ফের ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। রবিবার ছুটির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) ও আশেপাশের এলাকাগুলি। রিখটার স্কেলে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এখনও অবধি কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি বা নিহতের খোঁজ মেলেনি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু অংশও কেঁপেছে। চণ্ডীগড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল দেশ নয়, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে রবিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৫.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবার সকালেই জম্মুর (Jammu) রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে সন্ত্রাসদমন (Crime Control) অভিযানে সেনা জওয়ানদের (Army) লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জন সেনা আধিকারিকের। পরে আরও তিন জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে আছেন দার্জিলিঙের বিজনবাড়ির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত ছেত্রীও। গোপন সূত্রে জঙ্গিদের আনাগোনার খবর পেয়ে কাশ্মীরের বারামুলায় যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিসের একটি দল। শনিবার সকালে সেই যৌথ অভিযানেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক লস্কর জঙ্গির।
বারামুলা জেলার কারহামা কুঞ্জর এলাকায় শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় সন্ত্রাসদমন অভিযান। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলতেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। দীর্ঘ লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই লস্কর জঙ্গির। বাকিরা পালিয়ে যায়। তাদের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সেনা সূত্রে। সেনার ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনীও।
২০১৯-র পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। লোকসভা ভোটের আগে সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধী অস্ত্রে শান দিচ্ছে কংগ্রেস। এবার সেই প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে সিবিআই নোটিস। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য রিলায়েন্স বিমা মামলা নিয়ে তাঁকে আগামী ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সেই মর্মেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এক সংবাদ সংস্থাকে সত্যপাল জানিয়েছেন, সিবিআই তাঁকে এজেন্সির আকবর রোডের অতিথিশালায় আসতে বলেছে। তদন্তকারী সংস্থা কিছু বিষয়ে তাঁর খোলসা বক্তব্য চায়। যদিও এই সিবিআই তলবকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে একটি ট্যুইটও করেছেন জাতীয় কংগ্রেস।
সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল (Viral) হচ্ছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক খুদে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) এক অনুরোধ করছে। তবে কী নিয়ে সেই আর্জি, তা জালনে অবাক হবেন আপনি। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & kashmir) কাঠুয়ার এক খুদে, সীরত নাজ একটি স্কুল বানিয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এই দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে নেটদুনিয়া।
স্কুলের চেয়ার-টেবিলের অবস্থা ভালো না, তাদের বসার জন্য নেই বেঞ্চ, মেঝে ভাঙা-নোংরা, তবুও তাদের সেখানেই নোংরার মধ্যে বসতে হয়। শৌচালয়ের অবস্থাও খারাপ, ভেঙে গিয়েছে আবার নোংরাও। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে একটি ভালো স্কুল বানিয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি করেছে সীরত। তাকে প্রথমেই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, 'মোদিজি আপনি পুরো দেশের কথা শোনেন, এবারে আমার কথাও শুনতে হবে।' এরপর সীরত ভিডিও করে পুরো স্কুল ঘুরিয়ে দেখিয়ে বলেছে, সে একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। কিন্তু এই স্কুলের খুবই বাজে অবস্থা। বসার বেঞ্চ নেই, তাই নীচে নোংরা ও ভাঙা মেঝেতে বসতে হয়। এর ফলে তাদের স্কুলের ইউনিফর্ম নোংরা হয়ে যায় ও মা তাদের বকাবকি করেন। শৌচালয়েরও নাজেহাল পরিস্থিতি, নোংরা-ভাঙা। আবার স্কুলের পাশে একটি নোংরা বিল্ডিং গত ৫ বছর ধরে পড়ে রয়েছে।
এসব সীরত ভিডিও করে দেখানোর পর বলেছে, 'প্লিজ আপনাকে অনুরোধ করছি। আমাদের জন্য একটি ভালো স্কুল বানিয়ে দিন। যেখানে আমাদের নীচে বসতে হবে না, ড্রেসও নোংরা হবে না আর মাও বকাবকি করবেন না।' এই সাহসী মেয়েকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, 'প্লিজ মোদীজি আমার কথাও শুনুন। একটি ভালো পরিকাঠামো যুক্ত স্কুল বানিয়ে দিন।'
এই ভিডিওটি একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এতে ২০ লক্ষের বেশি ভিউ ও ১ লক্ষের বেশি লাইক এসেছে। সীরত এত ছোট বয়সে এমন সাহস নিয়ে তার স্কুলের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলায় নেটিজেনরা তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তবে সীরতের এই কাতর আর্জি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে কিনা, তা জানতে বেশ উৎসুক নেট নাগরিকরা। তাঁরাও চান যাতে এই ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যায় ও নরেন্দ্র মোদী এই একরত্তির আবেদনে সাড়া দিয়ে যেন এক পদক্ষেপ নেন।
জোরালো বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল আন্তর্জাতিক সীমান্ত। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় সানিয়ালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশ্মীর পুলিস এবং সেনাবাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের ডিজি মুকেশ সিংহ। স্থানীয়দের দাবি, ড্রোনে করে সীমান্তের ওপার থেকে আইইডি পাচার করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরক নীচে পড়ে গিয়ে ফেটে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সানিয়াল গ্রামের এক বাসিন্দা রামলাল কালিয়া বলেন, 'রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিকট একটা শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন বাইরে। জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে আওয়াজ এলো তা বোঝা যাচ্ছিল না। বিস্ফোরণ হয়েছে অনুমান করা হচ্ছিল। একটি চাষের জমিতে বিস্ফোরণ হওয়ায় বিশাল বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।'
কাঠুয়ার এসএসপি শিবদীপ সিংহ জামওয়াল জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তল্লাশি চলছে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন আনাতে চলেছে চন্দ্রভাগা নদীর উপর নির্মিত চেনাব ব্রিজ (Bridge), ঘোষণা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnav)। রবিবার রেলমন্ত্রী বলেন, কেবল পর্যটকদের জন্য়ই এই সেতু নয়, এর মাধ্য়মে জম্মু-কাশ্মীরের আপেল,শুকনো ফল (Dry Fruits), জাফরন ছাড়াও নির্মাণ শিল্পের জন্য় দরকারি সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় পণ্য় কাশ্মীরে পৌঁছে দিতে নতুন রেললাইন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান, কাশ্মীরে পণ্য ওঠানামার জন্য নতুন চারটি গতিশক্তি টার্মিনাল নির্মাণ ছাড়াও বদগামে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রক্ষণাবেক্ষণের ডিপো তৈরির কথা। রেলকর্মীদের দাবি, ওই সেতু তৈরি হওয়ায় সংলগ্ন এলাকার ৭৩টি পাহাড়ি গ্রামের ১.৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জানা গিয়েছে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি বিস্ময়সেতুটি প্রায় ২৬৬ কিলোমিটার গতিবেগের বায়ুপ্রবাহ সহ্য় করতে পারে।
উল্লেখ্য়,ভৌগলিকভাবে অত্য়ন্ত প্রতিকূল পিরপঞ্জাল পর্বতশ্রেণীর মধ্য়ে ইউএসবিআরএল প্রকল্পের আওতায় জম্মুর রিয়াসি জেলার কৌরি ও বাক্কালের মধ্য়ে তৈরি হয়েছে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সেতু। যেহেতু ওই সেতুর দু’পাশে গিরিখাত রয়েছে, ফলে সেখানে পৌঁছতে সময় লেগেছে প্রায় ছ’বছর। খাড়া পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে ২৬ কিলোমিটার রাস্তা। আর সড়কপথে যাতায়াতের জন্য ৪০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খনন করেছে। সাধারণভাবে সেতুর উপর দিয়ে সর্বাধিক ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করল এক চিতাবাঘ (Leopard)। পাকিস্তান থেকে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করল সে। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সাম্বা জেলার রামগড় সাব সেক্টরের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে চিতাটি। তবে তাকে নিয়ে একটু বিপাকে পড়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা। তাই স্থানীয়দের সতর্ক করে দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফলে ভীতস্ত হয়ে আছে স্থানীয়রা।
#WATCH | A leopard was spotted entering Indian territory by crossing the International Border from Pakistan side in Ramgarh Sub Sector of Samba today around 7pm. Police issued an alert for the locals residing near the border.
