সকালে ছাদে ব্য়ায়ম (Exercise) করতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক ব্য়ক্তির। সোমবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম স্বপন কুমার দে (৭২)। বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন। আচমকাই এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী স্বপন কুমার দে বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায় ভারসাম্য়হীন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর মেয়েকে দেখাশোনা করতেন একজন পরিচারিকা। প্রতিদিন সকালে মেয়েকে পরিচারিকার কাছে রেখে স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন। তবে এদিন পরিচারিকা কাজে না আসায় স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে না গিয়ে বাড়ির ছাদে ব্যায়াম করছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, ছাদে ব্য়ায়াম করার সময় কোনওভাবে পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বৃদ্ধের। শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দাবি করলেও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কয়েক দশক ধরেই বলিউডে রাজ করছেন ‘ভাইজান’ (Salman Khan)। তবে ‘সল্লু’কে দেখে তা বোঝার উপায় নেই বয়স ৫৭ পেরিয়েছে। এমনকি সলমনের ফিটনেস অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। আর তা জানার কৌতুহল সবসময়ই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে।
তাই ফিটনেস ধরে রাখতে কড়া শরীরচর্চায় (Exercise) থাকেন ভাইজান। সারা দিনে কত ঘণ্টা জিমে সময় কাটান, তার কোনও হিসাব নেই। আবার কখনও কখনও তিনি রাতেও জিমে যান, এমনটা জানা গিয়েছে। বেঞ্চ প্রেস, ওয়েট তোলা, পুশ আপ, প্ল্যাঙ্ক সহ রোপ ট্রেনিং সলমনের রোজদিনের ফিটনেসের রুটিনে থাকে। এমনকি ডায়েটও (Diet) করেন বেশ কড়া নিয়মেই। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার তিনি একেবারেই খান না। তাই সকালের খাবারে থাকে ডিমের সাদা অংশ এবং প্রোটিন শেক, কম ফ্যাট যুক্ত দুধ। দুপুরের পাতে থাকে স্যালাড, গ্রিল করা নানা শাকসবজি, ডাল ও অর্ধেক চাপাটি। আর রাতের খাবারে থাকে স্যালাড আর গ্রিলড চিকেন।
শরীরচর্চার জন্য রোজই দৌড়তে যান? তবে এবারই থেমে যান, কারণ বিশেষজ্ঞরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, দৌড়নোর (Running) থেকে হাঁটা (Walking) অনেক বেশি কার্যকরী। হাঁটা ও দৌড়নো দুই-ই কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ। দৌড়নো ও হাঁটা, এই দুটিতেই উপকার পাওয়া যায়।
এই দুই এক্সারসাইজের সঙ্গে সঙ্গে আপনি খুব জোরে জোরে শ্বাস নিতে শুরু করেন ও এতে হৃৎস্পন্দনও বেড়ে যায়। এটা হার্টের জন্য উপকারী তো বটেই অন্যদিকে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় ও যার ফলে আর্টেরিতে কোনওরকমের ব্লক থাকলে তা খুলে যায়। এতে হার্টের কোনও সমস্যা হওয়ার প্রবণতা কমে যায় ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে কম। এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, ডিমেনশিয়ার সমস্যাও কমে যায়।
এই দুই কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজই ভালো হার্টের পক্ষে। তবে চিকিৎসকের মতে, দৌড়নোর থেকে হাঁটা অনেক বেশি উপকারি। এতে হার্টের উপর স্ট্রেস কম পড়ে, অকাল প্রয়াণের সম্ভাবনাও কমে যায়। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। আবার যাঁদের হাঁটু, পিঠের ব্যথা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত হাঁটলে ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়।
শরীর সুস্থ এবং ফিট রাখতে নিয়মিত এক্সারসাইজ (exercise) করা জরুরি। আর অনেকেই তা করে থাকেন। জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীর গঠনে ব্যয় করেন। কিন্তু তাই বলে ২৪ ঘণ্টা ব্যায়াম করার কথা শুনেছেন? কেবল ব্যায়াম নয়, এক নাগাড়ে পুল আপ করা কি সম্ভব ২৪ ঘণ্টা? মোটেই সহজ নয়। তবে নিয়মিত এক্সারসাইজ করার অভ্য়েস থাকলেও একদিনে কতবারই বা পুল আপ (Pull Up) করা যায়? সম্প্রতি এক যুবক ২৪ ঘণ্টা পুল আপ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guiness World Records) গড়েছেন। তাও আবার ১,০০০ বা ২,০০০ পুল আপ নয়, ৮,০০৮ বার।
ওই যুবক জানিয়েছেন, কেবল বিশ্বরেকর্ড করার জন্য তিনি এ কাজ করেননি। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অর্থদানের জন্যেই এমন অসাধ্য কাজ করে দেখিয়েছেন ওই যুবক। যুবকের নাম জ্যাক্সন ইতালিয়ানো। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। তাঁর নিজের দেশের সিডনিতে ডিমেনশিয়া অস্ট্রেলিয়া নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্য তিনি অর্থ সংগ্ৰহ করছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি পুল আপ করে রেকর্ড করেন। ৬ হাজার ডলার তিনি আয় করেন রেকর্ড গড়ে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, গোটা একদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর দেখা যায়, জ্যাক্সন ৮,০০৮টি পুল আপ করেছেন। যা ভেঙে দিয়েছে তাঁর নিজেরই আগের রেকর্ডই! প্রসঙ্গত, এর আগে জ্যাক্সনের রেকর্ডটি ছিল ৭৭১৫ পুল আপ। আর এবার আরও ৩০০টি বেশি পুলআপ করে ফের রেকর্ড করেন জ্যাক্সন। জ্যাক্সন নিজে ইনস্টাগ্ৰামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠায় নিজের অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন।