ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার তো লক্ষণই নেই। এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি ইরানের। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যা এর আগে কখনও ব্যবহার করেনি এবার সেরকম অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইরান।
গত তিন দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ না করায় পাল্টা ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে ইরান। গত কয়েক মাস ধরে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপরে প্রথমে আক্রমণ শুরু করে। তারপরেই পাল্টা প্যালেস্তাইনে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ।
এদিকে ইজরায়েলকে বারবার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জও ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়নি তারা। গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তাই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। গতকাল থেকে লাগাতার ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে তারা ইরানের সব হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও আনতে পারেন তাঁরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতকানিয়াহু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে অশান্তি তৈরি হবে।
আশঙ্কা ছিল, হুমকিও ছিল হামলার। শনিবার গভীর রাতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালালো ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে, 'অপারেশন ট্রু প্রমিসে'র আওতায় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলের ওপর আছড়ে পড়ে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, ১৮৫টি টি একমুখী "আত্মঘাতী" ড্রোন, ১১০টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬টি ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইরানের তরফে। তবে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সেই হামলা অনেকটাই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করছে মার্কিন সেনারাও। ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বাজার শব্দ শোনা গিয়েছে। হামলার এই ঘটনায় ইজরায়েলের এক শিশু আহত হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরানের এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ লেবানন স্থিত ইরানের সেনাঘাঁটিতে জোরদার হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত আল-হাজ রাদওয়ান ফোর্সের একটি সামরিক কম্পাউন্ডে বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে খবর। ইজরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পরে IDF-এর তরফে এটাই প্রথম আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসের ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই হামলার জবাবেই ইরানের এই আক্রমণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো এবং হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
ইরান ও পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। তাই সেই প্রসঙ্গে এবার মন্তব্য় পেশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার হক। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় ইরান-পাকিস্তান সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর পাকিস্তানের বালুচিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাল্টা ইরানের সীমান্তে পাকিস্তানের হানায় পরিস্থিতি হয়ে উঠে উত্তপ্ত।
এরপর দুই দেশের অবনতি হয় খানিকটা। আবার নতুন করে যুদ্ধের সম্ভাবনা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ায়। তারপর পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ইরান বায়ুসেনারা মহড়া শুরু করে দিয়েছিল। যদিও মত বদল করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বর্তমান তদারকি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে অনুমান করা হচ্ছে হামলার পথ অনুসরণ করতে চাইছে না তারা।
কারণ ইরানের হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের পাল্টা হামলার সময়ে দেশে ছিলেন না আনওয়ার। সংঘর্ষের আবহ পাওয়া মাত্রই ইসলামবাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি জানান, তাঁর দেশ পাকিস্তান অত্য়ন্ত শান্তিপ্রিয়। তাই তাঁর দেশ সমস্ত পড়শি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তান কখনও সম্পর্ক তিক্ত করতে চায় না। এখনও পর্যন্ত ইরানের সঙ্গে ছোটো বড়ো যা যা ঝামেলা অশান্তি হয়েছে তা কথাবার্তার মাধ্য়মে মিটিয়ে নোওয়া হবে।
সূত্রের খবর, ইরান ও পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রথমদিনে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের লক্ষ্য় ছিল, সীমান্তে জঙ্গি সংগঠন তৈরী করা। ইরানের হামলায় পাকিস্তানের দুই শিশুর মৃত্যু হয় বলে দাবি পাকিস্তানীদের। এরপর বৃহস্পতিবার ইরানের উপর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। ইরানের দাবি, পাক হামলায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টা আক্রমণের জেরে সংঘর্ষ বিশাল আকার ধারণ করেছিল। তবে সংঘাতের শেষে মত বদলেছে পাকিস্তান।
বেজেছে যুদ্ধের দামামা। এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পাকিস্তান। পড়শি দেশে বালোচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিকে নিশানা করেছে পাক ফৌজ বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। এই ঘটনার কার্যত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে পালটা হামলার দাবি পাকিস্তানের। তবে তেহরানের কোথায় এই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এই হামলায় চারজন শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
তবে সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে পাকিস্তানের বাহিনী। যদিও ইরানের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের বিষয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তবে পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপ কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে না তো? ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের বুকে ইরানের হামলার পরেই কার্যত ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ইসলামাবাদ। এমনকি এহেন পদক্ষেপ বেআইনি বলেও দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানের এহেন কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যার পরিণতির পুরো দায়ভার ইরানের ওপর বর্তাবে বলেও বার্তা দেয় সে দেশ। আর এরপরেই ইরানের আকাশসীমা পার করল পাকিস্তানের মিসাইল। এমনটাই দাবি পাক সংবাদমাধ্যমের। বলে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানের দাবি, ইরানে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি , বালোচিস্তান লিবারেশন ফোর্স এর মতো একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। আর এই সংগঠনগুলি পাকিস্তানের বুকে নাশকতা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
সেই সমস্ত সংগঠনের ক্যাম্পগুলিতেও কি আঘাত হেনেছে পাকিস্তান? সে বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সরকারি স্তরে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, বুধবার বালোচিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করে তেহরান ফোর্স। ড্রোনের মাধ্যমে মিসাইল ছুঁড়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক ক্যাম্প। আর এই ঘটনায় পাকিস্তানের দুই শিশু'র মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনা ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্ককে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকবে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে ভারত। স্পষ্ট দাবি, আত্মরক্ষা করতেই কোনও রাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ যে নেয় তা আমরা বুঝি। দুর্নীতির প্রশ্নে ভারত সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি নেয় বলেও দাবি মোদী সরকারের।
'তৃণমূল ধরনা দিতে চেয়েছিল, আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি। কেন্দ্র কোনও প্রকল্পের টাকা আটকাতে চায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা নথি নিয়ে যাননি, রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন', বাংলায় এসে এবারে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। ২০২৪ এই পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। বছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলায় এসেছিলেন শাহ-নাড্ডা জুটি। এবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। আর বাংলায় আসতেই একের পর এক তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদলকে।
২০২৪ এই পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। বছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলায় এসেছিলেন শাহ-নাড্ডা জুটি। এবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বুধবার সকালে তাঁকে নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরোতে দেখা যায়। এরপর বাংলায় এসে কলকাতার কালীঘাট মন্দির এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গেই বাংলার মানুষদের জন্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই তাঁর গলায় শোনা যায় নতুন বছরে সকলের জন্য শুভেচ্ছা।
এরপরই বাংলার শাসকদলকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে মন্তব্য করলেন সাধ্বী। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে যখন রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের বকেয়া চাইতে যায় তৃণমূল, তখন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাঁদেরকে সময় দিলেও, বাংলার মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দেখা করেননি তাঁর সঙ্গে, এমনটাই জানালেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তিনি বলেন, "ওঁরা প্রথমে বলেছিল ৫ জন আসবে, রাজি হয়েছিলাম। তারপর বলেছিল, ১৫ জন আসবে, তাতেও রাজি হয়েছিলাম। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেছিল একা দেখা করবে, আমি বলেছিলাম ব্যক্তিগতভাবে নয়, সমস্যা সমাধানে বৈঠক চাই। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর কেউ দেখা করতে এল না, উল্টে বলল, আমি দেখা করিনি। আসলে বৈঠক করতে নয়, ধরনা দিতেই দিল্লি এসেছিল তৃণমূল।" বাংলায় এসে এভাবেই শাসকদলের প্রতি তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি।
কলকাতায় এসে দিল্লি যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের প্রতি এহেন মন্তব্যে বাংলার রাজ্য রাজনীতি যে ফের তোলপাড় হল, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার এ মন্তব্যের কী প্রতিক্রিয়া দেয় শাসক শিবির।
চিরঞ্জিত (বিধায়ক/অভিনেতা): হ্যাঁ ঠিকই, বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর আমার জন্মদিন এবং শাহরুখ খানেরও তাই। আমরা দুজনই রঙিন দুনিয়ার মানুষ। একসময় চুটিয়ে অভিনয় করেছি এবং পত্রপত্রিকা আমাকে একেবারে বাংলার সুপারস্টার নায়ক বলতো। উত্তমকুমারের পরে এই খ্যাতি যে পাবো তা কে জানতো । প্রসেনজিৎ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই কারণ বুম্বা আমার অনেক পরে ওই খ্যাতি পেয়েছে। আরে বাবা আমার বয়স তো হয়েছে নাকি সুতরাং তুলনা অপ্রয়োজনীয়। যদিও আমার ছবির কাজে আসাটা টিভির দুনিয়ায় খবর পড়া বা সাংবাদিকতা করার পরে। একই দিনে শাহরুখ খানের জন্মদিন কাজেই খবরওয়ালারা নিয়ম করে প্রতি বছরেই আমাকে শাহরুখ নিয়ে প্রশ্ন করে। অনেকটা এই রকম যে, একই দিনে আমাদের জন্মদিন কাজেই আমাদের মধ্যে মিল কতটা?
