সৌমেন সুর: জলের আরেক নাম জীবন। তাই জলের জন্য যদি জীবন বিপর্যস্ত হয় তাহলে দায়ী আমরাই। আমাদের অসচেতনতা। কারণ অনেক সময় আমরা অযথা জল নষ্ট করি। জল যে আমাদের জীবনে কত বড় বন্ধু, তা মাঝেমাঝে সেটা আমরা ভুলে যাই। সমগ্র মানবকূলকে জলের প্রয়োজনে বাঁচতে প্রথমে চাই গণ-সচেতনতা। জল কোনোভাবেই নষ্ট করা চলবে না। আমাদের এই বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় রাস্তাঘাটে দেখা যায়, কল থেকে জল নির্গত হয়ে চলেছে অনর্গল, অথচ কেউ একজন এগিয়ে এসে কলটা বন্ধ করে দিচ্ছে নানা- এটা সম্পূর্ণভাবে মানব মনের অসচেতনতা। শুধু রাস্তাঘাট নয়, বাড়ির কলের ব্যাপারেও আমাদের জাগ্রত থাকতে হবে। জলের ব্যাপারে যেভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে জল তোলা হচ্ছে তাতে একদিন না একদিন হয়তো দেশবাসীকে ওয়াটার ক্রাইসিসে ভুগতে হতে পারে। তাই এখন থেকে যদি আমরা সচেতন হই জল আমরা অযথা নষ্ট হতে দেব নানা, এই ভাবনা নিয়ে এখন থেকেই এগোতে হবে।
মানুষ যেসব রোগে আক্রান্ত হয়- তার অনেকগুলি জলবাহিত। সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- আমাশয়, কলেরা, জন্ডিস, চর্মরোগ। ইদানিং কোন কোন অঞ্চলে আর্সেনিক পরিমাণ মাত্রারিক্ত হওয়ার ফলে ভয়ংকর রোগ দেখা দেয়। এইগুলি আমাদের ভালোভাবে নিরীক্ষণ করতে হবে। এসবের জন্য প্রয়োজন নাগরিক কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়া। ২০০০ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘ W. H. O মাঝেমধ্যেই বিশুদ্ধ পরিশ্রুত জলের অভাব মেটাতে গড়ে উঠেছে এক নতুন শিল্প। জল শিল্প। কিছু সংস্থা বোতলে মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে বাজারে ছেড়েছে। ১ লিটার মিনারেল ওয়াটার, এক লিটার দুধের দামের মধ্যে সামান্য পার্থক্য। তবে এইসব সংস্থার দাবি মতো, ওই পানীয় জল কতটা বিশুদ্ধ সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
প্রাত্যহিক জীবনে একটা দিন অনাহারে কাটানো যায়, কিন্তু জল ছাড়া একটা দিন ভাবা যায় না। সভ্যতার অগ্রগতি একটার পর একটা প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে। এবার জলের পালা। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, সমস্ত প্রাণীকুলকে বাঁচাতে জল যেন আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। তেড়ে গণ আন্দোলন করা উচিত। আগামী দিনে জল অপচয় যেন আমরা না করি। অপচয় করলে একদিন না একদিন আমাদের বিশাল বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
শুক্রবার একুশে জুলাই। ধর্মতলায় জড়ো হবেন লাখো তৃণমূল সমর্থক। সবাই তাকিয়ে থাকবেন তৃণমূল নেত্রীর বার্তার দিকে। তার আগে বুধবার হঠাৎ করেই এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত অনেক তৃণমূল সমর্থক এখনও ভর্তি আছেন এই হাসপাতালে। মূলত তাঁদের দেখতেই এদিন হাসপাতালে যান মমতা। কথা বলেন আহত তৃণমূল সমর্থক এবং তাঁদের পরিবারদের সঙ্গে।
হাসপাতালে ঘুরে দেখার পাশাপাশি আহত কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন সরকারি সাহায্য। তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিন সব ঠিক হয়ে যাওয়ার। ইতিমধ্যেই একুশ জুলাই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন তৃণমূল সমর্থকরা। এই মুহূর্তে তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্বাচনী হিংসায় আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে আসা দলকে একটা বড় বার্তা দেবে সেটা নিশ্চিত। এছাড়া অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু, আহতদের সংখ্যা অন্যদলের তুলনায় তৃণমূলেরই বেশি।
পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে আসা গৃহবধূ সীমা হায়দারের (Seema Haider) সঙ্গে পাক সেনা (Pakistani Army) ও আইএসআই-এর যোগ রয়েছে? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে। এবারে এই সন্দেহেই সীমা হায়দার ও তাঁর বর্তমান স্বমী সচিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এটিএস (ATS)। তবে কি সীমা কোনও পাক গুপ্তচর, সেই প্রশ্ন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। ফলে এবারে তাঁকে নয়ডার সেক্টর ৫৮ এলাকায় আইএসআই-এর যোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নয়ডায় যেখানে বর্তমানে সীমা ও তাঁর স্বামী সচিন থাকছেন, সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা নাকি নিখোঁজ। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এটিএস বা অ্যান্টি টেটোরিস্ট স্কোয়াড। কারণ সীমাকে জেরা করেই নাকি জানা গিয়েছে যে, তাঁর ভাই ও কাকা পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে যুক্ত। ফলে এক্ষেত্রে সীমার কোনও পাক সেনা ও আইএসআই-এর যোগ রয়েছে কিনা তার জন্য এটিএস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুধু সীমা নয়, জানা গিয়েছে তাঁর বর্তমান স্বামী সচিন ও তাঁর বাবা নেত্রপাল সিং-কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সোমবারও প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফলে তাঁদেরকে দেখা যায়নি বাড়িতে ও তাঁদের 'নিখোঁজ' বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। সীমার পাসপোর্ট, মোবাইল ফোনের তথ্য, পরিচয়পত্র ও তাঁর সন্তানদের বিভিন্ন তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা হচ্ছে। আবার আজ, মঙ্গলবার সকালে সীমা, তাঁর স্বামী সচিন এবং তাঁর বাবাকে জেরার জন্য নিয়ে যায় এটিএস। ফলে পরবর্তীতে কী তথ্য বেরিয়ে আসে সীমাকে নিয়ে, তারই অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।" তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।
গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমারের 'ওএমজি: ওহ মাই গড' (OMG: Oh My God)। এবারে প্রায় এক দশক মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবির সিক্যুয়াল ওএমজি ২ (OMG 2)। প্রথম ছবি দর্শকদের মনে বেশ গভীরভাবে দাগ কেটেছিল, ফলে এর সিক্যুয়েল নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই এই ছবির প্রথম ঝলক দেখা গিয়েছে। ঠিক ছিল, ১১ অগাস্ট ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। কিন্তু তার আগেই বাধা। জানা গিয়েছে, এই ছবির বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার পরই এই ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাই ছবির চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে সংলাপ, দৃশ্য সমস্ত কিছু ভালো মতো বিশ্লেষণ করেই এই ছবি মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দেবে সেন্সর বোর্ড। তাই এই ছবির সংলাপ, দৃশ্য সেন্সর বোর্ডের রিভাইসিং কমিটিতে (Revising Committee)পাঠানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল 'আদিপুরুষ'। এই ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছিল একাধিক সমালোচনা-বিতর্ক। চরিত্র থেকে শুরু করে সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এমনটাও অভিযোগ উঠেছিল। ফলে এই সমস্ত কিছু থাকার পরও সেন্সর বোর্ড থেকে কীভাবে এই ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ফলে এবারে ওএমজি ২ নিয়েও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই ছবির বিভিন্ন সংলাপ, দৃশ্য ভালোভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে। তাই এটিকে রিভাইসিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
ওএমজি ২-তে অক্ষয়কে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যাবে। ফলে এই ছবির বিভিন্ন ধর্মীয় দিক বিচার বিবেচনা করা হবে। তাই এই ছবিতে কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা বা সেন্সর বোর্ড এতে ছুঁরি চালায় কিনা, সেটাই এখন দেখার।
৮ জুলাই শনিবার ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Electoin)। সেই নির্বাচনে মৃত্যু, বোমাবাজি, গুলি, মারধর সবমিলিয়ে এক উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। এমনকি বাদ যায়নি বুথে বুথে শাসক দলের ছাপ্পা ভোট সহ ব্যালট লুঠ করার প্রক্রিয়া। আর সেই ছাপ্পা ভোটের বিরোধীতা করে পুননির্বাচনের (Re-Polling) দাবিতে পথে নেমেছিল বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের জেলায় জেলায় সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল অনেক বিক্ষোভও। তাই সবকিছু তথ্য যাচাই করে, ভেবেচিন্তে সোমবার নির্বাচন কমিশন (State Election Commision) ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচনের নির্দেশ দেয়।
আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পুননির্বাচন। পঞ্চায়েতের যেই বুথ গুলিতে ছাপ্পা ভোট হয়েছে এবং ব্যালট বক্স লুঠ হয়েছে, সেই বুথগুলিতেই করা হচ্ছে পুননির্বাচন। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচন। আগের তুলনায় পুননির্বাচনে বেশি অশান্তি না হলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক বাম প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলী শেখের। শনিবারের তুলনায় এদিন একটু শান্ত পরিবেশ নজরে আসছে পুননির্বাচনের বুথগুলি থেকে। এমনকি শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা না গেলেও, পুননির্বাচনে বুথ গুলির বাইরে বেশ সক্রিয়তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha), জীবন উপভোগ করতে বিশ্বাসী। অভিনয় জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের জন্য একটি আবাসন কিনেছেন। এবার তিনি বেরিয়ে পড়েছেন অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ গ্রহণ করতে। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওতেই অভিনেত্রীর মুহূর্তযাপন ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
সোনাক্ষী ঠিক কোথায় ঘুরতে গিয়েছেন, সে কথা লেখেননি সামাজিক মাধ্যমে। তবে তাঁকে দেখা গিয়েছে জিপ লাইনিং করতে। চারপাশ ঘেরা ঘন জঙ্গলে, তার মাঝেই তার বেয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। মাঝপথে আবার খানিকটা স্পাইডারম্যানের অন্দাজে ঝুলে পড়েছেন। ভিডিওর আবহে শোনা গিয়েছে 'স্পাইডারম্যান' গান। মাঝপথে তার ধরে আবার উলটেও গিয়েছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে অভিনেত্রী একটু ঝাড়া হাত পা হয়েছেন। কিছুদিন আগেই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্রাইম থ্রিলার 'দাহার'। অভিনয়ে সোনাক্ষী বেশ পরিণত হয়েছেন। প্রবল প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেই সিরিজের পর। বর্তমানেও হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে সোনাক্ষীর। ব্যস্ততার মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন অবকাশ সময়।
বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। অভিযোগ উঠেছে, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক যুবক এক আদিবাসী শ্রমিকের (Labourer) গায়ের উপর প্রস্বাব করেছে। আর সেই ভিডিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) চোখে পড়তেই মঙ্গলবার তিনি তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেন। এরপর সেদিন রাতেই সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আর এবারে জানা গিয়েছে, তাকে 'শাস্তি' দিতে তার বাড়িতে চালানো হল বুলডোজার (Bulldozer)।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রবেশ শুক্লা। আর এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ঘটেছে। এনএসএ-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এরপর বুধবার জানা গিয়েছে, তাকে শাস্তি দিতে তার বাড়িতে চালানো হয়েছে বুলডোজার। তার বাড়ির নির্মাণ অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে, ফলে সেই বাড়ি ভাঙা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আজ তার বাড়িতে বুলডোজার আসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁদের উপস্থিতিতেই তার বাড়ি ভাঙা হয়েছে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশের গৃহমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র প্রবেশের এই ব্যবহারকে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে তার বাড়িতে বুলডোজার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) লড়তে পারবেন না ভাঙড়ের (Bhangar) ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নতুন করে আর মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না। সূত্রের খবর, বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন কমিশনকে ভাঙড়ের ওই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন খতিয়ে দেখে, পুনরায় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আইএসএফ পরবর্তীতে আদালতে জানিয়েছিল তাদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি শেষে ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সৌমেন সুর: হঠাৎ কি হলো! নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এমন ঊর্ধ্বে চলে যাচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে ৫০-৬০ টাকার মধ্যে সবজী বাজার নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফেরা যেতো। এখন সবজী বাজার সারতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা চলে যাচ্ছে। এখন কথা হলো জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে অথচ বেসরকারি অফিসে বেতন বাড়ছে না। গোনাগুনতি টাকা, গোনাগুনতি হিসেব। একটু উনিশ-বিশ হলেই চিন্তায় প্রেশার ফল, বুকে ব্যাথা। ছোটো ডাক্তারের কাছে। গেলো অর্থদন্ড। তার ওপর ওষুধ তো আছেই। কোথায় যাবে মধ্যবিত্ত! মানুষের ক্রয়শক্তি দিন কে দিন কমতে শুরু করেছে। খাওয়া-দাওয়ার উপর লাগাম টানতে শুরু করেছে মানুষ। প্রয়োজনীয় পন্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে দিনকে দিন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্ত শ্রেনী অসহায়। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অসহায়। কৃষক অসহায়, শ্রমিক অসহায়, সর্বত্র অসহায়ের করুণ ছবি।
বর্তমানে সততার কোনো দাম নেই। ছড়িয়ে পড়েছে অসতের উল্লাস ধ্বনি। এমন জাল বিস্তার হয়েছে, যে একবার সেই জালে জড়িয়ে পড়েছে-তার আর নিস্তার নেই। হঠাত্ কেন এমন হলো! চাল, ডাল, তেল, নুন, রান্নার বস্তু, পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস সবেতেই আগুন জ্বলছে। দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। খুঁজতে হবে, যারা পণ্যদ্রব্যের ওপর টাগ অব ওয়ার চালাচ্ছে- তাদের বিচ বাজারে হাজার মানুষের সামনে কঠোরভাবে শান্তি দেওয়া। পরিস্কার বোঝা যায়, অসাধু ব্যাবসায়ীদের জন্য সৃষ্টি হয় পণ্যের কৃত্রিম অভাব। সৃষ্টি হয় কালোবাজার। চলে শোষনের নেশা। পন্যমূল্য বৃদ্ধির দুঃসহ আঘাতে মানুষ মরিয়া হয়। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় মানুষের স্বার্থে আন্দোলনের। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্যবৃদ্ধি সমাজের এক গভীর ক্ষত। অর্থনীতির বিজ্ঞানভিত্তিক পূর্নবিন্যাস এই ক্ষতের উপশম। আমারা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখনই রাশ টেনে না ধরলে, ভবিষ্যতে এক ঘোর অমানিশার প্রভাব দেখা দেবে, এ কথা বলাই বাহুল্য।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।
দু'দিনের মিশর সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভারত-মিশর (India-Egypt) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করাই যে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, তা বোঝাই যাচ্ছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে একাধিক মউ ও চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে দু'দেশের পক্ষে। এগুলো দু'দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট এল সিসির সঙ্গে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আবার তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, বাণিজ্যের প্রচার, সংস্কৃতি, শিল্প নিয়ে মউ-চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মোদী। বিনয় কোয়াত্রার মতে, ভারত ও মিশরের মধ্যে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' এর 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী' সহ চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অন্যদিকে মোদীর মিশর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করেছেন,'আমার মিশর সফর ছিল ঐতিহাসিক। এটি ভারত-মিশর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশের এতে জনগণ উপকৃত হবে৷'
দু-দুটি বুনো হাতির (Elephant) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বন দফতরের (Forest Division) নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলেই হাতি দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রাঘাতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার সকালে চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনের কাছে ডায়না নদীর ধারে হাতি দুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দুটি হাতির মধ্যে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী হাতি ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। এমনকি সেই সময় ঘনঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাই স্থানীয়দের অনুমান, বজ্রাঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতি দুটির।
কেন্দ্রের কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাহিনী (Central Force) চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commision)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খাবার পর কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরকে চিঠি লিখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাহিনীর আবেদন করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস এবং বিজেপির করা একটি মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেয়, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এবং তিনি আরও নির্দেশ দেন যে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে পাঠাতে হবে। এরপর অবশ্য ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কমিশন কোনও সিদ্ধান্তই নেয় নি। পাশাপাশি হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরই কার্যত সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত সওয়াল জবাবের পর, হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে। এরপর মঙ্গলবার থেকে আরও তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। এবং এখনও অবধি পাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিটি জেলার জন্য দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আবেদন করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বলিউডে (Bollywood) দশকের পর দশক সিনেমা করে আজ বহু অভিনেতারা (Actors) প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের এখন নাম-ডাক, যশ-প্রতিপত্তি সবই হয়েছে। মাঝে মধ্যেই নানা প্রতিবেদনে তাঁদের আর্থিক উপার্জন, সম্পত্তির হিসেব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অভিনেতারা হয়তো তাঁদের সম্পত্তির হিসেবে খতিয়ে দেখেন না। আজ যারা এই ক্ষমতার শীর্ষে, একসময় তাঁদের দিন কেটেছে দারিদ্রতায়। বলিউডে আসার পর অবশ্য ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছিল।
অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ ২০০৩ সালে প্রবল অর্থ কষ্টে ভুগেছিলেন। তাঁর অভিনীত সিনেমা 'বুম' মুক্তি পাওয়ার পরই এমন সমস্যায় পড়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, গুলশন গ্রোভার, জিনাত আমান, ক্যাটরিনা কাইফ সহ প্রমুখ অভিনেতারা। অর্থ সঙ্কট এতটাই বেড়েছিল যে জ্যাকিকে নিজের বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল।
অভিনেতা অনুপম খেরও আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তাঁর প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল 'ম্যায়নে গান্ধীকো নেহি মারা' সিনেমাটি। এই সিনেমার জন্য নাকি ২০০৪ সালে নিজের ব্যাঙ্ক প্রায় খালি করে দিয়েছিলেন অনুপম।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, '২০০০ সালে সকলে নতুন দশক উদযাপন করছিলেন আর আমি আমার খারাপ সময়। আমার কাছে কোনও সিনেমা ছিল না, অর্থ ছিল না।' বাবার আর্থিক অনটন দেখে নাকি অভিষেক বিদেশে লেখাপড়া মাঝপথে ফেলে বাবাকে সাহায্য করতে দেশে ফিরে এসেছিলেন।'
অভিনেতা আমির খানও বহু সাক্ষাৎকারে নিজের খারাপ সময়ের কথা স্বীকার করেছিলেন। অভিনেতার বাবা তাহির হুসেন একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি সিনেমা তৈরির জন্য বহু অর্থ ধার করেছিলেন। সেই অর্থ চোকাতে প্রায় ৯ বছর অর্থ কষ্টে ভুগতে হয়েছিল আমিরকে।