জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক। স্থানীয় মসজিদে আজান দেওয়ার সময়ই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। বছর শেষে উৎসবের মরশুমে একের পর এক জঙ্গি হামলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভূস্বর্গে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিহত অবসরপ্রপ্ত পুলিস অফিসারের নাম মহম্মদ শাফি। তিনি পুলিসের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট। মসজিদে আজান দিতে এসেই তিনি আক্রান্ত হলেন। জঙ্গিদের গুলিতে হারালেন প্রাণ। এরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিস। গোটা এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হন দু'দিন আগেই। এদিকে এরপর এনকাউন্টারে তিন জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এই হামলাকারী জঙ্গিদের কাছে প্রচুর অস্ত্র ছিল বলে খবর। পুঞ্চের ঢেরা কি গলির থানামান্ডি-সুরানকোট এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে বলে বুধবারই খবর পেয়েছিল সেনা।
অবশেষে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ৩৭০ ধারা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ৩৭০ ধারা নিয়ে যে রায় দেওয়া হয়, তা অস্থায়ী কিন্তু অসাংবিধানিক নয়। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের সিদ্ধান্ত সঠিক, সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার রায়দানের সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক। এই সিদ্ধান্ত অক্ষত রাখা হয়েছে। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ নিয়ে রায় ঘোষণার মধ্যে কেন্দ্রকে এমনই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনের উপর রায় দেওয়ার সময় আরও জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, '৩৫৬ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে এই অধিকার আছে। এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। যখন থেকে কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সংযুক্তি ঘটিয়েছিলেন তখন থেকেই জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে নতুন কেন আইন লাগু হবে? ৩৭০ অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল।'
জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা জঙ্গির লড়াইয়ে নিকেশ পাঁচ জঙ্গি। বৃহস্পতিবার থেকে কুলগ্রামে জঙ্গি নিকেশ অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সেখানকার পুলিশ। শুক্রবার সেই লড়াইয়ে বড়সড় সাফল্য মিলল। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পাঁচ জঙ্গিই লস্কর-ই-তৈবা সদস্য বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কুলগ্রামে বেশ কয়েকজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপরেই ভারতীয় সেনা, পুলিশ এবং সিআরপিএফ একযোগে ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। এরপরেই শুরু হয় গুলির লড়াই। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। তখনই ৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর।
দীপাবলির আগে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা ডাল লেক। শনিবার ভোরে শ্রীনগরের এই টুরিস্ট হাবে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে ছাই কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। কাশ্মীরি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নৌকাগুলিতেও। আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৫টি হাউসবোট এবং তিনটি ঘর। তবে এই ঘটনায় এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।কীভাবে, ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্বাভাবিকভাবেই হাউসবোডে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পর্যটকদের মধ্যে। কারণ শীতের মরসুমেই পর্যটকরা ভিড় জমায় ভূ-স্বর্গে। বহু পর্যটকই ডাল লেকে হাউসবোটে থাকে। ঐতিহাসিক এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সেই কারণে ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
ফের উপত্যকায় জঙ্গি-নিধন অভিযানে সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে কাঁপল কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান অঞ্চল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে (Encounter) মৃত্যু হয় ২ জঙ্গির। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের জেলার আলশিপোরা অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের নিকেশ করতে শুরু হয় এনকাউন্টার। তাতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম দুই লস্কর জঙ্গি। নিহতদের নাম মরিফাত মকবুল, জাজিম ফারুক ওরফে আব্রার।
কাশ্মীরের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত আব্রার কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মা খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সঞ্জয়। গত মাস থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের ৩ জেলার ৭টি অঞ্চলে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
ভূস্বর্গের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে শ্রীনগরের (Srinagar) টিউলিপ গার্ডেন (Tulip Garden)। এবারে এই বিশালাকৃতির গার্ডেনই জায়গা করে নিল ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (লন্ডন) (World Book of Records)। শ্রীনগরের এই টিউলিপ গার্ডেন ডাল লেক ও জাবারওয়ান পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এটিই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান। এমন সৌন্দর্যে ভরা টিউলিপ গার্ডেন বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। ফলে এই বাগান জায়গা করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসে।
শ্রীনগরের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন প্রায় ৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই বাগানে প্রায় ৬৮ টি প্রজাতির টিউলিপ রয়েছে ও প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টিউলিপ রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বাগান দেখতে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষের মত পর্যটক আসেন। এই টিউলিপ গার্ডেন এই বিশেষ সম্মান দেওয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসের টিমকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই টিউলিপ গার্ডেন হলেও এখানে আরও বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয়। হায়াসিন্থস, ড্যাফোডিলস, মাসকারি, সাইক্লেমেনস নামের ফুলগুলি এই বাগানের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে নানা রংয়ের ফুল, এগুলোর সুগন্ধে ভরে ওঠে এই টিউলিপ গার্ডেন। এছাড়াও প্রতি বছর বসন্তের সময় এই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগানে টিউলিপ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। আর এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ভূস্বর্গের পর্যটন ব্যবসার পক্ষেও তা উপকারী হয়।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সকাল সকাল ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবারে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) গুলমার্গ (Gulmarg)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এরপরেও একাধিকবার আফটারশক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
Earthquake of Magnitude:5.2, Occurred on 05-08-2023, 08:36:01 IST, Lat: 35.46 & Long: 73.32, Depth: 129 Km ,Location: 184km NNW of Gulmarg, Jammu and Kashmir, India for more information Download the BhooKamp App https://t.co/SQhNSDHu45 @Dr_Mishra1966 @KirenRijiju @moesgoi pic.twitter.com/dd4GrwMnnD
