অবশেষে জল্পনার অবসান। টলি পাড়ার ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সোমবারই গাঁটছড়া বাঁধলেন পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। গুঞ্জনই অবশেষে হল সত্যি। সমস্ত জল্পনায় এত দিনে সিলমোহর পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি শেয়ার করলেন পরমব্রত। ক্যাপশনে ভালোবাসার বার্তা স্পষ্ট। অভিনেতা লেখেন, “তাহলে চলো শুরু হোক, তুমি আর আমি… সন্ধ্যা যখন আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে।”
২০২১ সালে সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর। ফলে বিচ্ছেদের দু'বছরের মধ্যেই ফের গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে ঘরোয়া আয়োজনেই বিয়ের পর্ব সারলেন পরমব্রত-পিয়া।মূলত দুই পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতেই সই-সাবুদের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাঁদের।
পিয়া-পরমব্রতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন রটেছিল। এমনকি অনুপমের সঙ্গে পিয়ার বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে পরমব্রতকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে পরমব্রত বিরক্তি প্রকাশও করেছিলেন। আবার এইসব গুঞ্জনকে নিছক গুজব বলেও উড়িয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু যা রটে, তার কিছুটা তো বটেই। পরম-পিয়ার প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় যে কানাঘুষো চলছিল তা অবশেষে সত্যিই হল। পিয়ার সঙ্গে দু'বছরের বন্ধুত্বকে বিয়ের স্বীকৃতিই দিলেন অভিনেতা।
আশঙ্কাই সত্যি হল। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক সিয়ারপিএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে সুকমা জেলার এলমাগুন্ডা বুথ সংলগ্ন এলাকায়।
ছত্তিশগড়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। নির্বাচনের শুরু থেকেই মাওবাদী হামলা নিয়েই সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তারই মাঝে আইইডি বিস্ফোরণ হয় এদিন সকালে। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি মিজ়োরামেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ভোট দিতে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ভোট শুরু হতেই টুইটে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন তাঁদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই মুহূর্তে টলি পাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das) এবং পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar)। রবিবার মধ্যরাতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে 'জাস্ট ম্যারিড' স্ট্যাটাস আপলোড করেছেন অভিনেত্রী। স্বর্ণেন্দুও নিজের সামাজিক মাধ্যমে একই পোস্ট দিয়েছেন। ৮ জুলাই বসেছিল বিয়ের আসর। আমন্ত্রিত ছিলেন কেবলমাত্র দুজনের কাছের মানুষেরা।
কেবলমাত্র আইনি বিয়ে নয়, সিঁদুর দানও হয়েছে একইসঙ্গে। তবে গতে বাধা বিয়ে করেননি শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। আইনি কাগজে সই করে শ্রুতির গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। এরপর সিঁদুরদান হয়েছে। শ্রুতি পরেছিলেন সাদা রঙের শাড়ি, সরু পাড়ে ছিল লাল রঙের ছোঁয়া। রুপোলি গয়নায় সেজেছিলেন বধূ সাজে। অন্যদিকে পরিচালক পরেছিলেন সাদা রঙের পাঞ্জাবি।
শ্রুতি বা স্বর্ণেন্দু সামাজিক মাধ্যমে এখনও নিজের বিয়ের ছবি পোস্ট না করলেও সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এই জুটির ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন। অভিনেত্রী আগেই বলেছিলেন তাঁরা বিয়ে করবেন। তবে তারকাসুলভ কায়দায় যে একেবারে বিয়ে করে চমকে দেবেন তা ভাবেনি কেউই।
শুভশ্রী মুহুরী: বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত বাস্তব হল। বিয়ে (Married) করলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। পাত্র, টলিউড ধারাবাহিক জগতের খ্যাতনামা পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar)। তাঁরা যে কয়েক বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করেছেন তা দর্শকেরা আগেই জানতেন। তবে রবিবার মধ্যরাতে 'সারপ্রাইজ' হয়ে এলো তাঁদের বিয়ের ঘোষণা। অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে স্টেটাস আপডেট করেই পরিণয়ের কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে একটি সুন্দর কেকের ছবি দিয়েছেন, যাকে ঘিরে রয়েছে লাল গোলাপ। স্টেটাসে ট্যাগ করেছেন স্বর্ণেন্দুকে। তবে নজর কেড়ে নেয় কেকের উপর সোনালী অক্ষরে লেখা 'জাস্ট ম্যারিড' শব্দ দুটি।
