সন্দেশখালিতে এবার ছয় সদস্য়ের কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সন্দেশখালির অত্য়াচারিত মহিলাদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে তাঁরা। রবিবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা। ইতিমধ্য়ে ধামাখালিতে প্রবেশ করেছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পুলিসের সঙ্গে কথা বললেন তাঁরা।
গত বুধবার শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের পর আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা। এই কর্মীসভাতে উপস্থিত থাকার কথা তৃণমূল কংগ্রেস-এর শীর্ষ নেতৃত্বের। বিগ্রেডের আগে সন্দেশখালিতে এই কর্মী সভার মধ্য দিয়ে কতটা শক্তি তা বুঝে নিতে চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ড্যামেজ কন্ট্রোলে বারংবার ছুটেছেন সন্দেশখালি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
কিন্তু শাহজাহানের গ্রেফতারের আগে সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রামপুরে গিয়েছিল বিজেপির ফ্য়ক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু সন্দেশখালি প্রবেশের আগেই বাধা পায় বিজেপি ওই প্রতিনিধির দলটি। ব্য়ারিকেড করে বাধা দেওয়া হয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। প্রতিবাদে রামপুরের রাস্তায় বসে পড়েছিলেন ওই প্রতিনিধি দলটি। তারপরেই শুরু হয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বচসা পুলিসের।
সন্দেশখালির পরিস্থিতির উপর টানা নজর রেখে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিসি বাধার মুখে পড়ে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হল তাদের। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের বলে সূত্রের খবর। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তাদের।
এদিকে, দিল্লি থেকে চেয়ে পাঠানো হলো সন্দেশখালির প্রতিদিনকার রিপোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আগামী ৪ মার্চ রাজ্যে আসার কথা রয়েছে। ৫ই মার্চ তারা বৈঠক করবে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে।
প্রতিদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে সন্দেশখালি। আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জারি করতে হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিস সূত্রে খবর, প্রতিদিনই সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। একই সঙ্গে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিফ ইলেকশন কমিশনার বৃহস্পতিবারই সিআরপিএফের নোডাল অফিসারের সাথে দীর্ঘ বৈঠক সেরেছেন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে।
গত জানুয়ারি মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের কার্যত রক্তাক্ত হয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কলকাতায়। তারপর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। স্থানীয়দের তরফে একাধিক অভিযোগ জমা করা হয়েছে পুলিস প্রশাসনের হাতে। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারাও। নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। এখন অপেক্ষার কবে শান্ত হয় সন্দেশখালি।
বুধবার ভোররাতে আগুন লাগে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার কয়লা ডিপো অঞ্চলের একটি প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানায়। আনুমানিক এদিন রাত ২ টো নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। রাত ২:৩০ নাগাদ খবর দেওয়া হয় দমকলবাহিনীকে। মূলত ওই কারখানায় প্লাস্টিক রিসাইকেলিং-এর কাজ করা হত। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পৌঁছয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন দ্বারা আগুন নেভানোর কাজ চললেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে পরবর্তীতে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। একইসঙ্গে ব্যবহার করা হয় পোর্টেবল পাম্প মেশিন। দমকলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ কুলিং প্রসেস চালিয়ে যান দমকলের আধিকারিকরা। যাতে আর কোনো পকেট ফায়ার থেকে পুনরায় না আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই দিকেই নজর রাখছে দমকলের কর্মীরা। আগুন লাগার পর নিমেষেই সমস্ত কিছু পুড়ে যায় এবং কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। যদিও কোথা থেকে কীভাবে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।