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) August 5, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৮ টা ৩৬ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ট থেকে ১২৯ কিমি গভীরে। আর কম্পন অনুভূত হয়েছে গুলমার্গ থেকে প্রায় ১৮৪ কিমি দূরে। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেই আন্দামান ও নিকোবরে ভূমিকম্প হয়েছে। এবারে কেঁপে উঠল গুলমার্গের মাটিও।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে জুন মাস থেকে এখন অবধি ১২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১০ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন ডোডায় কম্পন অনুভূত হয়। সেসময় একাধিক বাড়ি, বিল্ডিং, রাস্তায় ফাটল দেখা যায়।
আবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়। সূত্রের খবর, গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান। তবে সেনাবাহিনী জঙ্গিদের ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এখনও চলছে গুলির লড়াই। নিরাপত্তাকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পান, কুলগামের হালান বনাঞ্চল এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সেনাবাহিনী, পুলিস যৌথ অভিযান শুরু করে।
বেগতিক বুঝে জঙ্গিরা নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে। প্রস্তুত ছিল সেনাও। পাল্টা জবাব দিতে থাকে। তখনই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিন সেনা জওয়ান। ওই এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের বাগে আনতে এখনও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ভারতীয় সেনার তরফে একটি টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘‘কুলগামের হালানের জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন জন কর্মী গুরুতর জখম হয়ে শহিদ হন। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।’’ প্রয়োজনে আরো সেনা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গুলির (Shot) লড়াই। সেনার এনকাউন্টারে নিহত (Death) পাঁচ জঙ্গি (Terrorist)। শুক্রবার ভোর রাতে কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময় নিরপত্তাবাহিনী এবং পুলিসের যৌথ গোলাগুলিতে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিস। এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমাগুন্ড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেনা এবং পুলিসের যৌথ দল। সেই সময়ই শুরু হয় গুলির লড়াই।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১৩ জুন, কুপওয়াড়া জেলার ডোবানর মাচাল এলাকায় সেনাবাহিনী এবং কুপওয়াড়া পুলিসের যৌথ অভিযানে অন্তত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
ফের কেঁপে উঠল (Earthquake) জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট নাগাদ শুরু হয় প্রথম কম্পন। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারবার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। মঙ্গলবার মাঝরাতে ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। বুধবার সকালে ৭ টা ৫৬ মিনিট নাগাদ আবার কম্পন শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। এমনকি এর উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। তার আধ ঘণ্টা পরেই সকাল ৮টা ২৯ মিনিট নাগাদ আবার চতুর্থ ভূমিকম্প অনুভূত হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর অনুভূত হওয়া এই ভূকম্পন স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে মানুষের মনে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, চতুর্থবার অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিশতওয়ারের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের জেরে ফাটল দেখা দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতে। এমনকি এই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত না হলেও আহত হয়েছেন চার জন।
কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য় পেল নিরপত্তা বাহিনী। যৌথবাহিনীর গুলি বর্ষণে নিহত দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার কূপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির (shot) লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, দোবানর এলাকার যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল।
কাশ্মীর উপত্য়কায় এর আগে বহুবার সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে জঙ্গিরা। তবে জঙ্গিদের হামলা চালানোর আগে থেকে সতর্ক সেনা সহ প্রশাসন। গত মাসে শ্রীনগরে জি২০ বৈঠকের আগে ধারাবাহিক ভাবে উপত্যকায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো পরিচিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি, ‘পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ ‘কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স’ নামে ‘অপরিচিত’ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলও হামলার কৃতিত্ব দাবি করে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়ায় দেখা মিলল একটি বিমানের (Plane) আকারের বেলুন। শনিবার সকালে দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সাদা এবং কালো রঙের ওই বেলুনে পাকিস্তান বিমান সংস্থার ‘পিআইএ’-র (PIA) নাম লেখা। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হীরানগরে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে বেলুনটি উদ্ধার করে। কোথা থেকে বিমানটি এল তা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে পড়েছে বেলুনটি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ‘রহস্যময়’ বেলুন উড়ে এসে পড়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিমলায় আপেলের একটি বাগান থেকেও এরকমই বিমানের আকৃতির সাদা-কালো বেলুন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তান বিমান সংস্থার নাম লেখা ছিল। এছাড়াও গত বছর অক্টোবর মাসে ‘আই লাভ পাকিস্তান’ লেখা একটি হলুদ রঙের বেলুন কাঠুয়া থেকেই উদ্ধার করেছিল পুলিস। সেখানে অবশ্য় ইংরাজি এবং উর্দু দু’ভাষাতেই লেখা ছিল।
সাতসকালে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus Accident)। মঙ্গলবার সকালে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় যাওয়ার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি বাস। জানা গিয়েছে, বাসটি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন সেই বাসটিতে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের ও আহত হয়েছেন প্রায় ৫৫ জন। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জম্মু এসএসপি চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিমি দূরে ঝাজ্বর কোটলি এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই বাসটি মূলত অমৃতসর থেকে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী যাচ্ছিল। সেসময়েই ঝাজ্বর কোটলি ব্রিজের উপর থেকে খাদে পড়ে যায় বাসটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাসটিতে যাত্রীসংখ্যা বেশি ছিল। আর যে ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।
জম্মু এসএসপি বলেছেন, 'এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। ঘটনাস্থলে এসডিআরআফ-এর টিম পৌঁছে গিয়েছিল। উদ্বারকার্য এখনও চলছে।' আরও জানা গিয়েছে, গুরুতর আহতদের জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও বাকিদের স্থানীয় হেলথ কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্মেন্ট মনোজ সিনহা।