প্রসঙ্গত শ্রুতির অভিনয় জগতে ডেবিউ হয়েছিল, 'ত্রিনয়নী' ধারাবাহিক দিয়ে। সেই ধারাবাহিকের পরিচালক ছিলেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। প্রথমটায় শ্রুতির স্বর্ণেন্দুকে গুরুগম্ভীর লাগলেও সময় এগোলে একে অপরের প্রেমে পড়েন। সামাজিক মাধ্যমে সেই ঘোষণা করলে, সমালোচনা ঘিরে ধরে তাঁকে। কারণ নেটিজেনরা তাঁদের প্রেম দেখেননি, কেবল বয়স মেপেছিলেন। যদিও এইসব 'আলোচনা-সমালোচনা'কে তুচ্ছ করেই দেখেছেন দম্পতি।
৮ জুলাই নিজেদের সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দিলেন শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। পরিচালকও নিজের সামাজিক মাধ্যমে শ্রুতির মতোই স্টেটাস আপডেট করে সুখবর দিয়েছেন। তারকাসুলভ কায়দায় গোপনেই বিয়ে করেছেন তাঁরা। দম্পতিকে যৌথযাপনের শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
অবিবাহিতদের (Unmarried) জন্য দারুণ খবর। জানা গিয়েছে, যাঁদের বিয়ে করার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের জন্য আনা হচ্ছে এক নতুন প্রকল্প। তাঁদেরকে এবারে সরকারের তরফেই দেওয়া হবে ভাতা। ফলে ভবিষ্যতের জন্য চিন্তার কোনও কারণ নেই। এমনটাই রবিবার জানিয়েছন হরিয়ানার (Haryana) মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)।
সূত্রের খবর, হরিয়ানায় যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০, অর্থাৎ যাঁদের বিয়ে করার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকেই এবারে সরকারের তরফে ভাতা দেওয়া হবে। তবে এই প্রকল্প এখনও শুরু হয়নি। এই নতুন প্রকল্পের জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে হরিয়ানা সরকার। রবিবার হরিয়ানার কার্নাল জেলার কামালপুরা গ্রামে 'জন সংবাদ' নামের এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এক ৬০ বছরের অবিবাহিত বৃদ্ধ ভাতা নিয়ে কিছু অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। এরপরই মনোহর লাল খট্টর বলেন, 'অবিবাহিতদের জন্য ভাতা দেওয়ার এক নতুন প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। একমাসের মধ্যে এই পরিকল্পনা নেওয়া হবে।'
वृद्धावस्था पेंशन को हम अगले 6 महीने में बढ़ाकर ₹3,000 कर देंगे pic.twitter.com/4fRBnLhopu
— Manohar Lal (@mlkhattar) July 2, 2023
হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প চালু হলে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ এতে উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, বয়স্কদের জন্য পেনশন প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। এবার থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকার বদলে প্রবীণ নাগরিকরা মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়াও বর্তমানে রাজ্য সরকার প্রবীণ নাগরিক, বিধবা, বিশেষভাবে সক্ষম, রূপান্তরিতদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করেছে।
আদিপুরুষ (Adipurush) সিনেমা নিয়ে বিতর্ক আর শেষ হচ্ছে না। সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল এই সিনেমাটি নিয়ে। তবে সিনেমা মুক্তির পরেই দর্শকদের মনে ভাটা পড়ে। রামায়ণের গল্প বড় পর্দায় দর্শকেরা যেভাবে দেখবেন ভেবেছিলেন, তার ঠিক বিপরীত প্রতিফলন হয়েছে পর্দায়। পরিচালক ওম রাউত কোনও ভালো মুহূর্তই তৈরি করতে পারেননি পর্দায়। উপরি সিনেমাটির বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এর আগে আদিপুরুষ সিনেমার সংলাপ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। বিশেষ করে জনপ্রিয় লঙ্কা দহনের দৃশ্যের সময় হনুমানের সংলাপ ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। এমন ভাষা কীভাবে চরিত্রের মুখে বসল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল অনেক। অবশেষে আইনি জটিলতার চাপে পিছু হটতে হয়েছিল সিনেমা নির্মাতাদের। বদল আনা হয়েছে সেই সংলাপে। কিন্তু এতেও শেষ হল না বিতর্ক।
