পরমাণু শক্তি (Nuclear power) উৎপাদন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিল জার্মানি (Germany)। পাশাপাশি রবিবার, সেদেশে চালু থাকা তিনটি পরমাণু চুল্লি নিষ্ক্রিয় (Inactive) করা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তীব্র জ্বালানি-সঙ্কটে রয়েছে জার্মানি-সহ গোটা ইউরোপ। এমনকি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিচ্ছে তারা। এই কারণে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল এই দেশ।
পরমাণু শক্তির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার খবরে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ-অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। পরমাণু শক্তি-বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রে থাকা ‘গ্রিনপিস’ সংস্থা বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট-এ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এছাড়াও জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল করেন সাধারণ মানুষ, উদ্যাপন করা হয় দিনটি। অনেকেই বলেন, 'এক বিপজ্জনক, অস্থিতিশীল, দামী প্রযুক্তির ব্যবহার অবেশেষ বন্ধ হল। ২০০২ সাল থেকে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বন্ধের কথা ভাবতে শুরু করেছিল ইউরোপের এই দেশ। অবশেষে ২০২৩ সালে সম্পূর্ণ বন্ধ হল। জার্মানির মানুষ এই সিদ্ধান্তে খুশি। ঠান্ডা যুদ্ধ কিংবা ইউক্রেনের চের্নোবিল বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে তাঁরা বরাবরই পরমাণু শক্তি-বিরোধী।'
আমেরিকার (America) পর এবার জার্মানিতে (Germany) বন্দুকবাজের হামলা (Gunman Attack)। জার্মানির হামবুর্গের গির্জায় এলোপাথাড়ি গুলি চালালো এক বন্দুকবাজ। বৃহস্পতিবারের রাতের এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। গুরুতর জখম আরও কয়েকজন।
হামবুর্গ পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ হামবুর্গের কিংডম হল অফ জেহবাস উইটনেস এলাকার গির্জায় হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে পুলিস। বন্দুকবাজের হামলার খবর পেয়েই গির্জা ঘিরে ফেলে পুলিস ও নিরাপত্তাবাহিনী। হামলাকারীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। এতে একজন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামবুর্গ পুলিস।
জার্মান প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। নির্দেশ না দেওয়া অবধি বাড়ির মধ্যেই থাকার কথা জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
প্রসূন গুপ্ত: সুবিশাল কিছু অঘটন ঘটায় বিদায় নিয়েছে কোনও নামী দল, এমন ঘটনা এখনও দেখা যায়নি। তবে কে বেশি শক্তিধর কার শক্তি কম, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এবারের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) সম্ভব নয়। কাতার ব্যতীত প্রতি দল তাদের সেরা খেলা দেখানোর চেষ্টা করছে। ফলস্বরূপ লিগ রাউন্ডে তাবড় তাবড় দল নাস্তানাবুদ হয়েছে তথাকথিত ছোট দলের কাছে। কে জানতো সৌদির কাছে পরাজিত হবে আর্জেন্টিনা বা জাপান হারিয়ে দেবে জার্মানিকে (Japan versus Germany)।
অঘটন অনেক হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার কেউ বেড়াতে আসেনি কাতার বিশ্বকাপে। অস্ট্রেলিয়া ব্যতীত বাকি এশিয়ান দলগুলি মোটামুটি বিদায় নিয়েছে। কিন্তু ফিফার কাছে বার্তা গিয়েছে যে আগামীতে এরাই সেরা হওয়ার দাবিদার হবে। আফ্রিকা তারই মধ্যে খানিক ম্রিয়মান। মরক্কো বা সেনেগাল ছাড়া পরের রাউন্ডের বলার মতো কে আছে? লাতিন আমেরিকার দেশগুলি ভালো খেললেও পরের দিকে আলোচনা করার মতো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় বা আমাদের ঘড়িতে যখন শুক্রবার, তখন জাপানের সঙ্গে স্পেনের রাউন্ডের শেষ খেলা। অন্যদিকে জার্মানির সঙ্গে কোস্টারিকার। শেষ ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে জার্মানি যা খেলেছে, তাতে কোস্টারিকা হয়তো তাদের কাছে সমস্যা হবে না। কিন্তু এই কোস্টারিকা আচমকা গোল করে জাপানকে না হারালে জার্মানির ভাগ্য আগের দিনই নির্ধারিত হয়ে যেত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান ছিল জার্মানির মিত্র। দুটি দেশকেই যুদ্ধের পর ভঙ্গুর অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জেদি এই দুই দেশ দ্রুত নিজেদের ফের বিশ্বমাঝে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার করে তুলেছে। আজ রাতে জাপানকে হারতে হবে প্রাক্তন বন্ধুকে পরের রাউন্ডে পাঠানোর জন্য। কিন্তু ১৯৪৫-এ তারা তো হারেনি।
স্পেন অন্যতম শক্তিধর ফুটবল দল। কিন্তু তারা আজ জান লড়িয়ে দেবে পরের রাউন্ডে শীর্ষে থাকার জন্য। কার্যত জার্মানিকে তাকিয়ে থাকতে হবে জাপানের পরাজয়ের দিকে এবং অবশ্যই লাতিন শক্তিকে হারাতে হবে। নজরে কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা।
এবারের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) কোনও জ্যোতিষের ভবিষ্যৎবাণী মিলবে কিনা সন্দেহের। রবিবারটিও ছিল না ব্যতিক্রমী। সাধারণত জুন-জুলাইতে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) ফুটবল হয়ে থাকে কিন্তু ওই সময়ে কাতারে ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকে কাজেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম (Football Stadium) যতই থাকুক দর্শকদের খেলা বাদে শহরে ঘুরে বেড়ানোটাই অসম্ভব। তাহলে খেলাটা দেখবে কে? ফলে এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। অসময়ের বিশ্ব ফুটবল নিয়মের বাইরে ফলাফলে অর্থাৎ খেলার ফল একেবারেই ভিন্ন হচ্ছে, যেমনটি হলো রবিবার।
প্রথম খেলা ছিল জার্মানিকে হারিয়ে দেওয়া জাপান বনাম স্পেনের কাছে ৭ গোল খাওয়া কোস্টারিকা। সকলেই ভেবেছিল অনায়াসেই জাপান ফের তার ভেলকি দেখাবে। কিন্তু হল উল্টো, প্রথম থেকেই কোস্টারিকা তার ডিফেন্সকে শক্ত রেখে মিডফিল্ডারদের একটু নিচ থেকে অপারেট করছিল। পাস খেলছিল তারা গগনে গগনে কাজেই অনেকটাই খাটো চেহারার জাপানি খেলোয়াড়দের হেড নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। আক্রমণ কিন্তু জাপান করেছিল কিন্তু গোল পাওয়ার জায়গায় যেতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কোনটার আক্রমণে ৮০ মিনিটে জয়ের গোল পেয়ে যায় কোস্টারিকা।
ওই এক গোলে জাপানের পরের রাউন্ডে ওঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। অন্যদিকে শেষ খেলায় এই মানের কোস্টারিকা রবিবারে খেলা জার্মানিকে হারাতে পারবে বলে মনে করা কঠিন। পরের খেলা আফ্রিকার মরক্কো বনাম কালো ঘোড়া বেলজিয়াম। সারা খেলায় বেলজিয়ামকে খুঁজে বেড়াতে হল তাদের পুরাতনী ছন্দকে। নিয়মিত জিম করা শক্তির প্রদর্শন করলো মরক্কো। দু-দুটি গোল করে জানিয়ে দিল আফ্রিকা নক আউট পর্যায়ে যেতে পারে। এই ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে গোল প্রথম দেখা গেল।
