কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) সোনার বাট কিংবা সোনার গুঁড়ো উদ্ধার যেন নিত্য ঘটনা। শুক্রবার ব্যাংকক থেকে কলকাতায় (Bangkok to Kolkata) আসা নূর সেলিম মহম্মদ নামে এক যাত্রীর থেকে প্রায় ৩৫০ গ্রাম সোনার গুঁড়ো (Gold Paste) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক বেসরকারি সংস্থার বিমানে কলকাতায় নামলে, নূরকে দেখে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।
তাঁকে আটক করে তল্লাশি চালালে ৩৪৬ গ্রাম সোনার গুঁড়ো উদ্ধার হয়। যাত্রীর গেঞ্জির মধ্যে থেকে ওই সোনা উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য ২ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই সেই সোনার গুঁড়ো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় শুল্ক দফতর।
এদিকে, গত মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা পাচারের অভিযোগে আটক হয়েছিলেন দুই যাত্রী। অন্তর্বাসের ভিতরে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে সোনার পেস্ট পাচারের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তাদের মধ্যে এক যাত্রীর নাম খালিল আব্দুল। জানা গিয়েছিল, দুবাইয়ের বিমান FZ459 করে ভারতীয় যাত্রী খালিল দুবাই থেকে কলকাতায় আসেন।
ইমিগ্রেশনের তথ্য যাচাইয়ের পর গ্রিন চ্যানেল পেরোনোর সময় শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা খালিলকে প্রথমে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। এরপর জামা-কাপড়ে তল্লাশির সময় সন্দেহজনকভাবে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা চালান খালিল। আরও কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর ওই যাত্রীর অন্তর্বাসের ভিতরে কাগজের মোড়কে যত্ন করে লুকিয়ে রাখা সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়।
এবার অভিনব কৌশলে মোজার মধ্যে লুকিয়ে সোনা (gold) গুঁড়ো পাচার করতে গিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) আটক এক যাত্রী। ধৃতের নাম শেখ কাউসা।
বিমানবন্দর সূত্র মারফত খবর, দোহা থেকে কলকাতাগামী বিমান কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর ৫৪০ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয়। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় শেখ কাউসারের চলাফেরায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরপরই ওই যাত্রীকে আটক করে বিমানবন্দরে নিযুক্ত শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা, শুরু হয় তল্লাশি।
তল্লাশি চালানোর সময় জুতো খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ আধিকারিকদের। ধৃতের মোজার ভেতরে ৩৯৯.৪৬০ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়। ভারতীয় টাকায় যার বাজার মূল্য ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০৮ টাকা। পরবর্তী সময়ে ওই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। জিজ্ঞাস করা হয়, এই সোনা কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কার কাছে সোনা পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল? ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহেই হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার জিনিস। যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁদের একটি দল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
তল্লাশি চললে, তাঁর ব্যাগ খুলতেই বেড়িয়ে আসে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস। রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই একইভাবে সোনা পাচার করতে গিয়ে নানা ব্যক্তি ধরা পড়েছে।