পুজোর আগে এসএসসি (SSC Recruitment) গ্রুপ সি এবং ডি নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুখবর। গ্রুপ সি (Group C) পদে পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। কাউন্সেলিংয়ের দিনেই নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। এমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত (High Court)। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ৯-ই ফেব্রুয়ারি এসএসসি-কে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল গ্রুপ সি-র শূন্যপদে বেআইনিভাবে নিযুক্তদের বরখাস্তের পাশাপাশি বেতন বন্ধ করতে হবে।
হাইকোর্ট গঠিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগ কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ ছিল, মোট ৫৪৫ জনকে গ্রুপ সি-র শূন্যপদে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ৯-ই ফেব্রুয়ারিতে ৫৪৫ জনের বেতন বন্ধ-সহ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এসএসসি গ্রুপ-সি-র জন্য জেলাভিত্তিক ৫৭৩টি শূন্যপদ রয়েছে। বিচারপতির নির্দেশে সেগুলো বাতিল করা হয়েছিল। বুধবার সেই শূন্যপদ মেধার ভিত্তিতে অবিলম্বে পূরণ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮-শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে।
এই নির্দেশের পর এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যে এতো নিয়োগ সম্ভব হবে না। যুক্তি গ্রাহ্য করে বিচারপতি জানান, ১০০ জন করে ধাপে ধাপে নিয়োগ করুন। একই ভাবে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় ৫৭০ জনকে চাকরি দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ-ডি নিয়োগে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৫৭৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। বরখাস্তের পর সেই পদ এখন শূন্য। সেখানে মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরিতে নিযুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২-এর মধ্যে কাউনসেলিং শুরু করার নির্দেশ।
উল্লেখ্য হাইকোর্টের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার নির্দেশের পর ৫৭৩ জনের একজনও হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেননি। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্রাচার্যর বক্তব্য, ৫৭৩ জনের বেশিরভাগ নিয়োগ ভৌতিক। ফলে স্কুল সার্ভিস কমিশন যথাযথ শূন্যপদের পরিপ্রেক্ষিতে রেশিও মেনটেন করে যেন নিয়োগপত্র দেয়।
সময় যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি নামক কেঁচো থেকে আরও বেশি করে বেড়িয়ে পড়ছে কেউটে। এবার চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) আত্মসাতের অভিযোগ গ্রুপ-ডি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের করা ভিডিওতে (video) প্রকাশ্যে এসেছে রাজেশ গুপ্তার টাকা নেওয়ায় ছবি। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল।
শুধু তাই নয়, স্ট্যাম্প পেপারে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি করছেন ওই কর্মী সেই কাগজও সামনে এসেছে। রাজেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে সোনামুখীর এক গ্রুপ ডি কর্মী অশোক মুখীর। তাঁরও টাকা নেওয়ার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে পুরো বিষয় অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্ত। বাকি আর একজন অভিযুক্তের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে (hospital) চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।। প্রায় বছর পাঁচ আগে রাজেশ গুপ্তা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক বেকার যুবকের কাছে মোটা টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরির লোভে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই গ্রুপ ডি কর্মীর হাতে পৌঁছে দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। দফায় দফায় এই টাকা দেওয়া হত বলেই অভিযোগ অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের।
সরকারি চাকরি করে রয়েছে ক্ষমতা, সেই বিশ্বাস করেই রাজেশের হাতে টাকা দিয়েছে চাকরীপ্রার্থীরা। কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তাও স্ট্যাম্প পেপারে স্বীকারোক্তি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজেশ। বিষ্ণুপুর থানা এলাকা ছাড়াও পাত্রসায়ের এলাকার যুবকরাও রয়েছে টাকা দেওয়ার তালিকায়।
সূত্রের খবর, রাজেশের এক সঙ্গী অশোক মুখী যিনি সোনামুখী হাসপাতালে কর্মরত। অভিযোগ, এই দু'জনে মিলেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে বেকার যুবকদের কাছ থেকে। টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দু'জনের কাছে দরবার করেও টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। এরপর বিষ্ণুপুর থানাতে অভিযোগ জানানো হলে পুলিসের তরফ থেকে অভিযুক্তকে থানায় ডেকে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলা হলেও সেই টাকা আজও ফেরত পায়নি চাকরি প্রার্থীরা, এমনটাই অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত উল্টে সংবাদ মাধ্যমকে হুমকির দিতে থাকেন।