সংসারের হাল ধরতে টোটো (Toto) চালিয়ে রোজগারের পথ বেছে নিল বছর পনেরোর গায়ত্রী হালদার। বর্তমানে গাইঘাটা (Gaighata) এলাকার সকলের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। সকাল হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। মাঝে কিছুটা সময় স্কুলে পড়াশোনা, তারপর আবারও টোটো নিয়ে যাত্রীদের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ায় কাজ। আর এই যাত্রী পরিষেবা দিয়ে উপার্জন করা অর্থেই এখন চলছে গোটা সংসার।
কারণ পরিবারের একমাত্র রোজগেড়ে বাবা অলক হালদার শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশই হয়ে পড়ায়, সংসারের হাল ধরতে জেদ করেই টোটো চালানো শেখা গায়ত্রীর। ছোট্ট টালির চাল দেওয়া বাড়িতে অসুস্থ বাবা, মা ও দিদিকে নিয়ে সংসার গায়েত্রীর। শুধু সংসারের হাল ধরাই নয়, পাশাপাশি দিদির পুলিস হওয়ার ইচ্ছেকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে বোন হয়ে দিদির পাশে দাঁড়িয়েছে গায়ত্রী। ছোট মেয়ের সংসার চালানোর এই লড়াই দেখে, মা কৃষ্ণা হালদারও এলাকার দুটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেছেন। এলাকার মানুষও গায়েত্রীর এই লড়াইকে আজ কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
প্রথম অবস্থাতে নানা বিদ্রুপ কটুক্তির শিকার হতে হয়েছে গায়ত্রীকে। তবে তাঁর লড়াই-এর কাছে মাথা নত করতে হয়েছে সকলকে। এখন টোটো স্ট্যান্ডের সকলেই এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরাও সব রকমভাবে সাহায্য করেন বছর পনেরোর টোটো চালক গায়ত্রীকে। মাঝে কিছুদিনের জন্য টোটো খারাপ হয়ে যাওয়ায় টোটো স্ট্যান্ডে গায়ত্রীকে দেখা না যেতেই খোঁজ পরে তার। জানা যায় টোটোর ব্যাটারি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণেই সমস্যায় পড়েছিল গায়ত্রী। পাড়া প্রতিবেশী ও টোটো চালকদের সাহায্যে আবারও নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে পুনরায় যাত্রী পরিষেবা দিতে পথে নামে গায়ত্রী। মেয়ের এই লড়াই দেখে রীতিমত চোখে জল এনে দিচ্ছে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী বাবা অলক হালদারের। শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে মেয়েকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। বাবার চিকিৎসা খরচ থেকে শুরু করে দিদির পড়াশোনা এমনকি বাড়ির সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের সমস্ত শখ আহ্লাদ ভুলে সকাল বিকেল টোটো চালিয়েই অর্থ উপার্জন করছে বছরে পনেরোর এই ছোট্ট মেয়েটিকে।
স্থানীয় ঢাকুরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আজ গায়েত্রীর পাশে রয়েছে এবং সব রকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে পড়াশোনা চালিয়ে গেলেও স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের ব্যবহার নিয়ে আক্ষেপের সুর গায়ত্রী গলায়।
এত ছোট বয়সে গায়ত্রী আজ টোটো চালক। তাই হয়তো ক্লাসের অন্যান্য সহপাঠীরা সেভাবে কথা বলে না তার সঙ্গে। সেই কারণে স্কুলে আসলেও মানসিকভাবে একাই কাটাতে গায়ত্রীকে। সেই কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো চোখের জল চলে আসলো নবম শ্রেণীর এই ছাত্রীর। গায়ত্রীর এখন চায় সরকারি সাহায্য করা হোক বা যেভাবে হোক বাবাকে সুস্থ করে তুলতে। এত অল্প বয়সে পরিবারের হাল ধরতে কজনই বা পারে! তাই টোটো চালক গায়ত্রী যেন আজ সমাজে লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
বড় ভাইকে মাথায় আঘাত করে মেরে (Death) ফেলার অভিযোগ উঠল ছোটো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার অন্তর্গত রামপুর খড়ের মাঠ এলাকায়। এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তিকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম জয়দেব সরকার (৫৩)। অভিযুক্ত ছোট ভাই শ্যাম সরকার। পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ওই মৃত ব্যক্তির মেজ ভাই সহদেব সরকার জানান, পরিবারের তিন ভাইয়ের সম্পত্তি অনেকদিন আগেই ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। তবে ছোট ভাই বড় দাদার সঙ্গে একই ঘরে থাকতো। শনিবার রাতে ছোট ভাই মদ্যপ অবস্থায় দাদার সঙ্গে ঝামেলা করছিল। কিছু সময় পরে শ্যাম কাঠ দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করে। তারপরেই দাদা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাঁর দাদাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কেবল তা নয়, স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, শ্যাম দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশান্তি করত। কখনও কখনও এলাকাবাসীর সঙ্গেও ঝামেলা করত।
খেলতে গিয়ে পুকুরে (Drowing) পড়ে মৃত্যু (Death) হল আড়াই বছরের শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গাইঘাটা (Gaighata) থানার অন্তর্গত বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায়। সূত্রের খবর, জল থেকে দেহ উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছোট্টো তনয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেবনাথ পরিবার তথা বিষ্ণপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, মৃত ওই শিশুর নাম তনয় দেবনাথ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঘোজা হাসপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে মা রেবা দেবনাথের সঙ্গে গাইঘাটা থানার বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট তনয়। পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে একাই খেলছিল সে। খেলতে খেলতে কখন তনয় বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে চলে যায় জানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা, এমনটাই দাবি।
মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, শিশুটিকে অনেকক্ষণ খুঁজে না পেয়ে পুকুরের জলে খোঁজাখুঁজি করেন তার মা ও এলাকার কয়েকজন। হঠাত্ জলের নিচে থেকেই তনয়কে খুঁজে পান তাঁরা। তারপরেই শিশুটিকে তড়িঘড়িত তাকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাচীন পুকুর ভরাটের (Pond Fill Up) অভিযোগে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এমনকি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে যশোর রোডে প্রতীকি নিয়ে অবরোধ বিজেপির (BJP)। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার (Gaighata) বকচরা ১ নম্বর টালিভাটা এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বিক্ষোভ জারি রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা ব্লকের বকচরায় কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি পুকুরকে ভরাট করছে প্রোমোটার, তেমনই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি সদস্যদের দাবি, পুকুর ভরাট করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন এই প্রোমটার। কিন্তু এই পুকুর ভরাট হলে বকচরা এলাকার সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বেশ সমস্যায় পড়বেন। তাই সেই কারণেই বুধবার বিকেল যশোর রোডের বকচরাতে রাস্তা অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতারা। এমনকি প্রতীকি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর পুলিস সেই অবরোধ তুলে দেয়। তবে তাতেও থেমে নেই তাঁরা। তাই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা গোবিন্দ হালদার নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েই এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। পুকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গাও রাখা হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার কারণেই পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। আর যাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছে তাঁরা এই এলাকার সাধারণ মানুষ নয়। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে মতামত নিলে তাঁরাই সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
ব্যবসায়ীকে মারধর করে সোনার জিনিস ও টাকা পয়সা চুরির (Theft) অভিযোগ। এমনকি ওই ব্যবসায়ীর চোখ খুবলে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে চোরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত গোজা পশ্চিম পাড়া এলাকায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার (Gaighata Police) পুলিস। ঘটনার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, আহত ওই ব্যবসায়ীর নাম সুশান্ত পোদ্দার। তিনি পেশায় একজন ঔষধ ব্যবসায়ী। রাতের অন্ধকারে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ই এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সোমবার রাতে সুশান্ত পোদ্দারকে কিছু ঔষুধের জন্য ফোন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। ফোন ধরে সুশান্তবাবু ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য ডাকে। তড়িঘড়ি করে কয়েকজন লোককে নিয়ে ছুটে যান ওই ব্যক্তি। তবে স্থানীয়দের আসতে দেখে পালিয়ে যায় চোরেরা, এমনটাই দাবি তাঁর। তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দুই যুবককে ধরে ক্লাব ঘরে বেঁধে, আটকে রেখে নির্যাতনের (Beaten) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক ডাব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গাইঘাটা (North 24 Parganas) থানার অন্তর্গত ধর্মপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুইপাড়া এলাকায়। ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিস (Gaighata Police) এসে ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এলাকারই এক বাসিন্দা নিত্যানন্দ দাস। পেশায় তিনি একজন ডাব ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ঘর থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তবে কিছুতেই চোর ধরা যাচ্ছিল না। তাই চোর ধরার জন্যে বুধবার রাতে নিত্যানন্দ দাস বাড়িতে তালা লাগিয়ে বাড়ির পাশের একটি জাগায় লুকিয়ে ছিল। সেই সময় তাহির বিশ্বাস, বিপ্লব পারুই নামের দুই যুবক, তাঁর বাড়ির সামনে গেলে তাদেরকে সন্দেহের বশে ধরা হয়। বেশ কিছু যুবকদের নিয়ে তাদের এলাকারই এক ক্লাব ঘরে আটকে রাখেন নিত্যানন্দবাবু-সহ স্থানীয়রা।তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি জোর করে টাকা চুরির ঘটনাও স্বীকার করানোর চেষ্টাও চলে বলে অভিযোগ।
তবে এই বিষয়ে ডাব ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ দাস জানান, 'ওই দুই যুবককে তালা ভাঙতে দেখে লাইট জ্বালালেই পালানোর চেষ্টা করে। পরে কয়েকজনকে ডেকে ওই দুই জনকে ধরে ক্লাবের মধ্যে রাখা হয়। আমি ডাবের ব্যবসা করে টাকা জমিয়েছি। সেই জমানো টাকা থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।'
তবে এবিষয়ে ধর্মপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল ঘোষ জানান, 'নিত্যানন্দ দাস একজন ডাব ব্যাবসায়ী। তাঁর দীর্ঘদিনের অভিযোগ তাঁর বাড়ি থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে। সেই মোতাবেক নিত্যানন্দ একটু পাহাড়ায় থাকতেন। সেই মতো সন্দেহের বশে ওই দুই যুবককে ধরে তিনি ক্লাবে আটকে রাখেন। খবরটা আমাদের কাছে আসতেই আমরা গায়ে হাত না তোলার কথা বলি। এমনকি আমি ওই দুই জনকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতেও বলেছি।'
বন্ধ হতে চলেছে এলাকার একমাত্র স্কুল। স্কুলে শিক্ষক বাড়ানোর দাবিতে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ এলাকাাসীর৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের বেলেডাঙ্গা এফপি স্কুলে বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের অভাবে রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৮০০০ স্কুল। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের তালিকার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের বেলেডাঙ্গা এফপি স্কুলও।
জানা গিয়েছে, স্কুলটির বয়স প্রায় ৬৫ বছর। অতীতে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুলে পড়াশুনা করত। তবে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা এখন মাত্র ৩০ জন। অভিযোগ, স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক৷ পঠন-পাঠনের দিক থেকেও মান খুব খারাপ।
এই এলাকা থেকে আশপাশের স্কুলের দূরত্ব পায়ে হেঁটে প্রায় দু-আড়াই কিলোমিটার৷ তাই স্কুলটি উঠে গেলে খুবই সমস্যায় পড়বেন স্থানীয় পড়ুয়ারা। স্কুলের পঠন-পাঠনের মান উন্নত করে এবং স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়িয়ে স্কুলটি চালানোর দাবিতে শনিবার সকালে থেকেই পোস্টার হাতে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
তবে স্কুলের পঠন-পাঠনের বেহাল অবস্থার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিবনাথ মন্ডল। তিনি বলেন, 'গ্রামের এই অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়। তাছাড়া গ্রামবাসীরা আগে বলেছেন স্কুলের পঠন-পাঠন ব্যবস্থা ভালো। তবে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কম এটা সত্যি। আসলে দূরে যেই স্কুলগুলি আছে সেগুলি খুব বড় বড়। সেখান থেকে কেউ আমাদের স্কুলে পড়তে আসে না।'
BSF কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক যুবক ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিএসএফ (BSF Officer) কর্মীর নাম উত্তম দাস। তিনি গাইঘাটা থানার (Gaighata PS) বায়সার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম সৌরভ মণ্ডল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তম তাঁর সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে ঠাকুরনগর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বড়া চৌমাথা এলাকায় তিন-চার জন মদ্যপ যুবক (Drunken) উত্তমের গাড়ি থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
অভিযোগ, উত্তম গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। এমনকি তাঁকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় এবং গলায় চোট লেগেছে। গোটা বিষয়টি তিনি গাইঘাটা থানায় জানিয়েছেন। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে পুলিস গেলে পুলিসের উপরও চড়াও হয় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। যদিও অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিস এখনও তাদের খোঁজ চালাচ্ছে।
স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রথম স্বামীর। অভিযুক্তকে গণধোলাই স্থানীয়দের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার কাড়লা শালবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকান্ত ভদ্র। তিনি হাবরা (Habra) থানার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই দু'জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় (Kolkata) রেফার করা হয়েছে।
অভিযোগ, সুকান্তের স্ত্রীকে বিয়ে করার আক্রোশে শনিবার রাতে বিশ্বজিৎ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় সুকান্ত। তাঁর মাথা, ঘাড়, হাত সহ একাধিক জায়গায় কোপ বসায় সুকান্ত। এরপর বিশ্বজিতের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে। অভিযুক্ত সুকান্তকে বেধকড় মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিস গিয়ে সুকান্তকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
অষ্টমীর দিন সকালেই রেল লাইনের (rail line) পাশ থেকে অর্ধ দগ্ধ বিবস্ত্র ক্ষতবিক্ষত দেহ (body) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার মনমোহনপুর এলাকার। সাত সকালে এমন হাড়হিম করা ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারম মানুষ। যদি ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে বনগাঁ শিয়ালদহ (Bangaon-sealdah) শাখার বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে ডাউন লাইনের পাশে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়। তারাই তড়িঘড়ি খবর দেয় পুলিসে (police)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিস ও বনগাঁ রেল পুলিস। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি লাইনের পাশ থেকে পোড়া জামা কাপড়ের টুকরোও উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, দেহটি উলঙ্গ অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়েছিল। দেহের স্বল্প পোড়া পোশাক রয়েছে। দেহের বেশ কিছুটা অংশ লাইনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তবে ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা জানতে দেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেল পুলিস। ঘটনার তদন্তে পুলিস।