ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের ট্রেনিং সন্দেশখালি থানায়। জুনিয়ার কনস্টেবল, হোমগার্ড বা সিভিক ভলেন্টিয়ার পোস্টে হবে চাকরি, তাই তার আগে নিতে হবে প্রশিক্ষণ। সন্দেশখালি থানার পক্ষ থেকে এমনই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে।
সেই বার্তা পাওয়ার পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকশো বেকার যুবক-যুবতী যোগ দেন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। সন্দেশখালি থানার পাশে মিশন মাঠে বিগত ১০ দিন ধরে চলছিল বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ। বসিরহাট জেলা পুলিস থেকে দুজন প্রশিক্ষক এসে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। ভোটের আগে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সন্দেশখালির বেকার যুবক-যুবতীরা। প্রশিক্ষণ নিলেও সন্দেহ তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালির তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তার কারণ কোথাও কোনও ফর্ম ফিলাপ করা হয়নি। থানা থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও, তাদের কাছ থেকে কোনও নথি সংগ্রহ করা হয়নি। শুধুমাত্র নাম এন্ট্রি করেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলছিল এই প্রশিক্ষণ।
অভিযোগ, সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরই মুহূর্তের মধ্যেই উধাও প্রশিক্ষক। বাইকে চেপে মাঠ থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। কেন সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরেই পালিয়ে গেলেন ওই প্রশিক্ষক? প্রশ্ন তুললেন প্রশিক্ষণ নিতে আশা যুবক-যুবতীরা। তাদের কথায়, এভাবে উনাকে কোনওদিন পালিয়ে যেতে দেখিনি। এখন আপনাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছে মানেই, আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাহলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই কি আমাদেরকে এভাবে মাঠে ডেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল?
যদিও চাকরি দেওয়ার নাম করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার বক্তব্যকে খন্ডন করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার মেহেদী হোসেন রহমান। তিনি বলেন, এরা চাকরির কোন প্রশিক্ষণ নয়। বসিরহাট পুলিস জেলা থেকে কোনও রিকুরমেন্টও হচ্ছে না। ভোটের আগে সন্দেশখালি থানার সিভিক ও কনস্টেবলদের ফিটনেস ঠিক করার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কিছু গ্রামের মানুষ যোগ দিয়েছেন। এটা একটা ভুল প্রচার হচ্ছে।
কিন্তু আজকে যখন, সিএন-এর প্রতিনিধি মিশন মাঠে পৌঁছয়, তখন কোনও থানার সিভিক বা কনস্টেবলকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়নি। প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুবক-যুবতীরা কেউ সন্দেশখালি থানার সিভিক বা কনস্টেবল পদে চাকরিও করেন না। বিগত দশদিন তাদের কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? তাহলে পুলিস সুপারের কাছেও কি তথ্য সঠিক নেই? ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার।
এবার এসটিএফ-এর জালে ভুয়ো জাল নোট পাচারকারী। গ্রেফতার চার অভিযুক্ত। কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক থেকে উদ্ধার ৯০ হাজার টাকার জাল নোট। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল এনামুল মণ্ডল, কমল মণ্ডল, আমজাদ আলী খান, মোঃ খুরেশি।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভাষা দিবসের দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নর্থপোর্ট থানা এলাকার অধীনে মিলেনিয়াম পার্কে অভিযান চালায় এসটিএফ এর একটি দল। তারপর সন্দেহজনক চার ব্য়ক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ পর গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল মুদ্রা। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকারীদের কলকাতার সি.এম.এম ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়।
সূত্রের খবর, অনুসন্ধানের সময় বিপুল পরিমাণ ৫০০ টাকার নোট এবং ১০০ টাকার নোট উদ্ধার হয় ওই চার জাল নোট কারবারির কাছ থেকে। তাতে ১৭০ টি ৫০০ টাকার নোট এবং ৫০ টি ১০০ টাকার নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসটিএফদের অনুমান, বিদেশে জাল মুদ্রা পাচারের ছক কষেছিল ওই চার অভিযুক্ত। কিন্তু জাল নোট পাচারের আগেই পুলিসের জালে ধরে পড়ে যায় অভিযুক্তরা। এর আগেও জাল মুদ্রা পাচারের সময় পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় তারা।
এই জাল নোটের কারবার কতদিন ধরে চলছে? এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না? ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হলে সবটাই সামনে আসবে, মত ওয়াকিবহাল মহলের। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর মতোই এই ঘটনায় আবার কোনও প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে কিনা, জানাবে সময়ই।
ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই তাঁর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়। এবার সিবিআইয়ের দায়ের এফআইআরও খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করার কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠালো? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্য বিষয়গুলিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতির মন্তব্য, আপনারা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন কি? আর তাই এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আমার রাজ্যের ওপর ভরসা নেই বলেই জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর এরপরেই, কারা এই ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করেছে, এর নেপথ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন আছে কি না, তা অবিলম্বে সিবিআইকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এরই সঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এর উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, সব তথ্য সিবিআই কে হস্তান্তর করতে হবে। এমনকি শেখ শাহজাহানকে পুলিসের গ্রেফতার করতে না পারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার গায়ে হাত তোলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের ওপর যে তাঁর কোনও ভরসা নেই, তা বলেও ভর্ৎসনা জানান রাজ্যের প্রতি। সঙ্গে জানান, আর্থিক দুর্নীতি হলে সেটাও সামনে আসা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মেডিক্যাল নিট-এ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে নিয়োগের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এডুকেশন বোর্ডের ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন করেছিলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন হতেই পারে, কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন তদন্ত করেনি বোর্ড? সেদিনই সব পক্ষের বর্ণনা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, আদালত মনে করলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেবে। তাঁর সেই ইঙ্গিতেই বুধবার সিলমোহর দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মেডিক্যাল নিট-এ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে নিয়োগের ঘটনার তদন্তের দায়ভার উঠল সিবিআইয়ের হাতে।
যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে এবার স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সিবিআই আধিকারিককে এজলাসে ডেকে পাঠানোর পর, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এদিনই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর অভিযোগ, সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁর কোনও কথাই শোনেনি। তারপরেই, সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও, যেহেতু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের কোনও অর্ডার কপি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পেশ করতে পারেনি, তাই পূর্ব রায়মাফিক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে যাবতীয় নথি তুলে দিলেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায়। এরপর আদালতের রায় মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।
স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূলের যুব নেতা। অভিযোগ, ভুয়ো তৃণমূল কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণা করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই ভুয়ো তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তের সঙ্গে বিধায়ক এবং মন্ত্রীর ছবি ঘিরে শুরু বিতর্ক। প্রতারিত যুব নেতা প্রতারক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার পাকুড়তলার বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ তাঁতি প্রতারণার শিকার হন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে কৌতলা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে দলের কর্মসূচিতে গিয়ে আলাপ হয় পাথরপ্রতিমা বিধানসভার লক্ষ্মীজনার্দনপুর পঞ্চায়েতের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কলার সঙ্গে।
অভিযোগকারী যুব তৃণমূল নেতার দাবি, প্রীতম তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদকের পদে ছিলেন। এরপর তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির টোপ দেন প্রীতম। এমনকি চার লক্ষ টাকায় গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি হয়। অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা নেয় প্রীতম। এরপর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির একটি নিয়োগপত্র হাতে পান পৃথ্বীরাজ। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গেলে সুপার জানিয়ে দেন এটি ভুয়ো নিয়োগপত্র। তারপরেই ফাঁস হয়ে যায় প্রতারণার জাল।
এরপর ওই প্রতারিত নেতা কলকাতা পুলিস ও সুন্দরবন পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রীতমের পরিবার তৃণমূল সমর্থক বলে জানান তাঁর মা রীণা কলা। তবে প্রতারণার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত।
ভুয়ো টিকিটে কলকাতা থেকে আইজল যাওয়ার পথে গ্রেফতার এক যাত্রী। সোমবার সন্ধ্য়ায় কলকাতা থেকে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর বিমানে আইজল যাচ্ছিলেন লালমাল সাওমা নামে শিলং এর এক যাত্রী। বিমান বন্দরে ঢুকে সে যখন ইন্ডিগো কাউন্টারে টিকিট নিতে যান তখনই ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। টিকিট খতিয়ে দেখার পর সামনে আসে গোটা বিষয়টি। এরপর ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনাটি সিআইএসএফকে খবর দেয়।
পরবর্তীতে সিআইএসএফ আধিকারিকেরা ওই ভুয়ো টিকিট সহ যাত্রীকে এন এস সিবিআই থানার হাতে তুলে দেন। এরপর পুলিস ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করে। পুলিস ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, ১৫ দিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য় কলকাতায় এসেছিল ওই যাত্রী। তারপর তিনি কলকাতা থেকে আইজল ফিরে যাবে বলে ভাবেন। এবং যে টিকিটে তিনি আইজল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সেই একই টিকিটে মোবাইলে তারিখ চেঞ্জ করে আইজল যাওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত ওই যাত্রীর বক্তব্য তার কাছে টাকা না থাকার কারণে সে বাধ্য় হয়ে এই কাজ করেছে। যদিও গোটা ঘটনাটি পুলিস খতিয়ে দেখছে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই যাত্রীকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মীর স্বাক্ষর নকল করে অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হেদিয়াপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যার জেরে চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগের ভিত্তিতে জয়েন্ট বিডিও এবং এস আই তদন্ত শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইন্ডিয়ান গ্যাসের এক সংস্থাকে চেক দিতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শুভ্র প্রতিপাল। এই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চেক নিয়ে দেখেন চেকের মধ্যে সৌরভ পালের সাইন করা। এই সহ শিক্ষক সৌরভ পাল ২০১৯ সালে লিখিতভাবে ভিসি কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তাহলে কি করে তাঁর সিগনেচারটি অথরিটিতে থাকে ? সেই চেক দেখার পর প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। স্কুলের উন্নয়ন নেই।মিড মিলের চাল রান্না করা হয় না। সেজন্য স্টক পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ, বিদ্য়ালয়ে নিম্নমানের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে চালে পোকা রয়েছে এমনি অভিযোগ করেছেন স্কুলের সহক শিক্ষক- শিক্ষিকারা সকলেই। এছাড়াও সমস্ত স্কুলের খাতা পত্র প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখতে চাইলে সময় মত দেখায় না। ছুটির সময় তাঁদেরকে দিয়ে সাইন করানোর চেষ্টা করেন। একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান শিক্ষক এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। ডিজি রেঙ্ক-এর অফিসারদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের নিচু তলার অফিসারদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম, রাহিস। তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ, শনিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের নজরে আসে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। যারা এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছেন তাঁদেরকে মেসেঞ্জারে এসএমএস করা হচ্ছে যে, তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন ফোন করতে পারছেন না। সমস্যার মধ্যে পড়েছেন, তাঁর টাকার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়টি নজরে আসতেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ২৮ অগাস্ট একটি সুয়ো মোটো কেস করেন। তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই চক্রটি রাজস্থান থেকে চালানো হচ্ছে। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের একটি টিম রাজস্থান গিয়ে অভিযুক্ত যুবক রাহিসকে গ্রেফতার করে। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে শুধু এই রাজ্যে নয়, বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি র্যাঙ্কের অফিসারদের ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত। যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতো তাদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়া হত। এইভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই যুবক প্রতারণা করেছে। পুলিস মনে করছে এই চক্রের সঙ্গে একটি বড় গ্যাং রয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিধান নগর মহাকুমা আদালতে তুলে আজ তাকে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিস।
শহরে নতুন প্রতারণার ফাঁদ। সিবিআই পরিচয় দিয়ে এবার সক্রিয় প্রতারকের গ্য়াং। বুধবার এমনই এক প্রতরণার শিকার হলেন টেগোর স্ট্রিট এলাকার এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ভুয়ো সিবিআইয়ের পরিচয়ে এক লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই ব্য়বসায়ী তাঁর কর্মচারীর হাতে টাকার ব্য়াগ দিয়ে পাঠায় গন্ত্যব্যে পৌছে দেওয়ার জন্যে। এরপর যাওয়ার পথে টেগোর স্ট্রিটের কাছে কয়েকজন সিবিআই পরিচয় দিয়ে সেই কর্মীকে ঘিরে ধরে। এরপর ওই কর্মীর কাছ থেকে তাঁর ব্য়াগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই ভুয়ো সিবিআইয়ের দল। অভিযোগ, এরপর ওই কর্মী ব্য়াগ দিতে অস্বীকার করলে তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক ব্য়াগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় ওই ভুয়ো সিবিআইয়ের দল। জানা গিয়েছে, ছিনতাই যাওয়া ব্য়াগের ভিতরে এক লক্ষ টাকা ছিল।
এরপর ছিনতাইয়ের অভিযোগে পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্য়াপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল, সারা তেন্ডুলকরের পর এবারে 'ডিপফেক' ভিডিও-এর শিকার আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। এবারে আলিয়ার এক আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ্যে এল, যেখানে দেখা গিয়েছে, বিছানায় বসে আলিয়া অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। কিন্তু ইনি যে আলিয়া নন, তা বুঝতে বিলম্ব নেই নেটিদজেনদের।
সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা ফ্লোরাল ড্রেস পরে বিছানায় বসে ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। আর এতে রয়েছে আলিয়ার মুখ। এআই-এর মাধ্যমে অন্য এক মহিলার ভিডিওতে আলিয়ার মুখ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ফেক ভিডিও। আর এটি ভাইরাল হতেই চারিদিকে হইহই পড়ে গিয়েছে। ফের এক অভিনেত্রীর ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষুব্ধ অনুরাগীরা।
একের পর এক অভিনেত্রী ডিপফেকের শিকার হওয়ায় কেন্দ্রের তরফেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর বিষয়বস্তু নিরীক্ষণের জন্য একজন অফিসার নিয়োগ করা হবে। যিনি একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন, সেখানে সাধারণ নাগরিকেরা সহজেই নিজেদের অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। এর ফলে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগগুলি সরকারের নজরে আনা অনেক সহজ হবে। কিন্তু এই ঘোষণার পরও ফের এক ডিপফেক ভিডিও প্রকাশ্যে।
চোরের ওপর বাটপারি তো শুনেইছেন, কিন্তু এবার খোদ প্রশাসনের ওপর বাটপারি। বাংলায় মাকড়সার জালের মতো ছড়াচ্ছে সাইবার প্রতারণার ছক। প্রতি মুহূর্তে নিত্য নতুন কৌশল। এবার খোদ মহকুমা শাসকের নামে সমাজমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে আর্থিক প্রতারণার জাল। প্রতারকদের কাণ্ডে হতবাক, আতঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল।
দেখতে হুবহু ঘাটাল মহকুমা শাসকের আসল আইডির মতো। ফেসবুক ছেড়ে প্রতারকরা ঢুকে পড়েছে হোয়াটস্অ্যাপের অন্দরমহলেও। অভিযোগ, মহকুমা শাসকের ফেক আইডি থেকেই অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রির মেসেজ যাচ্ছে। ফাঁদে পা দিলেই আগাম পেমেন্টের শর্ত রাখা হচ্ছে। মহকুমা শাসক ভেবে অনেকেই প্রতারকদের জালে জড়াচ্ছেন।
শুধু ঘাটালের মহকুমা শাসকই নয়, চলতি মাসেই একই অভিযোগ উঠে এসেছিল পুরুলিয়া থেকে। একই ধাঁচে পুরুলিয়া পুলিস সুপারের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা জাল ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয় ২ প্রতারক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছিল, রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতারণার জাল ছড়াতে পারে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থাই নয়, মানুষ সজাগ হোক, সাইবার সচেতন হোক। বার্তা অধিকর্তাদের।
কাজের ফাঁকে, আনমনে আঙুলটা চলেই যায় ফোনের স্ক্রিনে। সমাজমাধ্যমের হরেক রকম ডালা থেকে নজর ঘোরাতে পারে না ৮ থেকে ৮০। যন্ত্র নির্ভর, ভার্চুয়াল এই জীবনযাপনের সুযোগই নিচ্ছে প্রতারকের দল। ২ পা এগোনোর আগে সাইবার স্বাক্ষরতা প্রয়োজন।
রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজলের মত ডিপফেক ছবি-এর (Deepfake Pic) শিকার হয়েছেন সচিন কন্যা সারা তেন্ডুলকরও (Sara Tendulkar)। প্রায় কয়েকমাস ধরেই অভিনেত্রীদের বিভিন্ন বিকৃত ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। এবারে এই নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন ও তড়িঘড়ি পদক্ষেপের আবেদন করলেন সারা।
কিছুদিন আগেই সারা তেন্ডুলকরের সঙ্গে শুভমান গিলের এক ছবি ভাইরাল হতে দেখা যায়। পরে জানা যায়, সেই ছবি আদতে বিকৃত করা ছবি। শুধু তাই নয়, তাঁর এই ছবি তাঁর ভুয়ো এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়। ফলে এই সমস্ত কিছু নিয়ে ইনস্টাগ্রামে সারা লিখলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সকলের জন্য আমাদের আনন্দ, দুঃখ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার দেখে ভয় লাগছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এইসব বিষয় সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।'
সারা আরও বলেন, 'আমার কিছু ডিপফেক ছবি আছে যা রিয়েলিটি থেকে বহু দূরে। তিনি আরও জানান, সারা তেন্ডুলকর নামে একটি অ্যাকাউন্ট, যেটা আসলে ফেক। তিনি বলেন, 'আমার নামে লোকেদের বিভ্রান্ত করে। আমার এক্স-এ কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। আমি আশা করি এক্স এই অ্যাকাউন্টগুলি দেখবে এবং সেগুলি সাসপেন্ড করে দেবে।'
রাম সীতা খোদাই করা নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের মুক্তারপুর এলাকার। তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ত্রিশটির বেশি নকল সোনার কয়েন। জানা গিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে তারকেশ্বরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েন বিক্রি করছিল ওই তিন ব্যক্তি। সবাইকে এই বলে বিক্রি করছিল যে তারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে এই কয়েন কুড়িয়ে পেয়েছে তাই যা দাম দেবেন সেটাই নেবো। এরপর স্থানীযদের নজরে আসতেই ওই তিন ব্যক্তিকে গিয়ে পাকড়াও করে। তারপর নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে আসা তিন ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে, তারা এই কয়েন শিয়ালদহ থেকে কুড়ি পঁচিশ টাকায় কিনে বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে তারকেশ্বর থানার পুলিস গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর এলাকায় পূর্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বহুবার। যারফলে বহু মানুষ নকল সোনার কয়েন কিনে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিস।
ভুয়ো পুলিস সুপারের নামে প্রতারণা। ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম রাহুল ঘটক। বাড়ি হাবড়ায়।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে অভিযুক্ত ওই যুবক। এমনকি সেই ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয় ওই পুলিস সুপারের পুলিসের পোশাক পরা ছবিও। এরপর ওই যুবক ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে ফেসবুক ফ্রেন্ড বানিয়ে সকলের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করতে শুরু করে। প্রতারণার ছক বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত ওই যুবকের নামে।
এরপর শনিবার সকালে পুরুলিয়া জেলার পুলিসের একটি বিশেষ দল হাবড়ায় এসে হাবড়া পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া নিয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবক আইটিআই পাস করে কিছুদিন আগেই একটি কোম্পানিতে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছিলেন বলে এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার। তবে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ তাদের ছেলে করতে পারে না দাবি পরিবারের।
রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফের পর এবারে ডিপফেক ভিডিও-র শিকার বলিউড অভিনেত্রী কাজল (Kajol)। রশ্মিকা, ক্যাটরিনার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় পুরো দেশজুড়ে। কেন্দ্র থেকেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু এই বিতর্কের মাঝেই আরও এক ভাইরাল হল, আর যেখানে মুখ দেখা যাচ্ছে কাজলের। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, ক্যামেরার সামনেই পোশাক পরিবর্তন করছেন কাজল। আর এই ভিডিও নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কাজল অনুরাগীরা।
সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ক্যামেরার সামনে এসে পোশাক পরিবর্তন করছেন কাজল। কিন্তু ভিডিও দেখেই প্রায় প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছেন, এটি ডিপফেক ভিডিও। জানা গিয়েছে, এই ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে রোজি ব্রিন নামের এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের। ‘গেট রেডি উইথ মি’ ট্রেন্ডে যোগ দিতে তিনি এই বছরের ৫ জুন টিকটকে তাঁর এই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তাঁর ভিডিওই এডিট করে ডিপফেকের মাধ্যমে কাজলের মুখ বসানো হয়েছে। আর এই ভিডিওই এখন ভাইরাল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাজলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।