
বাংলাদেশী অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Sakib Al Hasan) চলতি সিজনের আইপিএল (IPL 2023) থেকে ইচ্ছাকৃত বিদায় নিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবেই এই কথা জানিয়েছেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচে দল দুই যোদ্ধা সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশকে পায়নি। জাতীয় দলে তাঁদের অঙ্গীকার রয়েছে, এই খবর জানতেন সকলে। তবে নাইট ভক্তরা ভেবেছিলেন সেই কাজ মিটিয়ে দলে ফিরবেন তাঁরা। কিন্তু শুরুতেই বিদায় নিলেন সাকিব। কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়ল কেকেআর।
জানা গিয়েছে, জাতীয় কর্তব্য পালনে বিধিনিষেধ রয়েছে সাকিবের। ব্যক্তিগত কারণেও বিদায় নিয়েছেন বলে খবর। গতবছর আইপিএলের নিলামে দেড় কোটি টাকার পরিবর্তে সাকিব আল হাসানকে পেয়েছিল দল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত তিনি। ৪ এপ্রিল থেকে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন। তাই তাঁর হঠাৎ বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই কেকেআর দলকে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে। সাকিব বিদায় নেওয়ায় সংশয় তৈরী হয়েছে লিটন দাশকে নিয়ে। তবে তিনি কেকেআরের হয়ে খেলছেন বলেই খবর।
কলকাতা নাইট রাইডার্স শ্রেয়াসের চোট নিয়ে এমনিই বিড়ম্বনায়। তার মধ্যে সাকিব আল হাসান বিদায় নেওয়ায় দলে থাকছে ৬ জন বিদেশী ক্রিকেটার। বোর্ডের ছাড়পত্র পেলে নাইটরা খুব তাড়াতাড়ি সাকিবের পরিবর্ত খেলোয়াড় দলে নেবে বলে খবর। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই সিজনের প্রথম ম্যাচ খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম ম্যাচে রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (RCB) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) মুখোমুখি হবে। ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচ। আইপিএলের শেষ তিনটি সিজনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সদের বোলিং আক্রমণ বিপক্ষকে জোর টেক্কা দিয়েছে। ফাফ দু স্প্লেসিসের নেতৃত্বে তাই এই সিজনেও তারা আশাবাদী। নব্য এবং অভিজ্ঞদের ভালো সংমিশ্রণ রয়েছে রয়্যালদের দলে। অন্যদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সরা ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জ জানাবে ব্যাঙ্গালুরুকে। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে মুম্বই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে প্রথম একাদশে ময়দানে নামতে পারেন ফাফ দু প্লেসিস, বিরাট কোহলি, মিচেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মহিপাল লোমরোর, দীনেশ কার্তিক, শাহবাজ আহমেদ, হর্ষল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, রিস টপলি এবং আকাশদীপ। দলে খেলোয়াড়দের চোট নেই।
অন্যদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সদের হয়ে ময়দানে প্রথম একাদশে নামতে পারেন, ঈশান কিষান, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, ক্যামেরন গ্রিন, টিম ডেভিড, শামস মুলানি, আরশাদ খান, জাফরা আর্চার, জেসন বেহেরেনডর্ফ এবং কুমার কার্তিকেয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সদের দলেও কোনও চোটজনিত সমস্যা নেই।
দুই দলের কাছেই ভালো প্লেয়ার রয়েছে। একে অপরকে জোর টক্কর দিতে প্রস্তুত তাঁরা। ব্যাটিংয়ে বোলিংয়ে বাজিমাত করবে কে? তা বলবে সময়। রবিবারের সন্ধ্যায় অধীর আগ্রহে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচের কাউন্টডাউন শুরু।
২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) রবিবার চতুর্থ ম্যাচ। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) ও রাজস্থান রয়্যালস (RR)। দুপুর ৩টে ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই ম্যাচ। গত বছর আইপিএলে রানার্স আপ হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তাই সান রাইজার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। রয়্যালসদের টিম যথার্থ। জোস বাটলার, ট্রেন্ট বোল্টের মতো ক্রিকেটার এবং বোলার রয়েছে দলে।
তবে জয় একেবারে সহজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদও সমান ক্ষমতাশালী। যদিও রবিবার সান রাইজার্সদের ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করামকে ছাড়াই খেলতে হবে। তবে আদিল রশিদের মতো ভারতীয় খেলোয়াড় দলের জন্য ভালো ফল এনে দিতে পারে। হ্যারি ব্রুকেও জেতার আশা দেখছে দল।
সান রাইজার্সদের হয়ে প্রথম একাদশে খেলতে নামতে পারেন, ময়ঙ্ক আগরওয়াল, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, হ্যারি ব্রুক, উইকেটকিপার গ্লেন ফিলিপ্স, আব্দুল সমদ, ওয়াশিংটন সুন্দর, আদিল রশিদ, ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক এবং টি নটোরাজন। রাজস্থান রয়্যালসদের দলে কোনও খেলোয়াড়ের চোট নেই।
অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসদের হয়ে প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন, জোস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, দেবদত্ত পাদিক্কাল, রিয়ান পরাগ, সিমরন হেটমায়ের, জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচরণ অশ্বিন, কুলদীপ সেন এবং যুজবেন্দ্র চাহেল। রয়্যালসদের দলেও চোট নেই।
