মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer Survivor) হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden)। তারপরেই ঘোষণা ক্যান্সারমুক্ত ইউএস প্রেসিডেন্ট (US President)। শুক্রবার একথা জানান বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কেভিন ও কোনর। তিনি জানান, বুকের ভিতর একটি মাংসপিন্ডের বায়োপসি রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্কটরোগে আক্রান্ত। তারপরই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অশীতিপর প্রেসিডেন্টের বুক থেকে চামড়ার একাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়েছে। এখনও চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন। বাইডেনের চিকিৎসক এ-ও জানান, অন্য প্রাণঘাতী ক্যানসারের মতো প্রেসিডেন্টের শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছিল, বাইডেনের বয়স।
শিয়রে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine War) যুদ্ধের বর্ষপূর্তি। এই আবহে বন্ধুর পাশে থাকতে কিভ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ইউক্রেনে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, তখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Vladimir Putin)। মঙ্গলবার পুতিন বলেন, 'আমি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি, কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসছে।'
কৌশলগত ভাবে পরমাণু অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে এই চুক্তি। কিন্তু রাশিয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উস্কে দিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২০১০-এ বারাক ওবামার আমলে, মস্কোর সঙ্গে ওই চুক্তি সই হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বাইডেন সরকারের বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়ে দেন, এই চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এবার একতরফা ভাবে সেই চুক্তি ভাঙার কথা ঘোষণা করলেন পুতিন।
শিয়রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি, তার আগে কিভ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Biden at Kyiv)। পূর্ব ইউরোপে মার্কিনীদের অন্যতম কূটনৈতিক শরিক ইউক্রেন। তাই রাশিয়ার আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির আগে বন্ধুকে পাশে থাকার বার্তা দিতেই ইউএস প্রেসিডেন্টের এই ইউক্রেন সফর। এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। হোয়াইট হাউসের তরফে খবর, বাইডেনের এই সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Voladimir Zelenskye) সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রুশ হামলা ঠেকাতে সামরিক সহায়তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
এযাবৎকাল ঘুরপথে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিয়ে এসেছে আমেরিকা এবং ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। যদিও যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে বাখমুট-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহর ঘিরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে পুতিন বাহিনী। মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতেই পুতিন সেনার এই সক্রিয়তা বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির আবেদনের সাড়া দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পশ্চিমী দেশগুলো নিজেদের জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। রুশ হামলা ব্যর্থ করার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্য হয়েছেন।
সূত্রের খবর, ইউক্রেনের মাটি থেকে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন। বাইডেনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে জ়েলেনস্কি জানান, রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আসন্ন গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) আমেরিকা (America) সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমনটাই খবর এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে। সেই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অফিস সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রত্যাশিত আমেরিকা সফর নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় দেশের আমলারা দুই বিশ্ব নেতার সাক্ষাতের জন্য সুবিধাজনক তারিখ স্থির করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রণটি এমন সময় এসেছে যখন ভারতের সভাপতিত্বে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। সেই সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন অন্যতম। এই আবহে বাইডেনের তরফে মোদীকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দুই পক্ষের আধিকারিকরা জুন এবং জুলাইয়ের উপযুক্ত তারিখগুলি খুঁজছেন যখন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ এবং সেনেট উভয় অধিবেশনে থাকবে না। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সঙ্গে শেষ দেখা করেছিলেন। বৈঠকে, দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবস্থা পর্যালোচনা করেছিলেন এবং আঞ্চলিক-সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরে আমেরিকা সফরে গেলে সেটি হবে বাইডেনের শাসনকালে তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা সফর। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী।