? কেনই বা তাঁদের তাড়াতাড়ি চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে না? আট বছর ফিরিয়ে দিতে হবে, চাকরি দিতেই হবে। বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়। এক চাকরিপ্রার্থী জানান, তাঁদের আটক করে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজ়ন ভ্যানে উঠিয়েছে পুলিস।