আগেই অনেকে বলেছিলেন পরিচালক ওম রাউত পুরো সিনেমাকে খানিকটা অ্যাভেঞ্জার্সের আদলে তৈরী করতে চেয়েছিলেন। এবার অভিযোগ উঠল অনুকরণের। পরিচালক যে কেবল ‘দি অ্যাভেঞ্জার্স’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন তা নয়, একটি দৃশ্য একেবারে হুবুহ টুকে দিয়েছেন। দুটো ছবির সমান্তরাল দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক মাধ্যমে। একইসঙ্গে শোরগোল নেট দুনিয়ায়।
২০১৪ সালে সুজানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan)। এরপর নতুন করে প্রেমে পড়েছেন তিনি। অভিনেত্রী সাবা আজাদে (Saba Azad) মন মজেছে তাঁর। প্রায়ই তাঁদের এখন একসঙ্গে একাধিক জায়গায় যেতে দেখা যায়। কখনও বি-টাউনের কোনও অনুষ্ঠানে, আবার হৃত্বিকের বাড়ির অনুষ্ঠানেই দেখা গিয়েছে সাবাকে। ফলে হৃত্বিক ও সাবার প্রেমের সম্পর্ক এখন আর নতুন নয়। সম্প্রতি তাঁদের মুভি ডেট-এ যেতেও দেখা গেল। তবে শুধু সাবা ও হৃত্বিকই নয়, তাঁদের সঙ্গে ছিল হৃত্বিকের দুই ছেলেও। তবে বাবার প্রেমিকার সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার বিষয়টা ভালো চোখে দেখছে না কিছু নেটিজেন। অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, 'এমনটা কি আদৌ মানায়!'
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সাবা ও হৃত্বিককে জুহুর একটি সিনেমা হল থেকে বেরোতে দেখা যায়। তখন তাঁর দুই ছেলে হৃহান ও হৃধানকেও দেখা গিয়েছে একই গাড়িতে বসতে। মুভি ডেটে গিয়ে সাবা পরেছিলেন ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও জিন্স। অন্যদিকে হৃত্বিকের পরনে ছিল খাকি রংয়ের প্যান্ট ও অলিভ গ্রিন রংয়ের হুডি। তবে তাঁদের সঙ্গে দুই ছেলেকে নিয়ে যেতেই চরম ট্রোলের শিকার হয়েছেন হৃত্বিক।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে সাবা ও হৃত্বিকের বিয়ের গুঞ্জনও রটেছে। খবরে উঠে এসেছে যে, চলতি বছরের নভেম্বরেই নাকি তাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তবে এই নিয়ে তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
শেষকৃত্যের (Funeral) পর জানা গেল প্রিয়জনের দেহ মনে করে অন্য এক জনের দেহ শনাক্ত (Identified) করা হয়েছে। সোমবার, শেষকৃত্যের পর নেমালোর (Nemalo Ps) থানার পুলিস মৃতের পরিবারকে জানায়, যাঁর দেহ চিতায় তোলা হয়েছিল, সেটি আসলে অন্য একজনের দেহ ছিল। যদিও এক্ষেত্রে ওই পরিবারের কোনও দোষ নেই বলে জানিয়েছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন বিলাস ভুঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। তার পর কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। একটি গাড়ির শোরুমের কর্মী ছিলেন তিনি। বিলাসের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক ক্যুরিয়র সংস্থাকে। সোমবার, বিলাসের শেষকৃত্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তবে শেষকৃত্যের পর পুলিস তাঁর পরিবারকে জানায়, যাঁর দেহ তারা চিতায় তুলেছিল, সেটি আসলে রাজস্থানের এক বাসিন্দার দেহ ছিল। মৃতের পরিবার জানিয়েছেন, রাজস্থানের ওই বাসিন্দাও বিলাসের মতো মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন। বিলাসের মতো তাঁরও মৃত্যুর হয়েছিল। এরপর মৃত দেহ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছতে গিয়ে গন্ডগোল করেছে ক্যুরিয়র সংস্থা। ওই সংস্থার কর্মীদের গাফিলতির কারণেই মুম্বইয়ে কর্মরত দু’জনের দেহ অদলবদল হয়ে গিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মীরা ভুল ঠিকানা লেখায় বিলাসের দেহের জায়গায় রাজস্থানের ওই বাসিন্দার দেহ পাঠিয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে, রাজস্থানের ওই বাসিন্দার দেহ পৌঁছেছে কটকে। রাজস্থানের বাসিন্দার পরিবার সেই দেহের শেষকৃত্য করতে গিয়ে লক্ষ্য করে যে, সেটি তাদের পরিবারের সদস্যের নয়। এর পর থানায় অভিযোগ করে তাঁরা।
মৃত্যু (Death) হল দিল্লির একই পরিবারের ৬ সদস্যের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Delhi) শাস্ত্রী পার্ক অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (Police) দরজা ভেঙে ৬ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে দমবন্ধ হয়ে ওই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা না খুললে তাঁরা পুলিসে খবর দেয়।
এক সংবাদমাধ্যম থেকে খবর, কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যে ঘরে ওই ৬ জন ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে একটি মশার ধূপ জ্বলছিল। অনুমান, ওই ধূপ থেকে বেরোনো বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ৬ জনের।
এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার বলেন, “রাতে ঘরের সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ছোট ঘরে জ্বলছিল মশার ধূপ। ফলে বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। সকলেই ঘুমে অচেতন থাকায় ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি কেউই।”
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে অতিথি এলে নিজের হাতে হোটেল, রেস্তোরাঁর মতো সুস্বাদু মিক্সড ফ্রায়েড রাইস তৈরি করে ডিমের ওমলেটের খাম বা এনভেলাপে পুরে আকর্ষণীয় করে পরিবেশন করতে পারেন। এগ র্যাপড মিক্সড ফ্রায়েড রাইস তৈরির পদ্ধতি--- ২০০ গ্রাম বাসমতি চাল জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে আধঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা বাদে হাড়ি বা ডেচকি আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো জল দিয়ে চাল সিদ্ধ করুন। চাল ৩-৪ অংশ সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ছেকে নিন। পাখার তলায় একটি ট্রে বা বড় থালা বিছিয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিন।
কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দুটো ডিমের গোলা দিয়ে নেড়ে ভেজে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে ডিমের ঝুড়ির মত করে নিন। এবার ওর মধ্যে এক মুঠো সিদ্ধ করা গাজর, এক মুঠো সিদ্ধ করা বিনস, ১০০ গ্রাম সিদ্ধ করা বোনলেস চিকেনের কুচি, ১০০ গ্রাম সিদ্ধ করা চিংড়ি মাছ, ছোট এক মুঠো ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন।
এক মুঠো স্প্রিং আনিয়ন কুচি, এক টেবিল চামচ লাইট সোয়া সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। এবার হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন ও সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ভেজে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। একটা নন স্টিক ফ্রাইং প্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল দিয়ে সমস্ত প্যানের মধ্যে ছড়িয়ে গ্রিজ করে নিন।
একটা পাত্রে ৪টে ডিম ফাটিয়ে ভাল করে ডিমের গোলা তৈরি করে নিন। এবার ডিমের গোলাটা প্যানে ঢেলে সমানভাবে গোল করে (রুটির মত) একটি ওমলেট বানিয়ে নিন। হয়ে গেলে গোলাকার ওমলেটটা একটি প্লেটের উপর রেখে তার মাঝখানে রান্না করা ফ্রায়েড রাইসটা রেখে হাতের সাহায্যে চেপে সমান করে নিন। এবার হাতের সাহায্যে ডিমের ওমলেটের চারধার খামের মত ভাজ করে ভাজা ডিমের চারপাশ মুড়ে বন্ধ করে দিন। এবার ওর উপর আরেকটি প্লেট চাপা দিয়ে উল্টে নিয়ে ছুরির সাহায্যে খামের শেপে কেটে পরিবেশন করুন।
আইইডি বিস্ফোরণে (IED Blast) নিহত সশস্ত্র বহিনীর এক সহকারী প্ল্যাটুন কমান্ডার। ঘটনাটি ঘটে ছত্তিশগড়ের(Chhattisgarh) মিরতুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিজয় যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। সিএএফ-এর (CAF) ১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন তিনি।
সোমাবার সকাল থেকেই এতেপাল এবং টিমেনার গ্রামে চলছিল সশস্ত্র বাহিনীর টহলদারি। পুলিস সূত্রে খবর, ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। ফলে নিরাপত্তার জন্য ওই বাহিনী মোতায়েন ছিল। সেই এলাকায় সকাল ৭টা ৪০ নাগাদ হঠাত্ একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে মৃত্যু হয় সশস্ত্র বাহিনীর এক জওয়ানের। এই এলাকায় মাওবাদীদের প্রভাব থাকায়, পুলিসের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাওবাদীরাই। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযানের সময় অসাবধানে আইইডি-র উপর পা পড়ে যায় বিজয়ের। যার জেরে ঘটে বিস্ফোরণ।
