Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Job

High Court: রাজ্যে জব কার্ড দুর্নীতির তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

রাজ্যে জব কার্ড দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন হাইকোর্টের। কেন্দ্র, রাজ্য ও সিএজির তরফে ১ জন করে প্রতিনিধি এবং অ্যাকাউনটেন্ট জেনারেলের তরফে ১ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিযেছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। 

কেন্দ্র ও রাজ্যকে যত দ্রুত সম্ভব এই আধিকারিকদের নাম জানাতে হবে আদালতে। তারা গোটা রাজ্যে ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে আদালতে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মমলার ফের শুনানি। এই মামলায় এদিন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন- ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে যাতে নতুন করে কাজ চালু হয় তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে সজাগ থাকতে হবে।

খেত মজদুর সংগঠনের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আমরা শ্রমিক। আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা। আমরা কাজের আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কাজ পাইনি। কেন্দ্র বা রাজ্য কারা দায়িত্ব নেবে সেটা তারাই ভাবুক। কিন্তু তাদের দায়িত্ব শ্রমিকদের জন্য কাজ ও উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করা। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি কী? যতই দুর্নীতি বা যা কিছু থাক। যারা প্রকৃত অভাবী তাদের জন্য কি করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে?

২০২১ সালে কেন্দ্রের একটি টিম এসেছিল মালদা এবং পাহাড়ে। তখন তারা জানিয়েছিল, জব কার্ড নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। ২০২৩ সালে কলকাতায় ১৫ টি টিম আসে। তারা ফিরে যাওয়ার পর রাজ্যের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায়। রাজ্যের তরফে সেগুলো পাঠানো হয়। তারপরে নতুন আর টাকা দেয়নি কেন্দ্র। একাধিক বার কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে নতুন করে এই প্রকল্প চালু করা হয়। নথি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।

বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতের কাছে আবেদন করেন, জব কার্ড দুর্নীতির জন্য তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করে এই পুরো বিষয়ের তদন্ত করার জন্য। সমস্ত সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দেন। এখন দেখার আদালতের এই নির্দেশের পর জব কার্ড দুর্নীতির মামলা কোন দিকে মোড় নেয়।

4 months ago
Agitation: আশ্বাস নয়, নিয়োগ চাই, কালি মেখে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের

নিয়োগ চাই মাননীয়া। চাই বঞ্চনার অবসান। এই দাবি যেন আজ শহরের খুব পরিচিত আন্দোলনের ভাষা। প্রায় রোজই প্রাপ্য চাকরি আদায়ের দাবিতে গর্জে উঠছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু মিলছে না কোনও সুরাহা। চোখ বুজিয়ে সিংহাসন আগলে বসে সরকার। আর জীবন বাজি রেখে রাজপথে দিন গুজরান হবু শিক্ষক-শিক্ষিকার। সরকারের হুঁশ ফেরাতে তাই বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগেই মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। আবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল বাংলা। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের ৫০০ তম দিনে মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ ২০১৪ প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু বাস্তবে এই কালি কি সত্যিই তাদের প্রাপ্য? নাকি আজ এই কালি দুর্নীতির প্রতীক,সরকারের অক্ষমতার প্রতি যে কালি জানায় ধিক্কার?

তবে যে রাজ্যের সরকার দাবি করে, এগিয়ে বাংলা সেই রাজ্যে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদ জানাতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। আর অন্যদিকে নিয়োগ দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটায় বিহার। 'এগিয়ে থাকা বাংলা' কেন পিছিয়ে বিহারের থেকেও? জবাব চান চাকরিপ্রার্থীরা।

কারোর সংসারে একমাত্র আশার আলো ছেলে, আজ চাকরির দাবিতে পড়ে রয়েছে রাজপথে। কারোর আবার ছোট্ট ছেলেটাকে বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন পথেই কাটাতে হচ্ছে দিন। নিয়োগযন্ত্রনার কাছে আজ যেন সব কিছুই ফিকে। তাই নিয়োগের জন্য লড়াইতে সামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও। সন্তান কোলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন এক চাকরিপ্রার্থী মাও।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটবাক্স ভরাতে আবারও সরকারের তরফে মিলবে ভুরি প্রতিশ্রুতি আর কিছু গালভরা আশ্বাস। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা সেসবে ভুলতে নারাজ। তাদের সাফ জবাব আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি নয়, চাই নিয়োগ। নিজেদের গায়ে চাবুক মেরে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের।

4 months ago
Job Seekers: ফের ধাক্কা রাজ্যের! চার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরই জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর আদালত

বড়দিনে জোর ধাক্কা রাজ্যের। জামিন পেলেন চার চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে প্রতিবাদ করায় ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়েছিল হাজতবাস। আদালতের রায়ে মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের অন্তর্বতী জামিন হওয়ার পর অবশেষে জামিন পেলেন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরাও। দু'হাজার টাকার বন্ডে শর্তশাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। তবে সহযোদ্ধা হলেও সেদিন তাঁরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।

নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন  ইন্টারভিউ বঞ্চিত ২০১৪ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু প্রতিবাদ শুরু হতেই চাকরিপ্রার্থীদের দিকে ধেয়ে আসে পুলিসি বাধা। গ্রেফতার করা হয় ৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে।তবে শনিবারই অন্তর্বর্তী জামিন পান ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু জামিন মেলেনি পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ঝুলছিল তাঁদের উপর। এরপর আজ সোমবার তাঁদের জামিন দিল আলিপুর আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ দেখানোর ফলে তাঁদের ফের পুলিসি হেফাজতে আবেদন করে রাজ্য পুলিস। কিন্তু এদিন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানান, 'কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও আবেদন পুলিসের নেই। তাই আমরা জামিন চাইছি।' এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, 'বিভিন্ন স্কুলে শূন্য পদ পরে রয়েছে। ইন্টারভিউয়ের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। মূলত এটা মহিলা চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ছিল। যে চারজন আছে জেলে। এদের দু'জনকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে এসেছে পুলিস। সিকিউরিটি ভাঙার কোনও বিষয় ছিল না। কিছুই রিকভারি হয়নি নতুন করে। আগের দিন ৫৫ জন জামিন পেয়েছেন। তাহলে এদের চার জনের কেন হবে না?' এরপরই তাঁদের ওই চার চাকরিপ্রার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

4 months ago


Protest: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হল আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের!

এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পৌঁছে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কালীঘাটে। শুক্রবার চাকরির দাবিতে আন্দোলন এবার কার্যত পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। অন্তত আধঘণ্টা পুলিস-চাকরীপ্রার্থীর টানাপোড়েনে শীতের শহরের উত্তাপ বাড়ল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদ ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিচে অবস্থানে থাকা চাকরীপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়। এতেই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ ৫৫৫ দিন ধরে অবস্থানে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউতে পাশ করার পরেও এখনও নিয়োগ অধরা। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। এরই পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হোক। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে না কেন? এই দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই এই বিক্ষোভ।

আবার বিক্ষোভস্থলে পুলিস বাধা দিলে চাকরিপ্রার্থীরা পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে সরানো হয় রাস্তা থেকে, তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা।

4 months ago
ED: জমির বদলে রেলের চাকরি! এবারে ইডির তলব বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ ও পুত্র তেজস্বী যাদবকে

এবারে ইডির তলব বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বী যাদব বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জমি দিয়ে রেলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার তলব করেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর দ্বিতীয় পুত্র তেজস্বীকে।

এই মামলায় এর আগেই বাবা ও ছেলেকে জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বেআইনি পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদকে শুক্রবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর এবং তেজস্বীকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিল্লির ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থাটি। বর্তমানে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ জামিনে মুক্ত। তাঁর জামিন খারিজ করে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর সিবিআই। তারা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। এরই মাঝে ফের বিপাকে আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর ছেলে।

4 months ago


Fraud: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, আদালতে সরব প্রতারিত ব্য়ক্তি...