ফের রাজ্যে আয়কর হানা (Income Tax Raid)। এবারে এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে এক মদের কারখানায় হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের টিম।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভোরের আলোও ফোটেনি, সে সময় হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক মদের কারখানায় হানা দেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র আয়কর আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মোট পাঁচটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসে। গ্রামের লোকজনও একে একে আসতে শুরু করেন এলাকায়। তারাও এই ঘটনায় হতবাক। উল্লেখ্য, এই কারখানায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল। রাত পোহালেই ফাইনালের মঞ্চ কাঁপাতে নামবে চির প্রতিপক্ষ দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামটি ইতিমধ্যেই রঙিন হয়ে সেজে উঠেছে। বিগত বছর গুলিতে ক্রিকেট বিশ্বে রাজত্ব করেছে হলুদ জার্সির অস্ট্রেলিয়া। ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া যে কতটা ভয়ানক সেটা ভারত টের পেয়েছিল ২০০৩ সালে। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে অসিরা সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছিল ভারতের কাছে হেরে। যদিও বিশ্বকাপে যত দিন এগিয়েছে, দু'দলেরই খেলায় বেশ বদল এসেছে। সমসাময়িক পরিস্থিতিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার যে খেলোয়াড়দের লড়াই ম্যাচটিকে উভয় পক্ষের পক্ষে সুইং করতে পারে, সেটা যাচাই করল সিএন।
বিরাট কোহলি বনাম অ্যাডাম জাম্পা
একদিবসীয় বিশ্বকাপের ২০২৩ সংস্করণে বিরাট কোহলির বিস্ময়কর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। বিরাট এই বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ব্রহ্মাস্ত্র। ক্রিজে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, দক্ষতা এবং স্ট্যামিনা বিরাটকে সবার থেকে আলাদা করেছে। ১০টি ইনিংস খেলে ৭১১ রান করে কোহলি এই টুর্নামেন্টে অন্য সমস্ত ব্যাটারদের থেকে অনেক উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছেন। ফাইনাল জেতাতে গেলে বিরাটকে অ্যাডাম জাম্পার কৌশলী লেগ-স্পিনকে বুদ্ধিমানের সঙ্গেমোকাবিলা করতে হবে। জাম্পা এখনও পর্যন্ত ২২টি উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আউট করেছেন। জাম্পা ভারতীয় কন্ডিশন উপভোগ করেছেন এবং রবিবার কোহলির উইকেট নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে বিরাট কোহলি জাম্পার ৩১ বল খেলে ২৯ রান করেছেন, যেখানে ছিল কেবল ১টি বাউন্ডারি।
রোহিত শর্মা বনাম জোশ হ্যাজেলউড
রোহিত শর্মা এই বিশ্বকাপে দারুন সাফল্য অর্জন করেছেন এবং শান্ত ও ক্ষুরধার মস্তিষ্কে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রোহিত দায়িত্ব নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে স্কোরিং রেট বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন। কখনও কখনও সহজেই বিপক্ষকে নিজের উইকেট দিলেও গত কয়েকটি ম্যাচে ধারাবাহিকতা খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। এবং প্রথম পায়ারপ্লেতে ভারতকে ভালো শুরু দিয়ে দারুন স্কোরে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন। এই বিশ্বকাপে তিনি ৫৫০ রান করেছেন। ৪০০০-এর বেশি রান করা ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক-রেট (১২৪.২৫) নিয়ে ফাইনালে নামবেন। কিন্তু জোশ হ্যাজলউডের সুশৃঙ্খল সীম বোলিংয়ের বিপক্ষে রোহিতকে লড়াই করতে হবে। যা সহজ হবে না। বিশ্বকাপ ইতিহাসে রোহিত শর্মা হ্যাজেলউডের ২৩ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেছেন এবং ১ বার আউট হয়েছেন।
মহম্মদ শামি বনাম ডেভিড ওয়ার্নার
হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরি প্রথম দিকে ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু মহম্মদ শামি প্রথম ম্যাচেই বিশ্বকাপের মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলে, শামি এই বছরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী (২৩)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শামির সেভেন স্টার পারফরম্যান্স অসি শিবিরে বিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারকে শিকার করা কঠিন হবে। ওয়ার্নার অভিজ্ঞ ওপেনার। যিনি অস্ট্রেলীয় ইনিংসকে খুব সহজেই গড়ে তুলতে পারে একটি পাহাড় সমান ইনিংসে। একদিবসীয় ক্রিকেট ইতিহাসে শামি ১০ বার ওয়ার্নারের বিপক্ষে খেলেছেন, যেখানে ওয়ার্নার ৩ বার শামির বলে আউট হয়েছেন। এছাড়া শামির ১১৭ বল খেলে তিনি ১০৩ রান করেছেন।
