বর্ষা (Monsoon) আসতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বর্ষা আসতেই ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা এই সময়ে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তবে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে পারেন, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো করবেই, এছাড়াও এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যেমন- কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম খেতে হবে। এতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আখরোট, আমন্ড যা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ, যা ডায়েটে রাখা উচিত। এগুলো চোখের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স বীজে চোখ হাইড্রেট করার উপাদান রয়েছে। আবার ভিটামিন এ ও অন্যান্য জরুরী উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ডায়েটে রাখা উচিত। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকরী।
বর্ষা (Monsoon) আসলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই ঋতুতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এর ফলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণও বাড়তে থাকে। এককথায় বর্ষা মানেই ব্যারটেরিয়া-জীবাণুর আঁতুড়ঘর। ফলে বর্ষা আসতেই ঘরে ঘরে শুরু হয় জ্বর-সর্দি-কাশির উৎপাত। কিন্তু এই সময়ে আরও একটি সংক্রমণ দেখা যায়, সেটা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন যা চোখের ক্ষতি করে। ফলে জেনে নিন কোন কোন উপায়ে কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন।
চোখ লাল, জ্বালা, ফুলে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, চোখ ব্যথা ইত্যাদির মতো উপসর্গ দেখা যায় কনজাংটিভাইটিসে। তাই এই ইনফেকশনের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কী কী করবেন জেনে নিন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন-
হাত ধোওয়া: হাত সবসময় ভালো মত সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধোওয়া উচিত। কারণ নোংরা হাত চোখে দিলেই তার থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বারবার চোখ না ধরা: বিনা কারণে নোংরা হাতে কখনও চোখ ধরা উচিত না। এতে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে ও কনজাংটিভাইটিসের মতো ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: সবসময় নিজেদের ব্যবহৃত তোয়ালা, গামছা, চাদর, বিছানার চাদর, বালিশের কভার ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
দূষণ থেকে দূর: দূষণ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও ধুলোবালি থেকে বাঁচতে চশমা ব্যবহারের জন্য বলা হয়।
এছাড়াও কেউ যদি আগের থেকে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে তাঁর ব্যবহৃত কাপড়, চশমা, তোয়ালা ইত্যাদি জিনিস অন্যদের ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ছোঁয়াচে রোগ, যা রোগীর থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে।