ঘোষণামতোই মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি নিজের পদত্যাগ পত্র ডাকযোগে পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে। কোনও রাখডাক না রেখেই ইস্তফা পত্র দিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে জানান, 'আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি'। আগামী ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শাসক দলের অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতির ময়দানে নামলেন বলে এদিন জানালেন।
তৃণমূলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'শাসক দল আমাকে নানাভাবে অপমান করেছে। তৃণমূল আর বেশিদিন নেই, ভিতরে ভিতরে ভাঙছে। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এটা একটা যাত্রাপার্টির দল। কয়েকজন ভালোমানুষ রয়েছেন তৃণমূল দলে, তাঁরা না বুঝেই ঢুকে পড়েছেন।'
অন্যদিকে মোদীর প্রশংসা শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। অত্যন্ত কঠোর, পরিশ্রমী একজন ব্যক্তি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বিজেপিতে মানুষের হয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। সেদিনই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আজ, মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
রবিবার বেলা গড়াতেই উঠে এল বড় খবর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। রবিবারই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আগামী মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
এক্স হ্যান্ডেলে জল্পনার সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে। তখনই নিরবতা ভাঙলেন অভিমানি কুণাল। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পদ ছাড়ার কথা শুত্রবার কুণাল ঘোষের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে সামনে এসে যায়। তিনি লিখলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। তৃণমূল কংগ্রেস আমার দল।’সরকারি নিরাপত্তার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের whats app গ্রুপও ছাড়লেন কুণাল।
কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরক পোস্ট করা হয়। তখন থেকেই সকলের মনে দানা বাধছিল তৃণমূলের অন্দরে একটা কিছু চলছে। শুক্রবার সকালে আচমকাই দেখা গেল সেই পোস্টটি উধাও। এমনকী এক্স হ্যান্ডলের বায়ো থেকে রাজনীতিবিদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পরিচয়ও মুছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এখন তাঁর পরিচয় শুধুই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন এমন করলেন কুণাল ?
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ পোস্ট করেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কারুর নাম উল্লেখ না করলেও কলকাতা উত্তর লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করে যে কুণালের এই পোস্ট তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারুর। পোষ্ট করে তিনি লেখেন নরেন্দ্র মোদীর কুৎসার বিরোধিতা যুক্তিতে ধুয়ে দেওয়া যায়।নাম না করে সুদীপকে কটাক্ষ করে লিখেছেন রোজভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলেস পড়িয়ে রেখেছেন মোদী। শুক্রবার সিএনকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে সুদীপকে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল।
অন্যদিকে সূত্রের খবর গত দু বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাজ করছেন কুণাল ঘোষ।কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই হলদিয়ায় অস্থায়ী বাড়িও নিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন কুণাল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাটাই বৈঠক থেকে শুরু করে গ্রাম সভা সবটা করেছেন গোটা জেলা জুড়ে।দুই সাংগঠনিক জেলা কাঁথি এবং তমলুক ছুটে গিয়েছেন দলের প্রয়োজনে।আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সুদীপ। সেখানে ডাক পাননি কুণাল ঘোষ । শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকেও ডাক পাননি তিনি।যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। আর এরপরই ক্ষোভে বিস্ফোরক পোস্ট। অভিমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কুণাল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘাসফুলের অন্দরে এই অশান্ত বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় দলের অস্বস্তি যে আরও বাড়লো তা বলাইবাহুল্য।
আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ পত্র পাঠালেন মহকুমা শাসক এবং পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে। নিজের দলের কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরেই প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। ফলে আবারও একবার প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের অন্দরের কোন্দল।
নিজের পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও, ক্যামেরার সামনে তাঁর কারণ বলতে চাননি তিনি। যদিও তিনি দাবি করেছেন তাঁর সাথে যা ঘটেছে, সেটা নিজের ও দলের কাছে লজ্জার বিষয়।
সূত্রের খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারী, সরস্বতী পুজোর দিন নিজের দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। এরপরই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তা এখনও গৃহীত হয়নি। অরূপ হাজরা আরও জানান, তিনি আতঙ্কিত। যদিও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা কাউকে তিনি এ বিষয়টি জানাননি।
কেন কাউন্সিলরকে আক্রান্ত হতে হল দলীয় কর্মীদের হাতে? তবে কি দলের কাউন্সিলররাই এখন দলে সুরক্ষিত নন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে এই ধরনের ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদলকে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা নিলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অপমানের অভিযোগ তুলেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।যদিও এখনও পর্যন্ত ইস্তফা গ্রহন করা হয়নি। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি জানিয়েছেন, রাজনীতি আমার জন্য় নয়। পলিটিক্স আমি বুঝতে পারি না। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না। দিদিকে আমি আমার সমস্য়ার কথা জানিয়েছি।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে মিমি চক্রবর্তী বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে বৈঠক করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে মিমি নিজেই জানান, তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও দিদি এখনও পর্যন্ত ইস্তফা গ্রহন করেননি। তবে দিদি দ্রুত ব্য়বস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
অনেকের মতে, তবে কি এবার দেবের পথ ধরেই হাঁটতে চলছেন তৃণমূল সাংসদ মিমি। সম্প্রতি ঘাটালের সাংসদ দেব নিজের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিল। কিন্তু তারপর ফের রাজনীতিতেই ফিরেছেন অভিনেতা। তাই এবার সকলের দেবে মতই কি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন মিমি!
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।
বুধবার রাত থেকে 'কালীঘাটের কাকু'-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি এসএসকেএম-এ। অবশেষে গভীর রাতে সম্পন্ন হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া। বুধবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। বিভিন্ন স্কেলে তার কন্ঠস্বর নেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবেও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর আগে কাকুর শারীরিক অসুস্থতা কথা বলে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে দেয়নি এসএসকেএম। সেই কাজ জোকা হাসপাতালে ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হল কী করে? এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া সেই কাকু আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি কেন?
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কণ্ঠস্বর দিতে অসহযোগিতা করছিলেন 'কাকু'। এরপর কাউন্সিলিং করা হয় চিকিৎসকদের তরফে। তারপর তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় তাকে। পরপর দুবার তিনটি বাক্য বলতে বলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রেখে দেবে। যার ফলে ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা যেতে পারে কি? এর উত্তরে ইডিকে সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কালীঘাটের কাকুর উপর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র একজন কার্ডিওলজির পেশেন্ট, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাকে রাখার মত পরিকাঠামো নেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটির বিষয় থাকে। জোকা ইএসআই রাখতে পারবেনা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ইডি আধিকারিকদের কার্যত বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফিরিয়ে দিতে হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। গভীর রাত প্রায় ৩টে ৩২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
তবে এই ইএসআই হাসপাতালের ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া 'কালীঘাটের কাকু'র ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এত বেগ পেতে হল কেন ও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাকে অসুস্থ প্রমাণ করতে মরিয়া, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
১) কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার জন্য সুস্থ কালীঘাটের কাকু। জোকা ইএসআই বোর্ডের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কাকুর নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তাহলে এত দিন অসুস্থতার কথা বলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে বাধা ছিল এসএসকেএম?
২) ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড যাকে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে, সেই ব্যাক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আনফিট কি করে?
৩) ইএসআই মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম কেবিনে ভর্তি করা হল কেন?
৪) কাউকে আড়াল করতেই কি এসএসকেএম-এ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কাকুকে। সেটা হলে কার নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে এসএসকেএম?
৫) ৩০ মিনিটেই যেখানে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হলো, সেখানে ইডিকে সহযোগিতা না করে কার নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ বাধা হয়েছিল এসএসকেএম?
এসএসকেএম-এ (SSKM) 'কালীঘাটের কাকু'র মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে, এমন দাবি আগেও করা হয়েছে ইডির তরফে। এবারে কলকাতা হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা প্রশ্নের মুখে। এর আগে বারবার ইডি প্রশ্ন তুলেছে, কালীঘাটের কাকু কতটা অসুস্থ সেটাই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। অথচ তারা কোনওভাবেই কাকুর কণ্ঠের নমুনা নিতে সফল হচ্ছে না। শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় আরও একবার সে প্রশ্নই উঠল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কাকুর অসুস্থতাকে 'বানানো গল্প' বলেই মনে করছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে এবং কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কাকু’র আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় ইডির দাবি, কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃত করা হচ্ছে। এছাড়াও এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নয়, জামিনের বিষয় বিচার করতে হবে। এসএসকেএম-কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এসএসকেএম বলছে রোগী উঠতে পারছে না। অথচ সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে আছেন। সিস্টেমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। তাই ইএসআই-তে চিকিৎসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ইডি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই তাঁকে এসএসকেএম থেকে ইএসআই তে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে চায় ইডি।
এদিন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কিশোর জানান, 'হার্টের অপারেশনের পর তিনি জেলে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে বমি শুরু হয় সেই জন্য তাঁকে হসপিটালে আনা হয়।' আবার ইডির আইনজীবী জানান, 'মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সব ম্যানুফ্যাকচার করা হচ্ছে। কালকে ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরই আগামী ১৯ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ফের শহরে হানা আয়কর দফতরের। এবারে আর্থিক কারচুপির অভিযোগ ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল থেকে তাঁর ঢাকুরিয়ার আবাসনে অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাড়িতেই রয়েছেন উৎপলবাবু। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
সূত্র মারফত খবর, সকাল ৭.৩০ টা নাগাদ ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের ৭-৮ জন আধিকারিক উৎপল বাবুর ফ্ল্যাটে যান। তিনি বিদেশি মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ২২টি দেশে অ্যালকোহল সরবরাহ করতেন। এছাড়া বিদেশি মদ তৈরির সংস্থার আড়ালে অনেক টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি উৎপলবাবুর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগও ছিল। সবমিলিয়ে এদিন তিনি আয়কর দফতরের হাজার প্রশ্নের মুখে পড়লেন আইএফএ-এর প্রাক্তন সচিব।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মীর স্বাক্ষর নকল করে অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হেদিয়াপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যার জেরে চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগের ভিত্তিতে জয়েন্ট বিডিও এবং এস আই তদন্ত শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইন্ডিয়ান গ্যাসের এক সংস্থাকে চেক দিতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শুভ্র প্রতিপাল। এই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চেক নিয়ে দেখেন চেকের মধ্যে সৌরভ পালের সাইন করা। এই সহ শিক্ষক সৌরভ পাল ২০১৯ সালে লিখিতভাবে ভিসি কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তাহলে কি করে তাঁর সিগনেচারটি অথরিটিতে থাকে ? সেই চেক দেখার পর প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। স্কুলের উন্নয়ন নেই।মিড মিলের চাল রান্না করা হয় না। সেজন্য স্টক পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ, বিদ্য়ালয়ে নিম্নমানের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে চালে পোকা রয়েছে এমনি অভিযোগ করেছেন স্কুলের সহক শিক্ষক- শিক্ষিকারা সকলেই। এছাড়াও সমস্ত স্কুলের খাতা পত্র প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখতে চাইলে সময় মত দেখায় না। ছুটির সময় তাঁদেরকে দিয়ে সাইন করানোর চেষ্টা করেন। একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান শিক্ষক এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান।
এবার হয়ত শেষ হতে চলেছে কাকুর জারিজুরি , নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয় কালিঘাটের কাকু, অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সুজয় কৃষ্ণের অফিস ও ফোন ঘেটে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ইডির আধিকারিকরা। তদন্ত যত এগিয়েছে টোটো কাকুর কালো হাতের হদিশ মিলেছে। এরপরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে কালীঘাটের কাকু। এরপর তার চিকিৎসা হয় ,এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার হৃদরোগের অপারেশন ও করা হয়। তারপর থেকেই সরকারি হাসপাতাল অর্থাৎ এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন আছে কালীঘাটের কাকু। কিন্তু কালীঘাটের কাকুকে নিজের হেফাজতে নেওয়া কিংবা জেলে পাঠানো, বা কালীঘাটের কাকুর নমুনা সংগ্রহে একমাত্র বাধা এসএসকেএম। এবার এসএসকেএমের রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দিহান প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ওই শুনানিতে আজ অর্থাৎ শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা জন্য ইএসআই হাসপাতালকে চিকিৎসক দ্বারা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে, তাঁর সাস্থের একটি রিপোর্ট দিতে হবে।' কার্যত এবার হয়ত এসএসকেএমে শুয়ে আরাম করার দিন শেষ হয়ে আসছে কাকুর।
জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য এসএসকে এম হাসপাতাল দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না ইডি। তদন্তকারী আধাকিরকরা মনে করছেন, রাজ্যে সরকারি হাসপাতাল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্টে কিছু ত্রুটি থাকছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ইএসআই হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে জোকা ই এস আই হাসপাতালকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা নির্দেশ দিল ইডির বিশেষ আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর, নানা সময়ে নানা জারিজুরি করেছেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তদন্তক্রমে ইডির কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় ইডির।কিন্তু সেই পথে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসএসকেএম। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ইডি। এমনকি বারবার চিঠি লিখেও মেলেনি কোনো সদুত্তর। সেজন্যই এবার আদালতের দ্বারস্থ ইডি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় আদালতে মুখ পুড়েছিল এসএসকেএমের। এবার কি ফের কালীঘাটের কাকুর সহায় থেকে এসএসকেমের মেডিকেল রিপোর্টে মুখ পুড়বে হাসপাতাল কতৃপক্ষের! সেটাই এখন দেখার।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়র আবদার ছিল তিনি মন্ত্রী, ফলত তিনি জেলে নয় এসএসকেএমে থাকবেন। যদিও সে প্রচেষ্টা বৃথা গেছে। এবার মন্ত্রী মশাইয়ের নতুন আবদার, 'আমার মোবাইল চাই।' বুধবার প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষের কাছে এমন আবদার করেনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঙ্গলবারের মত বুধবারও তাঁর আবেদন কার্যত জেল কতৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব পায়নি বলেই খবর। জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে এসেও তিনি বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের নাম করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যদিও তাতে কোনও সুবিধা করে উঠতে পারেন নি তিনি। জেল হেফাজতে আসার পর থেকে মন্ত্রী মশাইয়ের আবদারে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন জেল কতৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মন্ত্রী মশাই স্পষ্ট বলেন, 'আমি মন্ত্রী, আমি জেলে থাকব কেন, আমি অসুস্থ, তাই এসএসকেএমে থাকবো।' এই আবদারে পরেই মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর মন্ত্রীকে সুস্থ বলেই জানানো হয়, ফলে তাঁর এসএসকেএম যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার ফের জ্যোতিপ্রিয় জেল কতৃপক্ষের কাছে আবদার করেন, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতে হবে, তাঁকে বাড়িতে কথা বলতে হবে, এমনকি তিনি জানান, তাঁকে তাঁর দফতরের লোকের সাথেও কথা বলতে হবে। যদিও তাঁর দাবিকে গ্রাহ্য দেওয়া হয়নি বলেই দাবি জেল কতৃপক্ষের।
ওদিকে, প্রেসিডেন্সি জেলের একই ওয়ার্ডে থাকা সত্ত্বেও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে খবর, পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে ঢোকার সময় আপত্তি জানান প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীকে বোঝানোর জন্য তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলের তরফে। তাতে অনীহা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পহেলা বাইশে দু'নম্বর সিলেট রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পয়লা বাইশেই সাত নম্বর সেলে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, পহেলা বাইসের আরও দুটি ছেলে রয়েছে জীবনকৃষ্ণ ও মানিক।
প্রসূন গুপ্ত: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদল থেকে নব সংগঠন অনেক কিছুই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের ভাবনা এখন বেশ কিছুটা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ন্যস্ত। অভিষেকের উপর ভরসা দলের বিভিন্ন শাখার এমনকি আস্থা দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেক নেতা বা বিধায়ক বা সাংসদ সময় বুঝে নিজেদের জায়গা ঠিক করে নিচ্ছেন। এটা তো বাস্তব মমতার পরে গ্রহণযোগ্যতায় অভিষেকই আসেন। সম্প্রতি নানান উপনির্বাচন বা পঞ্চায়েত ইত্যাদি নির্বাচনে অভিষেকের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। সেই অভিষেক সম্প্রতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করলেন যে মহুয়া মৈত্রর পাশে তিনি বা দল রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে মহুয়ার ভূমিকা নিয়ে মহাবিতর্ক যে শুরু হয়েছে এবং যে ভাবে বিরোধী প্রায় সমস্ত দল তাঁর পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে তাতে তৃণমূলের মুখ বুজে থাকাটা বোধহয় খারাপ বার্তা যাচ্ছিলো দলের কর্মীদের কাছে ফলে মহুয়াকে শুধু সমর্থন নয় তাঁকে দায়িত্ব দিলো দল।
সংসদের গোপনীয়তা প্রকাশ ঘটনায় কেন্দ্রে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার মোটামুটি কোমর বেঁধে নেমেছে মহুয়াকে লোকসভার থেকে বহিষ্কার করার কাজে। সংসদের গোপনীয়তা ঘটনা যে সঠিক এমন আইনি বাস্তবতা না থাকলেও ওই কাজটি যে আপাতত প্রয়োজনে প্রায় সব সাংসদরাই করে থাকেন এমন উদাহরণ মহুয়া সহ বিরোধী দলের অনেকেই জানিয়েছেন কিন্তু প্রাথমিক ভাবে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তৃণমূল ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও শব্দই উল্লেখ করে নি। হয়তো অবস্থা কোন দিকে যায় সে দিকেই নজর রাখছিলো। কিন্তু গোল বাঁধলো যখন মহুয়াকে সংসদের বিশেষ কমিটি তাঁকে ডেকে এক প্রকার অপমান করলো ( বিরোধীদের বক্তব্য অনুযায়ী ) তখন আর চুপ থাকা সমীচীন মনে করে নি তৃণমূল। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিএম সরাসরি মহুয়ার পাশে দাঁড়ানোই খানিক অস্বস্তিতেও পড়েছিল দল। মহুয়া যা করুন না কেন তাঁর জনপ্রিয়তা প্রবল ভারত জুড়ে কাজেই তাঁকে যদি দল বহিষ্কার করে বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় তবে দেশের কাছে ভালো বার্তা যাবে না এটি কিন্তু অভিষেক বুঝেছেন। দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে তাঁর পাশে দল শুধু দাঁড়ালো না, তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা অবস্থানের সভাপতির পদ দেওয়া হলো। অভিষেক রাজনীতিতে অনেকটাই পটু এটাই ফের উদাহরণ।
সম্পত্তি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারের পর থেকেই আদালত থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই নিজেকে অসুস্থ প্রমান করার চেষ্টা করছেন তিনি। এবার আদালত তাঁকে জেল হেফাজত দেন। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তাঁর নতুন আবদার তিনি অসুস্থ তাই তিনি জেলে নয় এসএসকেএম হাসপাতালে থাকতে চান।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'আমি হয়ত মরে যাবো। আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।' অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তিনি আদালতে জামিনের চেষ্টাও করেন। কিন্তু আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলে গিয়ে মন্ত্রী নতুন আবদার শুরু হয়। সূত্রের খবর, জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নতুন আবদার আমি রাজ্যের মন্ত্রী তাই রাজ্যের জেলে থাকবো না। আমাকে এসএসকেএম-এ পাঠানো হোক। আমি অসুস্থ আমার বাঁ দিক প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। যদিও এর পরেই তাকে জেল আধিকারিকরা নিয়ে যান জেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থ বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া জেল কতৃপক্ষ মন্ত্রীকে আরও জানায়, আপনি সুস্থ আপনার আর অন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই তাই আপনাকে সেলেই থাকতে হবে।