জসপ্রিত বুমরা বনাম মিচেল মার্শ
ভারতের পেস স্পিয়ারহেড জসপ্রিত বুমরাহ এখন পর্যন্ত ১৮টি উইকেট নিয়েছেন। টুর্নামেন্টে প্রদর্শিত বোলারদের মধ্যে তার সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট রয়েছে। ব্যাটাররা তার শক্তিশালী ইয়র্কার সামলাতে হিমশিম খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া পাওয়ারপ্লেতে বুমরার সঠিক লাইন, গতি ভারতকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে নিঃসন্দেহে। যদিও মিচেল মার্শ অলরাউন্ডার হিসেবে, টপ অর্ডারে বিস্ফোরক ব্যাটিং করছেন। এবং গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রান করে নিজেকে ভয়ানক প্রমান করেছেন। যদিও বিশ্বকাপ ইতিহাসে বুমরার ৬ বল খেলে মার্শ একটিও রান করতে পারেননি। বরং মার্শ একবার আউট হয়েছেন বুমরার বলে।
রবীন্দ্র জাদেজা বনাম গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
জাদেজা ও ম্যাক্সওয়েল, উভয়েরই ব্যাট এবং বলের মাধ্যমে খেলা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে এবং উভয়ই ফাইনালে একে অন্যের থেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করবে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে জাদেজা ম্যাক্সওয়েলের থেকে শক্তিশালী হলেও, ব্যাট হাতে ম্যাক্সওয়েল কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে তা সবাই জানে, কারণ আফগানদের বিরুদ্ধে তার অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি এখনও সবার মনে তাজা। আর তাই ম্যাক্সওয়েলের অপ্রতিরোধ্য বল-স্ট্রাইকিংয়ের বিরুদ্ধে জাদেজার বাঁহাতি স্পিন ম্যাচের অন্যতম সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত হতে পারে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাক্সওয়েল, জাদেজার ৯ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেছেন, এবং একবার আউটও হয়েছেন।
এবারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion) হল একটি ইস্পাত কারখানায়। ঘটনাটি বুধবার রাতে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ঘটেছে। সূত্রের খবর, হরিদ্বারে রুড়কির মুন্ডিয়াকি গ্রামে একটি ইস্পাত কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, কারখানার বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে ঝলসে আহত হয়েছেন ১৭ জন শ্রমিক। এই বিস্ফোরণের পরই গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার হরিদ্বারের মুন্ডিয়াকি গ্রামের গায়ত্রী স্টিল সার্ভিস নামের ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানায় বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, বুধবার যখন কারখানায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে, তখন কারখানায় একাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা জোরালো আওয়াজে চমকে যান তাঁরা। তাঁদের মনেই হয়েছিল এটি কোনও বিস্ফোরণের আওয়াজ। এর পরই তাঁরা আতঙ্কে কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁরা বাইরে এসে বুঝতে পারেন বিস্ফোরণ কারখানার ভিতরেই হয়েছে। সেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দেখা যায় চারিদিকে পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন শ্রমিক। আগুনে ঝলসে তাঁরা গুরুতর আহত।
এর পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমেই তাঁরা পুলিসে খবর দেননি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখান থেকেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এগরার পর এবার দত্তপুকুর (Dattapukur)। তিন মাস পর আবারও বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Firecracker Factory blast)। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের একটি বাজি কারখানায়। এখনও অবধি ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় ৯ জনকে জন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিস। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠছে এগরার ঘটনার পরও কেন পদক্ষেপ করল না প্রশাসন?
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ, একটি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত বাজি। বিস্ফোরণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। আশপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের বিস্ফোরক দাবি, বাজি কারখানার মালিকরা শসকদলের সমর্থক হওয়ায় কেউ ভয়ে কিছু বলতেন না। এই কারখানার পিছনে প্রশাসনের মদত ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। বিস্ফোরণস্থলে কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ১০০ মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এছাড়াও রবিবার সন্ধেবেলা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire)। গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) শহরের মালাঞ্চ রোডে অবস্থিত একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) চারটি ইঞ্জিন। ফ্যাক্টরির পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। পাম্পে যাতে কোনওভাবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য চলছে কুলিং প্রসেস। তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্য়ন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে যখন বিস্কুট তৈরির কাজ চলছিল, ঠিক সেই সময়ই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে। ফুলকির জেরে প্রথমে আগুন লাগে তিন তলার একটি ঘরে। সেই ঘরে মজুত ছিল একাধিক বিস্কুট এর রেপার, প্লাস্টিক, পুরোনো বস্তা সহ একাধিক বস্তু। সেখান থেকেই আগুন গোটা ফ্যাক্টরিতে ছড়িয়ে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে এই বিধ্বংসী আগুন কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্ধিহান দমকলের আধিকারিকরাও।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
অবৈধ বাজি কারখানায় (Factory) বিস্ফোরণের (explosion) অভিযোগ। চলতি বছরে রাজ্যে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) এগরা এলাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, হঠাৎ তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গ্রামের রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, বিস্ফোরণের জেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তবে জেলা পুলিস সূত্রে খবর এখনও এ ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে বাজি কারখানাটি সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, 'ওড়িশা সীমানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বিস্ফোরণের জেরে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন চার জন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।'
ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। চিকিৎসা-সহ একাধিক পরিষেবা ও এখনই ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে NIA তদন্তে আপত্তি জানানানি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে সিআইডি ও রাজ্য পুলিস ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ওই এলাকায় বিজেপির পঞ্চায়েত। সরকারি আধিকারিকদের এলাকায় যেতে বাধা দেওয়াও হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, রাজ্যে আর কোথায় বেআইনি বাজি কারখানা আছে, এবার তাও দেখবে রাজ্য। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বাজি কারখানার মালিক ওড়িশার। ঘটনার পরই পালিয়েছে। আপাতত এ ঘটনার তদন্ত সিআইডি করবে বলে জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের অবৈধ বাজি কারখানায় (Cracker Factory) আগুন (Fire) লেগে মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নং ব্লকের আর বি সি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুরন্দা গ্রামে। প্রথমে আহত ২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে ওই এলাকায় একটি অবৈধ বাজি খারাখানা চালাচ্ছিলেন দুর্গাপদ জানা ও তাঁর বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা। ঘটনার সময় নারায়ণচন্দ্র জানা আতশবাজি তৈরি করছিলেন। হঠাৎই অসাবধানতাবশত আগুন লেগে যায়। ছেলে দুর্গাপদ জানা ও স্ত্রী গৌরী জানার গায়ে আগুন লেগে যায়।
এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে দমকলে ফোন করলে ২ টি দমকল ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুর্গাপদ ও গৌরীকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুর্গাপদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৌরী এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বাঁশদ্রোণীতে (Bansdroni) একটি কাঠের গুদামে (Factory) আগুন (Fire) লাগার ঘটনা। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন এখনও আগুন নেভানোর কাজ করছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী বটতলা বাজারে সকাল ১১টা নাগাদ একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগতে দেখে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকাতেও।
বাঁশদ্রোণীর বটতলা বাজারে একটি কাঠের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে ছুটে আসে দমকল। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও পরিষ্কার নয়। গুদামে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা গুদামে। গুদামে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে দমকল। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা যায়নি। গুদামের আশপাশেই রয়েছে একাধিক বস্তি। গুদামের আগুন যাতে বস্তিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক হিংসার কারণ অনুসন্ধানে তিন দিনের রাজ্য সফরে এসেছিল কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee)। তারা শিবপুর এবং রিষড়া যাওয়ার চেষ্টা করলেও ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে এই দলকে আটকায় পুলিস। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসন তথা পুলিসকে কাঠগড়ায় তোলে এই অনুসন্ধান দল। এবার ফ্যাক্ট কমিটির এই বঙ্গ সফরকে কটাক্ষের সুরে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, 'এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কে গড়েছে? সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, কোনও সরকার, না কোনও দল? যদি কোনও দল এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে, তবে তার কোনও মূল্য নেই। ফেসলেস, ভ্যালুলেস কমিটি।'
