ফের সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের (Byron Biswas) ওপর স্পট লাইট। তবে এবার দলবদলের জন্য নয়। বিধায়কের বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, ফ্যাক্টরিতে প্রায় ৫০ জন আয়কর আধিকারিকের হানা, কর ফাঁকির অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় অভিযান। এরপর ১৯ ঘণ্টা টানা তল্লাশির পর বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আয়কর দফতর। উদ্ধার করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা ও কিছু নথি। আর এরই মাঝে গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়লেন বায়রন বিশ্বাস। বুধবার সন্ধ্যার কিছু পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাঁকে তাঁর নিজের নার্সিংহোমেই ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় কুয়াশায় মোড়া মুর্শিদাবাদে আয়কর দফতর হানা দেয় সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতে। সূত্রের খবর, বুধবার বিধায়ক বায়রনের বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, ফ্যাক্টরি মিলিয়ে মুর্শিদাবাদের অন্তত ৯ থেকে ১০ টি জায়গায় আইটি হানা দেয়। প্রথম গন্তব্য সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে বায়রন বিশ্বাসের প্রাসাদপম বসত বাড়ি। কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি দল যায় সামশেরগঞ্জেই বিধায়কের হাসপাতালে। ততক্ষণে আরও ২ টি দলে ভাগ হয়ে আইটি আধিকারিকরা পৌঁছন রঘুনাথগঞ্জের মঙ্গলজোনে বায়রন বিশ্বাসের স্কুল এবং বংশবাটী মোড়ে একটি নির্মিয়মান কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে। তল্লাশি চলেছে বিধায়কের বাড়ি লাগোয়া গোডাউনেও। বিধায়কের বাড়ি থেকে একটি বড়সড় ব্যাগ বের করতে দেখা যায় আধিকারিকদের।
তৃণমূলের বায়রন আবারও লাইম লাইটে। সূত্রের খবর, এবার সাগরদিঘির বিধায়কের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ। রাজনীতিতে হাতেখড়ির বহু আগে থেকে বায়রন মুর্শিদাবাদের সমৃদ্ধশালী ব্যবসায়ী। ৩০-৪০ বছর ধরে বিধায়কের পরিবারের চা, বিড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, ফ্যাক্টরি ইত্যাদির ব্যবসা। মুর্শিদাবাদের সেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীই কর কারচুপি করলেন?
এবারে আসানসোলে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে পুরো অ্যাকশনে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এদিন ফের এক তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, তাঁর কলকাতার বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আসালসোলে শুধুমাত্র এই প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজনের বাড়িতে ত্ল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে তল্লাশি চলছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে। ৫টি গাড়ি নিয়ে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আসানসোল দক্ষিণ থানা অন্তর্গত পায়েল এন্টারপ্রাইজ-এর অফিস ও বার্নপুরের পুরানো হাট এলাকাতেও পঙ্কজ আগারওয়াল নামে একজনের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি চলছে বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের নাম ইমতিয়াজ বলে জানা গিয়েছে এবং পঙ্কজ পায়েল এর সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের হিরাপুরে পুরানো হাট এলাকায় অরুণ আগারওয়াল-এর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। সূত্রের খবর, রেশনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই বিষয়ে হানা হতে পারে। তাঁর ভাই পঙ্কজ আগারওয়াল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার, আসানসোলের নুরুদ্দিন রোড এলাকায় মহেন্দ্র শর্মার অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, নুন, বালি সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা বাংলা-ঝাড়খণ্ডে রয়েছে তাঁর।
ফের শহরে হানা আয়কর দফতরের। এবারে আর্থিক কারচুপির অভিযোগ ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল থেকে তাঁর ঢাকুরিয়ার আবাসনে অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাড়িতেই রয়েছেন উৎপলবাবু। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
সূত্র মারফত খবর, সকাল ৭.৩০ টা নাগাদ ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ৭-৮ জন আধিকারিক উৎপল বাবুর ফ্ল্যাটে যান। তিনি বিদেশি মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ২২টি দেশে অ্যালকোহল সরবরাহ করতেন। এছাড়া বিদেশি মদ তৈরির সংস্থার আড়ালে অনেক টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি উৎপলবাবুর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগও ছিল। সবমিলিয়ে এদিন তিনি আয়কর দফতরের হাজার প্রশ্নের মুখে পড়লেন আইএফএ-এর প্রাক্তন সচিব।
