Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

FirhadHakim

Metro: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বউবাজারে অস্থায়ী ক্যাম্প, এলাকা ঘুরে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা ফিরহাদের

বউবাজার সুড়ঙ্গ (Tunnel Disaster) বিপর্যয়ের পর্যালোচনা বৈঠক শনিবার বিকেলে হয়েছে নবান্নে (Nabanna)। প্রথমে এই বৈঠক কলকাতা পুরসভায় আয়োজনের কথা থাকলেও পরে স্থান বদলিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মেয়র, মেট্রো কর্তৃপক্ষ (KMRCL) এবং রেল বোর্ডের সদস্যরা। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই বৈঠক শেষে বউবাজার ছোটেন মেয়র, সিপি, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতির জন্য খুব উদ্বিগ্ন। তিনি বারবার স্থানীয়দের খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন সবপক্ষকে নিয়ে একতা হাইপাওয়ার বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান বের করতে। সেই মোতাবেক মেট্রো, কন্ট্রাক্টর, পুরসভা, রাজ্য প্রশাসন, কলকাতা পুলিস সবপক্ষকে নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠক করেন।'

তিনি জানান, এই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। ভার্চুয়ালি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এই এলাকায় অবিলম্বে একতা ক্যাম্প খাঁটিয়ে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে স্থানীয়দের সেটা দেখা। সেই ক্যাম্পে থাকবেন কাউন্সিলর, লোকাল থানার ওসি। পাশাপাশি KMRCL এই ধরনের কাজে আবার হাত দিলে আমাদের অন্তত আগাম জানাতেই হবে। বাড়িতে ফাটল এবং ভেঙে যাওয়ার পর মানুষকে বের না করে আগেভাগে বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করব।

তিনি বলেন, 'দুর্গা পিতুরি লেনে প্রায় ৭১টি বাড়ি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ সম্পন্ন করবে KMRCL। এখান থেকে যারা বেড়িয়ে গিয়েছেন তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। বিশেষ করে যারা ৩০ দিনের বেশি বাড়ির বাইরে থাকবেন তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা আর একমাসের কম যারা বাড়ির বাইরে থাকবেন, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। যারা দোকান মালিক প্রতি ১০০ বর্গফুট বিচারে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।'

2 years ago
Dengue: 'কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের', জানালেন মেয়র, বিধাননগরে পুর উদাসীনতার অভিযোগ

ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। শনিবার জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর মন্তব্য, 'দু'বছর ডেঙ্গি ছিল না। আমরা কলকাতা পুরসভা (KMC) এবং রাজ্যের তরফে সচেতনতা প্রচার চলছে। মানুষ যাতে বাড়ির ছাদ এবং আশপাশে দিনে অন্তত একবার গিয়ে দেখেন কোনও জল জমে কিনা। সামনে পুজো প্যান্ডেলগুলোকেও ডেঙ্গি বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে।' এদিকে, পুরসভার (KMC) ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড ডেঙ্গির কবলে। 

অগাস্টে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরের। এই মাসে ওই ওয়ার্ডে আক্রান্ত প্রায় চার জন। তাও এলাকায় জঞ্জাল ভর্তি, পরিষ্কার হয় না নর্দমা। ইতিউতি জমে রয়েছে জল। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা এমনটাই খবর। অপরদিকে, পুজো উদ্বোধনে বিধাননগর আসেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় পরে থাকা জঞ্জাল দেখে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশের পরও চিত্র বদলায়নি বিধাননগরে। সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনের ঠিক পিছনের রাস্তা আবর্জনায় ঢেকে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা, পথচলতি মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য পথ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন গাড়ির চালকরা।

একদিকে আবর্জনার স্তুপ অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির উপদ্রব। বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ দফতর থেকে। বিধাননগর পড়ে বহু খালি জমি ও গোটা বিধাননগরজুড়ে রাস্তার ধারে ডাস্টবিন। সেই সমস্ত ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয় না তা দেখলেই বোঝা যায়। একই সঙ্গে খালি ডাস্টবিনগুলিতে জমছে বর্ষার জল, সেখান থেকেও বাড়তে পারে মশার উপদ্রব। মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত ডাস্টবিনগুলির জমা জলে ডিম পারতে পারে ডেঙ্গির মশা। একদিকে জঞ্জালের স্তুপ, অন্যদিকে ফাঁকা জমি ও  খালি ডাস্টবিন ডেকে আনছে বিপদ। নজর নেই বিধাননগর পুরনিগমের।

2 years ago
Durga Puja: আসছে পুজো, উত্তর-দক্ষিণে ছড়িয়ে মমতার মন্ত্রীদের পুজো, সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ

প্রসূন গুপ্ত: সারা বছর রাজ্যের মন্ত্রীরা বলেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সুখে-দুঃখে তাঁরা এককাট্টা থাকেন। কিন্তু পুজোয় আবার এঁরাই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী? এই একটি বিষয়ে অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম বা সুজিত বসুদের মধ্যে চলে টক্কর। কেউ জমি ছাড়তে নারাজ। সকলেই প্রমাণ করতে ব্যস্ত যে তাঁর পুজোই সেরা। পুরস্কারের পরোয়া করেন না তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের একটা বিষয় থেকে যায়। যদিও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে পুজো আয়োজনে কে সেরা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মন্তব্যে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। ঘুরেফিরে সব মন্ত্রীদের পুজো উদ্বোধনে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু শারদ উৎসবের আঙিনায় কেউ, কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। এই প্রতিবেদককে একবার অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, কি পুজোয় নতুন কিছু পেলে? বলেই তাঁর বক্তব্য, কোথায় মেসির খেলা আর কোথায় সাধারণ? অর্থাৎ তাঁর পুজো মেসির মতোই আকর্ষণীয়। অরূপ পুজোর পঞ্চমী থেকে দশমী অবধি দিবারাত্র সুরুচি সংঘের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে ববি অবশ্য কলকাতা পুরসভার মেয়র হওয়ার সুবাদে চেতলা অগ্রণীর প্যান্ডেল ছেড়ে বিভিন্ন অন্য পুজোয় যেতেই হয়। লেকটাউনের সুজিত বসু অবশ্য একেবারেই আলাদা। সুবিশাল তাঁর সংগঠন। পুজোয় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য তাঁর অন্তত ১০০ জন কর্মী নানা দিকে ছড়িয়ে থাকেন। এ ছাড়াও পুজো আছে  দেবাশীষ কুমারের, পরেশ পালের। উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে তৃণমূলের পরিচিত নেতামন্ত্রীদের পুজো।

উপরে উল্লিখিত সব পুজোই কিন্তু মূলত থিমের পুজো। ববির পুজোয় মায়ের চক্ষুদান করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই সব শেষে সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধনে যান তিনি। গত কয়েক বছর ধরে সুজিত বসুর পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী যাননি। কিন্তু এবার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের ৫০ বছর, কাজেই আশা করা যায় মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই যাবেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর পুজোয়।

2 years ago


Firhad: অন্য সৌজন্য! মীনাদেবীকে দেখতে গেলেন ফিরহাদ, আহত এসিপি-কে ফোন সুকান্তর

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক তরজা। বুধবার অন্য সৌজন্যে নজির দেখল বঙ্গ রাজনীতি। অনেকে বলছেন, এটাই হওয়া উচিৎ। কী সেই সৌজন্য? বুধবার বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতালে গিয়ে আহত বিজেপি কাউন্সিলর (BJP Councillor) মীনাদেবী পুরোহিতের খোঁজ নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম (Firhad Hakim)। পাশাপাশি এসএসকেএম চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিসের এসিপি-র খোঁজ ফোনে নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যেখানে দুই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। 

যদিও মীনাদেবীকে দেখে বেড়িয়ে ববি হাকিম জানান, কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে উনাকে দেখতে এসেছি। পুরসভা মীনাদেবীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রীও সুস্থ কামনা করে অভিনন্দন পাঠান। একজন মানুষ, অপর মানুষের সুস্থতা কামনা করবে। উনি একসময় ডেপুটি মেয়রও ছিলেন।

এদিকে, কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, পুলিসও আমাদের মতো মানুষ। এসিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা বলতে পারছেন। তবে কষ্ট আছে, খুব ভালো নেই বললেন। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন দ্রুত।

2 years ago
Political: 'বাগুইআটির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর', জানালেন ফিরহাদ, শুভেন্দুর পাল্টা পুলিসকে তোপ

বাগুইহাটির (Baguiati Murder) ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বুধবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Minister Firhad Hakim)। এই ঘটনায় পুলিসি (Police) গাফিলতির একটা অভিযোগ উঠছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'পুলিস-সহ থানার আধিকারিককে আরও সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল। প্রয়োজনে সিআইডির সাহায্য নেওয়া যেতে পারতো। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার আছে। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) বেদনাহত। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে। এই নির্দেশ ডিজিকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।' পাশাপাশি তিনি জানান, আইসিকে ক্লোজ করে সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।  এদিন বিকেলের দিকে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যায় সিআইডির প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিধাননগরের সিপি সুপ্রতীম সরকার। 

এদিকে, বুধবার বাগুইহাটি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের নিশানা বানান। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মিথ্যা না বলে মুখ্যমন্ত্রী জল গ্রহণ করেন না। একুশের বিধানসভা ভোট উনি জেহাদি এবং পুলিসের সাহায্যে জিতেছেন। পুলিসের এখন একটাই কাজ ভাইপো আর পিসির যাত্রাপথ সুন্দর করতে দড়ি দিয়ে রাস্তা ঘেরা।'

বাগুইআটি থানার আইসিকে তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'একুশের ভোট জিততে এই থানার আইসিকে বদলি করিয়ে আনা হয়েছিল। ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে পোস্টিং পেয়েছে কল্লোল।'

পাশাপাশি এদিন অভিষেক নস্করের বাড়িতে যান মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় যারাই দোষী তাঁরাই শাস্তি পাবে। কেউ ভুল করলে খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি থানায় গিয়ে ফল পায়নি অভিষেকের পরিবার। এদিন এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সুজিত বসু। অপরদিকে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে মুখ্যসচিব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'বাগুইআটি-কাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার আইসির পাশাপাশি আইও প্রীতম সিংকে সাসাপেন্ড করা হয়েছে।'

ঠিক কী বললেন ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু এবং সুজিত বসু

2 years ago


Boby: সুকান্তর 'হাকিম' হুঁশিয়ারি, ফিরহাদ বলেন, 'আমার জেলে যেতে ভয় নেই, সম্মানহানিকে ভয়'

সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের দলীয় সভা থেকে 'হাকিম সাহেব' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বিজেপির গৃহীত 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের একজন হাকিম সাহেব আছেন, তাঁরও সময় এসেছে ভিতরে (পড়ুন জেলে) ঢোকার।' বঙ্গ বিজেপির সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। শুক্রবার সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম।

ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?

এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, 'আমি সুকান্ত মজুমদারদের উদ্দেশ্য বলি, কোন মামলায় আমাকে ফাঁসানো হবে বলে দিন। মনে হচ্ছে লিস্ট আপনি করে দিচ্ছেন৷ কোন মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হব বলে দিন। কোনও দিন যে কাজ অন্যায়, মানুষের চোখে অন্যায়, এমন কাজ করিনি। এত কুৎসা, অভিসন্ধি, আমার ওপরে এত রাগ কেন? এর কারণ বুঝতে পারছি না।' 

অভিমানের সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'অনেক সাংবাদিক বন্ধু লিখে দিচ্ছেন আমার কাছে নোটিশ গিয়েছে। রেইড হচ্ছে কেন এত আনন্দ? মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কী এমন অন্যায় করলাম, যে সব সময় আমাকে হেনস্থা৷ ববি হাকিম তৃণমূল কংগ্রেস করে মানেই অসাধু। আর সুকান্তবাবুর দলে গেলেই সাধু।' 

তিনি প্রশ্ন করেন,'ভারতে আইন-সংবিধান-বিচার ব্যবস্থা আছে। সবার মানসম্মান আছে। এই কাজে আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সব অসাধু আমরা, আর আপনার দলে গেলে সাধু এটা হতে পারে না৷ সবাই ভয় পেয়ে গেছেন নাকি? তরোয়ালের কাছে পেন কি ভয় পেয়েছে? আমার জেলে যেতে ভয় লাগে না। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, সম্মানহানি ভয় লাগে৷ আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আসুন আপনি নিজে। আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আপনিও কারও স্বামী, কারও বাবা। আমিও তাই। কেসের আগে কেন মিডিয়া ট্রায়াল, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে?'

ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন,  'আমার একটা কেস হয়েছিল। আমি জেলে ছিলাম। আমি হাসপাতালে ছিলাম না। বিরোধী দলনেতা বলে দিয়েছেন সেই ব্যাপারে। আমি অসম্মানিত হতে চাই না।' 

শুনুন কী জবাব দিলেন ববি হাকিম?

2 years ago
Firhad: নারদ মামলায় এবার সিবিআই তলব করল ফিরহাদ হাকিমকে

নারদ (Narad) মামলায় ফের তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। সিবিআই (CBI) সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফিরহাদ হাকিম নারদ মামলায় যে ডিক্লারেশন দিয়েছিলেন, তদন্তে অনেক ক্ষেত্রে অন্যরকম তথ্য উঠে আসছে। মন্ত্রীর প্রথম পর্যায়ের লিখিত স্টেটমেন্টের সঙ্গে তদন্তে উঠে আসা তথ্য মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

এছাড়া মন্ত্রীঘনিষ্ঠর বিদেশে একাধিক বিনিয়োগে নজর রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার। সূত্র বলছে, ইডি-র তরফে ফের তলব করা হতে পারে মন্ত্রীকে।

2 years ago
TMC: 'তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর, এই প্রচার অপমানজনক', সরব ফিরহাদ, ব্রাত্য, মলয়রা

পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'  

এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'

তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।

সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।

ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।

এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,

চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের।  সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?' 

ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো। 

রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।

রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।

এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।


2 years ago