তিনি জানান, 'একটা নন-ইস্যুকে ধর্মীয় ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। এটা ধর্মীয় বিষয় নয়, দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ড। কেউ মারা যায়নি, কেউ আহত হয়নি। পুলিস মিছিলের অনুমতি দেয়নি। নমাজের সময়ে মিছিল বের করে ইন্ধন জুগিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র, বুলডোজার, ট্রাক্টর নিয়ে কেন ধর্মীয় মিছিল করবে? উন্মত্তের মতো নৃত্য করেছে। মুঙ্গের থেকে লোক এনেছে, বাইরের লোক এনে এসব করেছে। আমাদের এখানকার লোকেরা সবাই একসঙ্গে থাকে।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিজেপি। দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, 'সারা রাজ্যজুড়ে উৎপাত চলছে। আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, মহিলা-শিশুদের উপর অত্যাচার চলছে। দেশে বাংলার বদনাম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব আছে খোঁজ-খবর নেওয়ার এবং জানার কেন এরকম হচ্ছে।'
পুলিসকে তোপ দেগে এবার রাজ্যপালের (Governor) দ্বারস্থ কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee) সদস্যরা। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে তাঁরা রাজভবনে পৌঁছেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবার জন্য। রামনবমীকে ঘিরে রাজ্যের অশান্তি এবং হিংসার ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে পাঁচজনের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করে কেন্দ্র।
সেই অনুযায়ী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা শনিবার এবং রবিবার, যথাক্রমে হুগলির রিষড়া ও হাওড়ার শিবপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড় করার জন্য। কিন্তু কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, পুলিস তাঁদের সংশ্লিষ্ট কোনও জায়গাতেই যেতে দেয়নি। শনিবার রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরে তাঁদেরকে আটকায় পুলিস। স্পষ্ট জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য তাঁদেরকে ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না।
পাশাপাশি রবিবার দিন তাঁরা হাওড়ার শিবপুরের ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে তাঁদেরকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকায় পুলিস। তারপরেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা পুলিসের বিরুদ্ধে তোপ দাগে এবং জানান রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পুলিস সাহায্য করেছে। পুলিসের সহযোগিতাতেই রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। এরপর রবিবার সেখান থেকে এসএসকেএমে যায় রিষড়ার ঘটনায় আহত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে। সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে তাঁরা এ ঘটনার সমস্ত তথ্য জানাতে রাজভবনে পৌঁছেছে।
'পুলিসই হিংসা ছড়িয়েছে, পুলিসের সহযোগিতায় হয়েছে সব।' পুলিসকে (Police) দোষারোপ করে হাওড়া (Howrah) ছাড়ল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। শনিবার সকালে রিষড়া (Rishra) যাওয়ার পথে কোন্নগরে এবং রবিবার হাওড়ার শিবপুর যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতু টোল ট্যাক্সে তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। তারপরেই পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ওই কমিটির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিস রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো আচরণ করছে। পাল্টা পুলিসের দাবি, ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে ওদের যেতে দেওয়া হয়নি।
রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিল নিয়ে, হিংসা-অশান্তির কারণ ও পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে একটি দল ঘটনা করা হয়। যার নাম দেওয়া হয়, 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম'। সূত্রের খবর, শনিবার ওই ৬ জন সদস্যের দলটি হুগলির রিষড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান, সেখানেও ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিস কোন্নগরে তাদের আটকে দেয়। শনিবারের মত রবিবারেও তাদের শিবপুরে যেতে বাধা দিলো পুলিস, দোহাই সেই ১৪৪ ধারা।
তারপরেই পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই কমিটির সদস্যরা, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পক্ষে রবিবার ডক্টর চারুওয়ালি খান্না বলেন, 'আমরা পুলিসকে বারবার বললাম যেখানে ১৪৪ ধারা আছে, সেখান ২ জন বা ৩ জন যাবো, প্রয়োজনে পুলিস সঙ্গে যাবে। তাও যেতে দেননি পুলিস।' তিনি আরও বলেন, 'এখানে যা যা হলো তা অত্যন্ত চিন্তাদায়ক ও লজ্জাজনক, এখানে পুলিসই হিংসা ছড়িয়েছে।'
ওখান থেকে বেড়িয়ে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে যান, এবং সেখানে গিয়ে রিষড়ার হিংসায় আহত বিজয় মালিকে দেখে আসেন। সেখানেও রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তাঁরা।