কালী পুজোর রাত কাটতে না কাটতেই দুর্ঘটনা। ডাউন শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক। আন্দুল স্টেশন পার করার পর সরস্বতী নদীর উপর ১৭ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে ধোঁয়া দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ট্রেনের তৃতীয় বগির নীচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।চাকার ব্রেকের ঘর্ষণের কারণেই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান রেল কর্তাদের। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রেনের যাত্রীরা। আপাতত তা ঠিক করে সেখান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেস।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রতিবছর রমজান মাসে শহরের মোগলাই রেস্তোরাঁগুলিতে পরিবেশিত হয় সুস্বাদু হালিম। রকমারি ডাল, সুগন্ধি চাল, গম, ঘি, রকমারি মশলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা প্রভৃতি সংমিশ্রনে তৈরি সুস্বাদু হালিম। এর প্রতি বাঙালি খাদ্যরসিকদের একটা আকর্ষণ রয়েছে। যদিও রমজান মাসে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা উপবাসের পরে হাইপ্রোটিন সমৃদ্ধ হালিম পদটি খেয়ে তাদের সারাদিনের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারেন।
তবে এই রমজান মাসে শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরাই নয় অন্য সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষরাও এই সময়ে সুস্বাদু হালিমের স্বাদ গ্রহণ করতে শহরের মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় জমান। এই হালিমের উৎপত্তিস্থল মধ্য প্রাচ্য। গম, ডাল ও মাংসের সংমিশ্রনে তৈরি এই পদের নাম ছিল হারিশ। কথিত আছে ষোড়শ শতকে পারস্যের সম্রাটের শাহি দস্তরখান থেকে মোগল সাম্রাট হুমায়ুনের মারফত ভারতে আসে হারিশ। পরবর্তী সময়ে হারিশ, হালিম নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে এদেশে হায়দরাবাদের চারমিনার থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সৈন্যদের ব্যারাক বা ব্যারাকস থেকেই হালিমের জয়যাত্রা শুরু হয়। উনিশ শতকে আরবের হাদরামি সেপাইরা হায়দরাবাদের নিজামের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। তারা সৈন্যদের ব্যারাকে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্যর হারিশ রান্না চালু করেছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের হারিশের পাক প্রণালীর সঙ্গে হায়দরাবাদের সুগন্ধি চাল, ঘি রকমারি মশলা ও দেশীয় গুল্মর সংমিশ্রনে তৈরি হয় এক অনন্য হালিম। বর্তমানে ভারতের সর্বধর্মীয় সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষের কাছে হালিমের এক আলাদা আকর্ষন রয়েছে। প্রতি বছরের মত এই বছরেও কলকাতার ৭৬ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁ আমিনিয়াতে পরিবেশিত হচ্ছে সুস্বাদু মশলাদার হায়দরাবাদি মটন ও চিকেন হালিম।
দাম ২২০ টাকা। আমিনিয়া রেস্তোরাঁর বাইরের স্টল থেকে হালিম কিনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমিনিয়াতে বসেও জমিয়ে হালিম খাওয়া যাবে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত। দেশি ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পাঁচ রকমের ডাল, গমের ডালিয়া, বাসমতি চাল, রকমারি মশলা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে তৈরি পাতি লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশিত মটন বা চিকেন হালিম গরম-গরম তন্দুরি রুটি সহযোগে খাবার মজাই আলাদা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। হালিমের পরিমাণ বেশ ভাল। চাইলে দুজনে ভাগ করেও খাওয়া যায়।
এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের (Life Sentence) আদেশ কাকদ্বীপ (Kakdwip Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের। এক মহিলাকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সমর পাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক তপন কুমার মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পাতি বুনিয়ার বাসিন্দা।
কাকদ্বীপ কোর্টের সরকারি আইনজীবী এই কেসের পিপি ইনচার্জ অমিতাভ রায় জানান, 'ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকায় ১২/০৪/২০১৮-তে একটি কেস রেজিস্টার্ড হয়। অভিযুক্তর নামে কেস নম্বর ৩০/২০১৮, আইপিসি-র আন্ডার সেকশন ৩০২ ধারায় একটি মামালা রুজু হয়। নামখানা থানার দারিদ্রনগরের এক গরীব পরিবারের মেয়ে দুর্গা মাঝিকে লোভ দেখিয়ে বকখালির মৌমিতা হোটেলে নিয়ে যায় সমর পাত্র। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে আসামি।'
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় সে। প্রায় দেড় মাস পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১৮ জন সাক্ষী ও ৬৩টি ডকুমেন্টস পেশ করা হয় আদালতে।
সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তপন কুমার মণ্ডল অভিযুক্ত সমর পাত্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। তবে এই রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর পাত্রর পরিবার। সমর পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। দাউদাউ করে জ্বলছে ট্রেনের (Train Fire) একটি কামরা। ভয়াবহ আগুনের সাক্ষী থাকেন হাওড়াগামী ট্রেনের যাত্রীরা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালেই নাসিক রোড রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি ট্রেনে। ১৮০৩০ শালিমার-লোকমন্যতিলক ট্রেনটি (Shalimar Express) হাওড়া (Howrah) থেকে মুম্বই (Mumbai)যাচ্ছিল। নাসিকের কাছে আচমকাই ট্রেনের একটি কামরায় আগুন লাগে। এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। জ্বলন্ত ট্রেনটিকে নাসিক রেলস্টেশনে আনা হয়েছে। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
রেল পুলিস জানিয়েছে, "ফায়ার টেন্ডার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।" সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শিবাজি এম সুতার বলেন, "ইঞ্জিনের পাশে থাকা লাগেজ বগি/পার্সেল ভ্যানটি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এবং শীঘ্রই ট্রেনটি নিরাপদে আবার চালু হবে৷ আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি৷ "
স্বাভাবিকভাবেই, আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পার্সেল ভ্যানে আগুন লাগায় কোনও হতাহত হননি। আগুন লাগার কথা জানতে পেরে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। স্টেশনেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাদা ধোঁয়ায় ভরে যায় স্টেশন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।
হাওড়ার শালিমার জিআরপি (GRP) থানার লক-আপ (Lock Up) ভেঙে পালাল দুই আসামি (Accused)। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজু হরি ও সমীরুল মোল্লা নামে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল শালিমার জিআরপি। এদের বিরুদ্ধে খুনের (Murder) অভিযোগ রয়েছে। চলন্ত ট্রেন থেকে এরা পরিচিত একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল আবাদা স্টেশনের কাছে। এবার দেখুন, কীভাবে তারা লক-আপ ভেঙেছে।
কিন্তু তারা কোথায় লুকিয়ে, সেটাই এখন পুলিসের তদন্তের বিষয়। অন্যদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিসের পদস্থ কর্তারা পরিদর্শনে আসেন। দেখা যায়, গারদেরই একটা অংশে বড় জায়গা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু দুজন আসামি সেই জায়গা ভেঙে কীভাবে বেরিয়ে গেল এবং কেন তা কারও নজরে এল না, সেটাই আশ্চর্যের বলে পুলিসেরই একটা অংশ মনে করছে।