বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। সোমবার সকালে ওই দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হলে জয়পুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশাখা দে ও গৌতম দে। বাড়ি ওন্দা থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, জয়পুরের জঙ্গলে দম্পতির মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। পাশেই পড়ে ছিল বিষের বোতল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেয়েই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিন সকালে ওন্দা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন দম্পতির ছেলে অপূর্ব দে। অপূর্ব দে র দাবি, রবিবার সামান্য পারিবারিক অশান্তি হয়। এরপরই বাবা ও মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়ে পুলিসে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন অপূর্ব দে।
বনদফতরের হেফাজতে থাকাকালীন পলাতক কাঠ পাচারকারী। এর কারণেই বনদফতরের বিট অফিসার কে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় তদন্ত নির্দেশ করা হল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া ফুলবাড়ী ক্যানেল রোডের সামনে একটি ক্যান্টার গাড়িকে আটক করে বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা। ক্যান্টার গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে গাড়ির চালকের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপরেই সেই ক্যান্টারের চালককে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
অভিযুক্ত গাড়ি চালককে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবদের পরেই জানা যায় বার্মাটিক কাঠগুলি কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে বেশ কিছু জায়গায় পাচার করা হত বলে অনুমান কার হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত কাঠ গুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
এর আগেও বহুবার প্রচুর পাচারকারী সহ বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার করা হয়। তবে এই পাচারকারীর সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে সেই তদন্তর জন্য বন বিভাগের হেফাজতে রাখা হয় সেই পাচারকারীকে। বনদফতর এর এক বিট অফিসারের হেফাজতে রাখা হয়। অবশেষে বনদফতরের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় কাঠ পাচারকারী। এরপর বনদফতরের পক্ষ থেকে বাগডোগরা বনদফতরের সেই বিট অফিসারকে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাছের জালে আটকে পড়ল এক বিশাল আকারের অজগর। জালে আটকে পড়তেই ছটফট করছে অজগরটি। রবিবার সকালে কাঁকসার তেলিপাড়া এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পানাগড় বন বিভাগে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয়রা জলাশয়ের সামনে যেতেই নজরে আসে মাছের জালে আটকে ছটফট করছে একটি অজগর। মনে করা হচ্ছে খাবারের সন্ধানে জলাশয়ে নেমে মাছের জালে আটকে গিয়েছে বিশাল আকার অজগর। স্থানীয়রা আরও জানান, সাধারণত বর্ষাকালে জল জমে যাওয়ায় অনেক জায়গায় গর্ত তৈরী হয়, আর সেখানেই খাবারের সন্ধানে মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে অজগর। এর আগে জালে অজগর আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতর কর্মীরা পৌঁছে জাল থেকে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে। সুস্থ অবস্থাতেই অজগর সাপটিকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা। এরপর সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অজগর সাপটিকে দেখার জন্য এলাকাবাসীরা ভিড় জমায় সকাল থেকে।
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগান থেকে উদ্ধার হয় একটি অসুস্থ ময়ূর (peacock)। বুধবার সকালে ওই অসুস্থ ময়ূরটিকে উদ্ধার করে তাসাটি এলাকার এক যুবক। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা রোহিত ওঁরাও প্রাতঃভ্রমণের উদ্দেশ্য়ে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখেন একটি অসুস্থ ময়ূর। তারপর তিনি ওই ময়ূরটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং বন দফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে ওই যুবকের বাড়িতে যান বন দফতরের কর্মীরা, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই অসুস্থ ময়ূরটিকে। স্থানীয়দের অনুমান, বাগানের বিষাক্ত কোনও প্রাণী বা পোকামাকড়ের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই ময়ূরটি। যার ফলে ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মাটিতেই লুটিয়ে পড়েছিল ময়ূরটি।
যদিও রোহিত ওঁরাও-এর পদক্ষেপে শুধু বন বিভাগের কর্মীরাই নন, খুশি হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷ সকলে রোহিত ওঁরাও এর এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সুপারি বাগান থেকে উদ্ধার বুনো হাতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপু্রদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার সন্ধ্য়ায় ওই এলাকার এক বাসিন্দার সুপারি বাগানে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত হাতিটি একটি পুরুষ হাতি। শুক্রবার রাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান বনকর্মীদের। রবিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰামের কাছেই রয়েছে ধুমচি ফরেস্ট। আর ওই ফরেস্ট থেকে প্রায়ই হাতির দল বেরিয়ে এলাকায় হানা দেয়। এরপর শনিবার সন্ধ্য়ায় গোরু খুঁজতে গিয়ে এলাকারই একজন বাসিন্দা একটি পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে গ্ৰামবাসীরা খবর দেয় বনদফতরে। রাতেই ঘটনাস্থলে জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা পৌছেছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত জনা যায়নি। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ময়না তদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে।