বিষপান করে মৃত্যু হল একই পরিবারের (Death) চার জনের। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে (Hyderabad)। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হায়দরাবাদ কুশাইগুদা থানার (Kushaiguda Police) পুলিস। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, সতীশ এবং ভেদা নামে ওই দম্পতির দুই সন্তান ছিল। একজন নিশিকেত (৯) এবং অপর জন নিহাল (৫)। বেশ কেয়েক বছর আগেই বড়ো সন্তান নিশিকেতের একটি দুরারোগ্য রোগ ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা চলাকালীনই ওই দম্পতির ছোট সন্তানও ওই একই রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে দুই জনেরই চিকিৎসা চলে। তবে চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল পায় না তাঁরা। যায় জেরে মানসিকভাবে বেশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর শনিবার দুপুরের পর পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুশাইগুদা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক জানান, সন্তানদের দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। অনুমান সে কারণেই তাঁরা প্রথমে সন্তানদের বিষ খাওয়ান, পরে নিজেরাও বিষপান করেন। ফলে তাঁদের চার জনের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, দাবি পুলিসের। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সতীশ কৌশকের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই ফের বলিউডে শোকের ছায়া।প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা (Entertainment) সমীর খাকর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক রোগে ভুগছিলেন নুক্কর খ্যাত এই অভিনেতা। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে যেতেই শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল (Paralysis) হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোরে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অভিনেতার মৃত্যুতে তাঁর ছোট ভাই গনেশ খাকর জানান, 'মঙ্গলবার বিকেলে শরীর খারাপ হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন দাদা। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকায় মৃত্যু হয় অভিনেতা সমীর খাকরের।' বুধবার অভিনেতার শেষকৃত্য(Last Rites)।
সমীর খাকর দূরদর্শনের জনপ্রিয় নুক্কর ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ ছিলেন। সার্কাস ধারাবাহিকেও কাজ করেন সমীর। পাশাপাশি ছোট পর্দায় রাজাবাবু, দিলওয়ালে, শাহেনশার মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
এবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে একসঙ্গে সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Recruitment 2020) দুর্নীতির তদন্তে সিট গঠন করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত গঠিত যৌথ কেন্দ্রীয় সংস্থার সিট (SIT) এই দুর্নীতির তদন্ত করবে। ইডি এবং সিবিআই সমন্বয় রেখে এই তদন্ত করবে, এমনটাই সূত্রের খবর। কীভাবে পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল খতিয়ে দেখবে সিট।
২০১৪-র টেটের নিরিখে ২০২০-র নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাবে সিট। তদন্তে উঠে আসা সন্দেহভাজনদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আইনজীবী মহলের প্রশ্ন, এই জোড়া তদন্ত সংস্থার তদন্ত কী নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও রহস্যের জট খুলবে?
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দেশজুড়ে ক্রমাগত বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বহুবার সামনে এসেছে। এবার জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পুলিস কনস্টেবলের (Police Constable)। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। মৃত কনস্টেবলের নাম বিশাল। তিনি হায়দরাবাদের (Hyderabad) বাওয়েনপল্লির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৪ বছর বয়সি বিশাল নিয়ম করে প্রতিদিনই বাওয়েনপল্লি এলাকায় একটি জিমে ব্যায়াম করতেন। বৃহস্পতিবারও এসেছিলেন ব্যায়াম করার জন্য। রাত আটটা নাগাদ ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। বর্তমানে তেলেঙ্গনার আসিফ নগর থানায় কর্মরত ছিলেন বিশাল। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ২০২০ সালে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন বিশাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, জিমে গিয়ে পুশ আপ করছিলেন ওই পুলিস কনস্টেবল। তাঁর পাশে সেসময় অনেকই ব্যায়াম করছিলেন। পুশ আপের পর স্ট্রেচ করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর হঠাৎ জিমের একটি যন্ত্র ধরে কাশতে শুরু করেন তিনি। প্রবল কাশতে কাশতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত সকলে ছুটে আসেন। এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশালের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।