ফের রাজ্যে আয়কর হানা (Income Tax Raid)। এবারে এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে এক মদের কারখানায় হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের টিম।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভোরের আলোও ফোটেনি, সে সময় হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক মদের কারখানায় হানা দেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র আয়কর আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মোট পাঁচটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসে। গ্রামের লোকজনও একে একে আসতে শুরু করেন এলাকায়। তারাও এই ঘটনায় হতবাক। উল্লেখ্য, এই কারখানায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন।
প্রায় ৪৬ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও বিষ্ণপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের মালিকানাধীন চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ি, চালকল এবং কার্যালয়ে গত বুধবার হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। তল্লাশি অভিযান চলতে থাকায় বুধবার থেকে মিলেই আটকে রয়েছেন অফিস কর্মীরা। বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বৃহস্পতিবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা রাইস মিলে ছিলেন। রাত্রি সাড়ে ন'টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ১৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ, শুক্রবার ফের তন্ময় ঘোষকে ডেকে পাঠান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রাইস মিলে ঢোকেন বিধায়ক। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তন্ময় ঘোষের সমস্ত নথি পুনরায় খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পাশাপাশি বুধবার বিধায়কের দফতর লাগোয়া একটি অতিথিশালা এবং মদের দোকানেও তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় পুরো এলাকা ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
উল্লেখ্য, তন্ময় ঘোষ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেও ৩০ অগাস্ট তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন। সেই তন্ময় ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০১৬ সালে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৫ টাকা। ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ২৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৩০ টাকা। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৪৮ টাকা।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়িতে ও চালকলে হানা দিল আয়কর দফতর। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর ৩০ অগাস্ট তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন। বুধবার বিধায়কের বাড়ি, চালকল এবং কার্যালয়ে হানা দেয় আয়কর দফতর।
এর পাশাপাশি বিধায়কের দফতর লাগোয়া একটি অতিথিশালা এবং মদের দোকানেও তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় পুরো এলাকা ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তন্ময় ঘোষ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
জনপ্রিয় বিড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার একাধিক অফিসে আয়কর হানা (IT Raid in Kolkata)। বুধবার সকালে ৬ জন আয়কর অফিসার ৫৭বি মির্জা গালিব স্ট্রিটে এই বিড়ি সংস্থার (Biri Factory) অফিসে হানা দেন। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিড়ি সংস্থার প্রধান কার্যালয় মির্জা গালিব স্ট্রিটের এই অফিস। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের দুটি অফিসেও চলছে আয়কর হানা। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) দিয়ে ঘিরে কলকাতার অফিসে অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, এই বিড়ি সংস্থা চায়ের ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করেছে। ব্যবসার হিসেবে গরমিল পেয়ে এবং সংস্থার দুই অধিকর্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই গরমিল খতিয়ে দেখতেই এই ম্যারাথন অভিযান। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এই সংস্থার বিড়ি ব্যবসা বেশি লাভজনক। পাশাপাশি রয়েছে চায়ের ব্যবসা। ব্যবসা সংক্রান্ত আয়কর সঠিক ভাবে পরিশোধ করা হতো কি? সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন আয়কর কর্তারা। সূত্রের খবর, এই বিল্ডিংয়ের ভিতর থেকে বাইরে আসতে এবং বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকতে বিশেষ নথি রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিড়ি সংস্থার দুই কর্তাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এমনটাই আয়কর দফতর সূত্রে খবর।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের সুতি ঔরঙ্গাবাদে এই বিড়ি সংস্থার একটি অফিসে আয়কর হানা। বেআইনি লেনদেন খতিয়ে দেখতেই এই হানা বলে খবর। কোথাও নগদ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে এই অভিযান। পাশাপাশি ওই জেলার সামসেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড়ের বিড়ি সংস্থার এক অফিসে হানা দিয়েছে আয়কর কর্তারা। জানা গিয়েছে, ৪টি গাড়ি করে আধিকারিকরা এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অফিস ঘিরে চলছে অভিযান। আয়কর হানার প্রাথমিক পর্যায়ে বিড়ি শ্রমিকদের অফিসে ঢুকতে বাধা দিলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল বলে খবর।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Zakir Hossain) পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। সম্প্রতি জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে ম্যারাথন আয়কর অভিযান (IT Raid) চলেছে। প্রাক্তন এই মন্ত্রীর অফিস-বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার অংশ বিড়ি শ্রমিকদের বেতন। এমন দাবি সংবাদ মাধ্যমের কাছে করেন জাকির হোসেন। এবার তিনি পাশে পেলেন দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।
সাগরদিঘির সভায় মমতা বলেন, 'জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। দোষ থাকলে নিশ্চয় আইনত ব্যবস্থা করবে। কিন্তু জাকির শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করে বলে, তাঁর যে ২০ হাজার বিড়ি কর্মচারী আছে, তোমরা সেটা দেখো না! তাঁদের বেতন কি ব্যাঙ্কে দেবে? কটা বিড়ি শ্রমিকের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে? আধার কার্ড দাও, প্যান দাও, এনআরসি দাও, এসব করে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নাও। জাকির নিজেরটা বুঝে নিতে সাবলম্বী, ওকে তো প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি জানান,'আমার দুর্ভাগ্য, কোনও একজনকে এখানে দলের পক্ষ থেকে কাজ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তৃণমূলের কোন লোকটা শক্তিশালী বের করে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। আগে নিজের বাড়িতে সিবিআই,ইডি, ইনকাম ট্যাক্সের অভিযান চালান। তারপর তৃণমূলের বাড়িতে করবেন।'
সোমবারও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, একজন-দু'জন খারাপ হলে সবাই খারাপ নয়। এখনও কোনও খারাপ কাজ করলে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। কারও থেকে কিছু নিয়ে থাকলে গিয়ে ফেরত দিন। পাশাপাশি একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এদিন ফের অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একশো দিনের কাজের টাকা কেন পাবে না গরিব মানুষ? বিজেপি-সিপিএম জবাব দাও। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়েছে এই কটাক্ষের সুরে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএমকে এভাবেই তোপ দাগেন মমতা।
প্রায় দেড় দিন অতিক্রান্ত এখনও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) রেস্তোরাঁয় আয়কর অভিযান (IT Raid) অব্যাহত। বুধবার সকাল থেকে ১৭৯ নম্বর এজেসি বোস রোডের একটি ব্যাঙ্কোয়েট কাম রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই রেস্তোরাঁয় কলকাতা পুরসভার (KMC) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববির অংশিদারিত্ব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের একটি গাড়িও রয়েছে রেস্তোরাঁর পার্কিং লটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দিয়ে ঘিরে গোটা বিল্ডিংয়ের তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। যারা ভিতর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।
এদিকে বুধবার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হুসেনের বাড়ি-অফিসে সিবিআই তল্লাশি চলেছে। সূত্রের খবর, উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। যে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি।
আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সবচেয়ে বেশি করদাতা। প্রতি বছর আমি কেন্দ্রের থেকে সার্টিফিকেট পাই। আয়কর হানায় (IT Raid) বাড়ি-অফিসে নগদ উদ্ধার-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (TMC MLA Zakir Hossain)। পাশাপাশি এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, 'আমার বাড়ি থেকে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক এক-দেড় কোটি টাকা (Cash Seized) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। কিছু টাকা আমার ছেলে আর স্ত্রী-মেয়ের। চালকল থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাও ধান-গম কেনার টাকা, বেতনের টাকা। নগদে না দিলে ধান-গম কৃষকরা দেবেন না। তাছাড়া চালকল শরিকি ব্যবসা, অন্যদের জিজ্ঞাসা করতে হবে টাকার উৎস। ' এরকম করলে মিল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করেন তৃণমূল বিধায়ক।
১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের যে খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে, সেই খবর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের বিধায়ক। পাশাপাশি এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী। এদিকে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।
সূত্রের খবর, নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এবার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠল নামকরা এক প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা মিথরি মুভি মেকার্স (এম এম এম)-এর কার্যালয়ে সোমবার হাজির হয় আয়কর দফতর। সেদিনই ঘটনাচক্রে শুরু হয়েছিল ‘পুষ্পা: দ্য রুল’-এর (Pushpa 2 : The Rule) শুটিং। ফলে প্রথম দিনে আয়কর কর্তাদের হানা সিনেমার শুটিং-এ প্রভাব ফেলে। ২০২১-র ১৭ই ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ‘পুষ্পা: দা রাইজ়।’ সেই সালের সবচেয়ে সুপারহিট এবং সর্বোচ্চ আয় করা ছবি। সূত্রের খবর প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। আয়কর দফতরে অভিযোগ করা হয়, উপার্জন অনুযায়ী কর দেয়নি ছবির প্রযোজনা সংস্থা। সেই অভিযগের ভিত্তিতেই 'পুষ্পা-২' শুটিং-এর প্রথম দিনই হাজির হয়ে যান আধিকারিকরা। শুরু করেন জিজ্ঞাসাবাদ। প্রয়োজনীয় তদন্ত করতেও দেখা যায় তাঁদের।
আল্লু অর্জুন এবং রশ্মিকা মন্দনা অভিনীত 'পুষ্পা: দা রাইজ' সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন লাখ লাখ 'পুষ্পা' অনুরাগী। চলতি বছরের জুন মাসেই ছবির শ্যুটিং শুরুর কথা ছিল। যদিও তা হয়নি। আচমকাই শ্যুটিং পিছিয়ে দেন পরিচালক সুকুমার। জানা গিয়েছে, নায়ক অল্লু অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় শুটিং শুরু করতে দেরি হয়। সদ্য রাশিয়া থেকে ফিরে কাজে যোগ দেন অভিনেতা। প্রযোজনা সংস্থা সূত্রে খবর ছিল, পুরোদমে শুটিং শুরু হবে ১২ ডিসেম্বর থেকে। তারপর শুরুর দিনেই বাধা পড়ল সেটে।
হাজারিবাগে (Hajaribag) কাছে পৌঁছেও আয়কর কর্তারা (IT Raid) টিকি ধরতে পারলেন না পার্থ ঘনিষ্ঠ (Partha Chatterjee) এক ব্যক্তির। আয়কর দফতরের অভিজানের ঘণ্টাখানেক আগেই নাকি পগারপার সেই সন্দেহভাজন। শহরের ভাণ্ডারা পার্কের এক হোটেল অভিযান চালিয়ে এমনটাই জেনেছেন আয়কর কর্তারা। ইডি (ED) মারফৎ সূত্র পেয়ে হাজারিবাগ শহরের সেই হোটেলে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।
হোটেল কর্মীরা আয়কর কর্তাদের জানিয়েছেন, একটা বিশাল ব্যাগ নিয়ে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়িতে কলকাতা থেকে এসেছিলেন ওই সন্দেহভাজন। কিন্তু অভিযানের অনেক আগেই ভাণ্ডারা পার্কের সেই হোটেল ছাড়ে সেই সন্দেহভাজন। তাঁকে গ্রেফতার কড়া গেলে আরও নগদের হদিশ মিলত বলেই জানিয়েছে আয়কর দফতরের এক কর্তা। জানা গিয়েছে, আয়কর দফতরের যে দল এই অভিযান চালায়, তারা অন্য একটি মামলার জন্য হাজারিবাগে অস্থায়ী শিবির করেছে।
এই অভিযানের আগে ভাণ্ডারা পার্কের সব প্রবেশপথ সিল করে দেয় তারা। সেই পার্কের মধ্যে হোটেল ছাড়াও রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স এবং ম্যারেজ হল। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজনের গতিবিধি বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিকে, দু'দিন আগে পার্থ এবং অর্পিতাকে আদালতে তোলা হয়েছিলন। দু'জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। সেই শুনানিতে "কেউ ছাড় পাবেন না, সময় এলে সব জানতে পারবেন"। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিস্ফোরক মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সূত্রের খবর। আদালতে মেজাজ হারিয়ে বলেন তিনি। জেলের মধ্যে তাঁকে জেরা চলছে, সেই সময় স্টেটমেন্ট পেপার স্ক্র্যাচ করে দেন তিনি। এই অভিযোগ আদালতে করেছে ইডির আইনজীবী। উল্লেখ্য,এর আগে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে ১৮ অগাস্ট আদালতে পৌঁছেই এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
পাশাপাশি পার্থকে জেরা করতে জেলে গিয়েছিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কথা মিথ্যে বলে ইডির আইনজীবী বলেছেন। ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে চেকআপ করা হচ্ছে। এইমস সূত্রে জানা গেছে, ৭০-র বেশি বয়সী মানুষ কোমর্বিডিটিতে ভোগেন। তাঁর কোমর্বিডিটি আছে, এটা সবার থাকে বলে ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন। তবে পার্থর আইনজীবী বলেন তাঁর হিমোগ্লোবিন কমেছে, বেড়েছে ক্রিয়েটিনিন।
ফের উদ্ধার যকের ধন। মহারাষ্ট্রে (Maharastra) আয়কর হানায় (Income Tax Department) বাজেয়াপ্ত ৩৯০ কোটির সম্পত্তি। টাকার পাশাপাশি হিরে, সোনার পাহাড়ও উদ্ধার হয়েছে। কর ফাঁকি মামলায় জালনার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ৩৯০ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পায় আয়কর দফতর। সেই মোতাবেক তদন্তে নেমে বেরিয়ে এল ৫৬ কোটি টাকা নগদ (Cash), ৩২ কেজি সোনা (Gold) এবং ১৪ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত (Diamond)। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইস্পাত, কাপড় এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। গত ১লা অগাস্ট থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ৮ অগাস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোট ২৬০ জন আয়কর কর্মী পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেন। টাকার পাহাড় গুনে শেষ করতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে খবর। এ ঘটনা দেখে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির হানার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকের। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে এরকমই দীর্ঘ সময় লেগেছিল তদন্তকারীদের।