ভিন রাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার উত্তাল হল বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে এ রাজ্যে কাজ করতে এসে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারালেন মথুরার দুই ভাই বিষ্ণু এবং বিকাশ তানওয়ার। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিসকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। ধান কাটার কাজে এই রাজ্যে এসেছিলেন বিষ্ণু এবং বিকাশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ধানকাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুংচি গ্ৰাম থেকে কাজ সেরে সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্ৰামের দিকে রওনা দেন। রাস্তায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার তাঁদের গাড়ির সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সদাইপুর থানার পুলিসকর্মীরা। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের এলাকাছাড়া করে ক্ষিপ্ত জনতা। এলাকাবাসীদের দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা না আসা পর্যন্ত দেহ দুটি ছাড়া হবে না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্য দেহ পুলিসের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। দুপুরের দিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
পাট ক্ষেতে জল দিতে গিয়ে শর্ট সার্কিটে (Electric shock) মৃত্যু হয় এক কৃষকের। বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাগুন্ডি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয়রা ওই কৃষককে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই কৃষকের নাম এসারুল সাহাজি (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির পাশের মাঠে, একটি পুকুর থেকে পাট ক্ষেতে জল দেওয়ার জন্য মোটর লাগিয়েছিলেন তিনি। মোটর লাগানোর পরে বিদ্যুতের তার সংযোগ করছিলেন নিজের ইলেকট্রিক মিটার থেকে। সেই সময়ই বৈদ্যুতিক তারের একটি অংশ কাটা থাকায় শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।
এমনকি এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকত ওই কৃষক। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ। তাই রাজ্য সরাকারের তরফ থেকে পরিবারটিকে কিছু অনুমোদন দিয়ে সাহায্য করলে তাঁদের খুব উপকার হবে, দাবি স্থানীয়দের।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electric shock) যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারালেন যুবক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া যুবকে বাঁচাতে পারলেও, তিনি নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) মাদিওয়ালা এলাকায়।
মঙ্গলবার, মধ্যরাতে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে খোলা তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন এক যুবক। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন আকবর আলি। তিনি এক যুবককে ছটফট করতে দেখে সামনে এগিয়ে দেখেন যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। বিদ্যুতের তারটি থেকে ধাক্কা মেরে ওই যুবককে সরিয়ে দেন আকবর। যুবককে সরিয়ে দিতে গিয়ে তিনি নিজেই বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। তিনি ওই যুবকের মতো একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি টহলদারি গাড়ি এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে আকবরকে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক হলেন কেরলের বাসিন্দা। একটি মোবাইলের দোকান ছিল তাঁর। ব্যবসার জিনিসপত্র কিনতে প্রায়ই বেঙ্গালুরুতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবারও মোবাইলের যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে যে সংস্থার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার খোলা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে, জানিয়েছে পুলিস। আস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।