খড়গপুরে আন্তঃরাজ্য মাদক চক্রের হদিশ। মাদক পাচারকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিশাখাপত্তনম পুলিস। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ বিশাখাপত্তনমের একটি রেস্তোরাঁ থেকে চার মাদক সেবনকারীকে গ্রেফতার করে বিশাখাপত্তনম পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। তাদের থেকে উদ্ধার হয় ৯৪ অ্যাম্পিউল নিষিদ্ধ মাদক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মিলেছে মাদক সরবরাহকারীর।
বিশাখাপত্তনম পুলিস জানতে পারে, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সরবরাহ করা হয় খড়গপুর শহর থেকে। নাম উঠে আসে খড়গপুর শহরের একটি ওষুধ দোকানের মালিকের ছেলের। এরপরই রেল শহরের মালঞ্চ এলাকায় বৃহস্পতিবার হানা দেয় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় অনুপম অধিকারী নামে ওই ব্যক্তিকে। শুক্রবার দুপুরে ধৃতকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে বিশাখাপত্তনম নিয়ে যায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। NDPS আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত এই ব্যক্তির সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রেরও যোগ থাকতে পারে।
আইনজীবীর মতানুসারে, ধৃত অনুপম অধিকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
খড়গপুরে (Kharagpur Incident) রাতের অন্ধকারে গরু চুরি (Cow Smuggling) করতে এসে স্থানীয়দের হাতে আটক একটি পিকআপ ভ্যান-সহ ৪ গরু চোর। সোমবার গভীর রাতে খড়গপুর এক নম্বর ব্লকের জীনশহর এলাকায় গরু চুরি করে পালানোর সময় অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন এলাকাবাসী। এভাবে রাতের অন্ধকারে গরু চোর ধরা পড়ায় এলাকায় সকাল পর্যন্ত ছিল ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, গরু চোরদের আটকে রেখে খড়গপুর লোকাল থানায় (Police) খবর দেওয়া হয়।
পুলিস ভোররাতে এসে অভিযুক্ত-সহ পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, পিকআপ ভ্যানটি থেকে মোট ১২টি গরু ও ধৃতদের কাছ থেকে ছেনী, হাঁতুড়ি, ভোজালি এবং ছুরি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, দক্ষিণের খড়গপুরের পাশাপাশি উত্তরের নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্ততে এসএসবি লাগাতার অভিযানে গরু পাচারের আগেই হাতেনাতে এক পাচারকারী-সহ ৩টি গরু আটক হয়েছে।
মঙ্গলবার ওই ৩টি গরুকে আটক করে নকশালবাড়ির বড়মনিরাম জোত এসএসবি-র ৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। এসএসবি সূত্রে খবর, নেপাল থেকে ভারতে আসার সময় কোনও বৈধ নথি না থাকায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় ধৃত মহম্মদ নজরুলকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হলে পুলিস শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে। অপরদিকে উদ্ধার ৩টি গরুকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার পর খোয়াড়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
এই মুহূর্তে শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walker) হত্যার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু সেই রেশ চলতে না চলতেই ফের প্রেমিকা হত্যার ঘটনা। তবে এবার সেই ঘটনাস্থল খোদ বাংলায় (West Bengal)। প্রেমের টানে নিজেদের ঘর ছেড়েছিলেন এই জুটি। বসত গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে, বড় রাস্তা পেরিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় তাঁরা বেঁধেছিলেন নিজেদের ভালবাসার ঘর। এত দূর পর্যন্ত গল্পটা এগোচ্ছিল বেশ সুন্দর। কিন্তু সব ভালো যার শেষ ভাল, এই কথা মিথ্যে করে গল্পের শেষ পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। খড়্গপুর (Kharagpur) এলাকার কাছে গ্রামের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতে প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযুক্ত তরুণ সিংয়ের হাবভাব খুব একটা ভাল ঠেকছিল না গ্রামবাসীদের। সন্দেহ হওয়ায় সোমবার প্রথম স্থানীয়রা টের পান বিষয়টি। সেই মতো খবর দেওয়া হয় খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্য সন্ধান করেন তদন্তকারীরা। মাটির তোলা থেকে উদ্ধার হয় যুবতী পবিত্রা সিংয়ের মৃতদেহ। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটির নিচ থেকে দেহ তোলা হয়। আর এরপরেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিক তরুণকে। তবে তার দাবি খুন সে করেনি, কিন্তু দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা সে স্বীকার করেছে।
তবে এই ভালবাসার সম্পর্কের এই করুন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। আর তাই গ্রামাসীদের দাবি, এই নৃশংস ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
খড়গপুর IIT-র ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Student Death) মামলায় রাজ্যের জমা দেয়া রিপোর্টে উল্লেখ আত্মহত্যার প্রসঙ্গ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন IIT ক্যাম্পাসের র্যাগিং (Ragging) নিয়ে। এই বিষয়ে প্রথিতযশা এই কলেজকে সতর্ক হওয়ার বার্তা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার আদালত জানতে চেয়েছে, আইআইটি খড়গপুর র্যাগিং প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ। আগামী সোমবার দিতে হবে রিপোর্ট। পাশাপাশি পুলিসকেও দিতে হবে রিপোর্ট। ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।
এদিন শুনানিতে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ, র্যাগিং করা হতো অসমের ওই পড়ুয়াকে। একাধিকবার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এমনকি, সেই দাবির প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পত্র এদিন বিচারপতির কাছে জমা দেয় পরিবার। যদিও রাজ্যের তরফে এদিন পুলিস সুপারের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এমনকি ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। এই দাবিও আদালতে করেছে রাজ্য।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতির মন্তব্য, এসপি রিপোর্ট কাউকে দেখানো যাবে না। আবেদনকারীপক্ষকেও না। তিনি জানান, আমি বুঝতে পারছি না কলেজগুলো কেন কলেজ র্যাগিং নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। এটা এক্রা সামাজিক ব্যাধি। কলেজকেই র্যাগিং প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, 'আমি রিপোর্ট দেখে বুঝলাম ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। তবে আমি চাই কলেজগুলো থেকে র্যাগিং একেবারে নির্মূল হোক।'
হাওড়া (Howrah) থেকে খড়গপুর (Kharagpur) ব্যস্ততম রেললাইন, সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় বসে একজন। বাবাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছে মেয়ে। স্থানীয়রা ছুটি যেতেই অন্ধকার রেললাইন (railway line) বরাবর কিছুটা যেতেই উদ্ধার হল বাবার দলা পাকানো দেহ। শুক্রবার রাতে ডেবরা (Debra) বালিচকের স্টেশনে অদূরে রঘুনাথপুরে (Raghunathpur) এই মর্মান্তিক ঘটনার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বছর ৫৫ এর কমল সেন নামে এক বালিচক বাসিন্দার মৃতদেহ। তাঁর মৃতদেহের অদুরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে বাঁচানোর আর্তি জানাচ্ছিলেন মেয়ে দেবলীনা সেন। কলেজ ছাত্রী বছর কুড়ি ওই তরুণীর শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিসের ধারণা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ওই তরুণীকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দেবলীনার চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। তারপর তরুণীর কথামতোই কিছুদূর গিয়ে খুঁজে পায় ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পৌঁছয় ডেবরা থানার পুলিস। যদিও রেল লাইনের ঘটনাটি ঘটায় রেল পুলিসের অধীনে এই তদন্ত বলে জানায় পুলিস।
এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জখম ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে ডেবরা হাসপাতাল এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সমস্ত ঘটনার খোঁজ শুরু করেছে রেল পুলিস ও ডেবরা থানার পুলিস। কে বা কারা আক্রমণ চালাল? নাকি স্বাভাবিক দুর্ঘটনাই এটি সেই ধন্দেই এখন রয়েছেন সকলে।