তৃতীয় খেলায় নতুন দল কানাডা খেলার ৬৮ সেকেন্ডে প্রথম গোল করে চমক দিল। তারপর অন্তত ৩৫/৪০ মিনিট খেললো ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবল। পাসিং থেকে বল কেড়ে নেওয়া সমস্তটাই ছিল দেখার মতো। প্রথম অর্ধের শেষ দিকে খেলা ধরলো ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ২০১৮-র রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকে ফিরে পাওয়া গেল। অজস্ৰ পাস খেলে বেদম করে দিল অনভিজ্ঞ কানাডাকে। চার চারটি গোল পেল তারা।
শেষ খেলাটি ছিল সবচাইতে আকর্ষণীয়। শিল্পের তিকি-তাকা বনাম ইউরোপের সেরা পাওয়ার পাসিং ফুটবল। প্রথমেই গোল পেয়ে যায় জার্মানি কিন্তু নতুন নিয়মের ফাঁদে পরে বাতিল হয়ে তা। দ্বিতীয়ার্ধের আগে অবধি স্পেন মুহুর্মুহু আক্রমণ সানায় জার্মানির দিকে। নয়্যার ছিলেন যেন চীনের প্রাচীর। এরপর খেলোয়াড় বদল করে মাঠে আসে স্পেনের আলভারো মোরাতো এবং এসেই গোল। খেলার বাকি তখন ৩৫ মিনিট।
এরপর খেলার রং বদলে যায়। জার্মানি বুঝিয়ে দেয় কেন তারা ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন। রুডিগার, লিও গোরেৎসগ, লেরওয়ে সানে একের পর এক আক্রমণ বানাতে থাকে স্পেনের গোল লক্ষ্য করে। দুর্ভাগ্য তাদের ৩ গোল পাওয়া দল শেষ পর্যন্ত নিকোলাস ফুলকরুসের গোলে সমতা ফেরায়। এই দল অঘটন না হলে অনায়াসে হারাতে পারে কোস্টারিকাকে। নক আউটে ফের ইউরোপের দাপট থাকবে তা এখনিই বলে দেওয়া যায়।
হীরক বোস: জমে উঠেছে বিশ্বকাপের (World Cup 2022) গ্রুপ-ই এর লড়াই। প্রথম ম্যাচে জার্মানদের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পাওয়া জাপান কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হারলো। স্পেনের কাছে সাত গোল খাওয়া কোস্টারিকা শিবিরকে ফুলারের একমাত্র গোল অক্সিজেন দিয়ে গেল। সঙ্গে জার্মানির (Germany versus Spain) সামনেও একটা বড় সুযোগ এনে দিয়েছিল।
রাতের খেলায় সেই রেজাল্ট দেখা চনমনে মেজাজে মাঠে নেমেছিল জার্মানি। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে থাকা স্পেন। যাদের বিরুদ্ধে অতীতেও খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি তারা। তবে ম্যাচ শেষে ১-১ গোলে ড্র অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে জার্মানদের।
ম্যচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল স্প্যানিশ আরমাডাদের। মাঝমাঠ নিজেদের দখলেই রেখেছিলেন জর্ডিআলবা, বুসকেটসরা। অপরদিকে, ম্যাচে শুরু থেকেই জার্মানদের চিরাচরিত গতি উধাও। ম্যাচের নিজেদের ছন্দ আনতে আধঘন্টা লেগে যায় ফ্লিকের ছেলেদের। আর ম্যাচের ৪০ মিনিটে স্প্যানিশ জালে বল জরিয়ে দেন রুডিগার। কিন্ত ভিএআর-এর কড়াকড়িতে অফসাইডের কবলে পড়ে বাতিল হয় সেই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে বিপক্ষের জোনাল মার্কিংকে টেক্কা দিতে স্ট্রাটেজি বদল করনে লুইস এনরিকে।
টোরেসকে তুলে নিয়ে আসেন মোরাতাকে। আর সেই মোরাতাই ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেয় স্পেনকে। আর ৮৩ মিনিটে স্বস্তির গোল জার্মানদের। মুলারের পরিবর্ত হিসাবে আসা ফুলকরুগ স্পেনের জালে বল জড়িয়ে বিশ্বকাপের আশা জিইয়ে রাখলো জার্মানির।
ড্র করেও চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সবার উপরে স্পেন। তিন পয়েন্টে কোস্টারিকা আর জাপানের। এক পয়েন্ট নিয়ে শেষে জার্মানি। কিন্তু শেষ ম্যচে তারা কোস্টারিকাকে হারলে আর উল্টোদিকে স্পেনের কাছে জাপান হারলে শেষ ১৬-য় যেতে পারবে জার্মানি।
জার্মানদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের (Japan beats German) দিন মন জয় করলেন জাপানি সমর্থকরা। জয়ের উৎসবের সঙ্গেই দায়িত্ব পালন। কাতারে (Qatar World Cup 2022) নজর কাড়ল জাপানি সমর্থকদের সংস্কৃতি। ২০১৪ আর ২০১৮-র বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল ম্যাচ শেষে জাপানি সমর্থকরা স্টেডিয়াম পরিষ্কার (Stadium Cleaning) করে মাঠ ছেড়েছেন। এবারও তার অন্যথা হল না। জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ভুললেন না তারা। ম্যাচের সময় খাওয়ার প্যাকেট, জলের প্যাকেট-সহ বিভিন্ন জমা হওয়া আবর্জনা সংগ্রহ করে তারপর স্টেডিয়াম ছাড়লেন জাপানি সমর্থকরা।
জার্মানদের ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বফুটবলকে তাক লাগিয়েছে জাপান। এবার দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববাসীর মন জয় করলো সে দেশের সমর্থকরা। কাতার ইকুয়েডর প্রথম ম্যাচেও স্টেডিয়ামে থাকা কিছু জাপানি সমর্থককে ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম পরিষ্কার করতে দেখা যায়। ২০১৮-র বিশ্বকাপেও তাদের এই কাজের জন্য ফিফার থেকে পুরষ্কৃত হয়েছিল জাপানিরা। সেই দায়িত্ববোধ ধরে রেখেই ঐতিহাসিক জয়ের দিন আন্দোলন ভেসে যাওয়ার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে গেলেন জাপানিরা।
সৌদি আরবের পর এবার জাপান (Japan Beats Germany)। কাতারে জার্মানির বিরুদ্ধে সূর্যোদয় জাপ বাহিনীর। চলতি বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) ফের অঘটন এশিয়া দেশের হাত ধরে। মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আরব্য রজনী দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। এবার দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল জাপান। এদিন জার্মানির রক্ষণভাগের ফাঁকফোকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে জাপান। সামনে জার্মানির মতো মহাশক্তি থাকলেও গুটিয়ে থাকেননি জাপ ফুটবলাররা।
গোটা ম্যাচে চোখে চোখ রেখে জার্মানদের সঙ্গে লড়াই করলেন তাঁরা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল জাপান, বরং ধীরে শুরু করেন মুলার-গোটজেরা। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই জাপানের করা গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। এদিকে, সারা মাঠজুড়ে জাপান দৌড়চ্ছে দেখে নিজেদের খেলায় ফেরে জার্মানরা।
৩৩ মিনিটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন গুন্ডায়ান। এই গোলের জন্য পুরোপুরি দায়ী জাপানের গোলরক্ষক গোন্ডা। তিনিই বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জার্মানির এক ফুটবলারকে। যদিও পুরো ম্যাচ আর সেভাবে কোনও ভুল করেননি এই গোলরক্ষক। বরং দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন নিজের শক্ত হাতে। অপরদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জার্মানি। প্রায় সারাক্ষণই বল ঘোরা ফেরা করেছে জাপানের অর্ধে। কিন্তু সেই আক্রমণকে গোলে রূপান্তরিত করতে পারেনি টমাস মুলাররা। উলটে দু'গোল হজম করে অঘটন ঘটিয়ে দেয় চারবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন।