প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
পণের দাবিতে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে গলা টিপে খুন (Killing) করার চেষ্টার অভিযোগ। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর (House Wife) গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে পিংকি দাসের সঙ্গে অমল দাসের বিয়ে হয়। অমল দাস পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের তিনটি নাবালক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত পিংকি দাসের উপর। এমনকি পণের দাবিতে বুধবার শ্বাসরোধ করে খুন করারও চেষ্টা করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
তাঁদের আরও অভিযোগ, পিংকির বিয়ের সময় নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও আসবাবপত্র সহ যাবতীয় জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও আরও পণের দাবিতে অত্যাচার করত অভিযুক্তরা। তাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় একাধিকবার তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ঘর থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পিংকিকে তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকেরা গলা টিপে শ্বাস রোধ করে খুন করার চেষ্টা করে, এমনটাই অভিয়োগ করছেন তাঁরা।
পিংকি দাসের বাবা কিশান দাস বলেন, 'পণের টাকা দেওয়ার পরেও মেয়ের উপর অত্আয়াচার করা হত। বুধবার তো মেযেকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের জন্য় রক্ষা পেয়েছে। তাই পুলিসের কাছে আবেদন করেছি, অভিযুক্তরা যেন কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি পায়।'
স্ত্রীকে খুন (Killing) করে থানায় আত্মসমর্পণ (Surrender) স্বামীর। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে, স্বীকার করলো অভিযুক্ত। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়ায়। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস (Police)। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম ফোনি বালা রায়। অভিযুক্তের নাম ভোপাল রায়। দুজনেই ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সোমবার ভোরেও তাঁদের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই অশান্তি চলে। তারপরেই সকালে এলাকার একটি ধান ক্ষেতে ওই গৃহবধূর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে ভোপালই খুন করেছে ওই গৃহবধূকে।
মৃতার বড়বৌমা জানিয়েছেন, 'বাবা সকালে আমাদের বাড়িতে আসেন। তারপরেই মাকে খুন করার বিষয়টি তিনি আমাদের জানান। তিনি বাড়িতে এসে বলেন, "তোর মা আর নেই, আমি মেরে ফেলছি।" এরপরেই তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করতে ছুটে যায়।
ব্যথায় (Pain) কাতর, আর হাতের কাছেই আছে পেইন কিলার (Pain Killer), তবে আর দেরি কেন? ঝটপট খেয়ে নিলেন তো! এবারে ব্যথাও কমল, আর স্বস্তিও পেলেন। কিন্তু জানেন কি এই স্বস্তির পিছনে কী কী ভয়ানক বিপদ আপনি ডেকে আনছেন নিজের শরীরে? আপনি জেনে অবাক হবেন যে সামান্য ব্যথার জন্য আপনি যে পেইন কিলার ব্যবহার করেন তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর (Side Effects)।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পেইন কিলার খাওয়ার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, রক্তপাত বা পেটের আলসারের সমস্যা, ঘুমের অভাব, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে ফুসকুড়ি, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও পেইন কিলার খাওয়ার ফলে কিছু মারণব্যাধিও দেখা যেতে পারে শরীরে। যেমন- পেইন কিলার বেশি খেলে আপনার মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। লিভারের সমস্যা হতে পারে, এমনকী হার্টের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আবার কিডনিরও রোগ দেখা দিতে পারে। ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোনও ব্যথা হলেই সঙ্গে সঙ্গে পেইন কিলার খাওয়া উচিত নয়, আর খেতে হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
ভাইয়ের হাতে খুন (Killed) হলো দাদা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট আঠারো কোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তারপরেই অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জমশের আলী (৩৫) এবং আহত ওই ব্যক্তির নাম রহমত আলী। জমি নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু'জন দুজনকে আঘাত করে। তারপরে দু'জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তবে জমশের আলীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে রহমত আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিজের মা কে খুন (Killed) করল ছেলে! বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম থানার বেংডোবা বনবস্তি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগ্রাম থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম বাহা টুডু (৫৯) এবং অভিযুক্ত ওই ছেলের নাম রমান টুডু (৩৩)। পুলিস আরও জানিয়েছে, অভিযু্ক্ত ওই ছেলেটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। সূত্রে খবর, বাড়িতে মা বাহা টুডুকে নিয়ে বসবাস করত ছেলে রমান টুডু। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দেখতে পান বাহা টুডু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপরেই স্থানীয়রা কুমারগ্রাম থানায় খবর দেয়।
