লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সুদর্শন নগর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিস। বুধবার ওই পড়ুয়াকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্কুলের তরফ থেকে বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। তবে কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে দ্বন্ধে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
যদিও এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিস। কোথা থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এর পিছনে কোনো চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মিষ্টির দোকানে ঢুকে চলল এলোপাথারি গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত একজন। অভিযোগ, মিষ্টির স্বাদ পছন্দ হয়নি বলে মিষ্টির দোকানের মালিককে ধরে মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এমনকি মিষ্টির দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্য়ামেরা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, আহত ব্য়ক্তির নাম নবীন কুমার দাস (৩০)। বর্তমানে আহত ওই ব্য়ক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই অপারেশন করে পেট থেকে গুলি বার করেছে চিকিৎসক।যদিও এখন আপাতত আহত ওই ব্য়ক্তি সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও পুলিস এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোনও কারণ ছাড়াই কথায় কথায় গুলি চালানোর ব্য়াপারটা এখন অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যার সমাজে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ প্রায়ই নজরে পড়ে। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে অসহায় হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ সমাজের এইসকল ঘটনার জেরেই আজ আতঙ্কিত জনসমাজ।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃত ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে কল্যাণী থানার পুলিস। এরপর ওই তিন অভিযুক্তকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আটক করে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএসপি জাবেদ হোসেন জানান, ধৃতদের বাড়ি রানাঘাট এলাকায়। ওই তিন অভিযুক্তের কথাবার্তা শুনে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিসের জেরায় তাদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে থেকে লাগাতার অস্ত্র উদ্ধার হয়ে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়ে শহর কল্যাণী থেকে। তবু এখনও পর্যন্ত অপরাধমূলক কাজ খামতি নেই কল্যাণী নগরে।
কালীপুজোর আগেই বড় সাফল্য় পেল ক্যানিং থানার পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিনজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিন রাউন্ড গুলি। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের পরিচয় পাওয়া যায় নি বলে পুলিস সূত্রে খবর। শনিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে পাঠানোর পর সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের দাবি জানানো হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিস ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেভিসাবাদ এলাকায় অভিযানে নামে। এরপর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তিনজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিসের দাবি, এলাকায় দুষ্কৃতিমূলক কাজ করার জন্য জড়ো হয়েছিল ওই তিন দুষ্কৃতী। কিন্তু ডাকাতির আগেই সমস্ত ছক বানচাল করে দিল পুলিস। তবে এই ঘটনার পিছনে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিস।
পুজোর আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল রানাঘাট জেলা পুলিস। রবিবার ফের কল্যাণী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম খুদু মিস্ত্রি, রঞ্জন সরকার এবং মাঝের চর সত্যপল্লির রাহুল মাঝি ও অতীন শিউলি। সকলকেই কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে অভিযানে নামে কল্য়ানী থানার পুলিস। এরপর ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কল্য়ানী থানার পুলিস। তারপর গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীদের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৩৯ রাউন্ড গুলি। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেভেন এমএম-সহ ৩ রাউন্ড গুলি, ৬টি হ্যান্ডমেড পিস্তল, চারটে ওয়ান সাটার-সহ ১৩ রাউন্ড গুলি। কল্যাণী থানা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন রানাঘাট পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ হোসেন।
তবে এর পেছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে আর এত আগ্নেয়াস্ত্র আনার উদ্দেশ্যই বা কি..? এই সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জেলা পুলিস ও কল্যাণী থানা।
বড়সড় সাফল্য হাওড়া সিটি পুলিসের। মঙ্গলবার সকালে টিকিয়াপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩০ রাউন্ড গুলি সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাওড়া ব্যাঁটরা থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুরজ রায় ওরফে রাজা। অভিযুক্তের বয়স ২৪ বছর, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ এলাকায়।
আরও জানা গিয়েছে, গত ১৯-এ জুন হাওড়া বেনারস রোডের ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে পার্থ দাস ওরফে রনি নামে এক যুবককে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সময় জানা যায় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহার করার জন্য সুরজের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল তারা এবং ডাকাতির টাকা দিয়ে আরও অস্ত্র কেনা হয়েছে তার থেকে। মঙ্গলবার সকালে সুরজ রনিকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হস্তান্তর করবে টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন অঞ্চলে। সেই তথ্য পেয়ে ব্যাঁটরা থানার পুলিস ও হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ভোর বেলা থেকেই নজর রেখেছিলেন গোটা এলাকায়।
অবশেষে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার সময় সুরজ সেখানে আসলে পুলিস তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে পুলিস ২টি ৭এমএম, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি সিক্সসার ও একশ ১৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা শুরু করে পাঠানো হয়েছে হাওড়া আদালতে। এর পিছনে বড় ধরনের অস্ত্র পাচার চক্র রয়েছে বলেই ধারণা তদন্তকারী আধিকারিকদের। তাই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করেছে।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) সহ গ্রেফতার (Arrest) হল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার, বীরভূমের তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য় সড়কের কাছে ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সুরজ শেখ ও ভিক্টর শেখ। তাদের দুজনেরই বাড়ি তারাপীঠ থানার সন্ধ্যাজল গ্রামে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার মল্লারপুর থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারাপীঠ বীরচন্দ্রপুর রাজ্য সড়কের গ্যাস গোডাউনের কাছে দশ বারো জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্য়ে জড়ো হয়েছিল। তাদেরকে ধরতে গেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় তাদের মধ্যে থেকে দু জনকে আটক করতেই তাদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ভোজালি উদ্ধার করে মল্লারপুর থানার পুলিস। এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে কি উদ্দেশ্য়ে তারা রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে।
অন্য়দিকে, ফের মুর্শিদাবাদে বিপুল পরিমাণে বোমা সহ বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধার করল সিআরপিএফ-এর ৩১০ ব্যাটেলিয়ান সি/২৩৪ কমান্ড্যান্ট আশিস বিশ্বকর্মা ও ফরাক্কা থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবতলা এলাকায়। এই পুরো এলাকার সিআরপিএফ জওয়ান এবং ফারাক্কা থানার পুলিস প্রশাসনের তরফ থেকে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
যতই সামনে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের দিন, ততই যেন জেলায় জেলায় বেশি করে উদ্ধার হচ্ছে বোমা (Bomb) ও আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms)। এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোম উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের ভানুকুমারী-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাকুঠি জোড়াইমোড় এলাকায়। এই বোমা উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিস। যদিও এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিজেপি প্রার্থী।
শুধু তাই নয় প্রত্যেকদিন রাজ্যের (State) একাধিক জায়গা থেকে এই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর এসেই চলেছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাজিশাহতে উদ্ধার হয়েছে ৩ জার ভর্তি বোমা। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের শংকরপুর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে বালতি ভর্তি ১৫ টি তাজা বোমা। এমনকি লালগোলা থানার আয়ারমাড়ি অঞ্চলে ডিহিপাড়া এলাকায় ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে সকেট বোমা। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কোনো রকম বিস্ফোরণ হয়নি।
সূত্রের আরও খবর, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভরতপুর থানার পুলিস। সোমবার রাতে আমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনা ডাঙ্গা ব্রিজ এর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ সেলিম শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে মঙ্গলবার কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রহড়া থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ রাহুল যাদব নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিস।
পুলিস কয়েকটি গুলিও উদ্ধার করেছে ওই ব্যক্তির থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার এই ভাবে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার আতঙ্কিত করেছে জন সাধারনকে।
আর মাত্র ৪ দিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), বোমা (Bomb), বোমা তৈরির মশলা প্রভৃতি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা। কোথাও কোথাও আবার বিরোধী দলের প্রার্থীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা সহ বোমা তৈরির মশলা মজুত করারও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগই নয় বারবার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তা উদ্ধারও হয়েছে।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ জানে আলমের বাড়ির থেকে এক বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিস। এমনকি খবর দেওয়া হয়েছে সিআইডি বোম ডিসপোজাল টিমকে। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে শেখ জানে আলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, শুধু বীরভূমেই নয় মুর্শিদাবাদের ডোমকলে, ইসলামপুরে, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা, শিউলি সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতেও উদ্ধার হয়েছে বোমা, বোমা তৈরীর মশলা সহ আগ্নেয়াস্ত্র। তবে বারবার জেলায় জেলায় উদ্ধার হওয়া বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মনে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ফের আগ্নেয়াস্ত্র (fireing arms) ও গুলি সহ গ্রেফতার (arrest) এক ব্যক্তি। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বরডাঙ্গা এলাকায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার (rescue) হয় একটি পিস্তল ও একটি গুলি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চাঁদ মহম্মদ শেখ। বাড়ি কেতুগ্রামের কুচুটিয়া গ্রামে।
বুধবার রাতে পূর্বস্থলীর বরডাঙ্গা এলাকায় অভিযুক্তকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তারপর তাঁর কাছ থেকে পিস্তল সহ গুলি উদ্ধার হয়। কি কারনে তার কাছে পিস্তল ও গুলি ছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজত চেয়ে কালনা আদালতে পাঠানো হয়।
আদ্রা (Adra) শহর তৃণমূলের (TMC) সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের খুনের ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুলিস। আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম আরজু মালিক। তাঁর বাড়ি বিহারের জামুই এলাকায়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ধনঞ্জয়কে গুলি করে খুন করা হয়। হামলাকারীদের গুলিতে আহত হন ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিসের কনস্টেবল শেখর দাস।
খুনের পরেই পুরুলিয়ার বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এবার গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আরজু বহুদিন ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে থাকতেন। রেলের সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (FireArms) সহ তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest)। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর (Islampur) বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর দৌলতাবাদ থানার পীরতলা এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিস (Police)। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল সহ গুলি। পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে সিজেএম আদালতে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সারজু মণ্ডল, আলি রেজা মণ্ডল ও জুনাইদ মণ্ডল। এরমধ্যে আবার সারজু মণ্ডলের মা সিপিএমের পঞ্চায়েতের প্রার্থী। পুলিস আরও জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ নাকা চেকিং চলছিল পীরতলা এলাকায়। সেই সময়ই ধৃতদের ওই এলাকায় দেখা যায়। তারপরেই সন্দেহের জেরে তাদের কাছে তল্লাশি চলানো হয়। এরপরেই ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭.৬৫ বোরের পিস্তল এবং তিন রাউন্ট গুলি। তারপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ধৃতরা ওই এলাকায় অস্ত্র জোগান দেওয়ার কাজ করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest)। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত তেঁতুলিয়া খালপাড়ের ঘটনা। ধৃত ওই যুবকের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ রাউন্ড গুলিও। ধৃতকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম রবিউল গাজী। বাড়ি স্বরূপনগর থানার বিথারী বৈষ্ণবতলা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া খালদার সংলগ্ন এলাকায় বুধবার ভোররাতে স্বরূপনগর থানার পুলিস অভিযান চালায়। পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বেই একদল পুলিস ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একটি দেশি পিস্তল সহ ১ রাউণ্ড গুলি। এরপরেই অভিযুক্ত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের উদ্ধার (Rescue) আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) এক। শুক্রবার সন্ধ্য়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার তাল তলা মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম উমর ফারুক (২৫)। বাড়ি হরিরামপুর থানার পুন্ডুরী এলাকায়।
পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি ইম্প্রোভাইজড পাইপগান এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে হরিরামপুর থানার পুলিস। এদিন শনিবার ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। মননোয়নপত্র জমা শেষ হতে না হতেই নানান জায়গায় যেভাবে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে তাতে আতঙ্কিত রয়েছে সাধারণ মানুষ।