রাজ্যে একধাক্কায় সামান্য কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ২৫২ জন, মৃত ২। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯৪ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৮৩%। এই মুহূর্তে বাংলায় পজিটিভিটি রেট ২.৭০%। ২৪ ঘণ্টার তুলনায় আক্রান্তের হারের গ্রাফও নিম্নমুখী।
এদিকে, গত কয়েকদিনের করোনাগ্রাফে (Coronavirus) স্বস্তি মিললেও ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবারের মতোই ১০ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19)। তবে এদিন একই রয়েছে মৃতের সংখ্যা। স্বস্তি অ্যাকটিভ কেস (Active Case) ও পজিটিভিটি রেটের (Positivity Rate) ক্ষেত্রে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৭২৫ জন। যা বুধবার ছিল ১০ হাজার ৬৭৭ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। বুধবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩৬। ফলে মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে কোনোরকম হেরফের নেই, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮৮ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪৭ জন। যা মোট আক্রান্তের তুলনায় ০.২২ শতাংশ। রবিবারও তা ছিল ৯৯ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৫৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৬০ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১০ কোটি ৮২ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৩ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
মহাজোট সরকারের গঠনের পর বুধবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) আস্থা ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের (Nitish Kumar)। আর সেদিনেই সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় মূলত আরজেডি নেতাদের বাড়িতে এই সিবিআই অভিযান (CBI Raid)। শুধু বাড়ি নয় একাধিক আরজেডি (RJD) নেতার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সিবিআই সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের বাসভবনে বুধবার তল্লাশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় জুলাই মাসে লালু-ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
তবে নীতীশ কুমারের আস্থা ভোটের দিন সিবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে বিজেপি বিরোধী শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী, তখন নাকি বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের 'গ্রুপ-ডি' পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল।
এই সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী জানান, গোটা বিশ্ব দেখেছে, সারা দেশ দেখছে, আমরা এসবে ভয় পাই না, কেনই বা পাব।
রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, তবে অনেক কমেছে মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২৭২, মৃত ১। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪২৯ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৮২%। বাংলায় এই মুহূর্তে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার ২.৮৫%। পুজোর মাস দেড়েক আগে করোনার এই সার্বিক চিত্রে কিছুটা স্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে, আগামী ২৭ অগস্ট থেকে শুরু এশিয়া কাপ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় করোনা আক্রান্ত। ফলে এশিয়া কাপে তাঁর দলে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে বোর্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ২৮ অগস্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা।
অন্যদিকে, দেশে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক করোনা সংক্রমণ নেমে এল সাড়ে আট হাজারে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। ক্রমশ কমছে অ্যাকটিভ কেস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৮৬ জন। সুস্থ ৯৬৮০ জন। শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৫৯ শতাংশ। সোমবারও এই হার ছিল একই। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ৫০৬-এ। সোমবারও যা ছিল ৯৭ হাজারের বেশি। পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ২.১৯ শতাংশ।
১৭ বিরোধী নেতার (Opposition Leader) সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে করা মামলার (PIL) শুনানি পিছলো। আগামি ২৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার শুনানিতে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্য জানান। আগেও তাঁরা সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও জানাবেন। তবে বিজেপির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) সময় চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশ আবেদনকারী সুজিত গুপ্তকে দিয়েছে আদালত।
ইতিমধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে চলছে। সেই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা দিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। এই আবহে বিরোধী ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
এই তালিকায় নাম আছে সিপিএম-র মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাঁর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নামও আছে তালিকায়।
সন্দেহাতীতভাবে বলা যেতেই পারে, এখনও পর্যন্ত দেশের সবথেকে শক্তিশালী দল বিজেপি এবং তাদের মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন একটা সময় ছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ অবধি তাঁকে গদি থেকে সরানো কঠিন বিষয়। কিন্তু দেশের সমস্ত বিরোধী দল এবং তার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া কংগ্রেসের একটি অংশ একত্রিত হয়ে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে ইন্দিরাকে পরাজিত করা হয়। যদিও সেই সরকার টেকেনি বেশিদিন।
এবারেও প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল, তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল একত্রিত হয়ে ২০২৪ এর ভোটযুদ্ধে অংশ নেবে। সঙ্গে কিন্তু কংগ্রেস সহ নানান দলে নানা অভিমত। প্রথমত কংগ্রেসের মধ্যে ভাঙন না ধরলেও প্রাক্তনীদের একটি অংশ নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার কে হবে দলের সভাপতি? রাহুল গান্ধী জানাচ্ছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ নয়। তবে কে? যেই হোক, তিনি যে বকলমে এই পরিবারের ইয়েস ম্যান হবেন, তা বলাই বাহুল্য। অনায়াসেই সচিন পাইলটের মতো তরুণদের সুযোগ পাওয়া উচিত মনে করে অনেকেই। কিন্তু তাঁকে আবার রাহুলের অপছন্দ। আরেক বিরোধী দল আপ। ইতিমধ্যেই তাদের দলের একাংশ বলতে শুরু করেছে, মোদীর বিকল্প মুখ নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
একটা জোট অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। তার মধ্যে রয়েছে ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা, এনসিপি, ঠাকরে পরিবার শিবসেনা। নব সংযোজন বিহারের নীতীশবাবু, লালুর দলদুটি। কিন্তু পাশাপাশি তৃণমূল কারোর সঙ্গে নেই, এক চলেছে তেলেঙ্গানার টিআরএস, বাম দলগুলি ইত্যাদি। জোটবদ্ধ হওয়ার যে কোনও চেষ্টা হোক না কেন, আপ, তৃণমূল, টিআরএস ইত্যাদির সাহায্য এবং পাওয়ার সম্ভবনা কোথায়? মমতা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তখন জোট বাঁধা যাবে। খেলার রাশ কিন্তু মোদীর হাতে।
সম্প্রতি বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে বিহারে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি বিরোধী ৭ দলের এই জোট সরকারের অন্যতম বড় শরিক আরজেডি এবং কংগ্রেস। বিহারের আম আদমি যখন এই রূপান্তরে গা ভাসাচ্ছেন, তখনই মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ে হামলা। পাটনায় পাথর ছুড়ে হামলা নীতীশ কুমারের কনভয়ের গাড়িতে। যদিও ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে।
Patna | Stones pelted at the convoy of Bihar CM Nitish Kumar; CM was not present in the convoy at the time of the incident. pic.twitter.com/5kNnn7IDlv
— ANI (@ANI) August 21, 2022
তেমনই এক ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জনবহুল রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু লোক লাঠি, পাথর দিয়ে হামলা চালায়। দাঁড়িয়ে পড়ে কনভয়। এরপর আশপাশ থেকে দলে দলে আরও লোক ছুটে এসে কনভয়ের গাড়িতে পাথর ছুড়তে থাকেন। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের।
কেন এই হামলা, নির্দিষ্ট কোনও কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সূত্রের দাবি, যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, কিছু দিন আগে সেই এলাকারই এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হতে পারে।
প্রসূন গুপ্ত: সদ্য মহাজোটের সরকার গঠন হয়েছে বিহারে। আরজেডির নেতৃত্বে নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রিত্বে সরকার গঠন বাংলার পড়শি রাজ্যে। নীতিশ এবার তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে, এমন সব দলের বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চেয়েছিলেন। বামেদের ১৬ বিধায়ক অবশ্য বাইরে থেকে মহাজোটের সরকারকে সমর্থন করছে।
তবে বামেরা চাইছে শাসক জোটের সব দলের বিধায়করা সতর্ক হোক। সে প্রসঙ্গে লালুর দল অর্থাৎ আরজেডিকে সতর্ক করেছে তারা। বামেরা বলেছে, যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী সরকারের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে বিহারের উপরেও চাপ আসবে। বামেদের এই পরামর্শে সহমত হয়েছেন তেজস্বী যাদব। কারণ নীতীশের বর্তমান মন্ত্রিসভায় অন্তত দু'জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দু'জন আবার আরজেডি বিধায়ক। বর্তমান বিহার মন্ত্রিসভায় আরজেডি ছাড়াও রয়েছে নীতীশের জনতা দল (ইউনাইটেড), নির্দল এবং জিতনরাম মাঝির হাম দল। এর মধ্যে জিতনরামের দলের সঙ্গে সারা ভারতে বিজেপির সম্পর্ক খুবই খারাপ। ফলে এদেরও সতর্ক করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী কড়া বার্তা দিয়েছে দলের বিধায়কদের এবং দলের কর্মী নেতাদেরও। মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রাখার জন্য। তেজস্বী বুদ্ধিমান ছেলে, তিনি জানেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে তাঁর বাবা লালুর দুর্দশার কথা। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তেজস্বীর আশংকা ফের নতুন করে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, চব্বিশের ভোটের আগে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে বিজেপির ব্যাডবুকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাঁর দলকেও। তেজস্বী তাঁর দলের বিধায়কদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যের কোনও নাগরিকের প্রণাম নেওয়া চলবে না। হাত জোর করে বা সেলাম করে প্রণাম বা আদাব জানাতে হবে।
কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না মন্ত্রীদের। সর্বোপরি এই মুহূর্তে ফাইল থেকে অন্য কাগজ দেখেশুনে সই করতে হবে। অর্থাৎ বার্তা অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের মতো। সতর্কবার্তার মধ্যে সবথেকে তাৎপর্য ভাবে তেজস্বী জানিয়েছেন, কেউ নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন না বা নিতে পারবেন না উপঢৌকন নিতে পারবেন না।
রাজ্যে সামান্য কমল করোনার (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু বেড়েছে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত (Covid-19) ৪০০ জন, মৃত ৫। একদিনের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫৩ জন, এই মুহূর্তে বাংলায় সুস্থতার হার ৯৮.৭৮%। পজিটিভিটি রেট (Active Case) বা আক্রান্তের হার ৩.৬৫%।
এদিকে, টানা কয়েকদিন দেশের করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে থাকলেও ফের ১২ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যদিও কিছুটা স্বস্তি মৃত্যু সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এদিন খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৪ জন। যা বৃহস্পরিবার ছিল ১২ হাজার ৬০৮ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। বৃহস্পরিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৭২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫৩ জন।
গোরু পাচারের তদন্তে নেমে শুক্রবার ভোলেব্যোম রাইস মিলে (Rice Mill in Birbhum) অভিযান চালায় সিবিআই। তদন্তে এই মিলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীয়ের যোগসূত্র পেয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। আর শুক্রবার সকালে সেই রাইস মিলে প্রবেশের পরেই চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। মিল চত্বরে সার দিয়ে দাঁড়ানো একাধিক বহুমূল্যের গাড়ি (Car Found)। যে গাড়িগুলোর মধ্যে একটি গাড়ি, যাতে সরকারি স্টিকার লাগানো, বিশেষ নজর কেড়েছে তদন্তকারীদের। আর এই গাড়ি উদ্ধার ঘিরে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। তৃণমূলকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস। পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছে শাসক শিবিরও।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ব্যাঙ্গের সুরে বলেন, 'আমাদের কৃষ্ণের অষ্টতর শতনাম আর কলিকালের কেষ্ট অর্থাৎ দিদির কেষ্টার অষ্টতর শত দোষ। দিদি তো বলেই দিয়েছেন, কী এমন হয়েছে? একজনকে তো শুধু প্রাণে মারা হুমকিই দিয়েছে। আপনারা কেন এত মাথা ঘামাচ্ছেন?' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, 'রাইস মিলে থাকা গাড়িতে সরকারি স্টিকার কেন? মাত্র একটা গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। আর বাকিগুলো? এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আর সে কারণেই সিবিআই-ইডিকে ভয় পাচ্ছে।'
কটাক্ষের সুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'দিদি লাখ লাখ অনুব্রত তৈরি করবেন বলে দিয়েছেন। তাই বাংলায় যতদিন এই মুখ্যমন্ত্রী আছেন এবং তৃণমূল সরকার আছেন, কোনও কিছু নিয়ে অবাক হবেন না।'
কী বলছে বিরোধী দলগুলো?
এই বিষয়ে কৌশলে প্রতিক্রিয়া এড়িয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর যে তথ্যের উপর এই বিতর্ক, সেটা হয় সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া কিংবা এজেন্সি কিছু দিয়েছে। তাই উলটো দিকের বক্তব্য শুনে তবেই বলা যাবে।'
শুনুন তৃণমূলের বক্তব্য-
প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।
শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।
মুম্বই হামলার স্মৃতি উসকে দিল মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রায়গড়। জেলার হরিহরেশ্বর তীরে বৃহস্পতিবার মিলল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একটি সন্দেহভাজন নৌকা (Boat)। সেই পরিত্যক্ত নৌকার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, তিনটি একে-৪৭ (AK-47 rifles) রাইফেল, বিস্ফোরক (explosives) এবং গুলি। জায়গাটি মুম্বই (Mumbai) থেকে প্রায় ২০০ কিমি এবং পুনে থেকে ১৭০ কিমি দূরে। এরপরই বাড়ানো হয়েছে গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিরাপত্তা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর জারি করেছে হাই অ্যালার্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) প্রধান বিনীত আগরওয়াল বলেছেন, এই আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই নৌকা উদ্ধারের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, কোনও সন্ত্রাসী যোগ না পেলেও, এই নৌকার অস্ত্র কোথায় যাচ্ছিল খুঁজে দেখা হবে।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, বৃহস্পতিবার রায়গড় উপকূলে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি পরিত্যক্ত নৌকা জেলেরা খুঁজে পান। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। নৌকাটি তল্লাশি করতেই পাওয়া যায় তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক ও বুলেট। এই সন্দেহজনক নৌকাটি একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলার। এবং নৌকাটি মাস্কট থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রবল জোয়ারের কারণে নৌকাটি ভেঙে রায়গড় উপকূলের দিকে চলে এসেছে। নৌকায় পাওয়া অস্ত্রগুলি কোনও নাশকতার ছক হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যে কারণে আশেপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এবং এটিএসও এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ লক্ষ চাকরির (Job) আশ্বাস দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এর সংযুক্ত সরকারের পরিকল্পনা হল, সরকারি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ লক্ষ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ১০ লক্ষ চাকরির ব্যবস্থা করা। এর আগে বিরোধী শিবিরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান। পাটনার গান্ধি ময়দানে ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমার তা কার্যত দ্বিগুণ করে দিলেন। তিনি একথাও বলেন, রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে এই লক্ষ্যণাত্রা পূরণ করার জন্য। দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুন নতুন চাকরি নিয়ে আসাটাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে থাকার সময় ১০ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলা বাহুল্য, ক্ষমতায় আসার পর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই শরিকই সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করল, তারা মিলেজুলেই কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আর সেকথাই এদিন স্মরণ করিয়ে দেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, বিজেপি কখনই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না। আপনারা বারবার বলে এসেছেন, ১০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতির কী হল? আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে আপনাদের সামনে সেই প্রতিশ্রুতিই দিলেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দু কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কী হল? এমনকী বিজেপি যে ১৯ লক্ষ চাকরির কথা বলেছিল, তার মধ্যে ১৯ জনেরও কি চাকরি হয়েছে?
কামারহাটির জনসভায় সৌগত রায়ের (TMC MP Sougata Ray) মন্তব্য ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। একযোগে সমালোচনার সুরে বিঁধেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'একজন অধ্যাপকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনে লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) দৌলতে বাংলার রাজনীতি একদম নর্দমায় পরিণত হয়েছে।' সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)।
তিনি বলেন, 'সৌগত রায় আজ নোংরা, ফ্যাসিস্টদের মতো কথা বলেছে। হিম্মত আছে, কারণ আমরা সমালোচনা করবই। রাজ্যজুড়ে যা চলছে, তার সমালোচনা হবে না? এই মুহূর্তে তৃণমূলের বড় সমালোচক সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা।'
একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, 'চাপে পড়ে উনি এ কথা বলেছেন। সৌগত দা-কে যতটা চিনি এই ধরনের কথা বলার মানুষ নয়।'
আর কী বললেন বিরোধী নেতারা?
এদিকে, কামারহাটির জনসভায় দমদমের সাংসদ মন্তব্য করেন, 'তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।' এতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যদিও সমালোচনা শুরু হতে ঢোক গিলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছেন,'এই মন্তব্য রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম। না করলেই ভালো হত। ভুল হয়েছে।'
সামান্য কমল রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৪৭২ জন মৃত ৩। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সংক্রমিত ছিল ৫৯৮ জন, মৃত ছিল ৪ জন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তুল্যমূল্য বিচারে সেই পরিসংখ্যান নিম্নমুখী। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭৫ জন, এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৫৯%।
রাজ্যে এখন পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার ৪.৮%। এদিকে, বেড়ে চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে (Covid-19) সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফের তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যদিও মৃত্যু সংখ্যাও (Death) সামান্য নিম্নমুখী। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৬১ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৬ হাজার ২৯৯ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। বৃহস্পতিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫৩ । মৃত্যুসংখ্যা যে সামান্য নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৮ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৮ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৩৫। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ০৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৫.৪৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণের রাস্তায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বঙ্গ বিজেপির ধর্নামঞ্চে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি-সহ রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। একই চড়া সুর শোনা গিয়েছে বাম এবং কংগ্রেসের গলায়। তবে বিরোধীদের এই সমালোচনার জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন এই অভিযোগ করেন শাসক দলের সাংসদ সৌগত রায়।
শুক্রবার ওয়াই চ্যানেলের কর্মসূচি থেকে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, যিনি বলতেন শুঁটিয়ে লাল করে দেব। তিনি এখন ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে নিজেই লাল হয়ে গিয়েছেন। সিবিআই থেকে বাঁচতে বলছেন আমার পিছনে অপারেশন করে দিন।'
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর খোঁচা, 'একে তো অনুব্রত গ্রেফতার, তারপর যদি শোনেন দলের কোনও পদ নেই তাহলে তো অক্সিজেন যাওয়া আরও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকৃত বিচার হোক। আমার কারও প্রতি প্রতিহিংসা নেই।' সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'অনুব্রতকে বহিষ্কার করতে হবে। কিন্তু কিন্তু এঁরা সব চুনোপুটি, আসল কারা, মানুষ বলছে হাওয়াই চটি, কোটিপতি।'
কী বলছে বিজেপি
কী প্রতিক্রিয়া বাম-কংগ্রেসের
তবে বিরোধীদের এই আক্রমণের জবাবে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় জানান, ইডি- সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইডিকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাও রাজনৈতিক বিষয়। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখনই পার্টির কোনও স্ট্যান্ড নেই।
তাঁর নামে কোনো চার্জশিট নেই। দলের কাছে গোটা বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।