শিক্ষা, রেশনের পর এবার একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। গোটা বিষয় এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, একশো দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে চলতি মাসে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের নেতারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার আরটিআই করেন। সেই তথ্য হাতে আসার পর ব্যাপক বেনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে বলে অভিযোগ। 

যেমন মাধবপুরের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ। তাঁর দাবি, তাঁর জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি জানতেন না। এমনকি সেই জবকার্ডে কয়েক দফায় টাকাও তোলা হয়েছে। অভিযোগ, সেই টাকা তুলেছেন মন্টু ঘোষ নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দা। তিনি আবার পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর আদালতে যান বঞ্চিত মন্টু ঘোষ। তারপর আদালত মন্দিরবাজার থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন। 

অভিযুক্ত মন্টু ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‌আমি পঞ্চায়েতে ভ্যাকসিনের কাজ করে টাকা পেয়েছি। আমার কাছে কোনো জবকার্ড নেই। আমি কাজ করেছি তাই টাকা পেয়েছি।’‌ এই বিষয়ে মন্দিরবাজারের বিডিও মাসুদ রহমান জানান, এখনও পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের কাছে এই ধরনের লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে মন্দিরবাজার থানা।

5 months ago
Recruit: ২০১৬-তে কারা পেয়েছিলেন চাকরি? তালিকা প্রস্তুত করছে শিক্ষা দফতর

এবার রাজ্যে ২০১৬ সালের SLST- তে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি ২০১৬-র RLST-তে চাকরি পাওয়া গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের তালিকাও প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিটি জেলার ডিআইকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাল SSC। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে, তাঁদের স্কুলে কতজন ২০১৬-তে পাওয়া চাকুরিরত রয়েছেন তার তালিকা প্রস্তুত করতে। পাশাপাশি যাঁরা  স্কুলে থাকবেন না, তাঁদের বাড়িতেই পাঠাতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি, এমনটাই নির্দেশ শিক্ষা দফতরের।

৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে, ২০১৬-তে চাকরি পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ  দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এছাড়াও সোমবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট SI অফিস থেকে অন্যান্য নথি-সহ শিক্ষা দফতর দ্বারা জারি করা নোটিশ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুল এবং সংশ্লিষ্ট অফিসকে তাদের নোটিস বোর্ডে ওই 'পাবলিক নোটিস' প্রদর্শন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ওই দিনই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অন্যান্য নথির সাথে নোটিশ প্রদান করবেন প্রধান শিক্ষক, এমনটাই নিদের্শ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। পাশাপাশি ওই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা শিক্ষককে ই-মেলও করা হবে এবং প্রমাণও রাখা হবে ওই বিজ্ঞপ্তির, এমনটাই  সূত্রের খবর। সবশেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরওয়ার্ডিং লেটার-সহ ওই বিজ্ঞপ্তি পরিষেবার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে  সংশ্লিষ্ট এসআই অফিসে। তবে এক্ষেত্রে ২০১৬-র SLST এবং RLST-তে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির মধ্যে কেউ পদত্যাগ করে থাকলে বা কারও মৃত্যু হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে না বলেই সূত্রের খবর।

তবে এই তালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে।

5 months ago
Recruitment: চাকরির দাবিতে হাজার দিন, মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ রাজপথে

১০০০ দিনে পড়ল আন্দোলন। প্রতিদিন মেয়ো রোডের ধরনামঞ্চে ধরনা দিচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থীরা। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাকর্তারা জেলবন্দি হলেও, বঞ্চনার শেষ কোথায়, তা এখনও বুঝতে পারছেন না বহু চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের জটিলতা কাটেনি এখনও। শনিবার আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়। মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানালেন এসএলএসটি মহিলা ও পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা। ১০০০ দিনের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও একজন প্রতিবাদকারী মাথার চুল কেটে ফেলেন ধরনা মঞ্চেই।

প্রতিবাদী মহিলা চাকরিপ্রার্থী জানান, “যন্ত্রণার হাজার দিনে আর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে মাথা ন্যাড়াকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কী কী করলে আমরা চাকরি পাবো? আশা করব  আমাদের এই দুঃখ, যন্ত্রণাময় জীবন এবং আমাদের এই কান্না মুখ্যমন্ত্রীকে স্পর্শ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ নেন, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আমরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি। সংসার ছেড়ে ধরনামঞ্চে বসে আছি। পাচ্ছি না কিছুই।” অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরনামঞ্চে আসার দাবিও জানান এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে  নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকেই। যার নেপথ্যে বিপুল দুর্নীতি বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। নিয়োগের দাবিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে এক হাজার দিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও মুখে কালি মেখে, আবার কখনও খালি গায়ে প্রতিবাদে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। হকের চাকরির দাবিতে  এবার মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের।চাকরিপ্রার্থীদের এই দীর্ঘ আন্দোলনের নজির ভূ-ভারতে বিরল। হয়তো আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে পারে এই আন্দোলন। তবে এ যে ছবি লজ্জার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

5 months ago


Saltlake: বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, এই চক্রে এবারে গ্রেফতার মূল পান্ডা

বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে প্রতারণার করার অভিযোগে এবারে গ্রেফতার এই চক্রের মূল পান্ডাকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সল্টলেকের। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পান্ডার নাম সুশান্ত নায়েক, রানাঘাটের বাসিন্দা।

পুলিস সূত্রে খবর, গত ২২ মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ফ্রড কন্টাইনমেন্ট এন্ড মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের হেড মেহুল হাসমুখ লাল ঠাক্কার বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের এক কাস্টমার ইপ্সিতা ভট্টাচার্য ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে একটি অভিযোগ করেন। যেখানে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তিনি shine.com নামের একটি ওয়েবসাইটে চাকরির সন্ধান পান। এর পর সেখানে তাঁর সিভি জমা করেন এবং তার কিছুদিন পরেই সেই ওয়েবসাইটের তরফ থেকে তাঁকে মেইল মারফত জানানো হয় বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়ে। সেই চাকরির জন্য তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে। তিনি সেই মোতাবেক সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় এবং তাঁর কাছে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ও বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে ওই চাকরিপ্রার্থী এক লক্ষ বাইশ হাজার টাকা সেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। তার পরিবর্তে প্রতারক দল তাকে ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং ফেক অফার লেটার পর্যন্ত দেয়।

বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, শুধু অফার লেটার বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ভুয়ো নয় তারা যে মেইল আইডি ব্যবহার করে মেইল করছে সেটিও ভুয়ো। এর পর পুলিস তদন্তে নামে ও এর আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মূল পান্ডার খোঁজ পায় পুলিস। তার পরেই মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে এবং পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।

6 months ago
Letter: 'হিসাব চাই,' ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে অভিষেকের চিঠির উত্তর দিল কেন্দ্র

১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিও দিয়েছিলেন। সেই চিঠি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, অবশেষে ওই চিঠির জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো জবাবি চিঠির বিষয়টি জানান তিনি। ইতিমধ্যে ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যদিও ওই চিঠিতে ঠিক কী বলা হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি রাজ্যপাল। 

কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে প্রথমে দিল্লিতে ধরনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কলকাতাতে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন তিনি। অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি।

6 months ago


Mamata: ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার

১০০ দিনের কাজের বকেয়া না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ নভেম্বর বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপের।

নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর ফের পঞ্চায়েত, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ব্লক প্রেসিডেন্ট, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে মিটিং করবেন তিনি। বেলা ১২টার সময় বৈঠক হবে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দিলে আন্দোলন বৃহত্তম পর্যায়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।

6 months ago
Balu: চাকরি দিয়েছিলেন বাড়ির পুরোনো ভৃত্যকেও, বালুর কীর্তিতে হতবাক ইডিও

প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘সুপারিশ’-এ সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন তাঁর বাড়ির পুরনো পরিচারক। এমনকি, ‘দুর্নীতি’-র টাকা লেনদেন হয়েছে এমন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন ওই পরিচারকের মা এবং স্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রায় ২০ ঘণ্টা জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাতেই এই তথ্য জেনেছে বলে দাবি ইডির।

ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়ের পরিচারকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৭ বছর ধরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কাজ করছেন তিনি। এখন তিনি কৃষি দফতরের গ্রুপ ডি কর্মী। পরিচারক জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়ের ‘সুপারিশ’-এ ওই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এই দাবি করেছে ইডি।

ইডির আরও দাবি, ওই পরিচারক জানিয়েছেন, ‘দুর্নীতি’র টাকা লেনদেন হয়েছে, এমন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুকন্যা দাস এবং মা মমতা দাস। তিনি ইডিকে এ-ও জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়ের নির্দেশেই তাঁদের ওই সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল।

ইডি সূত্রে খবর, ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে তিনটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই তিনটি সংস্থার মাধ্যমে ‘কালো টাকা’ লেনদেন হয়েছে। তিন জনেই ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ খারিজ করেন। যদিও বাড়িতে তল্লাশির সময় ওই তিন সংস্থার স্ট্যাম্প উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে বলে দাবি ইডির। সহযোগীরা দাবি করেছেন, ওই তিন সংস্থার মালিকানা রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়ের হাতে। ইডির দাবি, তাঁরই নির্দেশে এই সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল পরিচারকের স্ত্রী এবং মাকে।

বৃহস্পতিবার সকালে জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি। নাগেরবাজারে তাঁর পৈতৃক ভিটে এবং আপ্তসহায়ক অমিত দের দু’টি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চলে। অভিযোগ, বিভিন্ন রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করে কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্যমূল্যের রেশন সামগ্রী বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় যখন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী, তখন এই ‘দুর্নীতি’ হয়েছে। ব্যাবসায়ী বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। তারই তদন্তে নেমেছে ইডি। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়।

6 months ago
Mamata: ফের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর! বড় নিয়োগ হতে চলেছে শিক্ষক-পুলিসে

আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি তবে হাসি ফুটবে?

স্পেন সফর সেরে ফেরার পর পায়ে আঘাতের কারণে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বদলে তাঁর বাড়ি থেকেই সারছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল, যার মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ ৩৬০০ মহিলা নিয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে এবার প্রকাশও করা হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই সূত্রের খবর।  আবার পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।

এর আগেও নবান্ন থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা এখনও প্রতিশ্রুতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে ফের একবার প্রতিশ্রুতি, যা কী সত্যিই হাসি ফোটাবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে, নাকি অন্যান্য বারের মত দুস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

7 months ago


Agitation: নিয়োগ না হলে পুজো মন্ডপে বিক্ষোভ প্রদর্শন! হুঁশিয়ারি প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের

পুজো আসে, পুজো যায়। কিন্তু অধরাই থাকে নিয়োগ। ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) পরীক্ষার পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। কিন্তু তার পরেও হয়নি নিয়োগ। ফলে নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। পুজোর আগে দাবি পূরণ না হলে পুজো মণ্ডপগুলিতে গিয়ে সরব হবেন নিয়োগের দাবিতে, হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের।

সময়কাল ২০০৯ থেকে ২০২৩। দীর্ঘ ১৪ বছর তাঁদের মেলেনি নিয়োগ। চরম বঞ্চনা নিয়েই দিন গুজরান ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের। কখনও বাণিজ্যিক সম্মেলনে বিদেশে পাড়ি, আবার কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য সরকার পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনা নিয়ে ভাবার ফুরসত হয়নি তাঁদের। ফলে বাধ্য হয়েই নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভোর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। পরিস্থিতি খতিয়ে বুধবার রাতেই বিক্ষোভ স্থল ঘুরে দেখলেন ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের মামলা করার কোনও ইচ্ছা নেই। তাঁরা শুধু যোগ্যতার মূল্য ফিরে পেতে চান। বিক্রি হয়ে যাওয়া চাকরি ফিরে পেতে চান তাঁরা পুজোর আগেই। দাবি পূরণ না হলে অব্যাহত থাকবে আন্দোলন। আগামী দিনে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতিকেও জমা দেবেন ডেপুটেশন। আপাতত ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোন বার্তা নিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।

7 months ago
Upper Primary: আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে

পুজোর আগেই আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁদের নিয়োগের দাবিতে। এদিনও কিছু ব্যতিক্রম হল না। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের সময়ই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। নইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে। শুধুমাত্র করুণাময়ীতে নয়, কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।

২০১৫ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হলেও নিয়োগ এখনও অধরা। নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে প্রতিবাদে সরব চাকরির প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের হাতে ঘট ও গঙ্গাজল নিয়ে এক অভিনব উপায়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগে নিয়োগ-কাউন্সিলিং-এর নোটিস দিতে হবে, নইলে এই আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে। তবে এদিন তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

করুণাময়ীর পাশাপাশি এদিন কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা। কালীঘাট থানার পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর তাঁদেরও টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। 

7 months ago