বাঙালীর পায়ের তলায় সর্ষে। পুজো আসতেই অবাধ্য মন বেরিয়ে পড়ে কাছে দূরে কোথাও। এমন একটা জায়গার সন্ধান রইলো আপনাদের জন্য। যেখানে রয়েছে পুজো, যেখানে রয়েছে খেলনা পাহাড়, বাহারি নদী। আর মন ছুঁয়ে যাওয়া সবুজ। কোথায়? বাঁকুড়া থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি ছোটালে আঠারো কিলোমিটার ভিতরে রয়েছে কোড়ো পাহাড়। উচ্চতা মেরেকেটে ৫০০ ফুট। পাহাড়ের পাশ দিয়ে অলস অজগরের মত বয়েছে শালি নদী। পাহাড়ের মাঝ বরাবর তপোবন ঘেরা আশ্রম। এতদূর পর্যন্তই গাড়ি যাবে। এখান থেকে সিড়ি বেয়ে পাহাড়ের মাথায় পৌঁছলে দেখা মিলবে অষ্টভূজা মায়ের।
কথিত আছে আজ থেকে আশি বছর আগে এক সাধু এই পাহাড়ের গুহায় তপস্যা করার সময়ে দেবীর বালিকা রূপ দেখতে পান। পরবর্তীতে দেবীর স্বপ্নাদেশে কাশী থেকে আনা হয় দেবী মূর্তি। উপলব্ধি করুন সবুজ পাহাড়, নীল জল আর হলুদ রোদ। ভেসে আসছে মায়ের পুজোর মন্ত্রধ্বনি। দূরে শালি নদীর ওপর গাংগুয়া জলাধারের শান্ত নীল জলে বাতাসের আলপনা। বুকের পাথর কখন সরে গিয়েছে বুঝতেই পারবেন না।
বৈষ্ণব মতে এখানে পুজিত হন মা। ঢাক ঢোলের আতিশয্য নেই। শুধু রয়েছে মনের অনাবিল ভক্তি। মায়ের লীলার কথা বলতে গিয়ে আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন সেবক।
কাছেই রয়েছে শুশুনিয়া পাহাড়। ছুটি যদি দু'দিন বাড়িয়ে নিতে পারেন তাহলে মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন। পুজোর সময় পকেট ফ্রেন্ডলি কোড়ো পাহাড় হতেই পারে আপনার ভ্রমণ ডেস্টিনেশন।
স্বাধীনতা দিবসের রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident) দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে ( Delhi-Jaipur highway)। জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে চলন্ত গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে মাল বহনকারী ট্রাক (heavily-loaded truck)। এই ঘটনায় নিহত (Death) হয়েছেন চারজন এবং দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বিলাসপুর পুলিস স্টেশন এলাকায়। গুরুগ্রাম পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতরা প্রত্যেকেই দিল্লির বাসিন্দা। ওই গাড়ির যাত্রীরা নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। দুই মহিলা এবং একজন চালক সহ ছয়জন উদয়পুর থেকে নয়ডায় ফিরছিলেন।
নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা, দু'জন পুরুষ এবং চালক রয়েছেন। প্রত্যেকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ মর্গে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্টেশন হাউস অফিসার (বিলাসপুর) অজয় মালিক বলেন, মৃত এবং আহতদের পরিবারকে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। একটি এফআইআর বা পুলিস মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) যুবকের। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একের পর এক গাড়ির চাকা পিষে দিল যুবককে। জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েক ঘণ্টা দেহ পড়ে ছিল ওই দুর্ঘটনাস্থলেই। তখনই একের পর এক গাড়ি তাঁর উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। দেহের মাংস-হাড় মিশে গিয়েছিল রাস্তায়। এমন পরিস্থিতি শেষমেশ বেলচা এনে দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করতে হয়েছে পুলিসকে। হাড়-হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে (Jaipur)।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার মাঝেই মধ্যরাত পর্যন্ত পড়েছিল যুবকের দেহ। কারোর চোখে পড়েনি। ফলে যুবকের দেহের উপর দিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি চলেছিল। রাত ২ টো নাগাদ এক পথচারীর চোখে পড়তেই পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে রাস্তা থেকে দেহাংশ বেলচার সাহায্যে তোলে। তারপর সেই দলা পাকানো দেহাংশ হাসাপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, এমনই বিকৃতি হয়ে গিয়েছিল দেহ চেনার কোনও উপায় ছিল না। তবে ওই যুবকের পোশাক এবং ডান হাতে থাকা বালার ছবি তুলে রেখেছে পুলিস, যাতে চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। এবং বিভিন্ন থানায়ও পাঠানো হয় সেই ছবি।