— ANI (@ANI) March 18, 2023
(Source: BSF) pic.twitter.com/Zii349MdW4
পাক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গিরা। তবে এই বারের ছবিটা যেন একটু অন্যরকম। পাক সীমান্ত ছেড়ে চিতাবাঘটি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে কাঁটাতারের নীচ দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে চিতাটি। তারপরই পালিয়ে যায় জঙ্গলে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাল ভিডিওতে একজন লিখেছেন, ‘‘চিতাবাঘটিও আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছে না। সে দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না চিতাবাঘটি।’’
এক মহিলাকে খুনের (Murder) পর তাঁর দেহ টুকরো করে একাধিক জায়গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জম্মু-কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) বদগামের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে পুলিস(Police)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযুক্তর নাম শাবির। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, গত ৭ মার্চ কোচিং ক্লাসে গিয়েছিলেন তাঁর বোন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটার পরেও বাড়ি ফেরেনি। তাই ৮ই মার্চ থানায় গিয়ে একটা নিখোঁজ ডায়রিও করেন তিনি।
পুলিস জানিয়েছে, ৮ই মার্চ ওই মহিলার ভাই তনবীর আহমেদ খান থানায় একটি নিখোঁজ ডাযরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাঁদের মধ্যে বদগামের শাবিরও ছিলেন। তবে শাবিরের কথায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাঁকে আটক করে জেরা করে পুলিস। তখনই শাবির ওই মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিস আরও জানায়, ওই মহিলাকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহাংশ একাধিক জায়গায় পুঁতে দিয়েছিলেন শাবির। পরে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সেই জায়গাগুলি থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিস।
এই বিষয়ে এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সাবির বিবাহিত। কিন্তু ওই মহিলাকে কেন খুন করলেন, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) একটি সুগন্ধি বিস্ফোরকের বোতল-সহ এক সরকারি স্কুলশিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, জম্মুর (Jammu) রিয়াসী জেলার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক আরিফ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জম্মুর নারওয়াল সংলগ্ন এলাকায় ২১-শে জানুয়ারি যে জোড়া বিস্ফোরণে (Blast Incident) ৯ জন আহত হয়েছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই পুলিস আরিফকে গ্রেফতার করে। আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে যে বাসটির উপর হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছিল, সেই ঘটনাতেও যুক্ত ছিল আরিফ।
জম্মু কাশ্মীর পুলিস জানিয়েছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে এই প্রথম এরকম বিস্ফোরক উদ্ধার করা হল। সুগন্ধি বিস্ফোরকের বোতলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল,যা চাপা বা খোলার চেষ্টা করলে তা বিস্ফারিত হবে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সুপার দিলবাগ সিং বলেছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে আরিফের সম্পর্ক রয়েছে। আরিফকে জেরা করে আরও নানা বিষয় খতিয়ে দেখবে পুলিস।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ফের জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবার জোড়া বিস্ফোরণে (Explosion) কেঁপে উঠেছিল জম্মু। আটোঁসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। তার মাঝেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি তৃতীয় বার। এবার বিস্ফোরণস্থল জম্মুর সিদরার বাজালতা (Bajalta) এলাকায়।
শনিবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিস সূত্রে খবর, বালি ভরতি একটি ডাম্পার আটকান এক পুলিশ কর্মী। তখনই ডাম্পারের ইউরিয়া ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় যে পুলিসকর্মী ট্যাঙ্কটি আটকান তিনই জখম হন। তাঁর শরীরে সামান্য কিছু পোড়া আঘাত রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, আহত পুলিসের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। প্রাথমিক অনুমান, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। এর পিছনে বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে। নাগরোটা থানায় বিস্ফোরক আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নরওয়াল এলাকায় শনিবার সকালে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে ৯ জন জখম হয়েছিলেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। শনিবার যদিও পথে নামেনি। এর মাঝেই একের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। যার জেরে নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
২৬শে জানুয়ারীর আগে জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল জম্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রস্তুতির পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’—উভয় কারণে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মধ্যেও শনিবার জম্মুর নারওয়াল এলাকায় ঘটে এই দুই বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যা অন্তত ৯ জন।
পুলিস জানিয়েছে, শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত নারওয়ালের এই এলাকা। পাশাপাশি গাড়ি মেরামতির ও গাড়ির যন্ত্রাংশের অসংখ্য দোকান রয়েছে এলাকায়। ফলে দিনভর ব্যস্তই থাকে নারওয়াল বাজার। তাই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক এবং বোমা বিশেষজ্ঞেরা। জম্মু পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিং বলেন, ‘‘নারওয়ালের ট্রান্সপোর্ট নগরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে দু’টি গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ বর্তমানে এলাকাটি ঘিরে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে এলাকার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার নরেন্দ্র ভাটিয়ালি বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে এক জনের পেটে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কতখানি সুরক্ষিত সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir Encounter) বদগাম জেলায় মঙ্গলবার ভোরে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার ভোরে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয় ওই দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার বিষয়ে। দ্রুত একটি বাহিনী গঠন করে তাদের পাকড়াও করার কাজ শুরু হয়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন দুই জঙ্গি (Terrorist)। এরপর সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটি ঘিরে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য সীমান্ত পার করে ঢোকে জঙ্গিরা। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বদগাম জেলার কোর্ট কমপ্লেক্সের কাছে এনকাউন্টার হয়েছে। এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরের বালাকোটে একইভাবে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছিল দুই জঙ্গি। সেই থেকে উপত্যকার নিরাপত্তা অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারও প্রশাসন থেকে সন্দেহজনক এলাকায় তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও কোনও জঙ্গি ওই অঞ্চলে আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে যৌথ বাহিনী।
