স্পষ্টতই একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ‘মিস ইউনিভার্স’ (Miss Universe) প্রতিযোগিতায়। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে চলা প্রতিযোগিতাটিতে শুধুমাত্র অবিবাহিত তরুণীরাই (Unmarraied Woman) অংশ নিতে পারতেন। এবার এই প্রতিযোগিতার নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল আয়োজকরা। বিবাহিত মহিলারাও (Married Woman) এখন থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant woman) এবং সন্তানের মায়েরাও (Mother) চাইলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ থেকেই নয়া নিয়ম লাগু হয়ে যাবে। আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাবজয়ী সুন্দরীরা।
এতদিন নিয়ম ছিল, বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হতে হবে অবিবাহিত। এমনকি জেতার পরও একবছর বিয়ে করতে পারবেন না। যতদিন খেতাব অন্য কারোর কাছে না যায়। এছাড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোনও প্রতিযোগী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারবেন না। এমনই নানাবিধ বিধিনিষেধ মেনে এতদিন ব্রহ্মাণ্ডের সেরা সুন্দরী হওয়ার দৌড়ে নামে লেখাতেন ইচ্ছুকরা।
সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকাকে জানায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। এটা তারই অংশ। এই সিদ্ধান্তটা সময়ের নিরিখে খুবই স্বাভাবিক একটা সিদ্ধান্ত। মিস ইউনিভার্সের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক তা একবাক্যে স্বীকার করেছে গোটা ফ্যাশন দুনিয়া।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ইজরায়েলে বসেছিল মিস ইউনিভার্সের আসর। সেখানে বিজয়ী হয়েছেন ভারতীয় সুন্দরী হারনাজ কৌর সান্ধু। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ভারত পেল তার তৃতীয় মিস ইউনিভার্সকে। আগামী বছর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মাদাগাস্কর এবং রোমানিয়ায়।
আয়োজকদের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ২০২০-র ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার খেতাবজয়ী মেক্সিকোর আন্দ্রিয়া মেজা। তাঁর কথায়, ”আমি আন্তরিকভাবে এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানাচ্ছি। সমাজ বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখন মেয়েরাও সামনের সারিতে থেকে নানা দায়িত্ব পালন করছে। ফলে নিজের পরিবারে থেকে সে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেই পারে। আমার মতে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই নিয়ম বদল।”
ভয়ংকর ঘটনা পঞ্জাবে। মারাত্মক শক্তিশালী বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার হল পুলিসকর্মীর (Police Car) গাড়ি থেকে। আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এই বিস্ফোরক পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আনা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই সন্দেহ পুলিসের। তবে পুরনো একটি ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিস এমনটা মনে করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিস্ফোরকের উত্স সন্ধানে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি অভিযান।
এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার, অমৃতসরে (Amritsar)। রাজপথে রুটিন তল্লাশি চলছিল। সেই সময়ই এক পুলিসকর্মীর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় শক্তিশালী ইম্প্রোভাইসড এক্লপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। এই বিস্ফোরকের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। ফলে এর ক্ষমতা কী হতে পারে, সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু পুলিস প্রাথমিক তদন্তেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার বিষয়ে সন্দিহান কেন? পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, মে মাসে তারাতরণ জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি টিফিন বক্স। ধাতব ওই বাক্সের মধ্যে ভরা ছিল আরডিএক্স এবং আইইডি। এরও ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। এই আইইডিতে আবার টাইমার, ডিটোনেটর, ব্যাটারি ইত্যাদি ছিল। এগুলি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল বলে দুই ধৃত জেরায় স্বীকার করেছিল। তারা এও জানিয়েছিল, মাদক এবং অর্থের লোভেই তারা এই কাজে নেমেছে। এবারে উদ্ধার হওয়া আইইডি-র সঙ্গে আগের ওই আইইডি-র যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিস। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।