গণধর্ষণের পর এবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ টেকনো সিটি থানায়। ১৪ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন (New Town) বালিগড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত দু'মাস ধরে নিউ টাউন বালিগুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা নামে এক যুবক। বিশেষ কাজে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসে ওই যুবক। অভিযোগ, নিউটাউন বালিগুড়ি এলাকার যে বাড়িতে সোহেল রানা ভাড়া থাকছিল সেই বাড়ির মালিকের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বেশ কয়েকদিন ধরে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পরিবারের। নির্যাতনের পর অভিযুক্ত সোহেল রানা ব্ল্যাকমেল করছিল ও ভয় দেখাচ্ছিল ওই নাবালিকাকে বলেও অভিযোগ। ভয়ে পরিবারের কাউকে কিছু বলতে পারিনি নাবালিকা।
অবশেষে নাবালিকা রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গোটা ঘটনা জানাজানি হয়। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে টেকনো সিটি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিউটাউন এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক সোহেল রানাকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
ফের বিমানে (Flight) ধুন্ধুমার কাণ্ড! মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে এক মহিলা বিমানকর্মীকে শ্লীলতাহানির (Harrassment) অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যাত্রীকে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি রবিবারের। ইন্ডিগো বিমান (Indigo Flight) সংস্থার ৬ই ১৪২৮ দুবাই থেকে অমৃতসরগামী বিমানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিসি হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তও করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রজিন্দর সিং। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ইন্ডিগো বিমান করে দুবাই থেকে অমৃতসরে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠছে, তিনি অত্যধিক মদ্যপান করেন এবং মদ্যপ অবস্থায় মহিলা বিমানকর্মীর সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেন। এরপরেই বিমানকর্মী সেই বিষয়ে জানালে বিমানের বাকি কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিসেও খবর দেওয়া হয়। তারপর অমৃতসরে বিমান অবতরণ করতেই রজিন্দরকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাঁকে পুলিসি হেফাজতেই রাখা হয়েছে। বিমানে ঠিক কী কী ঘটেছিল, সেই বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিস।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস থেকেই বিমানে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও সহযাত্রী গায়ে প্রস্রাব, আবার কখনও বিমানকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার আবার কখনও সহযাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতি, এগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে।
পথকুকুরদের (Stray Dog) খাওয়ানোর জেরে এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির হুমকি দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো রাজধানী দিল্লিতে (Delhi Incident)। হেনস্থার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির (Eve Teasing) হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। গত কয়েকদিনে প্রায় ২ বার অভিযুক্তরা তাঁকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওঠে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমের বাবা হরিদাস নগর এলাকার। গত ২২ জানুয়ারি ওই মহিলাকে প্রথম হুমকি দেন কয়েকজন। তিনি রোজ সকালে পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে যান।
এছাড়া তিনি রাস্তার কুকুরদের খাবার খেতেও দেন। মহিলা জানান, তাকে হুমকি দেওয়া হয় তিনি যাতে এই কাজ থেকে বিরত থাকেন। পুলিস জানান, প্রতিবেশীরাই তাঁকে হেনস্থা করার জন্য ওই ৩ জনকে পাঠিয়েছিলেন। পুলিস মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক বাকি দু'জন ওই মহিলার পড়শি। গত শুক্রবার ফের হেনস্থা করার অভিযোগ তোলে ওই মহিলা।
পূর্বের দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা যাতে কোনও জবানবন্দি না দেন, সেই নিয়ে ফের হুমকির মুখে পড়েন ওই মহিলা। এদিকে, কুকুর আক্রমণের ঘটনা একাধিক জায়গায় ঘটছে। নয়ডার আবাসনে ১ বছরের শিশুকে কামড়ানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।
সুরাতে এক বালিকাকে মুখে কামড়ে গালের মাংস ছিঁড়ে নেয় একটি কুকুর। গাজিয়াবাদে লিফটের মধ্যে এক শিশুকে কামড়ায় পোষ্য কুকুর। যার ফলে হইচই পড়েছে।
রেহাই পেল না চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্ডেনের (KG School) ছাত্রীও। স্কুলের অধ্যক্ষের গাড়ির ড্রাইভারের যৌন লালসার (Sexually Harassment) শিকার হয় মেয়েটি বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারকে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী শিশু (Girl Child) মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মা তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের মেয়ে অস্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সময় বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যেত এবং অকারণে কাঁদত। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অবশেষে লাঞ্ছনার কথা জানতে পারেন। সোমবার অধ্যক্ষের চেম্বারের কাছে একটি ল্যাবে তাকে নির্যাতন করে অধ্যক্ষের ড্রাইভার বলে জানায় মেয়েটি।
এই অমানবিক ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান। গাড়ির চালককে ধরে মারধরও শুরু করেন সকলে। তখন মেয়েটি জানায়, দু'মাস ধরে তার উপর এই অত্যাচার করছে। মঙ্গলবার বাবা-মা তার সঙ্গে স্কুলে গেলে, ড্রাইভারের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়েটি। এরপরে অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেই দিনই অভিযুক্ত ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে একটি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে আরও বিস্তারিত জানায় এবং পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
IPC-এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনের অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিস আধিকারিক বলেছেন, ড্রাইভারটি স্কুলের পরীক্ষাগারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ সদস্যদের জন্য কাজ করতেন। এভাবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসে। এটি আরও বলেছে যে তিনি অন্য ছাত্রদের হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেছেন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।