দেখুন, একটি বিষয়ে আমাদের অসম্ভব মিল, তা হচ্ছে, আমরা দুজনেই সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছি কোনও গুঞ্জন ছাড়াই। আমাদের দুজনের কাছেই দিনের শেষে পরিবারই আসল। এছাড়া ওর আগমন টিভি থেকে আমারও কিন্তু অমিলটাই বেশি। শাহরুখ হিন্দি ছবির নায়ক। ওদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। কোটি কোটি টাকার কারবার। ছবি চলুক বা ফ্লপ হোক টাকার পাহাড়ের খরচ থাকবেই। আজকাল তো শুনি শাহরুখ নিজেই তাঁর অধিকাংশ ছবির প্রযোজক। যদিও এখনকার ছবি আর নির্দিষ্ট হাউসে রিলিজ করে না। বেশিরভাগই শপিং মল বা মাল্টিপ্লেক্সে। এক সপ্তাহেই টাকা তুলতে হবে। এখন গ্রামগঞ্জে সিনেমা কোথায়? দেশের সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ যদি আমার সিনেমা না দেখে তবে লাভ কি?
আমার শুরু কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের সহযোগী হিসাবে। তাঁর একটি ডকুমেন্টরি ছবিতে অভিনয় করেওছি। পরিচালনার কাজটি ওনার কাছ থেকেই শেখা যে কারণে পরবর্তী সময়ে নিজেই পরিচালনায় হাত দিয়েছিলাম। এই সুযোগ আজকের দিনে রঞ্জিত মল্লিক আর দীপঙ্কর দে ছাড়া আর কার আছে? আজকে সুপারস্টার বলে কিছুই নেই। কাজেই শাহরুখের মতো যেকোনও চরিত্রে সবাই কাজ করছে।
আর একটি ব্যাপারে শাহরুখের সঙ্গে আমার মিল রয়েছে। আমরা দুজনই খেলার ভক্ত। যদিও শাহরুখ একটি ক্রিকেট দলের মালিক এবং ওই অবধি। আমি খেলতাম নিজে কাজেই খেলার টেকনিকাল দিকটা বুঝি। এই তো জন্মদিনের গপ্পো। (অনুলিখন-প্রসূন গুপ্ত)
শিল্পপতি হিরানান্দনিকে (Hiranandani) সংসদের (Parliament) লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), এমনটা অবশেষে স্বীকার করলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, টাকা নেওয়ার বিনিময়ে মহুয়ার সংসদের প্রশ্ন ঠিক করে দিয়েছেন শিল্পপতি হিরানান্দনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবারে এই নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন খোদ মহুয়া মৈত্র। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি হিরানান্দনিকে সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন কিন্তু টাকার বিনিময়ে নয়।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ আমি সংসদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড শিল্পপতি এবং আমার বন্ধু দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলাম। যাতে ও কাউকে একটা দায়িত্ব দিতে পারে আমার প্রশ্নগুলো টাইপ করে দেওয়ার জন্য।' এরপর তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, 'দর্শনের অফিসের একজন কর্মী লোকসভায় আমার প্রশ্নগুলো টাইপ করে দিয়েছিলেন। টাইপ করার পর সেই ব্যক্তি আমায় ফোন করেন এবং আমি প্রশ্নগুলো এক নজরে পড়ে নিই। কারণ আমি নিজের সংসদ এলাকায় সবসময়ই ব্যস্ত থাকি। প্রশ্নগুলি সংসদের ওয়েবসাইটে টাইপ হওয়ার পর আমার ফোনে একটি ওটিপি আসে। সেটি ওয়েবসাইটে দিলে তবেই প্রশ্নগুলি সেখানে সেভ হয় এবং সাবমিট করা যায়। ফলে দর্শন নিজে থেকে আমার লগ ইন আইডি নিয়ে প্রশ্ন টাইপ করে দিয়েছিল, এই তথ্য স্রেফ হাস্যকর।'
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা): ক্রিকেট ফুটবল আমার জীবনের চলার পথে অন্যতম সাথী। এক সময়ে ছেলেবেলায় দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে খেলেওছি। খেলা দেখা আমার একটা নেশা। বিশ্বকাপ ফুটবল হোক বা ক্রিকেট, দেখতে তো হবেই। পুজোর সময়ে আমার কেন্দ্রে যাওয়া আসা থাকবে কিন্তু তারই ফাঁকে আজকের অধিনায়ক মোবাইলে খেলায় চোখ রেখেছি। আমার কাছে সব ম্যাচই প্রাধান্য পায়। আমি আগের লিখনিতে লিখেছিলাম যে, দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আমাদের প্রথম চার ব্যাটার অর্থাৎ রোহিত, গিল, কোহলি এবং রাহুল প্রায় প্রতিদিনই ভালো ব্যাট করে দিচ্ছে কিন্তু তার আগে বোলিংয়ে বুমরা, সিরাজ এবং জাড্ডু ও কুলদীপ এতটাই ভালো বল করছে যে ব্যাটারদের টেনশন নিতে হচ্ছে না। আমি একটা ব্যাপার দেখে অবাক হচ্ছি, চারটি ম্যাচেই উল্টোদিকের দল শুরুটা বেশ ভালো করেও শেষ পর্যন্ত হঠাৎ খেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশের একই ব্যাপার। দিব্বি শুরু করেছিল লিটন দাস। ৯০ রান উঠে যাওয়ার পরে মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশ আজ হয়তো ৩০০ পার করবে কিন্তু হঠাৎ গুটিয়ে গেলো। জাড্ডু বা জাদেজা যেমন ফিল্ডিং করেছে তেমনিই বোলিং কিন্তু ম্যাচের সেরা হলো সেঞ্চুরি করা কোহলি। ভারত ফের ৭ উইকেটে জিতলো। এখন এটা একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
ভারতের এখন যা দলগত অবস্থা, আমি বলবো সর্বকালের সেরা একদিবসীয় দল। ওপেনিংয়ে রোহিত নিয়মিত ভালো রান পাচ্ছে কিন্তু ওঁর একটাই সমস্যা, ছক্কা হাঁকাতে চায়। মারবে না কেন? মারার জন্যই তো স্বল্প ওভারের ক্রিকেট কিন্তু একেবারে অনসাইড হিটার। একটা সিক্সারের পর ফের পরের বলেও ওই চেষ্টা। কালকে আউটও হলো ওই ভাবেই। ও অধিনায়ক এটা ভুলে গেলে চলবে কেন? আমি বরং বলবো টপ ফর্মে খেলছে বিরাট কোহলি। জীবনের অন্যতম সেরা ফর্মে আছে। ফের বলতেই হয় সচিনের অভাব পেতে দিচ্ছে না বিরাট। অসাধারণ খেলা। কি ধৈর্য কি পরিশ্রম। মাঠ কামড়ানো স্ট্রোক। কিন্তু আমার চিন্তা হার্দিক প্যান্ডিয়াকে নিয়ে। কাল পায়ের গোড়ালিতে ছোট পেয়ে গেলো। দেখুন চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে মিডলে এমন একজন খেলোয়াড় দরকার যে ব্যাট করবে আবার বলটিও করবে। অর্থাৎ অলরাউন্ডার। দেখবেন অলরাউন্ডারদের জন্যই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার। ১৯৮৩-তে কপিল, মহিন্দার, ২০১১-তে যুবরাজ সিং। এবারে সেই কাজটিও করা দরকার এবং এক্সপার্ট হচ্ছে হার্দিক। আমি মনে করি শার্দুল ঠাকুর মোটেই সেই কাজটি করতে পারবে না। শ্রেয়স কিন্তু ভালো খেলছে না, আবার সে বোলারও নয়। সুতরাং হার্দিক ফিরে আসুক। (অনুলিখনঃ প্রসূন গুপ্ত)
টাকা বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন। এই ইস্যুতে এবার পাল্টা বিবৃতি জারি করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তাঁর প্রশ্ন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি যে বয়ান হলফনামা আকারে দিয়েছেন, তা কি তাঁর নিজের লেখা? নাকি এই বয়ানের খসড়া তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে?
ওই বিবৃতিতে মহুয়ার অভিযোগ, এমন সংবেদনশীল ঘটনায় কেন নেই কোনও সরকারি লেটারহেড। তৃণমূল সাংসদের সাফ দাবি, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েই এই হলফনামা লেখানো হয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে।
দুবাইয়ের ব্যবসায়ী বন্ধুর থেকে টাকা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। গত রবিবার এই অভিযোগ করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ওই চিঠিতে নিশিকান্ত দাবি করেছিলেন, আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মহুয়া পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অপমান করেছেন।
মহুয়ার শাস্তি নিয়ে সরব নিশিকান্ত স্পিকারের কাছে তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছিলেন। পাল্টা দাবিতে মহুয়ার বক্তব্য ছিল, এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, তিনি নিশিকান্তর লেখাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গোটা ঘটনা যে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত সেই অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে নিশিকান্তের নালিশের চিঠি সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন স্পিকার।
অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ রয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, শিল্পগোষ্ঠী হিরানন্দানির সিইও দর্শন হিরানন্দানিকে লোকসভার আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এবার বিজেপির সমস্ত অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন হিরানন্দানি।
সম্প্রতি, দর্শন হিরানন্দানির সাক্ষর করা একটি হলফনামা প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই ওই হলফনামার কথা জানিয়েছে। সেখানেই হিরানন্দানি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদনাম করতে আদানি গ্রুপকে 'টার্গেট' করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তিনি স্বীকার করেছেন, মহুয়াকে ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাঁকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। পরিবর্তে তাঁর থেকে মহুয়া বিলাসবহুল জিনিসপত্র নিতেন বলে দাবি করলেন হিরানন্দানি।
কখনও বিলাসবহুল সামগ্রী, দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করিয়ে দেওয়া, ছুটি কাটানো বা বেড়ানোর খরচের জন্যও দাবি করতেন মহুয়া। সেটা যেমন দেশের বিভিন্ন জায়গায়, তেমন বিদেশেও। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহুয়া।
চিরঞ্জিত ( অভিনেতা / বিধায়ক )
ক্রিকেট ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলায় আমার ঝোঁক থাকলেও, একসময় চুটিয়ে ফুটবল ক্রিকেট খেলেছি গোলপার্কে। আমার খেলা দেখার নেশা প্রচন্ড। এখন ক্রিকেটের সময়। যদিও আমার দল এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত কাজেই আমাকেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে সামনেই 'মা আসছেন ' অর্থাৎ দুর্গাপুজা। তারপরেই কালীপুজো। আপনারা তো জানেন আমি বারাসাতের বিধায়ক অতএব ওই সময়টিতে আমার বিশেষ ব্যস্ততা থাকে কিন্তু ফাঁক পেলেই ক্রিকেটে চোখ রাখতে হবে। আগে যখন সিনেমায় ব্যস্ত থাকতাম তখন ইনডোর শুটিং থাকলে এবং খেলা থাকলে, ফাঁক পেলেই মেকআপ বা কোনও করতে ব্যক্তির ঘরে গিয়ে খেলা দেখতাম। এবারে কিন্তু ভারতে বিশ্বকাপ। খেলা দেখবো এবং প্রাণ দিয়ে ইন্ডিয়াকে সমর্থন করতেই হবে। এখন অবিশ্যি হাতেই মুঠোফোনে খেলা দেখি। এবারেও ব্যতিক্রম হবে না। একটা বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি রইলো তা, ফাইনালটি হচ্ছে গুজরাতে। আমি বুঝি না সর্বত্রই কেন ক্রিকেটটাকে এক ধরণের রাজনীতির অঙ্গ করে নেওয়া হচ্ছে। ইডেনের মতো দর্শক এবং পরিবেশ আদৌ সারা ভারতের কোথাও আছে কি না সন্দেহের তবুও বর্তমান বোর্ড আহমেদাবাদে ফাইনালটি নিয়ে গেলো।
এবারে প্রশ্ন হচ্ছে কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে? ক্রিকেট নিয়ে মূর্খরা বাজি ধরে। কোনও ভাবেই মোটেই বলা যাবে না কোন দল কতটা শক্তিশালী ? দেখুন বিশ্বের পাকিস্তান বাদে সব দেশের খেলোয়াড়রা প্রতি বছর আইপিএল খেলতে এ দেশে আসে। আমরা মুগ্ধ হয়ে তাদের ব্যাটিং ও বোলিং দেখি। ওঁরা কিন্তু এ দেশের সমস্ত মাঠের পিচ এবং আবহাওয়ার খবর রাখে কাজেই সব দল চেষ্টা করবে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার। আমি অবশ্যই চাইবো রোহিত শর্মার হাতে কাপটি উঠুক কিন্তু চাওয়া আর বাস্তবের মধ্যে ঢের তফাৎ। সুতরাং প্রথম দিকের খেলাগুলি দেখার পরেই বোঝ যাবে কার শক্তি কতটা। চেন্নাইতে বৃষ্টি হচ্ছে তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধটা কেমন হয় সেটা দেখার। এ সময়টাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হয়। সময়টা কি ভুল বাছা হলো ?
অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত
চিনের এশিয়ান গেমসে নাটকীয় সোনা জয় ভারতের। পুরুষদের কবাডিতে ইরানকে হারিয়ে সোনা জিতলেন ভারতীয়রা। এই ম্যাচ ঘিরে এশিয়াডের মঞ্চে নতুন বিতর্ক উসকে উঠেছিল।
এশিয়ান গেমসে জ্যাভলিনের মঞ্চেও বিবাদে জড়ায় ভারত। শনিবার কবাডির ফাইনালেও নিয়ম পরিবর্তনকে ঘিরে চূড়ান্ত নাটক। দীর্ঘ সময় ধরে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না আম্পায়ার ও রেফারিরা। দুই দলই এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। হস্তক্ষেপ করেন এশীয় কবাডি সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি। খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার ইরানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ভারত। নতুন নিয়মে ভারতকে ৩ পয়েন্ট দেওয়া হয়। ইরান পায় ১ পয়েন্ট। এরপরই ইরানের প্লেয়াররা প্রতিবাদ করেন। এরপরই স্থগিত হয়ে যায় খেলা।
২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ইরানের মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী নার্গিস মোহম্মদি। ইরানে মহিলাদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদে তাঁর রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করা এবং কারাগারের মধ্যে থেকেও সেই লড়াই জারি রাখাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হল বলে জানায় নোবেল কমিটি। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, 'ভয়াবহ ব্যক্তিগত বিপর্যয় সামলে উঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মোট ১৩ বার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে তেহরানের একটি জেলে আটক নার্গিস মোহম্মদি। গোটা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব। নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত গোটা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের লড়াইকে সম্মান জানাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সে সময় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে কৃষি ভবনে ধরণায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংসদরা। সে সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি। এবং জোরপূর্বক অভিষেক সহ অন্যান্য সংসদদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আজ অর্থাৎ শনিবার কলকাতায় এসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার তিনি বলেন, 'আমি আমার সমস্ত কাজ ফেলে কৃষি ভবনে দেখা করতে এসেছিলাম। আড়াই ঘন্টা তাদের জন্য অপেক্ষা করেছি। প্রথমে তারা বললেন, আবাস যোজনার বিষয়ে বৈঠকে বসতে চান। আমি রাজি হই, এরপর তারা বলেন সমস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তখনও আমার দফতরের থেকে বলা হয় তাতেও রাজি আছি। এরপর তারা বলেন, আমরা সমস্ত সাংসদরা অর্থাৎ সংসদদের প্রতিনিধি দল আপনার সঙ্গে দেখা করব। কথামতো সেখানেও আমি রাজি হই। কিন্তু এর পরে হঠাৎ মহুয়া মৈথ আমার দফতরের কর্মীকে জানান, তিনি কেবল একাই দেখা করতে চান। এরপর আমার দাবি ছিল কোনভাবেই আমি কোনও একা কারোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো না। এ বিষয়ে যখন মানুষের অভিযোগ, আমি আপনাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করব।
শনিবার কলকাতা এসে তিনি তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এবং তিনি এও বলেন, ' আমি কলকাতায় এসেছি অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এসেছে আপনারা যেখানে বলবেন সেখানে আমি বৈঠকে বসে রাজি আছি। আমি সমস্ত তথ্য প্রমাণ সঙ্গে নিয়েই এসেছি। 'পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, 'রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস যোজনা টাকায় তারা দুর্নীতি করেছে।' এছাড়া তিনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন ইউপিএ সরকার যে পরিমাণ টাকা দিত তার পাঁচ গুণ দিয়েছে মোদি সরকার এনডিএ সরকার।
দিল্লিতে তৃণমূলকে হেনস্থার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। তাঁরা দেখা করতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে। অভিযোগ ,শাকদলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী। ঘটনার দিন চারেক পর কলকাতা আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কলকাতায় আসার কথা নিরঞ্জন জ্যোতির। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সেক্টর ফাইভে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি। কথা বলবেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও। বালুরঘাট থেকে সুকান্তও পাড়ি দিয়েছেন কলকাতার পথে।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার চাপেই কি টনক নড়ল বিজেপির? বৃহস্পতিবারের ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন , ‘‘যতক্ষণ না রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারব, ততক্ষণ আমি এই ধর্নামঞ্চ ছাড়ব না।’।
দিল্লিতে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, বৃহস্পতিবারের ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির কথা। ঠিক ছিল, মিছিল করে এসে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপালের দেখা করে তাঁকেই স্মারকলিপি দেবে তৃণমূল।