দেশব্যাপী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মেট্রো শহরগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার কাজ চলছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।
পুঞ্চের বালাকোট (Balakot) সেক্টরে রাতব্যাপী অভিযানে নিহত (Death) হয়েছেন দুই জঙ্গি (Terrorist)। শনিবার সন্ধ্যায় একজন প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈন্যরা বালাকোট সেক্টরে এলওসি বরাবর একটি সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুধতে পেরে গুলি চালান। বেগতিক বুঝে পাল্টা সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। সেনাদের গুলিতে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সীমান্তের ওপার থেকে এপারের জেহাদি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু সেনার নজরে পড়ে যাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেনা সূত্রের খবর, ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, আরও কোনো জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা জানার জন্য তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিন যখন সকলে আনন্দে মেতে ঠিক সেই সময়েই জঙ্গিদের গুলিতে এবং বিস্ফোরণে কাশ্মীরে হিন্দুদের মৃত্যু হয়। প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। এর পরপরই রাজৌরির ডাঙরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা চলে। জোড়া হামলায় মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন শিশুও ছিল। সেই হামলার পর কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে প্রায় ২ হাজার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ অভিযান চলছে জোর কদমে। প্রতিটি সন্দেহজনক এলাকায় চলছে তল্লাশি।
মোহভঙ্গ না রাজনৈতিক পরিসরে ভেসে থাকার চেষ্টা? ৫ মাস পর ফের পুরনো দল কংগ্রেসে (Congress) ফিরতে পারেন গুলাম নবী আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। গত অগাস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তোপ দেগে দলত্যাগ করেন আজাদ। তাঁর স্রোতে গা মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস (Congress) থেকে একে একে ইস্তফা দেন আজাদ ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা যোগ দেন আজাদ গঠিত ডিএপি বা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টিতে। কিন্তু পাঁচ মাসেই উলটপুরাণ! খানিকটা মোহভঙ্গ হওয়ায় এঁদের অনেকেই আবার কংগ্রেসে ফিরছেন তাঁরা। তাহলে কি উলটো স্রোতে ভেসে পুরনো দলের পতাকাই ফের হাতে তুলবেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) একদা মুখ্যমন্ত্রী? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছবে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তার আগে কংগ্রেসে ফিরবেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ-সহ একঝাঁক নেতা। পিরজাদা মহম্মদ সঈদ, মুজফ্ফর পেরারে, বলবান সিংহের মতো প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাও হাতে তুলে নিতে পারেন 'হাত'।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চল এককভাবে দখলে মরিয়া বিজেপি। লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই পিডিপি-এনসি-সহ আরও কয়েকটি দলের সম্মিলিত গুপকার জোট। কোনওভাবে গুপকার জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে এখন কোমর বাঁধছে কংগ্রেস।
এই কৌশল বাস্তবায়নের আগে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসে আজাদ ফিরলে, তাঁর অভিজ্ঞতা শতাব্দীপ্রাচীন দল কাজে লাগাবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বছরের শুরুতে রবিবার সন্ধ্যায় জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও রাজৌরিতে রবিবার জোড়া হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন আর গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জম্মুর হাসপাতালে।
ঘটনার পরও থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিস। জানা গিয়েছে,নিহতরা সতীশ কুমার (৪৫), দীপক কুমার (২৩), এবং প্রীতম লাল (৫৭) এবং শিব পাল। স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসপাতালে মারা যান শিব পাল।
আহতদের মধ্যে শিশু পাল (৩২), পবন কুমার (৩৮), রোহিত পণ্ডিত (২৭), সরোজ বালা (৩৫), রিধাম শর্মা (১৭) এবং পবন কুমার (৩২) রয়েছেন। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জম্মু শহরে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আহত এবং নিহত সকলেই ধর্মীয় সংখ্যাগুরু। পুলিস সূত্রের খবর, জঙ্গিরা যে এলাকায় আক্রমণ করে, সেই এলাকা সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত। ওই এলাকার তিনটি বাড়িতে হামলা চালায় দুই জঙ্গি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার একটি এসইউভি গাড়ি করে জঙ্গিরা ডাংরি গ্রামে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা আহতদের রাজৌরির সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিন রবিবার প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। তাতে ৬ জনের জখম হওয়ার খবর মেলে। এরপরই ডাংরি গ্রামে হামলা চলে।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকে রাজৌরি মেডিক্যাল কলেজের সামনে গ্রামবাসীরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। জঙ্গিবিরোধী স্লোগান তোলেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের প্রাণ সংশয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার, আরও কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান। তবে জোড়া হামলার পর দুই এলাকাতেই নিরাপত্তাবলয় আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।