
বড়সড় সাফল্য হাওড়া সিটি পুলিসের। মঙ্গলবার সকালে টিকিয়াপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩০ রাউন্ড গুলি সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাওড়া ব্যাঁটরা থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুরজ রায় ওরফে রাজা। অভিযুক্তের বয়স ২৪ বছর, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ এলাকায়।
আরও জানা গিয়েছে, গত ১৯-এ জুন হাওড়া বেনারস রোডের ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে পার্থ দাস ওরফে রনি নামে এক যুবককে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সময় জানা যায় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহার করার জন্য সুরজের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল তারা এবং ডাকাতির টাকা দিয়ে আরও অস্ত্র কেনা হয়েছে তার থেকে। মঙ্গলবার সকালে সুরজ রনিকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হস্তান্তর করবে টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন অঞ্চলে। সেই তথ্য পেয়ে ব্যাঁটরা থানার পুলিস ও হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ভোর বেলা থেকেই নজর রেখেছিলেন গোটা এলাকায়।
অবশেষে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার সময় সুরজ সেখানে আসলে পুলিস তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে পুলিস ২টি ৭এমএম, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি সিক্সসার ও একশ ১৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা শুরু করে পাঠানো হয়েছে হাওড়া আদালতে। এর পিছনে বড় ধরনের অস্ত্র পাচার চক্র রয়েছে বলেই ধারণা তদন্তকারী আধিকারিকদের। তাই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করেছে।
যতই সামনে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের দিন, ততই যেন জেলায় জেলায় বেশি করে উদ্ধার হচ্ছে বোমা (Bomb) ও আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms)। এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোম উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের ভানুকুমারী-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাকুঠি জোড়াইমোড় এলাকায়। এই বোমা উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিস। যদিও এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিজেপি প্রার্থী।
শুধু তাই নয় প্রত্যেকদিন রাজ্যের (State) একাধিক জায়গা থেকে এই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর এসেই চলেছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাজিশাহতে উদ্ধার হয়েছে ৩ জার ভর্তি বোমা। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের শংকরপুর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে বালতি ভর্তি ১৫ টি তাজা বোমা। এমনকি লালগোলা থানার আয়ারমাড়ি অঞ্চলে ডিহিপাড়া এলাকায় ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে সকেট বোমা। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কোনো রকম বিস্ফোরণ হয়নি।
সূত্রের আরও খবর, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভরতপুর থানার পুলিস। সোমবার রাতে আমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনা ডাঙ্গা ব্রিজ এর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ সেলিম শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে মঙ্গলবার কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রহড়া থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ রাহুল যাদব নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিস।
পুলিস কয়েকটি গুলিও উদ্ধার করেছে ওই ব্যক্তির থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার এই ভাবে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার আতঙ্কিত করেছে জন সাধারনকে।
আর মাত্র ৪ দিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), বোমা (Bomb), বোমা তৈরির মশলা প্রভৃতি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা। কোথাও কোথাও আবার বিরোধী দলের প্রার্থীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা সহ বোমা তৈরির মশলা মজুত করারও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগই নয় বারবার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তা উদ্ধারও হয়েছে।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ জানে আলমের বাড়ির থেকে এক বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিস। এমনকি খবর দেওয়া হয়েছে সিআইডি বোম ডিসপোজাল টিমকে। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে শেখ জানে আলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, শুধু বীরভূমেই নয় মুর্শিদাবাদের ডোমকলে, ইসলামপুরে, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা, শিউলি সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতেও উদ্ধার হয়েছে বোমা, বোমা তৈরীর মশলা সহ আগ্নেয়াস্ত্র। তবে বারবার জেলায় জেলায় উদ্ধার হওয়া বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মনে।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (FireArms) সহ তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest)। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর (Islampur) বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর দৌলতাবাদ থানার পীরতলা এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিস (Police)। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল সহ গুলি। পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে সিজেএম আদালতে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সারজু মণ্ডল, আলি রেজা মণ্ডল ও জুনাইদ মণ্ডল। এরমধ্যে আবার সারজু মণ্ডলের মা সিপিএমের পঞ্চায়েতের প্রার্থী। পুলিস আরও জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ নাকা চেকিং চলছিল পীরতলা এলাকায়। সেই সময়ই ধৃতদের ওই এলাকায় দেখা যায়। তারপরেই সন্দেহের জেরে তাদের কাছে তল্লাশি চলানো হয়। এরপরেই ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭.৬৫ বোরের পিস্তল এবং তিন রাউন্ট গুলি। তারপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ধৃতরা ওই এলাকায় অস্ত্র জোগান দেওয়ার কাজ করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest)। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত তেঁতুলিয়া খালপাড়ের ঘটনা। ধৃত ওই যুবকের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ রাউন্ড গুলিও। ধৃতকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম রবিউল গাজী। বাড়ি স্বরূপনগর থানার বিথারী বৈষ্ণবতলা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া খালদার সংলগ্ন এলাকায় বুধবার ভোররাতে স্বরূপনগর থানার পুলিস অভিযান চালায়। পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বেই একদল পুলিস ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একটি দেশি পিস্তল সহ ১ রাউণ্ড গুলি। এরপরেই অভিযুক্ত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) নিয়ে শূন্যে গুলি (Shooting) চালানোর অভিযোগ কিছু দুষ্কৃ্তীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই মহেশতলায় (Mahashtala) পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা বুড়ির মাঠ এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিস (Police)। পুলিসকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় পাইপ ও ইট ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধাক্কা লাগে। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বচসা শুরু করে। এরপরেই বেশকিছু দুষ্কৃতী বুড়ির মাঠ এলাকায় এসে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে একাধিকবার গুলি ছোড়ে। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি গুলি শূন্যে চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, দুষ্কৃতীদের যেন অতিশীঘ্রই গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
ফের রাজ্যের জেলায় জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) উদ্ধার। শনিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল স্বরূপনগর থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগর (Swarupnagar) থানার অন্তর্গত তেতুলিয়া শ্মশান এলাকায়। ধৃত ব্যক্তির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল। রবিবার ধৃতকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়েছে। আপাতত ধৃতকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সম্রাট মণ্ডল। ধৃত স্বরূপনগরের হরিশপুরের বাসিন্দা।
পুলিস আরও জানায়, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেতুলিয়া শ্মশান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস। স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে থাকা একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় যায়। সেখানেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ সম্রাট মণ্ডলকে আটক করে পুলিস।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল থানার অন্তর্গত জুগিন্দা রথতলাপাড়া এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডোমকল থানার পুলিস। একই রকমভাবে ওই ব্যক্তির থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল মণ্ডল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস শনিবার জুগিন্দা রথতলাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। তল্লাশি অভিযানের পরই আব্দুল মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিস। যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তবে ধৃতদের কাছে কিসের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করা ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ (Fire Arms) গ্রেফতার (Arrest) হল ৫ দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কল্যাণী (Kalyani) জেআইএস কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি জনশূন্য রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় এক রাউন্ড গুলি, একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একাধিক ধারালো অস্ত্র, দড়ি এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে আনা সামগ্রী। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ দুষ্কৃতীরা হল শ্যামলেন্দু রায় (৫৩) দমদম, তাপস মজুমদার (৫০) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা), কৃষ্ণেন্দু সরকার (৪৪) গিরিশ পার্ক কলকাতা, অমিত মালি (২৭) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা) ও অসীম মালি (৫০) নোয়াপাড়ার বাসিন্দা।
