ব্যক্তিগত প্রশ্নের অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক ছাড়লেন মহুয়া মৈত্র সহ বিরোধী সংসদরা। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির ডাকে হাজির হয়েছিলেন সংসদ মহুয়া মৈত্র। ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে তাঁদের বক্তব্য জানার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ আজ ওই বৈঠকে মহুয়া মৈত্রকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়। সেজন্যই হঠাৎ ওই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন সংসদ মহুয়া ও বিজেপি বিরোধী সাংসদরা।
বিরোধী সাংসদদের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মহুয়াকে ‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করা হয়েছে। অভিযোগ মহুয়া কার সঙ্গে হোটেলে ছিলেন, কোন হোটেলে ছিলেন! এ ধরনের প্রশ্নের পরেই রীতিমত ওই বৈঠকে থেকে ওয়াকআউট করেন সাংসদরা।
রাজ্যে আটটি হোটেল খুলতে চলেছে আইটিসি। দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলেন থেকে ঘোষণা করলেন আইটিসির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরী। এদিন ওই বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েই বাংলার জন্য বড় ঘোষণা করলেন আইটিসি কর্তা। একইসঙ্গে বাংলা পর্যটন ক্ষেত্র নিয়েও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এদিন দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে সঞ্জীব পুরী জানান, বাংলায় আইটিসির পাঁচটি হোটেল রয়েছে বর্তমানে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে দু’টি হোটেল। এছাড়াও আরও ৮টি হোটেল খুলবে আইটিসি। তাঁর কথায়, পর্যটনের সব কিছুরই উপাদান রয়েছে এখানে। পর্যটনে, শিক্ষাক্ষেত্রেও গোটা দেশে নিজের উৎকর্ষতা প্রমাণ করেছে। বাংলা থেকেই দক্ষ কর্মী নিয়োগ করবেন তাঁদের সংস্থায়, একথাও জানিয়ে দেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবারই দুবাইয়ের লুলু গোষ্ঠী-র সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে ওই সংস্থা বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে নিউটাউনে বিশ্বমানের শপিং মল গড়ে তুলতে পারে ও সংস্থা।
মুম্বইয়ের (Mumbai) সান্তাক্রুজ এলাকার হোটেল গ্যালাক্সিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire broke out)। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে সান্তাক্রুজের হোটেল গ্যালাক্সিতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে ৩ জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়ে জখম কমপক্ষে পাঁচ জন। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ৪টে ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেশ কয়েকজন হোটেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল বাহিনী ও পুলিস।
সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওই হোটেলের তিন তলায় প্রথমে আগুন লাগে। তারপর আগুন হোটেলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় মৃতদের রয়েছে ৬১ বছরের এক প্রৌঢ়। দমকল বাহিনীর এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আট জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কুপার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, কীভাবে, কোথা থেকে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্মী ও পুলিস।
টলিউড হোক বা বলিউড, প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের তাঁদের কাজের পাশাপাশি ব্যবসা করতেও দেখা যায়। কেউ পোশাকের ব্যবসা করেন তো আবার কেউ রেস্তরোঁ, হোটেল ইত্যাদির। এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্র-গায়ক আছেন, যাঁরা ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। তবে জানেন কি সকলে প্রিয় অরিজিৎ সিং-এরও (Arijit Singh) রয়েছে রেস্তোরাঁ। তবে এটি বাকি অন্য রেস্তোরাঁগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ এগুলোতে নেই কোনও বিলাসিতা, নেই কোনও চাকচিক্য। দিনের শেষে শুধুমাত্র মানুষের পেট ভরাতেই তিনি এমন রেস্তোরাঁ খুলেছেন। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের (Jiaganj) এই রেস্তোরাঁর নাম হেঁশেল (Henshel)। খুব সামান্য টাকাতেই এখানে মানুষ এসে পেট পুরে খেতে পারবে বলে, জানা গিয়েছে।
অরিজিৎ-এর হেঁশেল-এর খাবারের দাম শুনলে আপনি আকাশ থেকে পড়বেন। সাধারণত তারকাদের রেস্তোরাঁর খাবারের দাম হয় আকাশছোঁয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে এর একদমই উল্টো। জানা গিয়েছে, মাত্র ৩০ টাকায় আপনি পেট ভরে খাবার খেতে পারবেন এখানে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে হেঁশেল। এখানে রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাড়। সোম থেকে শনিবার পড়ুয়াদের পরিবেশন করা হয় ৪০ টাকার ভেজ থালি। পড়ুয়াদের মধ্যে পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়াও মাছ-ভাত, মাংস-ভাত, ডিম-ভাতের থালি, বিরিয়ানি পাওয়া যায় মাত্র ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার বিনিময়ে।
ভাইজানের কিছু ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া কোনও ছবিই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। ফলে ছবি হিট হওয়া তো দূর, কোনও ছবিই তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু এরই মধ্যে আরও এক খবর শোনা গেল। এবারে নাকি ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও মন দেবেন সলমন খান। জানা গিয়েছে, একটি ১৯ তলার বিলাসবহুল হোটেল (Hotel) বানাতে চলেছেন সলমন খান। ফলে তাঁর অনুরাগীদের প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবারে অভিনয় ছেড়ে হোটেলের ব্যবসাতেই মন দিলেন ভাইজান?
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সমুদ্রমুখী হতে চলেছে এই হোটেল। যেখানে সুইমিং পুল থেকে শুরু করে ক্যাফে, জিম থাকবে। তবে এই হোটেল সলমন খান খুললেও ডকুমেন্টে এই হোটেলের মালিকের নাম থাকবে সলমনের মা সালমা খানের। তাঁর মায়ের নামেই এই হোটেল খুলতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিএমসি-এর তরফেও এই হোটেল তৈরির ক্ষেত্রে সমর্থন পেয়েছে অভিনেতা।
সূত্রের খবর, সলমনের এই হোটেলে তিন স্তরের বেসমেন্ট থাকবে। প্রথম ও দ্বিতীয় তলে থাকবে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলে থাকবে সুইমিং পুল ও জিম। চতুর্থ তল সার্ভিস ফ্লোর হিসাবে ব্যবহার করা হবে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তল অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য ও সপ্তম থেকে উনিশ তল হোটেল রুম হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিষ্টি সিং (Misty Singh)। সেই হোটেলের বেকারি সেকশনে পেস্ট্রি কিনতে গিয়ে দেখেন, সেগুলির উপর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা, পোকা। এই দৃশ্য দেখে হতবাক মিষ্টি। এক পাঁচতারা হোটেলে এমনটাও দেখতে হবে এরকম কখনও ভাবেননি তিনি। হোটেলের এমন পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি রিলস বানিয়ে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। এরপরেই হোটেল নিয়ে একের পর এক মন্তব্যে ভরে যায় তাঁর কমেন্ট সেকশন।
মিষ্টি সিং-কে জনপ্রিয় সিরিয়াল 'আলতা ফড়িং'-এ অমৃতা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। সিরিয়াল কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে। ফলে হাতে এখন সময় রয়েছে, তাই বন্ধুুৃবান্ধবদের সঙ্গে গিয়েছেন নিজের প্রিয় পাঁচতারা হোটেলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে এক অন্য দৃশ্যই তাঁর চোখে পড়ল। সেই রিলস ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'হোটেলে গিয়েছিলাম কিছু পেস্ট্রি নিতে। যখন বাছতে গেলাম দেখি আরশোলা খাবারের উপর জাস্ট বসে রয়েছে। এরকম একটা ফাইভস্টার সেভেনস্টার হোটেলের খাবারের উপর আরশোলা, পোকা-মাকড় ভাবাই যায় না। এইগুলোই অনলাইনে অর্ডার করার সময়তেও যায়। হাইজিন ইজ জাস্ট জিরো।'
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে খবর, এরপর এর ভিডিও বানিয়ে সমাজমাধ্যমে দেওয়া হলে হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকে বার বার যোগাযোগ করে মিষ্টির সঙ্গে। ভিডিও মুছে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা। মিষ্টি জানিয়েছেন, তিনি ভেবে নিয়েছেন যে, যতক্ষণ না হোটেল কর্তৃপক্ষ সব গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চাইছে তিনি ভিডিওটি মুছবেন না।
যৌন হেনস্থার শিকার এক বিদেশি মহিলা পর্যটক(Tourist)। হেনস্থায় বাধা দিতেই ছুরির কোপ।
এই ঘটনায় অভিযোগ হোটেলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নেদারল্যান্ড থেকে গোয়ায়(Goa) বেড়াতে এসেছেন তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে হোটেলের এক কর্মী। অভিযুক্তর নাম অভিষেক বর্মা। গোয়ার পারনেমের এক হোটেলে কাজ করে সে। সেখানেই থাকছিলেন ওই বিদেশি পর্যটক। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তাঁর তাঁবুতে হঠাত্ ঢুকে পড়ে অভিষেক। মহিলার চিত্কার শুনে সাহায্যের জন্য ছুটে এসেছিলেন এক স্থানীয় তরুণ। তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন ওই কর্মী। ওই বিদেশি পর্যটক এবং স্থানীয় যুবক, দু’জনেই হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিস সূত্রে খবর, নির্যাতিতা চিৎকার করায় তাঁকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পর্যটক মহিলা থানায় গিয়ে ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগে গোটা ঘটনার তদন্ত নামেন পুলিস। অভিযুক্ত হোটেলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার মধ্যরাতে ভুবনেশ্বরের এক হোটেলে (Bhubaneswar Hotel) বোমা বিস্ফেোরণকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ভুবনেশ্বরের খণ্ডগিরি থানা এলাকার বারামুণ্ডা বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে একটি হোটেলে বিস্ফোরণের (Blast in Hotel) ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত ৩ জন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বাইক আরোহী বারামুণ্ডা বাস স্ট্যাণ্ডের কাছে ওই হোটেলে নৈশভোজ সারতে গিয়েছিলেন। খাবার খাওয়ার পর টাকা না মিটিয়েই হোটেল থেকে চলে যাচ্ছিলেন, ফলে হোটেলের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ঝামেলা করে হোটেল থেকে চলে যান দুই বাইক আরোহী। কিছুক্ষণ পর আবার তাঁরা ফিরে আসেন এবং কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হোটেলের ভিতর বোমা ছুঁড়ে মেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পিছনে ঠিক কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন পুলিস।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: আজ থেকে ১১৭ বছর আগে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় সুদূর উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে আহমেদ হুসেন নামের এক যুবক ভাগ্য অন্বেষণে কলকাতায় আসেন। চিৎপরে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে মোগলাই খাবারের দোকান শুরু করেন। লখনউয়ের এক নবাবের ব্যক্তিগত রাঁধুনি ছিলেন আহমেদের বাবা। বাবার সহকারী হিসেবে ছোট থেকেই কাজ করতেন আহমেদ। তিনি ছোট বয়সেই নবাবি ঘরানার মোগলাই খাবার তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। নবাব, আহমেদের হাতের তৈরি খাবার খেয়ে খুব প্রশংসা করতেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিলেন আহমেদ। কলকাতায় এসে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি।
কলকাতায় এসে ঘুরে ঘুরে বাজার করে নিজের হাতে রান্না করে বিক্রি করতেন। কলকাতার খাদ্যরসিকদের প্রথম মাটন চাপের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন আহমেদ হুসেন। মাটনের পিঠের অংশে হাড়শুদ্ধ ছোট ছোট খণ্ডগুলোকে আদা, রসুন, পেপে, কাজু বাদাম বাটা, নুন, টক দই, ঘি, লঙ্কার গুঁড়ো, জাফরান, গোলাপ ও কেওড়া জল, মিঠা আতর ও রকমারি গরম মশলার সংমিশ্রণ দিয়ে রাঁধতেন।
আহমেদের নিজস্ব চাপ মশলার মিশ্রণ মাখিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে ম্যারিনেট করে চারকোলের মৃদু আঁচে বসিয়ে, তার মধ্যে ঘি গরম করে মিশ্রণ মাখানো মটনের খণ্ডগুলো দিয়ে চাপ তৈরি করা হতো। সেই রান্নার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ত এবং আশপাশের লোকেদের সেই সুগন্ধ আহমেদের দোকানে টেনে নিয়ে আসত। (চলবে)
বৃহস্পতিবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মথুরা (Mathura) জেলার বৃন্দাবনে একটি হোটেলে আগুন (fire) লাগে। আর তাতে দু'জন নিহত (Death) হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত এবং আগ্রার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হোটেলের উপরের তলায় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই কর্মচারী আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হোটেলের দ্বিতীয় তলা থেকে প্রায় ৭০ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। মথুরার চিফ ফায়ার অফিসার প্রমোদ শর্মা বলেন, "অগ্নিকাণ্ডে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়।"
ডাঃ ভূদেব সিং, সিএমওর মতে, শ্বাসকষ্ট এবং শরীর পুড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের নাম উমেশ (৩০) এবং বিরি সিং (৪০)। দুজনেই হোটেল বৃন্দাবন গার্ডেনের কর্মচারী। হোটেলে অগ্নি নির্বাপক কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। হোটেলটির ফায়ার ডিপার্টমেন্টের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নেই। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট, সূত্র অনুসারে, এই বিষয়ে হোটেলকে একটি নোটিশ দিয়েছে।
হোটেলের রুম থেকে মৃতদেহ(Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ব্যবসার কাজে কলকাতা (Kolkata) এসে হোটেলে ছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে তা ইতিমধ্যে তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানার পুলিস (New Market Police Station)। নিশারউদ্দিন খান, বয়স ৫১। বাড়ি ওড়িশায়, তিনি পেশায় একজন চামড়া ব্যবসায়ী। মাঝেমধ্যেই ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসতেন এবং থাকতেন হোটেলে। এবারেও তাই করেছিলেন। গত ২৪ তারিখ তিনি হোটেলে চেকিং করেন। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ওয়েটারকে বলেন চা আনতে। তারপর চা খেয়ে তিনি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। এরপর শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ সুইপার আসে ঘর পরিষ্কার করতে। দরজায় নক করেও ভিতর থেকে সাড়া না পেয়ে চলে যান তিনি।
এরপর দুপুরে সুইপারদের সিফট চেঞ্জ হয়। নতুন সুইপার এসেও তাঁকে ডাকেন। কিন্তু তিনি দরজা খোলেননি। কলকাতায় থাকা তাঁর আত্মীয়রা জানান, সকাল দশটা পর্যন্ত নিশারউদ্দিনের সঙ্গে তাঁদের ফোনে কথা হয়েছে। তারপর থেকে ফোনে কোনওরকম যোগাযোগ করেও পাননি তাঁরা। বারবার ফোন করলেও ফোন বেজে গিয়েছে। নিশারউদ্দিনের পরিজনরা হোটেলে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর হোটেলের কর্মীরা পিছনের জানলা এবং সিমেন্টের জাল দিয়ে ভিতরে দেখেন, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন।
তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু তিনি কোনও সাড়া না দেওয়ায় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় নিউমার্কেট থানায়। নিউমার্কেট থানার পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখেন নিসারউদ্দিন খান মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর হোটেলের ওই রুম লক করে দিয়েছে নিউমার্কের থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই হোটেলে।
ফের তেলেঙ্গানায় (Telangana) বিধ্বংসী আগুন। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সেকেন্দ্রাবাদের একটি হোটেলে আগুন (fire broke out) লাগে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে অন্তত ৬ জনের। আহত বেশ কয়েকজন। প্রাণ বাঁচাতে জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন অনেকে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। কীভাবে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখছেন দমকল কর্মীরা। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
হায়দারাবাদের পুলিস কমিশনার সি ভি আনন্দ জানিয়েছেন, হোটেলটির এক তলায় ই-স্কুটার রিচার্জিং ইউনিট থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত তা দু’তলা ও তিনতলায়ও ছড়িয়ে যায়। প্রাণে বাঁচতে হোটেলের বিভিন্ন তলা থেকে বোর্ডাররা ঝাঁপ দিতে শুরু করেন নিচে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৬ জন। আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে দমকল বাহিনী।
এই অগ্নিকাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দমকলকর্মীরা লজ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে কিছু লোকের মৃত্যু হয়েছে। লজ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।”
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেও এমনই এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল তেলেঙ্গানায়। সেবার সেকেন্দ্রাবাদের একটি গোদামে আগুন লেগে মৃত্যু হয়ে বিহারের ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার একটি হোটেলে।সোমবার সকালেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওই হোটেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করলেও ভিতরে কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।
#WATCH | Window panes of rooms at Hotel Levana in Hazratganj, Lucknow being broken to facilitate rescue and relief operations.
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 5, 2022
DG Fire says, "Rooms are filled with smoke making it difficult to go in. Work is underway to break window panes and grills, 2 people have been rescued" pic.twitter.com/6Hh5wdN6A9
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকারীরা জানালা ভেঙে আবাসিকদের বের করার চেষ্টা করছেন।
হোটেলের বাইরের অংশ থেকেও সিঁড়ি দিয়ে তাদের বের করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভিতরে যারা আটকে পড়েছেন তাদের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। সব মিলিয়ে এলাকায় জুড়ে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি পাঁচতারা হোটেলে (Five Star Hotel) বোমাতঙ্ক। সোমবার সকালে বোমা হামলার( Bomb Threat) হুমকি দিয়ে একটি ফোন আসে ওই পাঁচতারা হোটেলে। এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই ফোন ৫ কোটি টাকা দাবি করে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করলে হোটেল উড়িয়ে দেওয়ার (Explosion) হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও খবর সূত্রের।
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে এই ফোনটি আসে। অজ্ঞাতপরিচয় ওই ফোনকারী দাবি করেছে যে হোটেলের চারটি স্থানে বোমা রাখা হয়েছিল। সেই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৫ কোটি টাকা তাদের দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিস। হোটেলের সর্বত্র তল্লাশি চালিয়ে কোথাও কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। সাহার পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় অজ্ঞাত কলারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এবং কারা এই কল করেছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মুম্বই পুলিসের ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে একটি হুমকি ম্যাসেজ এসেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ২৬/১১-এর ধাঁচে ফের জঙ্গি হামলা চলবে মুম্বইয়ের বুকে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে ওই ম্যাসেজ এসেছিল।