প্রসূন গুপ্ত: পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারিতে ভোট। কিন্তু নতুন বছর তো পড়ে গেল, কাজেই এই দুই মাসে ভোট যে হবে না তার কিছু আভাস পাওয়া গেল। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল দলের বৈঠক ছিল। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলা ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সেখানে প্রচার করতে হবে তৃণমূল সরকারের কাজকর্ম। প্রচারের স্লোগান হবে 'দিদির সুরক্ষা কবজ'। কাজেই বোঝা যাচ্ছে এই কাজ যেহেতু বেশ সময়সাপেক্ষ, অতএব আপাতত ভোট হয়তে পারে ওই মে মাস নাগাদ।
এদিকে মার্চ-এপ্রিলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তেমন দিল্লি বোর্ডগুলির পরীক্ষাও সময় মতোই হবে। নিয়ম বলছে, পরীক্ষার আগে মাইকে এবং প্রকাশ্যে প্রচার করা চলবে না। ফলে ধরে নিতেই হচ্ছে পরীক্ষার শেষেই পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু তৃণমূল যেমন ভোটযুদ্ধে ঝাঁপাবে তেমন বসে থাকবে না বিরোধী দলগুলি।
বাম বিশেষ করে সিপিএমের সেই সাংগঠনিক শক্তি আর আগের মতো নেই। কিন্তু তবুও তারা এখনও প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কংগ্রেসের অবস্থান মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং পুরুলিয়া ছাড়া বাকি জেলাগুলোতে তথৈবচ। এই দুটি বিরোধী শক্তির বাইরে রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
এখন তৃণমূলের অন্দর থেকেই প্রশ্ন, বাংলাব্যাপী ৬০-৭০ হাজার বুথে কী পদ্মশিবির প্রার্থী দিতে পারবে। সেভাবে প্রার্থী দিলেও কি বুথে এজেন্ট বসাতে পারবে? শাসক শিবিরে জোর চর্চা খুবই কঠিন কাজ। সে কারণেই দিল্লি থেকে নেতারা আসছেন সংগঠন দেখতে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী হুংকার ছেড়েছেন, পঞ্চায়েতে ডু অর ডাই লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখা দরকার এই ভোটের কন্ট্রোল থাকবে কিন্তু রাজ্য পুলিশের হাতে, স্বচ্ছ ভোট পরিচালনার কাজ কতটা কঠিন হবে, সেটা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও বোঝা যাবে।
রবিবার বেলা ১২টায় শুরু চলতি বছরের টেট পরীক্ষা (TET Exam 2022), চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। মোট ১ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। এই পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের নিশ্চিন্তে কেন্দ্রে পৌঁছতে রবিবার পথে নামবে ২ হাজারেরও বেশি সরকারি বাস ও ৩৬ হাজার বেসরকারি বাস। সব মিলিয়ে ৩৮ হাজার বাস নামবে ছুটির দিন। এই গণপরিবহণের (Bus-Train) পাশাপাশি চলবে বাড়তি ট্রেনও। পূর্ব রেল জানিয়েছে, বাড়তি ১৬ জোড়া ট্রেন চলবে শিয়ালদহ ডিভিশনে (Sealdah Division)। হাওড়া, আসানসোল, মালদা ও খড়গপুর ডিভিশনে সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই ট্রেন চলবে রবিবার, পরীক্ষার দিন। পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিশ্ছিদ্র করতে, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থী, অবজার্ভার, ইনভিজিলেটর, সেন্টার ইনচার্জ, পুলিশ, জেলা প্রশাসন-সহ পরীক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত সকলের কার কী করণীয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। শুক্রবার আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবারও সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী বা অন্য যে কেউ যদি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেন বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি ডিজিট্যাল বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আদানপ্রদান করেন, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও চালু রয়েছে কন্ট্রোল রুম।
দেখুন টেট পরীক্ষা ঘিরে পর্ষদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি কী রকম:
১) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে
২) অবশ্যই ঢুকতে হবে ১১টার মধ্যে
৩) ১১.৩০-র মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড, পরিচয়পত্রর প্রমাণ যাচাই করবেন ইনভিজিলেটর
৪) ১১.৩০ থেকে ১১.৪৫-এর মধ্যে পরীক্ষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন ইনভিজিলেটর
৫) ১১.৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র (টেস্ট বুকলেট) এবং ওএমআর দেওয়া হবে