সান রাইজার্সের ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করামের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব সামলাবেন ভুবনেশ্বর কুমার। অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালসদের নেতৃত্ব দেবেন সঞ্জু স্যামসন। দুই পক্ষই আজ একে অপরকে জোর টক্কর দেবে। শেষ পর্যন্ত সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালসদের মধ্যে কারা জয়ের হাসি হাসে, সেটাই দেখার।
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে কলকাতার বিরুদ্ধে ৭ রানে জয়ী পাঞ্জাব। শনিবার নীতিশ রানার অধিনায়কত্বে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় পাঞ্জাব। তার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে ১৪৬ রান করে নাইট বাহিনী। তারপরেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, ডিএলএসের মাধ্যমে পাঞ্জাবকে ৭ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ৫ উইকেট খুইয়ে ১৯১ রান করে। গোটা ইনিংসে পাঞ্জাবের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কান বি রাজাপক্ষ এবং শিখর ধাওয়ান করেন ৪০ রান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে কলকাতার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৩৪ রান ও রাসেল করেন ৩৫ রান। ১৯২ রান তাড়া করতে নেমে একটু তাড়াতাড়ি উইকেট খুইয়েছে কলকাতা। অধিনায়ক নীতিশ রানা করেন ১৭ বলে ২৪ রান।
প্রথমে বল করে কলকাতার পক্ষে ২টি উইকেট নেন টিম সাউদি, এছাড়া পাঞ্জাবের পক্ষে উল্লেখযোগ্য ৩ উইকেট নেন অর্ষদীপ সিং। এ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অর্ষদীপ সিং।
১৬তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2023) শনিবারের ম্যাচে মুখোমুখি হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালস (LSG versus Delhi Capitals)। লখনউয়ের শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রসঙ্গত এই প্রথম সুপার জায়ান্টরা লখনউতে খেলবেন, তাই এই ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক বললেও ভুল হবে না। সুপার জায়ান্টদের নেতৃত্ব দেবেন কেএল রাহুল। অন্যদিকের দিল্লি ক্যাপিটালসের নেতৃত্বে ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)।
২০২২ ভালোই কেটেছে জায়ান্টদের। আইপিএল বোর্ডে ৩ নম্বরে স্থান ছিল তাদের। যদিও সে বছর কেএল রাহুলের দল রয়ালদের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ায় শেষ হাসি হাসতে পারেনি। সুপার জায়ান্টদের প্রথম একাদশে নামতে পারেন কেএল রাহুল, কাইল মায়ার্স, দীপক হুডা, নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টইনিস, আয়ুষ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডেয়া, মার্ক উড, জয়দেব উনাদকাট, আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোই।
দিল্লি ক্যাপিটালস গত বছর একাধিক ম্যাচে খারাপ ফল করে পঞ্চম স্থানে ছিল। এই বছর তারা জায়ান্টদের হারানোর চেষ্টা করবে। তবে ঋষভ পন্থকে এই সিজনে পাবে না দল। ডেভিড ওয়ার্নারই আশা-ভরসা। আজ প্রথম একাদশে মাঠে নামতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার, পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, মনীশ পান্ডে, ফিলিপ সল্ট, রোভম্যান পাওয়েল, অক্ষর পাটেল, কুলদীপ যাদব, খালিল আহমেদ, কমলেশ নাগরকোটি, মুকেশ কুমার।
এদিকে বিকেলে সামান্য বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে তার প্রভাব পড়তে পারে ম্যাচে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, আজ লখনউ সুপার জায়ান্টদের পাল্লা ভারী।
আর ঘন্টাখানেকের অপেক্ষা, আইপিএল ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিং। শনিবারে প্রথমবার খাতা খুলতে তৈরী দুই দলই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করবেন নীতিশ রানা, বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান পাঞ্জাব কিং-এর নেতৃত্ব দেবেন। তবে দুই দলের খেলোয়াড়দের চোট কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। বছরের পর বছর ধরে এই দুই দলের সদস্য নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেনি। ২০২২ সালে আইপিএলে ১০টি দলের লড়াইতে পাঞ্জাব কিংস থেকেছে ষষ্ঠ স্থানে ও কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকেছে সপ্তম স্থানে।
আপাতপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে পাঞ্জাব কিংসকে শক্তিশালী মনে হলেও জনি বেয়ারস্টোরের অনুপস্থিতি পাঞ্জাব দলে শূন্যতা তৈরি করবে। আইপিএল-র সিজনে মোটামুটি নেতৃত্ব দেওয়া ইংলিশম্যান জনি গত সেপ্টেম্বরে গল্ফ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছে, এখনও সেই আঘাত থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তাঁর জায়গায় পাঞ্জাব কিংস আশা দেখছে ম্যাথিউ শর্টকে নিয়ে। শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাথিউকে নামাতে পারে দল।
চোট রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও। পিঠের চোটে কাবু শ্রেয়স আইয়ার। জাতীয় দলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাই ওপেনে নামতে পারবেন না বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ। তবে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, ডেভিড উইসে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মতো অল রাউন্ডার নাইটসদের শক্তি। কেকেআরের টপ অর্ডার উদ্বেগের কারণ। তবে উইসে, রিঙ্কু সিং, রহমানুল্লাহ গুরবাজের মতো খেলোয়াড় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। বোলিংয়ে সাউদি, উমেশ যাদব এবং শার্দুল ঠাকুরই ভরসা।
মুন্নি চৌধুরী: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। চলে এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৩১শে মার্চ শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL)। তবে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে একাধিক চমক। সিনেমায় রোম্যান্টিক গান হোক বা ইমোশনাল গান, সবেতে একটা নাম সবার আগে উঠে আসে। তা হল অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। আট থেকে আশি সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যাবে তাঁকে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস (Gujarat Titans) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) (Chennai Super Kings)। এবার আইপিএল-র প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আইপিএল ২০২৩ ফাইনাল হবে আগামী ২৮ মে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেষবার আইপিএল-এর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় ভারতে। তারপর করোনার কারণে বর্ণাঢ্য ভাবে আয়োজন করা যায়নি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। অবশেষে ৪ বছর পর এবার ফের আইপিএল-র উদ্বোধনে জৌলুস ফিরছে। হোম ও অ্য়াওয়ে ফর্ম্যাটে চলবে লিগের খেলা। এবার আবার পুরনো রূপে ফিরেছে আইপিএল-২০২৩।
গুজরাট টাইটানস-এর নতুন নেতা হার্দিক পাণ্ডে। গত আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করে রকেট উত্থান হয় হার্দিকের। বলা যায়, পাকাপাকিভাবে টি-টোয়েন্টিতে দলনেতা হওয়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছেন অনেকটা। আর সেই হার্দিকের ২২ গজে অন্যতম অনুপ্রেরণা মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে হার্দিককে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ধোনি মন্ত্রেই বিশ্বাসী তিনি। আইপিএল-র দুনিয়ায় এক্সপেরিয়েন্সের এভারেস্ট বলা হয় ধোনিকে। এবার একেবারে শুরুর দিনই গুরু বনাম শিষ্যের লড়াই হতে চলেছে। সকল ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে রয়েছেন লড়াইয়ের ফলাফলের দিকে।
তবে গত আইপিএল-এ যে জল্পনা উঠেছিল এবারও তা জিঁইয়ে রয়েছে। আইপিএল ক্রিকেটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির এটিই শেষ মরশুম হতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে ধোনি নিজে কিছু জানাননি। তবে ধোনিপ্রেমীদের অল্পবিস্তর মন খারাপও রয়েছে। কারণ, জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন কুলের বাঁ পায়ে চোট রয়েছে। তবে সেটা যাতে গুরুতর না হয় সেই প্রার্থনায় করছেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য, আইপিএল-র সাফল্য় তালিকায় রোহিত শর্মার পরেই রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবার ধোনি যদি চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেন তাহলে রোহিতের কীর্তি স্পর্শ করবেন মাহি। এটা ধোনির শেষ আইপিএল মরশুম কিনা সে ব্যাপারে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন, 'তিনি গত ২-৩ বছর ধরেই শুনে আসছেন এটাই ধোনির শেষ মরশুম। কিন্তু এমএস যা ফিট রয়েছেন, তাতে আরও কয়েক মরশুম খেলা চালিয়ে যেতেই পারেন।' আর এই খবরে উচ্ছ্বসিত সিএসকে ফ্যানরা।
চলতি বছর ১৬তম আইপিএল (IPL)-এর পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। আইপিএল শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ। মোট ১২টি স্থানে হবে এবারের আইপিএল। তিন বছর পর হোম ও অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটে হচ্ছে আইপিএল। প্রথম ম্য়াচে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স ও মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
প্রথম ম্য়াচ আয়োজিত হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হবে ম্য়াচ। মোট ৭০টা লিগ ম্যাচ আয়োজিত হবে। যার মধ্যে ১৮টা দিন ম্যাচ হবে দিনে দুটো করে। প্রতিটা দল সাতটা করে ঘরোয়া ও সাতটা করে বাইরের ম্যাচ খেলবে।
সূচি অনুযায়ী আমেদাবাদ, মোহালি, লখনউ, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা, জয়পুর, মুম্বই, গুয়াহাটি ও ধর্মশালার মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে। লিগের শেষ ম্যাচটি আয়োজিত হবে ২১ মে। আর আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচটি হবে ২৮ মে।
এবার মোট দুটো গ্রুপে রাখা হয়েছে ১০টি দলকে। গ্রুপ-এ তে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনউ সুপার জায়ান্টস। গ্রুপ বি-তে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, পঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও গুজরাট টাইটান্স।