বন দফতরের প্রচেষ্ঠায় সেগুন কাঠ পাচারের আগেই গ্রেফতার করা হল গাড়ি সহ গাড়ি চালককে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছেন বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি বাইপাসের ৩১ তম জাতীয় সড়কে। গাড়ির ভিতরে থাকা বাজেয়াপ্ত সেগুন কাঠের বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার বেশি।
জানা গিয়েছে, অসম থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ছয় চাকা ডাক পার্সেল কন্টেনার গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর এলে তাঁরা গাড়ির পিছু নেন। গাড়িটিকে আটকানোর জন্য জাতীয় সড়কে ব্যারিকেট বানিয়ে ফাঁদ পেতেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু সেই ব্যারিকেট ভেঙে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই গাড়িচালক। অবশেষে টোল প্লাজা ব্যারিকেট ভেঙে পালানোর সময় বিধান নগরের পুলিসের মদতে গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয় ঘোষপুকুর বনদফতরের কর্মীরা।
এরপর গাড়ির ভিতরে থাকা সেগুন কাঠ সহ গাড়িটিকে আটক করে বাগডোগরা বনদফতরে নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি গাড়ি চালককে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দিনের বেলায় ডার্ক পার্সেলের গাড়িতে করে এইভাবে সেগুন কাঠ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছেন ঘোষপুকুর বনদফতরের কর্মীরা।
চা বাগানের ভিতর থেকে উদ্ধার একটি বিশাল আকারের অজগর (Python) সাপ। শিলিগুড়ি (Siliguri) বাগডোগরায় কমলপুর চা বাগানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা এসে বাগানের ভিতর থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অজগর উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত রয়েছেন চা শ্রমিকরা।
জানা গিয়েছে, বাগডোগরা কমলপুর চা বাগানে চা শ্রমিকেরা চা পাতা তোলার সময় হঠাৎ চা বাগানের ভিতর থেকে একটি বিশাল আকারের অজগর সাপ দেখতে পায়। অজগর দেখা মাত্রই বাগান জুড়ে হইচই পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা বনদফতরকে। খবর পেয়ে বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা ছুটে এসে বাগানের ভিতর থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করে। তবে জানা গিয়েছে এই এলাকায় এই বর্ষার সময় মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসে অজগর।
বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছে, অজগরটিকে উদ্ধারের পর প্রথম অবস্থায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হবে। এরপর গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
৮ ফুট উচ্চতার একটি অজগরকে (Python) কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শনিবার, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাগডোগরা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বনদফতরের (Forest Department) কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে অজগরটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরবেলা বাগডোগরা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার একটি গাছের ডালে অজগর দেখতে পায় তাঁরা। সম্ভবত পাখির ডিম খাওয়ার জন্যই গাছে উঠেছিল। অবশেষে খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা বন দফতরকে।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা এসে অজগরটিকে গাছ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া যায়। এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান বন দফতর কর্মীরা।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।
দু-দুটি বুনো হাতির (Elephant) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বন দফতরের (Forest Division) নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলেই হাতি দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রাঘাতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার সকালে চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনের কাছে ডায়না নদীর ধারে হাতি দুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দুটি হাতির মধ্যে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী হাতি ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। এমনকি সেই সময় ঘনঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাই স্থানীয়দের অনুমান, বজ্রাঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতি দুটির।
বিশালাকারের কেউটে (Snake) উদ্ধার ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জে। বন দফতরের (Forest Division) প্রচেষ্টায় হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। তবে সাপ উদ্ধারের এই দৃশ্য চাক্ষুষ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও অফিসে কুড়ের মাঠের পাশে নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। করুণা ঋষি নামক এক বৃদ্ধা চরে আতল পেতে রেখেছিলেন মাছ ধরার জন্য। সেই আতল জল থেকে তুললেই চক্ষু চড়ক গাছ। মাছ নেই! আছে বিশাল আকৃতির কেউটে। যার দৈঘ্য প্রায় ৬ ফুট।
ওই বিশালাকারের সাপটিকে দেখামাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরে। তারপর বন দফতরের কর্মীরা এসেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার (Rescue) হল বিষধর সাপ (Snake)। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর গ্রামের হীরুলাল শিটের বাড়িতে। বনদফতরের (Forestdepartment) তৎপরতায় উদ্ধার হয় একটি কেউটে সাপ। বিষধর সাপ হওয়ায় সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক সাপটি দেখা মাত্র মিনাখাঁ বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের উদ্ধারকারীর দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে মাটি খুঁড়ে অবশেষে বিশাল আকারের একটি কেউটে সাপ বের করে আনেন তারা। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ন্যাজা কেওটিয়া। এরপর বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে যান। এদিন সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার সাপটিকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষেরা ভিড় জমান।
এ যেন এক সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেয়। মুম্বইয়ের ধারাভি (Dharavi) বস্তির এক ১৪ বছরের কিশোরী কীভাবে এক লাক্সারি ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই স্বপ্নের মতো। এজন্যই হয়তো মুম্বইকে 'স্বপ্নের নগরী' বলা হয়। মালীশা খারওয়া (Maleesha Kharwa) মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে বসবসকারী এক কিশোরী। কিন্তু এখন এই মেয়েই লাক্সারি বিউটি ব্র্যান্ড 'ফরেস্ট এশেনসিয়াল'-এর ক্যাম্পেইন 'যুবতী কালেকশন'-এর মুখ। মালীশা 'প্রিন্সেস ফ্রম স্লাম' অর্থাৎ 'বস্তির রাজকুমারী' বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, তার জনপ্রিয়তা এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে, সম্প্রতি সে হলিউডের দুটি ছবিতে কাজ করারও প্রস্তাব পেয়েছে।
সাধারণত শ্যামবর্ণ মেয়েদের মডেল বা সিনেমার জগতে ভাবাই হয় না, কিন্তু সেই ভাবনাকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনে এগিয়ে চলেছে মালীশা। তবে তার এই স্বপ্নপূরণের পথে তার সঙ্গে ছিলেন হলিউড অভিনেতা রবার্ট হফম্যান। তাঁর হাত ধরেই মালীশার মডেলিং জগতে প্রবেশ। ২০২০ সালে মুম্বইয়ে মালীশার খোঁজ পান তিনি। তার জন্য 'গো ফান্ড মি পেজ' নামে এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খুলে দেন তিনি। তারপরেই ভাগ্য বদলায় মালীশার।
আজ মালিশার ইনস্টাগ্রামে মোট ফলোয়ারের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি। 'বস্তির রাজকন্যা' এই হ্যাশট্যাগটি তিনি ব্যবহার করেন তার প্রতিটি পোস্টেই। একাধিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছে সে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, 'ফরেস্ট এশেনসিয়াল'-এক স্টোরে প্রবেশ করছে। সেখানে রাখা বিজ্ঞাপন গুলোতে তার ছবি। আর সেই দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে মালীশা। তবে এর পাশাপাশি পড়াশোনাটাও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় 'প্রিন্সেস ফ্রম স্লাম'। তবে বস্তি থেকে মডেলিং জগতে প্রবেশ করা তার কাছে সত্যিই এক স্বপ্নের মতো। তার জীবনের এই কাহিনী সাধারণ মানুষের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
মা চিতাবাঘ সহ দুই (Leopard) শাবকের মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের থানজোড়া চা বাগানের তিন নম্বর সেকশনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর বন দফতরের কর্মীরা (Forest Division) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মা চিতাবাঘ ও দুই শাবকের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ চিতাবাঘ শাবকের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। পাশাপাশি মৃত মা চিতাবাঘ ও দুটি শাবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম চা বাগানের চা শ্রমিকেরা মৃত চিতাবাঘগুলিকে দেখতে পান। এরপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাগানের ম্যানেজার সহ ঘোষপুকুর বন দফতরে। তবে কী কারণে বাঘগুলির মৃত্যু ঘটলো তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মাছ ধরার চাঁইয়ে ধরা পড়ল বিশাল আকারের গোখরো (Snake)। বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের লেবুখালির ঘটনা। আর সেই সাপ দেখতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখাঁ বন দফতরের (Forest Division) আধিকারিকরা। ওই বিশাল আকারের গোখরোটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নারায়ণ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতেও লেবুখালি খালে চাঁই পাতেন মাছ ধরার জন্য। তারপর বুধবার সকালে তিনি মাছের জন্যে পাতা চাঁইটি আনতে যায়। আর তখনই চাঁইয়ের গায়ে হাত দিতেই তিনি চমকে ওঠেন। দেখতে পান, ভিতরে বিশাল আকারের গোখরো সাপ আটকা পড়েছে। ওই সাপটি লম্বায় ছিল প্রায় সাড়ে সাত ফুট। তবে সাপটি হঠাৎ দেখা মাত্রই ভয় পেয়ে যান তিনি। আর ভয়ের জেরে চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে একটি লাঠি দিয়ে চাঁইটিকে তুলে আনা হয়।
আর এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সাপটিকে দেখার জন্য ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। তারপরেই মিনাখাঁ বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।