কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।
একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক।
বর্ষা (Monsoon) আসলেই স্বস্তি পাওয়া যায় সূর্যের প্রখর তাপ থেকে। কিন্তু বর্ষা আসতেই বৃদ্ধি পায় রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই আবহাওয়াতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণও বৃদ্ধি পায়। বর্ষা আসতেই জ্বর-সর্দি-কাশির পাশাপাশি যেই সংক্রমণ আগে দেখা যায় তা হল ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ। তাই এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ (Fungal Infection) থেকে বাঁচতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
১) বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সেই জামা-কাপড় পরে থাকা যাবে না। জামা-কাপড় ফ্যান বা এসিতেও শুকনো যাবে না। কারণ এতেও জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই ব্যাগে সবসময় শুকনো জামা-কাপড় রাখা উচিত। যাতে বৃষ্টিতে ভিজে গেলেই আপনি পরে তা বদলে ফেলতে পারেন।
২) ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাস কখনওই পরা উচিত নয়। কারণ এই ভিজে কাপড় ও ত্বকের ঘর্ষণে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হতে পারে।
৩) বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়িতে গিয়েই উষ্ণ গরম জলে স্নান করে নেওয়া উচিত। চুলেও বৃষ্টির জল পড়লে চুল ধুয়ে নেওয়া উচিত। নয়তো স্ক্যাল্পেও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
৪) এছাড়াও বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্য তালিকায় বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
করোনা, ওমিক্রন, মহামারী বিদায় নিলেও, সম্প্রতিকালে গোটা বাংলা কাঁপছে কনজাংটিভাইটিস বা 'জয় বাংলা' রোগে। কি এই জয় বাংলা বা কনজাংটিভাইটিস! কেনই বা এত বাড়বাড়ন্ত? এই রোগ নিয়ে একটা প্রবাদ চালু আছে বাংলায়, কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর চোখে চোখ পড়লেই নাকি হয়ে যাবে এই রোগ অর্থাৎ 'জয় বাংলা।' তবে কি তা সত্যি? কীভাবে এই রোগের থেকে মুক্তি, খোঁজ নিল সিএন-ডিজিটাল।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার ঘোষের মতে, কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর চোখে চোখ পড়লেই হবে না এই রোগ। তবে কি এই জয় বাংলা! কনজাংটিভাইটিস সাধারণত 'গোলাপী চোখ' বা জয় বাংলা নামে লোকমুখে পরিচিত। কনজাংটিভাইটিস হল একপ্রকার ভাইরাস জনিত সংক্রমণ। বর্তমানে যা ছড়িয়ে পড়েছে প্রতি ঘরে ঘরে। এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে আতঙ্ক।
বুধবার সিএন-ডিজিটালকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, কনজাংটিভাইটিস অর্থাৎ 'জয় বাংলা' সাধারণত একটি ভাইরাস। কোনও ভাবেই সরাসরি কিংবা কোনও মাধ্যমের সংযোগ ছাড়া কনজাংটিভাইটিস রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে না। সেক্ষত্রে তিনি 'কনজাংটিভাইটিস' আক্তান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বলেছেন, ' সতর্ক থাকতে, অন্যের ব্যবহার করা রুমাল, বা বিছানা, কিংবা বালিশ ব্যবহার না করতে।' রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের মতে, 'কনজাংটিভাইটিস' হলে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। অনেকক্ষেত্রে সেখানে ৭ থেকে ১০ দিন অবধিও থাকতে পারে এই সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে এই রোগ এড়াতে বেশ কিছু সতর্ক বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের মতে, অন্যের ব্যবহার করা রুমাল ব্যবহার করা যাবে না, কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত কারোর চোখের সঙ্গে কোনও প্রতক্ষ্য শারীরিক সংযোগ রাখা যাবে না, কিংবা এই রোগে আক্রান্তদের স্পর্শও এড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে 'কনজাংটিভাইটিস' আক্রান্ত রোগী সংক্রমণ এড়াতে চোখে কালো চশমা পড়তে হবে, এ ছাড়া নিজের ব্যবহার করা রুমাল, বা বিছানা অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে বলা হয়েছে।
কি এই 'কনজাংটিভাইটিস' রোগের উপসর্গ! কিংবা কি করে বুঝবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত! এ বিষয়ে চিকিৎসক অসীম কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, হঠাৎ চোখে লালভাব, চোখের ভিতরে জ্বলন, চোখ কটকট করা, তাকাতে অস্বস্তি, চোখের পাতা ফোলা। এই উপসর্গ গুলি হলেই বুঝবেন আপনি জয় বাংলা, বা কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত। এর থেকে বাঁচার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসক অসীম কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই ধরনের কোনও উপসর্গ এলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে দেখান, প্রয়োজনে সরকারি মেডিকেল কলেজে কিংবা বেসরকারি নার্সিংহোমে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখান। এবং চিকিৎসকের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলুন ও চিকিৎসকের প্রেস্ক্রাইবড আই ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করুন।
বর্ষাকাল (Monsoon) মানেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। তাই শুধু বড়দের নয়, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোটদের প্রতিও বাড়তি নজর রাখতে হয়। এই সময় ফুড পয়জন থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, সাধারণ বদহজম, জ্বর-সর্দি-কাশি ইত্যাদি মাথাচাড়া দেয়। এছাড়াও বাতাসে আর্দ্রতার উচ্চ মাত্রার জন্য ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এবং ডায়রিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পায়। এই রোগের বৃদ্ধির কারণে বিশেষত বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বর্ষায় রোগ-জীবাণু থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন কী ভাবে, সে বিষয় কিছু টিপস দেওয়া হল—
এই ধরনের রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য, আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আশেপাশে যেন জল জমে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, শিশুদের মশার কামড় থেকে রক্ষা করার জন্য বাড়িতে মশা নিরোধক এবং মশারি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও তাদের লম্বা হাতা শার্ট, প্যান্ট এবং মোজা পরিয়ে রাখা উচিত। স্যাঁতসেঁতে কোনও জায়গায় দীর্ঘক্ষণ তাদের রাখা যাবে না। এছাড়াও যেসব খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তেমন খাবার বাচ্চাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পুষ্টিকর খাবার যেমন সাইট্রাস ফল, শাক সবজি, প্রোবায়োটিক সহ দই, মাশরুম, বেরি এবং চর্বিযুক্ত মাংস খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। কারণ এই সমস্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
করোনা (Covid) সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একদিনে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেল করোনার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১২,৫৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু (Death) হয়েছে ২৯ জনের। বৃহস্পতিবার, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পর বর্তমানে দেশে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৬৫,২৮৬ জন হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৭৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বুধবার দেশে ১০,৫৪২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক ধাক্কায় সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২,৫৯১ হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত এই ভাবে ধাপে-ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে কোভিড নিয়ে আবার আতঙ্কিত তৈরি হয়েছে।
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি কোভিডের প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতি মেনে চলার এবং বুস্টার টিকা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অনুমান করোনা ফের ওমিক্রন রূপে দেশজুড়ে আবার নতুন করে প্রভাব তৈরি করতে চলেছে।
বুকের সংক্রমণের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে (Air Ambulance) করে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লির এইমসে (Aiims) নিয়ে যাওয়া হল নেপালের (Nepal) প্রেসিডেন্ট (President) রামচন্দ্র পদেলকে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বুকের সংক্রমণ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদেলকে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বুকের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। এই কারণে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনেই ‘এয়ারলিফ্ট’ করে তাঁকে তুলে আনা হল দিল্লিতে।
চলতি মাসের প্রথমদিন প্রেসিডেন্ট পদেল প্রথম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সেই কারণে তৈরি করা হয় একটি মেডিক্যাল টিম। সেই টিম খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ প্রেসিডেন্টকে দেখতে আসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, উপপ্রধানমন্ত্রী পূর্ণবাহাদুর খাদকা এবং অন্যান্যরা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও সমস্যা সমাধান হয়নি তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নেপালের টিইউ টিচিং হাসপাতালে ফের ভর্তি করা হয় প্রেসিডেন্ট পদেলকে। কিন্তু সেখানে তাঁর বুকে জটিল সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরেই আর দেরি না করে বুধবার, সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছয় নেপালের প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাম্বুল্যান্স। তারপর সেখান থেকে সোজা এমসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে চিন্তুন এবং আরও কয়েক জন ঘনিষ্ঠ।
একদিকে পরিচালনা অন্য দিকে রাজনৈতিক দায়িত্ব। এসবের মাঝে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। খবর পেয়েই উদ্বেগে তাঁর ভক্তরা। কী হয়েছে তাঁর? প্রশ্নে ছয়লাপ নেট দুনিয়া। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন রাজ। রুটিন চেকআপের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যান তিনি। পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়েছে। এর চিকিৎসার জন্যই আপাতত হাসপাতালে (Hospitalized) রাজ।
জানা গিয়েছে, সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়। আপাতত তিনি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বুধবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই খবর। এদিকে রাজকে বোধহয় খুব মিস করছেন তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী। সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের সঙ্গে কাটানো একাধিক মুহূর্তের ছবির একটি কোলাজ ভিডিও দিয়েছেন। ছবিগুলিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে যুগলকে। ভিডিও পোস্ট করে শুভশ্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার সবকিছু'।
রাজ চক্রবর্তী সেরে উঠেই কাজে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, 'আবার প্রলয়' সিনেমার শ্যুটিং। ওটিটিতে কবে মুক্তি পাবে ছবিটি তা এখনও জানা যায়নি। তাঁর শেষ দুটি ছবি, 'হাবজি গাবজি' এবং 'ধর্মযুদ্ধ' বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাঁর নতুন সিনেমা প্রলয় আনতে পারে কিনা তা দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা।
দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণ এখনও ১০ হাজারের নীচে নামেনি। করোনার এই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞেরাও। শুক্রবারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে শনিবার। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৩ জন। গত ২ দিনের তুলনায় যা একটু কম। তবে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৭২০ জন। দৈনিক সংক্রমণের হার ৬.৭৮ শতাংশ ছুঁয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Ministry) মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, দেশজুড়ে আগামী আট-দশ দিন সংক্রমণ বাড়লেও কিছুদিন পরে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদেরও দাবি, আগামী মাস থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। এমনকি চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, করোনা এখন আর অতিমারির পর্যায়ে নেই। তবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনা পরীক্ষা করানোর মতো বিধি নিষেধের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন তাঁরা। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
এমনকি চিকিৎসকরা জানায়, সম্প্রতি করোনার যে প্রজাতি হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে, তার নাম এক্সবিবি.১.১৬। এটি ওমিক্রনেরই একটি উপরূপ।
দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus), ক্রমেই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ (Daily Infection)। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৈঠকে করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তেমনই হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দিতে বলা হয়েছে জিনোম বিন্যাসে। আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল সমস্ত হাসপাতালে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক দিন ধরেই দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার এই সংখ্যা ৬ হাজার পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। এই আবহে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে ছিলেন বাংলার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ওই বৈঠক থেকেই সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একাধিক পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য।
দিল্লির করোনা (Delhi Corona) সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, উত্তরের এই রাজ্যের নতুন কোভিড আক্রান্তদের (Corona infection) ৯৮ শতাংশ করোনার XBB.1.16 উপরূপে আক্রান্ত। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পর এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি আইএলবিএস-এর অধিকর্তা এসকে সারিনের। তিনি জানান, এই উপরূপের খুব দ্রুত এক শরীর থেকে অপর শরীরে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যদিও করোনার এই উপরূপ খুব একটা প্রাণঘাতী নয়, এমনটাও জানান তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ৫০৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত। আর এই সারিনের মতো মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ এই দাবি করেন। এনডিটিভিকে চিকিৎসক সারিন বলেন, 'সংক্রমিতর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু মৃত্যু সেভাবে হয়নি। XBB.1.16 উপরূপে আক্রান্তদের মধ্যে সর্দি-কাশির মতো সাধারণ লক্ষণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।'
তবে করোনা নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করায়, বিশেষ কিছু মানুষকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মূলত কোমর্বিডিটি এবং স্থূল ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সাবধানতা বজায় রাখা উচিৎ।
ঝিমিয়ে থাকার পর দেশে ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। দৈনিক আক্রান্ত বিচার করে এই অশনি সংকেত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিবেশে সংক্রমণ রোধে আইনজীবীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) অনুমতি দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলবে, এমনটা জানান তিনি।
দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণের হিসাব, ৪ হাজার ৪৩৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ বেশি। গত কয়েক দিন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এই আবহে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসাবে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধান বিচারপতি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রকাশ্য বা জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরতে ইতিমধ্যে বেসরকারি তরফে ঘোষণা হয়েছে। শুধু করোনা না, বিশেষ ইনফ্লুয়েঞ্জার হাত থেকে বাঁচতে কিছু বিধি মেনে চলা এই মুহূর্তে আবশ্যিক। এমনটাই বারবার প্রচার করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (Respiratory Infection) কারণে শহরের হাসপাতালে মৃত্যু এক ছয় মাসের শিশু। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার বাসিন্দা সেই খুদে (New Born Baby) ভর্তি ছিল। জানা গিয়েছে, সর্দি, কাশি, জ্বর ছিল তার। শনিবার তাকে ভেন্টিলেশন (Ventilator) থেকে বের করে রবিবার একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। নিউমোনিয়া বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ফেলিওরের কারণে সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও শিশুর পরিবার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার গাফিলতিকে দায়ী করেছে। কিন্তু মৃত্যু শংসাপত্রে উল্লেখ নিউমোনিয়ার প্রসঙ্গ। ইতিমধ্যে শিশুদের মধ্যে এই রেসপিরেটরি ইনফেকশন ঠেকাতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকায় জানিয়েছে, প্রত্যেক হাসপাতালে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আক্রান্তদের নমুনা প্রতিদিন পাঠাতে হবে। এই নির্দেশিকা পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত ভাঙরের শিশু। এদিকে, বিসি রায় হাসপাতালে ২৫ বেডের রেসপিরেটরি ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। মৃত শিশুর পরিবারের বক্তব্য, 'বাচ্চার সর্দি-কাশি ছিল। হাসপাতাল বলেছিল নিউমোনিয়া হয়েছে। ভেন্টিলেটর ওয়ার্ডে চার দিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছিল। দিন কয়েক আগে জ্বর আসে, সে মোতাবেক চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু রবিবার একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরেই বাচ্চার মৃত্যু। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ নিশ্চয় জানাবো।'
শুক্রবার মধ্যরাতে চেন্নাইয়ের গ্লোবাল ফার্মা (Chennai Global Farma) হেল্থকেয়ারে যৌথ অভিযান চালায় তামিলনাড়ু ড্রাগ কন্ট্রোলার। চেন্নাইয়ের ওই ফার্মেসির তৈরি চোখের ড্রপের (Eye Drop) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। ড্রপ ব্যবহারে চোখে নানা ধরনের সংক্রমণ (Eye Infection) ও সম্পূর্ন দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া থেকে রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ার মতো অভিযোগ উঠছে। দ্য ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রায় ৫৫টি রিপোর্টে এই অভিযোগ তুলেছে।
জানা গিয়েছে, চেন্নাই থেকে ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত ওই ওষুধ তৈরির কোম্পানি থেকে যে ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে, সেই ধরনের ওষুধগুলি ব্যবহার করে আমেরিকার বহু মানুষের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে একজনের, এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ওই রিপোর্ট। রাতারাতি আমেরিকার সব ফার্মেসি দোকান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে চেন্নাই থেকে আমদানি হওয়া আই ড্রপগুলি।
এবিষয়ে চেন্নাইয়ের গ্লোবাল ফার্মা হেল্থ-কেয়ারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের আইড্রপগুলির বিক্রি-ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে এও বলা হয়েছে, যে ওই কোম্পানি বহু বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত। ইউএস আইন প্রণেতাদের এই আই ড্রপের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শীঘ্র জানাতে বলা হয়েছে।
ডুয়ার্সের (Dooars) বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও হাতির (elephant) সংঘাত নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই বুনো হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয় চাষের ক্ষেত, ঘরবাড়ি। হাতির হামলার মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। যেই বুনো হাতির তাণ্ডবে রাতে দু চোখের পাতা এক করতে পারেন না জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বনবস্তি এবং গ্রামের বাসিন্দারা। এবার সেই হাতির প্রাণ বাঁচাতেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দুই গ্রামের মানুষজন।
গত কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বন বিভাগের ডায়না রেঞ্জের খেড়কাটার জঙ্গলে একটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা। হাতিটির পিছনের ডান পায়ে সংক্রমণ থাকায় সে নড়াচড়া করতে পারছে না। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাচ্ছে, পায়ের অনেকটা অংশ ফুলে গিয়েছে। এই দৃশ্য দেখার পরেই নাগরাকাটার ধূমপাড়া এবং খেড়কাটা এলাকার বাসিন্দারা সেই বুনো হাতিটির খাবারের জোগাড় শুরু করেন। যেই কলাবাগান, সবজি ক্ষেতে এতদিন হাতির দল তাণ্ডব চালাত, সেই কলাবাগান থেকেই কেটে আনা হয় কলা গাছ। জমি থেকে তুলে আনা হয় সবজি। হাতি ব্যাপক তাণ্ডব চালালেও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় হাতিকে দেবতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কোনও কোনও জায়গায় হাতিকে মহাকাল রূপেও পুজো করা হয়।
তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেই হাতিটির কাছে। অন্যান্য সময় হাতি সাধারণ মানুষকে দেখলে তেড়ে আসে। এই ক্ষেত্রে যেন একদম উল্টো পুরান। গ্রামবাসীরা কাছে গিয়ে খাবার তুলে দিলেও সেই আক্রমণাত্মক স্বভাব আর দেখা গেল না। হাতিটিও যেন প্রতিদিন অপেক্ষা করে থাকে গ্রামবাসীদের জন্য। তবে গ্রামবাসীদের আক্ষেপ সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। হাতিটির সঠিক চিকিৎসা না হলে হাতির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর এই কারণেই হাতিটির সঠিকভাবে চিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে।
তবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটির পায়ের সংক্রমণের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গত দুদিনের থেকে বর্তমানে হাতিটির পায়ের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। পাকা কলার ভিতরে ওষুধ পুড়ে সেটি খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাতিটির পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বন দফতর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী সকলেই চান হাতিটি ফের একবার সুস্থ হয়ে ফিরে যাক নিজের জঙ্গলে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার একদিন পর এখনও সঙ্কটজনক অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Actress Aindrila Shrama)। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনি ভেন্টিলেশনে (Ventilator Support) রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার (health Update) কোনও উন্নতি নেই। এদিন এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহ থেকেই অভিনেত্রীর শরীরে সংক্রমণ (Infection) মাত্রা বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ে চিকিৎসকদের। বদলে দেওয়া হয় তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স। গত সপ্তাহে ঐন্দ্রিলাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে সরানো হলেও বুধবার ফের দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে।
এদিকে মঙ্গলবার হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, স্ট্রোকের পর মাথার যে পাশে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, তার বিপরীত দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। স্ক্যান রিপোর্টে তা জানা গিয়েছে। তাছাড়া, বুধবারেও ঐন্দ্রিলার জ্বর কমেনি, যার জন্য সংক্রমণ দায়ী। এই অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে স্থানীয় সময় ১২টার পর হঠাৎ ঐন্দ্রিলার বিষয়ে খারাপ খবর রটে ফেসবুকে।
যদিও নানা মাধ্যম সেই খবরের সত্যতা স্বীকার না করায়, রটনাকারী নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। রাত একটু বাড়লে ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী ফেসবুক পোস্টে জানায়, আর একটু থাকতে দাও ওকে... এ সব লেখার অনেক সময় পাবে।
তবে শুধু সব্যসাচী নয়, বুধবার মধ্যরাতের একাধিক নেটিজেনের ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে করা ফেসবুক পোস্টের বিরোধিতায় সরব ছিলেন টলিপাড়ার অন্য পরিচিত মুখেরাও। যদিও প্রত্যেকের মুখে এখন একটাই প্রার্থনা, 'ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট।'