৬) ১১.৪৫ থেকে ১১.৫৯ পর্যন্ত টেস্ট বুকলেট ও ওএমআর-এ প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করবেন পরীক্ষার্থীরা
৭) বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু। ২.২৫ মিনিটে বাজবে ওয়ার্নিং বেল। পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ২.৩০-এ
৮) প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ-বাহির পথ ও কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভির নজরদারি থাকবে
৯) পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে পরীক্ষার্থীদের। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে যাচাই করা হবে পরিচয়
১০) পরীক্ষার্থীকে বৈধ পরিচয়পত্র যেমন, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আসতে হবে। নিয়ে আসতে হবে, কালো কালির বলপয়েন্ট পেন, যে ছবি অ্যাডমিট কার্ডে আছে, সেই ছবির একটি কপি ও অ্যাডমিট কার্ডের দু’টি কপি
১১) পরীক্ষাকেন্দ্রে নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকা দীর্ঘ। যেমন, কাগজের টুকরো, ক্যালকুলেটর, জলের বোতল, সোনার গহনা, ঘড়ি বা হাতঘড়ি, ক্যামেরা, ওয়ালেট, সানগ্লাস, হাতব্যাগ, মোবাইল ফোন, ব্লু-টুথ, ইয়ারফোন, পেজার, হেল্থব্যান্ড ইত্যাদি
১২) বসতে হবে নির্ধারিত আসনেই। পরীক্ষা শেষে গোলাপী রঙের আসল ওএমআরটি ইনভিজিলেটর জমা নেবেন, সঙ্গে একটি অ্যাডমিট কার্ডের কপি। সবুজ রঙা ওএমআর ও প্রশ্নপত্র নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থী
১৩) ইনভিজিলেটর উপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য নীল রঙের কালিতে ও অনুপস্থিতের জন্য লাল রঙের কালিতে স্বাক্ষর করবেন
১৪) টেট পরীক্ষার জন্য পরিবহণ দফতরের দুর্গাপুর হেডকোয়ার্টারের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন নম্বর ৭৩৬৩৯২০০৭০, ৯৪৩৪৬৭৩৮৪২
ডিইও শুভেন্দু দাসের ফোন নম্বর ৭৬৯৯৯৯৫৯১০
১৫) বেলঘড়িয়া ডিভিশনাল অফিসের দায়িত্ব থাকাদের নম্বর ৯৮৭৫৩৭৪২২৭, ৯৮৩৬৯৫৬১৯৯,৮৭৭৭০৪৭১৪৭
১৬) ডাব্লুবিটিসি-র কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০৩৩ ২২৩৬০৪৬২ ও ২২৩৬০৪৬৩
২০২৩ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার (Entrance Exam) জন্য রাজ্য জয়েন্টের (WBJEE) দিনক্ষণ ঘোষণা। আগামি বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (Engineering) জন্য ডাবলুবিজিজিই পরীক্ষা হবে ৩০ এপ্রিল, রবিবার। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে টেকনোলজি, ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতক কোর্স পড়তে এই পরীক্ষা দিতে হয় দ্বাদশের ফাইনাল পরীক্ষার পর। এই পরীক্ষা দিয়েই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে।
সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ এদিন জানালো জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে বোর্ডের ওয়েবসাইট https://wbjeeb.nic.in/ নজর রাখতে আবেদন করেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয় ২৪ এপ্রিল। মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল।
পুজোর আগে বড়সড় সুখবর পেলেন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary TET) নিয়োগের চাকরিপ্রার্থীরা। চলতি বছর প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদ পূরণে ১১ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা (Written Exam)। পুজোর আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (Notification)। পুজোর (Durga Puja 2022) পর থেকে কালীপুজোর আগে পর্যন্ত পর্ষদের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অর্থাৎ আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল।
তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন শূন্যপদ বেড়েছে। এখনও যে নিয়োগ হয়নি সেই পদ জুড়েছে। ইতিমধ্যে কোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৫ জনের নিয়োগ হয়েছে। সোমবারও হাইকোর্ট কিছু শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নিয়োগগুলো দেখছে পর্ষদ। প্রতি বছর টেট হবে। তারপরেও শূন্যপদ থাকলে প্রয়োজনে বছরে দু'বাত টেট নেওয়া হবে। এদিন জানান পর্ষদ চেয়ারম্যান।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-র নিয়োগ রুল মোতাবেক যারা ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরা তাঁরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আবেদন, যারা আন্দোলন করছেন, তাঁদের আমরা বলছি বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছি পোর্টাল খুলবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হন। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। যারা চাকরি পাবেন তাঁদের নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ক্যামেরার সামনে হবে। কোনও চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ জানালে পর্ষদ ব্যবস্থা নেবে।
ডিসেম্বরে নতুন করে টেট (TET Exam) পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পৃথক এই বৈঠক থেকে একটি সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে আরও একপ্রস্থ বৈঠকের সম্ভাবনা শিক্ষামন্ত্রী (Minister Bratya Basu) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেট পরীক্ষা নিতে চায়। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গেও আলাদ বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'টেটের পরীক্ষা পর্ষদ চাইছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ওদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছি, দফতরের থেকে ওরা কী সহযোগিতা চায় জানতে চাই। সেই বৈঠকের পর পাকাপাকি ভাবে নির্দিষ্ট তারিখ জানাবো। আমরা আজ নিয়োগ নিয়ে বৈঠক করছি। নিয়োগ প্রাথমিক পর্ষদ এবং এসএসসি নিয়োগ করবে। মিছিল আন্দোলন না করে সরকারের উপর ভরসা রাখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুনব। নিয়োগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ জট কাটাতে ক্রমাগত বৈঠক চলছে। রিপোর্ট নিয়েছি ব্যবস্থা প্রায় হয়ে গিয়েছে।' এই ইঙ্গিত গত সপ্তাহে দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান গৌতম পাল। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির হবে।
এদিকে, টেট ২০১৭-র পরীক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে রাজপথে। তাঁরা প্রশাসন এবং পর্ষদের উদাসীনতার অভিযোগে রাজ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। কোর্ট নির্দেশ থাকা সত্বেও আটকে নিয়োগ। শিয়ালদহ-রাজ ভবন পর্যন্ত এই মিছিল শুরু মুখেই একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে আসা হয়। এই মিছিলের একটি অংশ ধর্মতলায় পৌঁছলে নিউ মার্কেট থানার পুলিস আটক করে সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যায়। তাঁদের দাবি, 'পুজোর আগে টেট ২০১৭-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে এই প্রতিবাদ মিছিল।'
নতুন প্রাথমিক টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট-এর (TET) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্দরে। জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা জরুরিভিত্তিতে চেয়ে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবারই প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি (Ratna Chakraborty Bagchi)।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) জানান, "আমরা প্রস্তুতি শুরু করছি। কবে হবে জানি না। কিন্তু, যদি পরীক্ষা নিতে হয়, তা ধরে সেভাবেই এগোতে হবে। শেষ পর্যন্ত কত প্রার্থী আবেদন করল, সেই অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র স্থির করব, আমি সেই পদ্ধতিতে হাঁটি না। আমি ভেবে কাজ করি, করে ভাবি না। তাই আগে পরিকল্পনা করি। তারপর তা কার্যকর করি।"
প্রসঙ্গত, পর্ষদের তরফে সংসদ চেয়ারম্যানদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী টেট পরীক্ষার জন্য জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। নির্বাচিত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ভালো পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে কত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই গৌতম পাল বলেছিলেন, "আমি চাই প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা হোক এবং নির্দিষ্ট সময়ে হোক।"
তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের টেট পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, জরুরিভিত্তিতে জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা চেয়ে পাঠানো টেট পরীক্ষা হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে।