করোনা আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেন সাপোর্টে আইপিএল-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান (IPL Chairman) ললিত মোদী। গত সপ্তাহে তাঁর (Lalit Modi) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই খবর নিজেই ইনস্টাগ্রামে জানান ললিত। দু’সপ্তাহে এই নিয়ে দু’বার করোনায় (Covid Positive) সংক্রমিত হয়েছেন আইপিএল-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি নাকি ভুগছেন নিউমোনিয়ায়। ললিত লেখেন, 'তাঁর ইনফ্লুয়েঞ্জাও হয়েছে। মেক্সিকোয় ছিলেন ললিত। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। পরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে লন্ডনে আনা হয়েছে।'
গত বছর প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ললিতের প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে হইচই পড়ে ছিল। ইনস্টাগ্রামে সুস্মিতার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে সিলমোহর দেন প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান। তবে কিছু দিনের মধ্যেই জল্পনা ছড়ায় সুস্মিতা-ললিতের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে।
এদিকে, ললিতের অসুস্থতার খবরে কমেন্ট করেন সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন। তিনি লেখেন, 'তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ললিত। শক্ত থাকো।' প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহও ললিতের আরোগ্য কামনা করেছেন।
সামনেই ত্রিপুরার (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর কিছুদিন পরেই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন। তার আগ মুহূর্তে ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার উদয়পুরের জামজুরিতে অবস্থিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি। সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। বুধবারই ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বিপ্লব দেবের।
জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁর বাবার বার্ষিক পারলৌকিক কাজ হওয়ার কথা। অভিযোগ, তার আগে মঙ্গলবার রাতে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিপ্লব দেবের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সিপিএম-এর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অগ্নিকাণ্ড বা ভাঙচুরের ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ইতিমধ্যে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই জামজুরি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড, ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ির মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নেয়। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।
লিভারপুলের (Liverpool) পর এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (EPL) প্রথমসারির দল আর্সেনাল কিনতে আগ্রহ দেখালেন ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মুকেশের ছেলে আকাশ আম্বানি আর্সেনাল ক্লাবের ভক্ত। ছেলের ইচ্ছাতেই লন্ডনের এই ক্লাব কিনতে উদ্যোগী বিশ্বের অন্যতম ধনী এই শিল্পপতি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য মিরর’ জানিয়েছিল, লিভারপুল কেনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক মুকেশ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতি ম্যাচে ভিআইপি গ্যালারিতে দেখা যায় স্ত্রী নীতা আম্বানী এবং ছেলেকে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে, আইএসএল-র পরিচালন সংস্থার মালিক আম্বানীর সংস্থা।
জানা গিয়েছে, লিভারপুলের মালিক মার্কিন সংস্থা ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ বা এফএসজি। তারা ক্লাব বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে। আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়ে তারা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। সেই প্রস্তাবের নাকি সাড়া দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ হাজার ১১৯ কোটি টাকায় লিভারপুলকে বিক্রি করতে পারে এফএসজি। শেয়ার নয়, সরাসরি ক্লাব বিক্রি করার আগ্রহ দেখিয়েছে বর্তমান সংস্থা।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (Brenodn McCulum)। তাঁর জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR Coach) নতুন কোচ হলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। বুধবার এই নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে নাইট রাইডার্স। রঞ্জিজয়ী মধ্যপ্রদেশের কোচকে আগামি আইপিএল-র জন্য কোচ হিসেবে নিয়োগ করলেন শাহরুখ খান-বেঙ্কি মাইসোরররা। কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলেন, 'কলকাতা দলে চন্দ্রকান্তকে পেয়ে আমরা দারুণ খুশি। তাঁর হাত ধরেই আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওঁর সাফল্য রয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে ওঁর জুটি দেখার জন্য আমরা মুখিয়ে।'
এবার রঞ্জি ফাইনালে মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মধ্যপ্রদেশ। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিলেন গুরু চন্দ্রকান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসাবে তাঁর সাফল্য নজর কেড়েছিল। এবার আইপিএল মতো টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রকান্ত বলেন, 'আমার কাছে এটা গর্বের দায়িত্ব। নাইটদের দলে থাকা একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। এই দল সম্পর্কে আমি জানি। এই দলের সাপোর্ট স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।'
২০২১-এ আইপিএলের ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়াররা। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’বার আইপিএল জিতেছে তারা। এবার চন্দ্রকান্তের হাত ধরে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে কেকেআর।