খুব তাড়াতাড়ি অর্জুন কাপুরের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার (Bhumi Pednekar)। 'দ্যা লেডি কিলার' ছবিতে জুটি বাঁধতে চলেছেন তাঁরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একসঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন তাঁরা। নতুন ছবি নিয়ে বেশ আবেগী ভূমি-অর্জুন (Arjun Kapoor)। ছবি প্রসঙ্গে কী বললেন তাঁরা? সম্প্রতি অর্জুন জানিয়েছেন, আসন্ন ছবির সঙ্গে আবেগে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভূমিরও একই দাবি।
সাক্ষাৎকারে ভূমি জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত যতগুলি সিনেমা করেছি তার মধ্যে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং এই সিনেমাটি। এর আগেও আমি এমন সিনেমা করেছি যাতে আমি নিজের সীমা অতিক্রম করেছি। কিন্তু এই সিনেমাটি সহজ নয়। আমার মনে হয় এই সিনেমাটি আমাদের দুজনের জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা।'
অর্জুনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ভূমি বলেছেন, 'আমি অর্জুনের মধ্যে একজন ভালো বন্ধুকে পেয়েছি। এই নিয়ে দুটো ছবি একসঙ্গে করেছি। আমি মনে করি অর্জুন অনেক ক্ষেত্রে সৈনিকের মতো। আমরা এত ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছি যে আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া তৈরী হয়েছে। অর্জুনকে সহ অভিনেতা হিসেবে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়।'
জমি বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে বিবাদ। বিবাদের জেরে মাকে খুন (Killed) করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলরোড এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই মায়ের নাম মায়া চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। আর অভিযুক্ত ছেলের নাম বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি বিক্রির টাকার বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের মাকে খুন করে অভিযুক্ত। তারপরে সেই দেহ শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে। তবে স্থানীয়রা এই খবর জানতে পেরে খবর দেয় পুলিসে। পুলিস এসে শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দেহটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জমি বিক্রি করা হয়েছিল। সেই জমি বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া নিয়েই মা ও ছেলের মধ্যে বচসা প্রায়ই লেগেই থাকতো। আর এর ফলেই এমন ঘটনা। তবে ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্তের ভার নিয়েছেন ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদার।
মাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ছেলের। অভিযুক্তর এহেন আচরণে তাজ্জব পুলিসকর্মীরা। নারায়ণপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের এই ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ছেলে থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন পুলিসের কাছে। পুলিস সূত্রের খবর, ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা ও তাঁর মা লক্ষ্মী সাঁতরা। নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো মা-ছেলে।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস যাবৎ ছেলে সোমনাথের কাজ চলে গিয়েছে। এরপর তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। এই মুহূর্তে সেভাবে কোনও কাজকর্ম করতেন না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটনে চলছিল পরিবার। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন।
এসব কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সোমনাথ। সোমবার রাতে মায়ের সঙ্গে বিবাদ হয় সোমনাথের। অভিযোগ এরপর মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোমনাথ। তারপর নিজেই নারায়ণপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করেন। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পিছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া।
মাকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে হত্যা (killing) করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ (Surrender) করলো ছেলে। নারায়নপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের ঘটনা। পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা। এবং তাঁর মৃত মায়ের নাম লক্ষ্মী সাঁতরা (৪৯)। সূত্রের খবর, মা ও ছেলে নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো।
পুলিস সূত্রে খবর, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ছেলে, নিজেই থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে নারায়ণপুর থানায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই ভাবে কোন কাজকর্ম করত না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটন চলছিল পরিবারে। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী তার সাথে বাড়িতে থাকতো না।
সোমবার রাতে মায়ের সাথে বিবাদ হয় সোমনাথ সাঁতরার। পুলিসকে সোমনাথ জানিয়েছে, মায়ের সাথে বিবাদের পর মাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে সে। তারপর নিজেই নারায়নপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করে। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পেছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়।
মদ্যপানে (Drunk) বাধা দিতেই স্বামীর হাতে খুন (Kill) স্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মেদিনীপুর গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম হেমন্ত এবং স্ত্রীয়ের নাম প্রতিভা। হেমন্ত মদ্যপান করতেন। স্বামীর মদ্যপান অপছন্দ ছিল স্ত্রীয়ের। তাই মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে স্ত্রী বারবার বলতেন স্বামীকে। প্রতিদিন প্রায় এই নিয়ে তাদের মধ্য়ে ঝগড়া-ঝামেলা লেগেই থাকত। ঘুঘলি থানার এসএইচও নীরজ রাই জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর এই ঝামেলা বিশাল আকার নেয়।
ঝামেলা চলাকালীন স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মারধর করেন স্বামী হেমন্ত। রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন প্রতিভা। তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত হেমন্তকে।
অফিসে গিয়ে ধূমপান করায় জরিমানা এক ব্যক্তির। ঘটনায় জরিমানা ধার্য করল এক সরকারি সংস্থা। ওই ব্যক্তির থেকে জরিমানা করা হয়েছে ১.৪৪ মিলিয়ন ইয়েন, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এছাড়াও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর ছ’মাসের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে ১০ শতাংশ করও। ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের ওসাকায় এক সরকারি অফিসে।
জানা গিয়েছে, ধূমপান নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে জাপানের ওসাকায় কঠোর আইন রয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস, সংস্থা ও অফিস চত্বরে ধূমপান করা যাবে না। গত ১৪ বছর ধরে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মোট সাড়ে ৪ হাজার বার ধূমপান করেছেন। যার জেরেই এমন জরিমানা। ২০১৯ সালে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকও ৩ হাজার ৪০০ বার ধূমপান করায় তাঁকেও বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল।
জাপানের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওসাকার একটি সরকারি অফিসে কাজের ফাঁকে ধূমপান করতেন ওই ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সঙ্গী। অফিসের এইচআর (হিউম্যান রিসোর্সেস) থেকে বারবার সতর্ক করলেও কোনও কাজ হয়নি, তখন তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তারপরেও ওই তিন জন লুকিয়ে ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
২০২২র ডিসেম্বরে তিন জনকে ফের এইচআর তলব করলে সেখানেও তাঁরা মিথ্যা কথা বলেন। তবে এবার ধূমপান করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়তেই ‘শাস্তি’র ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই কর্মীকে ‘লোকাল পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট’-এ ‘কর্তব্যে নিষ্ঠার অভাব’-এর অভিযোগ এনে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও অফিসের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বেতনও কাটা হয়েছে।
হরিণ শিকার (Hunting) করে আবার তার মাংস দিয়ে বনভোজন (Picnic) করার অভিযোগ উঠল এক শিকারি দলের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে সেই বনভোজনের একটি ভিডিও পোস্ট করে পুলিস ও বন দফতরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে একদল শিকারি।
সোমবার সমাজমাধ্যমে এক নির্মম জীব হত্যার (Animals Kills) ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি হরিণ শিকার করে পরে সেটিকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর সেই হরিণের চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কেটে সেই মাংস দিয়েই আবার বনভোজনও করা হচ্ছে। ভিডিওটি দেখামাত্র প্রাথমিক তদন্তে পুলিস অনুমান করে জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে লুনি থানা এলাকার পান্নে সিংহ নগরের কালিজলের কাছাকাছি।
বন্যপ্রাণ সুরক্ষাকর্মী ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, জোধপুর-বারমের সীমানায় চোরাশিকারিদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। ০০৯ নামে একটি শিকারির দল কয়েকদিন ধরেই এই অঞ্চলে আসা যাওয়া করছিল। সেই শিকারির দলটিই এই হরিণ শিকার করছে এবং সেই দলেরই এক সদস্য ভবানী সিংহ সমাজমাধ্যমে এই ভিডিওটি প্রকাশ করে পুলিসকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে দ্য বিষ্ণোই টাইগার ফোর্স। তারা পুলিস কমিশনার, ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। বন্যজীব বাঁচানোর জন্য ওই অঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি করেন। ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। বিষ্ণোই টাইগার ফোর্সের প্রধান রাম পাল ভাওয়ার বলেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।