রানাঘাট থানার পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়া ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। তিনি আরও জানান, ওই দুষ্কৃতীর দল সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণীতে এক ব্যক্তিকে খাবারের সঙ্গে মাদকদ্রব্য খাইয়ে অচৈতন্য করে তাঁর গাড়ি ছিনতাই করে। এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এমন একাধিক গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে একধাকি থানায়।
শনিবার ওই পাঁচ দুষ্কৃতীদের পাঠানো হয় কল্যাণী মহকুমা আদালতে। তদন্তের স্বার্থে পুলিস হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারপতি ১০ দিনের পুলিসের হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ (Firearms) ছয় রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সুজন শর্মা। কোচবিহার জেলার বাসিন্দা সে। তার থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্রসহ ছয়টি কার্তুজ। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের অধীন প্রধাননগর থানার পুলিস আধিকারিকরা এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে তাকে গ্রেফতার করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার, রাতে অভিযানে নামে প্রধাননগর থানার পুলিস। অভিযান চালানো হয় চম্পাশরি এলাকায়। অভিযান চালিয়ে ওই এলাকায় একটি দোকানের সামনে থেকে এক যুবককে আটক করে তল্লাশি চলানো হয়। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ছয় রাউন্ড কার্তুজ। এরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। ইতিমধ্যে ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই যুবক সঠিক কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল। ধৃতের কী উদ্দেশ্য ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
দুষ্কৃতীদের সঙ্গে একাই লড়লেন এক কনস্টেবল (Constable)! সেই সাহসিকতার সিসিটিভি (Cctv) ফুটেজ দেখে দিল্লির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মঙ্গলবার দিল্লির (Delhi Incident) নিহাল বিহার এলাকায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এক হেড কনস্টেবল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই পুলিস কনস্টেবল একাই এগিয়ে যাচ্ছেন দুষ্কৃতীদের দিকে। বাইকে করে দুষ্কৃতীরা যাচ্ছিলেন ওই এলাকা দিয়ে। বাইক থামিয়ে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায় ওই পুলিসকর্মীকে। পিস্তলধারী ওই যুবককে একাই জব্দ করেন সেই কনস্টেবল। এই ঘটনা দেখতে লোকজনের ভিড় বেড়ে যায়। কয়েকজন মিলে মারধর শুরু করেন ওই পিস্তলধারী যুবককে।
Displaying indomitable courage, #DelhiPolice HC Devender nabbed a suspect M/Cycle rider, while the pillion rider carrying pistol was overpowered by HC Manoj & public.
— Delhi Police (@DelhiPolice) April 4, 2023
5 cases worked out. Country made pistol, 2 live rounds and M/Cycle recovered. One of them is murder accused. pic.twitter.com/d7aIsdY5nq
দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালীন, হেড কনস্টেবল মনোজ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁর সহকর্মী কনস্টেবল দেবেন্দ্রকে। পুলিস সূত্রে খবর, বাইকে থাকা দু’জন দুষ্কৃতীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ধ্যান সিংহ বয়স ২৬ বছর এবং নবনীত বয়স ২১ বছর। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন এবং ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
গড়িয়ার(Garia) সারদাপল্লীতে আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms)-সহ গ্রেফতার (Arrest) দুই যুবক৷ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে অনেকবার গ্রেফতার হয়েছে ওই দু'জন। এই দুই অভিযুক্তর নাম ইন্দ্রনীল দাস ও বাবু মণ্ডল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গড়িয়ার সারদাপল্লী এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের থেকে উদ্ধার ১টি সেভেন এমএম পিস্তল ও ৩ রাউন্ড লাইভ কার্তুজ, ৪টি লং আর্মস এবং চার পিস এইট এমএম গুলি ও ছয় পিস ১২ বোড়ের গুলি। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নামে একাধিক মামলা দায়ের রয়েছে। এমনকি এলাকার সবরকম দুষ্কৃতীমূলক কার্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত তারা। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কার্যত এলাকায় দাদাগিরি ফলাতে কিংবা লোকজনকে ভয় দেখাতে এসব অপরাধ করতো ধৃতরা।
মঙ্গলবার, ধৃতদের গ্রেফতারির পর বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। এই বিষয়ে বারুইপুর জেলার পুলিসকর্তা মোহিত মোল্লা জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কী কারণে এই আগ্নেয়াস্ত্র তারা মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ২৫(১)-এ আর্মস অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
নাকা চেকিংয়ের (Naka Checking) উদ্ধার তিনটি দেশি পিস্তল (Fire Arms) ও ১৫টি কার্তুজ, গ্রেফতার ২। শুক্রবার রাতে ধানতলা থানার নিমতলা মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় একটি বাইক দাঁড় করায় পুলিস। দ্রুত গতিতে সেই বাইক বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হওয়ায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা ধাওয়া করেন। বাইকটিকে উদ্ধার করে তিনটি দেশি পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করে পুলিস। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম বাবান দাস ও ধনঞ্জয় সরকার। তাদের রানাঘাট (Ranaghat) আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস।
এদিকে, বারুইপুরে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতী পাকড়াও পুলিসের হাতে। রাতের অন্ধকারে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকায় টহলরত পুলিসের হাতেই গ্রেফতার সেই দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বারুইপুর থানা এলাকার মল্লিকপুর এলাকায় পুলিস সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় একজন যুবককে আটক করে। তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতের নাম ইস্তাক আহমেদ ওরফে ভিকি।
ধৃতকে শনিবার বারুইপুর পুলিস সুপারের দফতরে আনা হয়। সেখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুরের পুলিস সুপার পুষ্পা বলেন, 'ইস্তাক আহমেদের নামে এর আগে অভিযোগ ছিল। কিন্তু কেন সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল বা কোথা থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল, তা জানার জন্যই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।' ধৃতকে এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
ফের পঞ্জাবে (Punjab) পাকিস্তানি ড্রোনের (Pakistani Drone) প্রবেশ। গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। বুধবার বিএসএফ-র তরফে বলা হয়, পঞ্জাবের গুরদাসপুরে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে। ড্রোন থেকে উদ্ধার হল চারটি চিনা বন্দুক এবং তাজা কার্তুজ।
বিবৃতি জারি করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ জানিয়েছে, ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারির মধ্যরাতে বিএসএফের টহলদারি দল গুরদাসপুরের উঁচা তাকালা গ্রামে একটি ড্রোনের শব্দ পান। সঙ্গে সঙ্গে ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এরপর শব্দের উৎস অনুসন্ধান করে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেখানে একটি কাঠের বাক্স পড়ে থাকতে দেখে বিএসএফ। ওই বাক্স থেকেই উদ্ধার করা হয় চিনে তৈরি চারটি পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন এবং ৪৭ রাউন্ড গুলি।
এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা এলাকায় জোরদার তল্লাশি শুরু করে। উল্লেখ্য, এর আগেও পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে পঞ্জাবে অস্ত্রশস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এই বছরের শুরুতেই পঞ্জাবের গুরদাসপুরে মাদক-ভর্তি ড্রোন উদ্ধার করেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফের একই গ্রামে আরেকবার ড্রোন প্রবেশ করানোর চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ।
ডাকাতির আগেই পুলিসের হাতে গ্রেফতার চার দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ভোজালি ও একটি ছুরি। বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত শুঁড়িচুয়া গ্রামের ঘটনা। বুধবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের রামপুরহাট থানার শুঁড়িচুয়া গ্রামের কাছে ওই চারজন দুষ্কৃতী ডাকাতি করার উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল।
রামপুরহাট থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই চার দুষ্কৃতীকে বমাল গ্রেফতার করে। পুলিস আরও জানায়, জেরায় ওই চার দুষ্কৃতীর কথাবার্তায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিস। বুধবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
ফের একবার আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার হল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে পুলিস। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ধৃতরা রাজকুমার সাহানী এবং জলন্ধর সাহানী। দুজনেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। তবে সঠিক কী কারণে ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কী উদ্দেশ্য ছিল।
প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসওজি এবং এনজেপি থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় এনজেপি থানা এলাকার অধীন ক্যানাল রোড এলাকায়। অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৭.৬৫ এমএম ইম্প্রোভাইজড পিস্তল সহ তিনটি তাজা কার্তুজ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।